তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭২
সুষ্ঠু ডিজিটাল ভূমিসেবার জন্য দক্ষ জনবল নিয়োগ হবে
---ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
ডিজিটাল ভূমিসেবা সুষ্ঠুভাবে প্রদানের লক্ষ্যে দক্ষ জনবল নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে -যা এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ¥ীপুর, নোয়াখালী এবং ফেনী জেলায় অনুষ্ঠিতব্য ৪ দিনব্যাপী ই-নামজারি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য প্রদানকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, চলতি ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সারা দেশে ই-নামজারি প্রশিক্ষণ শেষ হবে। এটি মূলত প্রথম ৯০ দিনের কার্যক্রমের একটি অংশ। এছাড়া মৌজা ম্যাপের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম খুব দ্রুত শেষ হচ্ছে- ইতিমধ্যে প্রায় এক কোটি বিশ লাখ ম্যাপিং শেষ হয়েছে। ভূমি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার জন্য দেশব্যাপী ভূমি সপ্তাহ এবং ভূমি উন্নয়ন মেলা পালন করা হবে। জনগণকে হয়রানিমুক্ত ভূমিসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইএফটি সেবাও চালু করা হচ্ছে -- এর মাধ্যমে অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তরা ঘরে বসেই ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। এছাড়া প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার কথাও তিনি বলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, ই-নামজারি অ্যাপ্লিকেশনটি খুবই ব্যবহারবান্ধব। এছাড়াও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভূমি সেবা প্রদানকারীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ খোলা হয়েছে -- যেন প্রথমে তারা নিজ সমস্যার কথা একে অপরকে জানানোর মাধ্যমে দ্রুত সমাধান পেতে পারেন। সেই সাথে, অ্যাপ্লিকেশনটির ব্যবহার পদ্ধতি ইউটিউবে আপলোড করা আছে। ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রী জেলাগুলোর বিভিন্ন সমস্যার কথাও জানতে চান।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সবাই মিলে ভালোভাবে কাজ করলে অবশ্যই ভূমি খাতের বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। তিনি বলেন, কাজের স্বার্থে তাঁর দরজা সবার জন্য খোলা। জনস্বার্থে যে কোনো কার্যকরী আইডিয়া গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা হবে বলে তিনি বলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভূমিমন্ত্রী ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভূমি সচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটোয়ারী। অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা অংশ নেন। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাঠ পর্যায়ের অংশে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকবৃন্দসহ প্রশিক্ষণ তত্ত্বাবধানরত প্রশিক্ষক, সংশ্লিষ্ট কালেক্টরেটের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ। ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন।
#
নাহিয়ান/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২১৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭১
তথ্য মন্ত্রণালয়কে অন্যতম সেরা মন্ত্রণালয়ের রূপ দিতে চাই
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয়কে সরকারের অন্যতম সেরা মন্ত্রণালয় হিসেবে রূপান্তর করতে চাই। এজন্য সবার আন্তরিকতা প্রয়োজন।’
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্যসচিব আবদুল মালেক পরিচালিত এ সভায় মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও অধীন দপ্তরগুলোর প্রধান অংশ নেন।
এ সময় তথ্য মন্ত্রণালয়কে সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম জনগণকে সরকারের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা, যে উন্নয়ন হয়েছে তার তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং একইসাথে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেগুলোকে প্রদর্শন করা। এ সকল কাজ তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যম সম্পর্কিত অনেকগুলো আইন ও নীতিমালা তৈরি করতে হবে যেগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকল কাজ শেষ করতে চাই।’
#
আকরাম/মাহমুদ/ফারহানা/রফিকুল/আব্বাস/২০১৯/২০০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭০
সব বিভাগে ১০০ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ হবে
--- স¦াস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সব বিভাগে একটি করে ১০০ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শেষ করবে সরকার, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি প্রতি বিভাগে ক্যান্সার চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। সারাদেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যার তুলনায় চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতার ব্যবধান ঘোচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে এই অঙ্গীকার সংযুক্ত করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি, সংসার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিকভাবে বিপন্ন করে ফেলে। দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার সহজলভ্যতা বিভাগ পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারলে সারাদেশের লাখ লাখ মানুষ কম খরচে এই সেবা পেতে পারবে। তাদেরকে আর রাজধানীমুখী হতে হবে না।
স¦াস্থ্যমন্ত্রী আজ রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। তিনি হাসপাতালের লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট, এম আর আই, সিটি স্ক্যান মেশিন এবং ডে কেয়ার কেমোথেরাপির কিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধন করেন এবং বিভাগগুলোর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোয়াররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপিকা ডা. নাসিমা সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বক্তৃতা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যান্সার প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের দিকে সকলকে নজর দিতে হবে। এ লক্ষ্যে জনসাধারণের জীবনাচারণ ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে সচেতনতা বাড়াতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, চিকিৎসক, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তা কামনা করে তিনি বলেন, ভেজালযুক্ত, কৃত্রিম রং মেশানো খাবার পরিহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মানুষের মাঝে কায়িক পরিশ্রমের অভ্যাসও বাড়াতে হবে। ক্যান্সারসহ অনেক অসংক্রামক রোগের কারণ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর কর্মসূচি জোরদার করতে হবে।
