তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৬৮
বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতার জন্ম হয়েছিলো বলেই এ জাতি ভাগ্যবান
--মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতার জন্ম হয়েছিলো বলেই এ জাতি ভাগ্যবান। এই ভূখণ্ডে হাজার বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে যুগে যুগে বীর নারী পুরুষেরা যুদ্ধ করেছেন। এই সংগ্রাম বাঙালি জাতিসত্ত্বা বিকাশে অবদান রেখেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙালির জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ আমরা পেতাম না।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিটিআরসি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন এবং মূল আলোচক হিসেবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর দ্বিতীয় বৈপ্লবিক কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সোপান রচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই কর্মসূচি দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী; সাম্রাজ্যবাদ ও ধনবাদের দালাল ও পাকিস্তানের দোসরদের জন্য চরম হুমকি হয়ে পড়েছিল। এসব অপশক্তি সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রেরই ফসল। মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাদের উদ্দেশ্য সফল সমাপ্তিতে পৌঁছায়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক সংগঠন পুনর্গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে না হারালে বাংলাদেশ অনেক আগেই সোনার বাংলায় পরিণত হতো বলে উল্লেখ করেন।
#
শেফায়েত/পাশা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৬৭
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অদ্যাবধি
৭ হাজার ৯৩৭ সিলিন্ডার অক্সিজেন প্রদান করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) :
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা রোগীদের জরুরি চিকিৎসা সেবার সুবিধার্থে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আজ ৩২৯টি-সহ অদ্যাবধি সর্বমোট ৭ হাজার ৯৩৭ সিলিন্ডার অক্সিজেন প্রদান করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ।
মমেক হাসপাতালে আগামীকাল (১৯ আগস্ট) সরবরাহের জন্য অন্যান্য দিনের ন্যায় আজও অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলের কাজ চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা রোগীদের জন্য প্রতিমন্ত্রীর এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
#
ফয়সল/পাশা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১১০ ঘণ্টা
Handout Number : 3966
Foreign Minister mourns loss of lives due to wildfires in Algeria
Dhaka, 18 August :
Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen expressed his deep condolences over the death of scores of Algerian people including 25 soldiers in the incident of wildfires in the Kabyle region of Algeria.
In a message sent to Foreign Minister of Algeria Sabri Boukadoum, Dr. Momen conveyed his deep sympathies for the families of the victims and prayed that they would have enough fortitude to bear the irreparable loss.
‘‘I pay my sincere tribute to the 25 soldiers who dedicated their lives in their efforts for saving the fire-ravaged villagers, whom I consider to be martyrs,’’ Dr. Momen added.
Foreign Minister prayed for the early recovery of the injured soldiers and the villagers. He hoped that the affected villagers would be able to overcome the calamitous situation and rebuild their life soon.
#
Tohidul/Pasha/Rejuan/Sanjib/2021/2048 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৬৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪১ হাজার ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ হাজার ২৪৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭২ জন-সহ এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৭১৯ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৮ জন।
#
ফেরদৌস/পাশা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০৪১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৬৪
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মহান স্থপতি, স্বদেশ বিনির্মাণে সফল নায়ক
--আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ ও সাহসিকতা দিয়ে নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মহান স্বাধীনতার স্থপতিই নন, স্বদেশ বিনির্মাণের নায়ক। সদ্যস্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ মাত্র সাড়ে ৯ মাসে একটি সংবিধান উপহার দেওয়ার নজির পৃথিবীর ইতিহাস খুঁজলে দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যেদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, বিসিএস এর সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৪ বছরের শোষণ, নির্যাতন ও নিষ্পেষিত একটি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগ, ২ লক্ষাধিক ধর্ষিতা-নির্যাতিতা মা বোনদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা লাভ করে। সে সময় পাকিস্তানি সেনারা ব্রীজ-কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট পুড়িয়ে দিয়েছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংক ও বাণিজ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। সে রকম যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সাম্ভাবনাময় বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।
বাংলাদেশে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যা কিছু আজ তার সবকিছুর ভিত্তি রচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহুর্তে ইপিআর এর ওয়ারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রচার করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর স্যাটেলাইটের অরবিটাল ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ প্রদানকারী সংস্থা জাতিসংঘের আইটিইউ এর সদস্য পদ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে ড. কুদরত-ই-খুদার মতো একজন বিজ্ঞানীকে শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করলে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি বাধা ও সংগ্রাম সহজেই অতিক্রম করা সম্ভব। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম, বাংলাদেশ ও বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে মুজিব হানড্রেড ডট গভ ডট বিডি, বঙ্গবন্ধুর ওপর দুটি কুইজ প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কুইজের আয়োজন করা হয়েছে। এ সাইটে দেশে এবং বিদেশে কোটি কোটি মানুষ ভিজিট করছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন ও নির্দেশনাগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছে। অনুশীলন এবং গবেষণা করতে পারছে। এছাড়া কুইজ প্রতিযোগিতায় কোটি কোটি শিক্ষার্থী, নবীন ও প্রবীণ অংশগ্রহণ করেছে বলে জানান।
পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বৈষম্যমুক্ত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা পরিণত হওয়ার পথে। এখনও একটি প্রক্রিয়াশীল চক্র প্রতিনিয়ত আমাদের মধ্যে আবার বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, মিথ্যা দিয়ে সত্য ঢাকা যায় না। সত্যের জয় অনিবার্য। বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক, বেতার, টেলিভিশন থেকে ২১টি বছর ২টি প্রজন্মের কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিল। আজ সে বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাই-টেক পার্কেই নয়, সুদূর জাতিসংঘের ‘ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর নাম শুধু বিশ্বে ইতিহাসেই নয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালের ১২ মে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে ।
প্রতিমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, যে উপদেশটি বঙ্গবন্ধু সারাজীবন অনুসরণ করেছেন তা হলো ‘অনেস্টি অভ্ পারপাস অ্যান্ড অনেস্টি অভ্ ইনটেনশন’ এই একটি উপদেশ মেনে চলতে পারলে জীবনে কখনো কেউ বাধাগ্রস্ত হবে না।
পরে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
#
শহিদুল/পাশা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৬৩
দেশের পরিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে
---পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জনগণকে একটি দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাসহ দেশের পরিবেশ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, পরিবেশকে দূষিত করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে এমন কাজ কাউকেই করতে দেয়া হবে না।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘পরিবেশ বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন: প্রেক্ষাপট ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালায় ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের পানি, বায়ু, শব্দদূষণসহ সকল প্রকারের দূষণ রোধ করে সার্বিক পরিবেশের উন্নয়নের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণপূর্বক সেভাবে কাজ করা হবে। পরিবেশের উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে সকল শিল্পকারখানা তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন করেনি তাদের ইটিপি স্থাপনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সকল শিল্প কারখানার ইটিপি যাতে সবসময় সচল রাখে এজন্য এগুলো অনলাইন মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। সভায় পরিবেশ বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি অভ্ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন প্রতিবেদন ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন যুগ্মসচিব (প্রশাসন) ড. মোঃ আশফাকুল ইসলাম বাবুল। অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মোঃ মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিন এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
#
দীপংকর/পাশা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৬২
দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে
--ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। দেশে যাতে কোন ভাবেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না ঘটে এ বিষয়ে সরকার তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত থাকলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার সদগতি কামনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকীতে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত গরিব-অসহায়, কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও বিশেষ প্রার্থনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মূলনীতি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এদেশের উন্নয়ন যেমন আজকের বিশ্বের বিস্ময়, রোল মডেল; ঠিক তেমনি এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ঐক্যবদ্ধভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশকে নস্যাৎ করতে চায়। সকলকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের মহান লক্ষ্যে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যার সুফল সকল সম্প্রদায়ের জনগণ ভোগ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ২০০৯-২০২১ সময়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী মূলধন ২১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এই প্রথম সমগ্র দেশে মন্দির ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২২৮কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে ১ হাজার ৮শত ১২টি মঠ, মন্দির, শ্মশান সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি কর্মসূচির অধীনে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, ঢাকা সহ চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১৯৯টি মঠ, মন্দির, শ্মশান সংস্কারের জন্য কার্যক্রম চলছে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে ২০০৯ হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩২৪টি মঠ, মন্দির, আশ্রম ও শ্মশান উন্নয়নের জন্য ১৪ কোটি ৯১ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০ টাকার অনুদান দেয়া হয়েছে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সুব্রত পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী মনোরঞ্জন শীল, এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী অসীম কুমার উকিল, এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শ্রী নির্মল রঞ্জন গুহ, সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা পরিষদের সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. দিলীপ কুমার ঘোষ প্রমুখ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং গরিব- অসহায় কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
#
আনোয়ার/পাশা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০১৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৬১
করোনায় জনগণের পাশে না থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত।
‘একটি রাজনৈতিক দল জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার মধ্যে কোথায় তারা জনগণের পাশে দাঁড়াবে, মানুষকে সহায়তা করবে, সেটা না করে গতকাল বিএনপি চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবরে গিয়ে ফুল দেয়ার নামে মারামারি করেছে, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। অর্থাৎ তারা যে সন্ত্রাসের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নাই, এই করোনার মধ্যেও সেটির বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে গতকালকের ঘটনা।’
আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশক, পরিচালক ও শিল্পীবৃন্দ আয়োজিত আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের করোনা চিকিৎসায় বিনামূল্যে অক্সিজেন ব্যাংক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আজকে জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে খোরশেদ আলম খসরু, অনন্ত জলিল, মশিউর রহমান, চুন্নু ভাই, মৌসুমী, ওমর সানীসহ চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যরা এই অক্সিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সেজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ এই করোনা মহামারির মধ্যে আজকে যেভাবে সমস্ত পৃথিবী স্তব্ধ হয়েছে এবং সবাই অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে যে, মানুষ ছোট একটি আণুবীক্ষণিক জীবাণুর কাছে কত অসহায়। এই অসহায়ত্বটা এমন যে, অনেক অর্থবিত্তও কোনো কাজে আসছে না। এই সময়ে যারা অপরের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন, তাদের প্রতি আমি একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের একজন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে কৃতজ্ঞতা জানাই। এটি জনহিতকরণ কাজ এবং জনগণকে সাহায্য করার কাজে বাধা দেবার কিছু নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে মোকাবিলা করছেন, তার ফলে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দিবেন। ইতিমধ্যেই প্রায় দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নির্দেশে আমাদের দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা করোনার মধ্যে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবং সেই পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমাদের সংসদীয় দলের ১৩০ জনের বেশি সংসদ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এতো মৃত্যু জাতীয় সংসদে কখনো কেউ দেখেনি। ৮১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছেন। মন্ত্রিসভার প্রায় অর্ধেক সদস্য একবার কিংবা দু’বার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমি দু’বার করোনা আক্রান্ত হয়েছি। কিন্তু আমি করোনার মধ্যে একদিনও ঘরে বসে থাকিনি, একদিনও না।’
চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিচালক ও পরিবেশক খোরশেদ আলম খসরু’র সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা শিউলি আজাদ, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন এবং চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আব্দুল লতিফ বাচ্চু, শাহ আলম কিরণ, মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রনায়িকা মৌসুমী, চিত্রনায়ক ওমর সানি, অনন্ত জলিল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, চিত্রনায়িকা নিপুণ এবং বর্ষা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/পাশা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯৩১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৬০
দেশি বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীর অংশগ্রহণে ফি কার্যকর হচ্ছে
ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) :
বিদেশি শিল্পী দিয়ে দেশি বিজ্ঞাপন নির্মাণে নির্মাতাকে প্রতি বিদেশি শিল্পীর জন্য দুই লাখ টাকা ফি এবং এধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় টিভি চ্যানেলকে বিজ্ঞাপন প্রতি এককালীন বিশ হাজার টাকা সরকারি ফি প্রদানের বিধানটি কার্যকর করা হচ্ছে।
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের সভাপতিত্বে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপের কথা জানানো হয়। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এবং তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তথ্যমন্ত্রী জানান, গত ৩১ শে মে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীর অংশগ্রহণ সংক্রান্ত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনের মাধ্যমে সরকারের অনুমতি নিয়ে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পী অংশগ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে নির্মাতাকে প্রতি বিদেশি শিল্পীর জন্য দুই লাখ টাকা এবং সে ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় টিভি চ্যানেলকে বিজ্ঞাপন প্রতি এককালীন বিশ হাজার টাকা ফি হিসেবে সরকারি কোষাগারে দেবার বিধান রয়েছে। সকল অংশীজনের সহযোগিতায় এ বিধান দেশ এবং দেশের শিল্পী ও বিজ্ঞাপন শিল্পের জন্য কল্যাণ ও উন্নয়ন বয়ে আনবে।
এশিয়াটিকের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নূর এমপি, ডিজিটাল এক্সপ্রেশানসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আহসানুল আপন, ইউনিট্রেন্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনির আহমেদ খান, মাত্রার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সানাউল আরেফিন, এনিথিংক ভিজ্যুয়ালের পরিচালক ওয়াহিদ তারেক, ট্রিপল নাইন গ্লোবালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোমান রবিন, র্যাপচার এন্টারটেইমেন্টের কো-ফাউন্ডার মোঃ রেদওয়ান রহমান রিয়াদ প্রমুখ সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং তাদের পূর্ণ সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজান-উল-আলম এবং খাদিজা বেগম, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালাক স ম গোলাম কিবরিয়া, মন্ত্রণালয়ের আইন কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান গাজী প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/পাশা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৫৯
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ডেঙ্গু নির্মূল করতে হবে। জনসম্পৃক্ততাই ডেঙ্গু মোকাবিলার উত্তম উপায়। জনসাধারণের অংশগ্রহণ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সহজ হবে না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
আজ রাজধানীর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগরভবনে আয়োজিত 'সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রী, মেয়র, কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি ঢাকাকে মশামুক্ত করতে জনগণের অংশগ্রহণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যেমন সিটি কর্পোরেশনের মৌলিক দায়িত্ব তেমনি নাগরিকদেরও নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অবহেলা না করে সুনাগরিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।
মন্ত্রী জানান, এডিস মশা কিভাবে এবং কোথায় জন্ম নেয় এসব বিষয়ে নগরবাসীকে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হয়েছে। মানুষ যদি সচেতন হয়ে এই বিষয়গুলোতে নজর দেয় তাহলে এডিস মশা নির্মূল করা সম্ভব না হলেও নিয়ন্ত্রণ করে সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব।
নির্মাণাধীন বাসাবাড়িতে এডিস মশার প্রজনন বেশি হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাসাবাড়ির ছাদে, বেজমেন্টে ও ফুলের টবে জমানো স্বচ্ছ পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে বা ফেলে দিতে না পারলে সেখানে লার্ভিসাইড অথবা কেরোসিন তেল ঢেলে বা স্প্রে করে নগরবাসীকে এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
বিশ্বের অনেক দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে এবং প্রতিবছর প্রায় একশো থেকে চার শো মিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় জানিয়ে মন্ত্রী সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের ডেঙ্গুর পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর মশার প্রভাব বেশি একথা সত্য। কিন্তু কেউ বসে নেই, সবাই সর্বা