তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৩৩
হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে তথ্যমন্ত্রী
জঙ্গিদের বলুন 'তুই দানব, মানুষ না'
ঢাকা, ২৬ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, হুমায়ূন আহমেদ রাজাকারদের ঘৃণা করা শিখিয়েছেন 'তুই রাজাকার' বলে। এখন দেশবাসী এর সাথে জঙ্গিদের বলবে 'তুই দানব, মানুষ না’। এভাবেই হুমায়ূন আমাদের জঙ্গিদমন যুদ্ধের প্রেরণা। এসময় তাঁকে খুব প্রয়োজন।
আগামী ১৩ নভেম্বর হুমায়ূন আহমেদের ৬৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে সংস্থাটি আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর সামরিক শাসক ও রাজাকারেরা বঙ্গবন্ধু-রবীন্দ্র-নজরুল-শামসুর রাহমান-হুমায়ূন আহমেদের চেতনাকেও নির্বাসনে পাঠাতে চেয়েছিল। আর যাতে তা না হয়, সেজন্যই রাজাকার-জঙ্গি ও তাদের দোসরদের বিচার-বর্জন জরুরি।
হুমায়ূন আহমেদের প্রতি চিরন্তন শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যতদিন নিত্যদিনের আনন্দ মানুষকে উদ্বেল করবে, ছোট ছোট কষ্ট তাকে কাঁদাবে, ততদিন হুমায়ূন অমর হয়েই থাকবেন।
সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের সভাপতিত্বে ও ড. শিহাব সরকারের সঞ্চালনায় সংগীতজ্ঞ বারী সিদ্দিকী, মেহের আফরোজ শাওন, অন্যপ্রকাশের স¦ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম ও অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ সভায় নন্দিত লেখক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গীতিকার হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে তাদের হৃদয়গ্রাহী অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৩২
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৩০
মতলব উত্তরে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মায়া চৌধুরী
মতলব উত্তর (চাঁদপুর), ২৬ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বর্তমানে আরো ২২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। নতুন করে নির্মাণাধীন এসব আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে আজ চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় একটি আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম।
আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে মোহনপুর আলী আহমদ মিয়া বহুমুখী মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় মেঘনা নদীর চর এলাকার মানুষদের আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেন, এ বছরের উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড় মোরায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে হলেও সরকারের ব্যাপক পূর্বপ্রস্তুতির কারণে জানমালের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রায় সাড়ে ছয় লাখ লোককে একদিনের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে হয়েছিল। মায়া চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ৩২টি জেলায় সংগঠিত বন্যায় উত্তরাঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্রের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল মনে হলেও কেউই আশ্রয়হীনভাবে খোলা আকাশের নিচে ছিলনা। তিনি আরো বলেন, সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের মৃত্যুর হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। উত্তরাঞ্চল ও হাওর এলাকায় পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। নতুন আশ্রয়কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো মিলে নির্ধারিত সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
#
দেওয়ান/মাহমুদ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০২৯
চালু হল মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের এন্ড টু এন্ড কাস্টমস এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস
ঢাকা, ২৬ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :
আজ থেকে চালু হল ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের এন্ড টু এন্ড কাস্টমস এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস। গতকাল বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। আজ সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে এই সার্ভিস দেখতে যান রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক।
রেলমন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় রেলখাত এগিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ট্রেন ছাড়ার প্রান্ত এবং শেষে কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন কার্যাদি সম্পন্ন হচ্ছে। এতে করে যাত্রার সময় ২ ঘন্টা কম লাগবে। যাত্রীদের হয়রানিও কমে যাবে। ফলে ট্রেন যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে ঢাকা-কলকাতা এবং খুলনা-কলকাতা আসা যাওয়া করতে পারবে বলে তিনি এ সময় উল্লেখ করেন। তিনি পরে যাত্রীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং ফুলের স্টিক দ্বারা শুভেচ্ছা জানান।
মৈত্রী ট্রেন বর্তমানে সপ্তাহে ৬ দিন ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করছে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। এন্ড টু এন্ড ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস সার্ভিস চালুর প্রথম দিনেই ট্রেনের ৪৫৬টি আসনের সবগুলোই বিক্রি হয়েছে বলে রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং কাস্টমসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল/মাহমুদ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭০০ ঘণ্টা