হাসপাতালে যেয়ে রোগীরা যেন আন্তরিক চিকিৎসা পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরতে পারে এ লক্ষ্যে সচেতন থেকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের প্রতি পুনরায় নির্দেশ দিয়ে বলেন, হাসপাতালে রোগী বা স্বজনের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলার দায়িত্ব ডাক্তার-নার্সদের। হাসপাতালে অনুপস্থিতি নিয়ে কোনো অভিযোগ কাম্য নয়।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৯
জাতির বৈশিষ্ট্য সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়
--- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, একটি জাতির বৈশিষ্ট্য সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়। আর এ সংস্কৃতির ধারণ, লালন ও বিকাশে মূল দায়িত্ব পালন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এটি সরকারের একটি গুরত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আমরা সূর্যমুখী সংগঠন আয়োজিত নির্বাচনোত্তর আনন্দ আয়োজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইয়াসমিন মুশতারি ও রুখসানা মুমতাজের গানের সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা, পরিচালক ও শিক্ষক ড. ইনামুল হক এবং বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী, লেখক ও উপস্থাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হান্নান খান উপজেলা পর্যায়ে সরকারি গণগ্রন্থাগার স্থাপনের দাবি জানান। উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে এসব গণগ্রন্থাগার স্থাপন করা হলে এ কাজে প্রয়োজনীয় জমি পাওয়া সহজ হবে বলে তিনি পরামর্শ প্রদান করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আমরা সূর্যমুখী’র নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম সেলিম।
#
ফয়সল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৮
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইন্দোনেশিয়া কার্যকর ভূমিকা রাখবে
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জবঃহড় খবংঃধৎর চৎরধহংধৎর গধৎংঁফর আজ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে জাতীয় সংসদ ভবনে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক কাঠামোর আওতায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো উন্নয়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে প্রিফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট বিষয়ে আলোচনা এ মাসেই শুরু হচ্ছে জেনে উভয় মন্ত্রীই সন্তোষ প্রকাশ করেন । তাঁরা আশা প্রকাশ করেন খুব শীঘ্রই চুক্তিটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ক্যারিয়ার মনিটরিং সিস্টেম স্থাপনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার সরকারের অনুমোদন ত্বরান্বিত করার জন্য ইন্দেনেশিয়ার মন্ত্রী জবঃহড় খবংঃধৎর চৎরধহংধৎর গধৎংঁফর কে অনুরোধ করেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মনিটরিং সিস্টেমটি কার্যকর হলে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের জনগণ স্যাটেলাইটকেন্দ্রিক নানা ধরনের সুবিধা পাবে।
#
তৌহিদুল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৭
লাইসেন্সবিহীন পানি বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
--- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
লাইসেন্সবিহীন এবং নি¤œমানের পানি বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে বিএসটিআইকে নির্দেশনা দেয়া হবে।
শিল্পমন্ত্রী আজ পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ এর সমন্বয় কমিটির নেতাদের সাথে আয়োজিত বৈঠকে এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সংগঠনের আহ্বায়ক মোঃ নেয়ামুল হক রিপন, সদস্য সচিব মোঃ মজিবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও হুমায়ুন কবির, সমন্বয়ক মাফুজুর রহমান, সদস্য ফামেতা বেগম, মোঃ সাইদুল ইসলাম, মোঃ নজরুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সংগঠনের নেতারা লাইসেন্সবিহীন ও এলাকাভিত্তিক অবৈধ দখলদার পানি বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। একই সাথে তারা বাজারে মানসম্মত ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে নি¤œমানের পলিথিন দিয়ে প্রস্তুতকৃত পিইটি জারের উৎপাদন বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেন। পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেশে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তারা একে শিল্প হিসেবে ঘোষণারও দাবি জানান।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী দ্রুত অননুমোদিত ও নি¤œমানের পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা শিল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে সংগঠনের নেতাদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জনগণের জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানির নিশ্চয়তা বিধান সরকারের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে সরকার প্রয়োজনে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবে। তিনি পানি ব্যবসায়ীদেরকে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি নৈতিকতার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন। ক্রেতা সাধারণের জন্য নিরাপদ পানিসহ ভেজালমুক্ত খাদ্য ও ভোগ্য পণ্যের যোগান নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যে বিএসটিআই এবং বিএবি’র কার্যক্রম জোরদার করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
#
জলিল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৬
শিল্পমন্ত্রীর সাথে জার্মান চেম্বারের নেতাদের বৈঠক
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে তৈরি পোশাকের মতো চামড়া ও ইলেক্ট্রনিক শিল্পখাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পঞ্চাশ বছর মেয়াদী একটি রূপরেখা প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই) এর নেতারা। তারা বলেন, এ রূপরেখা অনুযায়ী খাতভিত্তিক সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্ভব। এর মাধ্যমে আগামী দিনে বাংলাদেশে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
বিজিসিসিআই’র নেতারা আজ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বৈঠককালে এ প্রস্তাব করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি ওমর সাদাত, সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম মোর্শেদ, সহসভাপতি মোঃ মুইন উদ্দিন মজুমদার, পরিচালক মোঃ আনোয়ার শহীদ, নির্বাহী পরিচালক এম এ মতিন, ব্যবসা উন্নয়ন ব্যবস্থাপক ফামিরা নাহিন এবং যোগাযোগ ও গবেষণা বিষয়ক ব্যবস্থাপক রাকিব হাসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিজিসিসিআই’র নেতারা বাংলাদেশ ও জার্মানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ইতোমধ্যে ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের অভিযাত্রা জোরদার করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ আরো বাড়ানো যেতে পারে। তারা সরকারের ইশতেহারে ঘোষিত শিল্পখাতের লক্ষ্য অর্জনে এক সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকারের ইশতেহার অনুযায়ী গ্রামকে শহরে পরিণত করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনগণের জীবন মানোন্নয়নসহ বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে ইতোমধ্যে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। দ্রুত এগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক রাজনীতির সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। তিনি উদীয়মান শিল্পখাতের উন্নয়নে বিকাশে খাতভিত্তিক সমন্বিত প্রস্তাব পেশের জন্য বিজিসিসিআই’র নেতাদের পরামর্শ দেন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
#
জলিল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৮৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৫
ভুটানের রাষ্ট্রদূত-বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে ভুটানের প্রতি আহ্বান
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, ভুটানে যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশের সৈয়দপুর বিমান বন্দর ব্যবহার করলে উভয় দেশ উপকৃত হবে। এতে বাণিজ্য ও পর্যটন ক্ষেত্রে অনেক সুফল পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভুটান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করেছে ভুটান এজন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত ঝড়হধস জধনমুব এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
টিপু মুন্শি বলেন, বাংলাদেশ ভুটানে তৈরি খাবার, তৈরি পোশাক, ঔষধসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে আসছে। তবে বিপুল পরিমাণ নির্মাণ সামগ্রী আমদানি করে বাংলাদেশ। এ কারণে ভুটানে রপ্তানির চেয়ে বাংলাদেশের আমদানি বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভুটানে রপ্তানি করেছে ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, একই সময়ে আমদানি করেছে ৩২ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৪
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের চেক হস্তান্তর
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক কর্মচারীদের জানুয়ারি-২০১৯ মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের ৮ টি চেক অনুদান বণ্টনকারী অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা হতে জানুয়ারি ২০১৯ মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা উত্তোলন করা যাবে।
#
শফিকুল/মাহমুদ/শাম্মী/জসীম/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৯/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬৩
আগামীকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম মসজিদের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি আলহাজ এডভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা টেলিফোন নম্বর: ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭ এবং ফ্যাক্স নম্বর: ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১ -এ জানানোর জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
#
নিজাম/শাম্মী/জসীম/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৯/১৪৩১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬১
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
সভ্য সমাজ বিনির্মাণে বইয়ের রয়েছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দেশ ও জাতির শিক্ষা, রুচিবোধ ও সংস্কৃতির কালানুক্রমিক পরিবর্তনকে গ্রন্থাগার বই কিংবা অন্য কোন প্রামাণ্য আকারে ধারণ করে। তাই গ্রন্থাগারকে অতীত ও বর্তমান শিক্ষা-সংস্কৃতির সেতুবন্ধ বলা হয়ে থাকে। গণগ্রন্থাগারে সকলের জন্য পাঠসেবা, তথ্যসেবা, গবেষণা কার্যক্রমসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সেবাপ্রাপ্তির বাধাহীন সুযোগ থাকে। সে কারণে গণগ্রন্থাগারকে জনমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়রূপেও অভিহিত করা হয়। তবে প্রযুক্তির বিবর্তনের সাথে এখন মুঠোফোনসহ নানা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি সকলের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে। এসব প্রযুক্তিপণ্যের অতি ব্যবহার মানুষকে দিন দিন যন্ত্রমানবে পরিণত করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বই একটি উত্তম বিকল্প হতে পারে। তাই বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে আমি বাংলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
সরকারের অবিরাম উন্নয়ন-প্রয়াসে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি লাভ করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্যহ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ এখন ঈর্ষণীয় সাফল্যের অধিকারী। সেই সাফল্যের পথ ধরে গণগ্রন্থাগারও সেবাসমূহকে প্রযুক্তিভিত্তিক সহজায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদ্যাপন গ্রন্থাগারসেবা গ্রহণে দেশের আপামর জনগোষ্ঠীকে আরো সচেতন, উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করবে- এ প্রত্যাশা করি।
আমি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/শাম্মী/জসীম/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৯/১১১৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬২
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“দেশব্যাপী ৫ই ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উদযাপিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সরকার জ্ঞানার্জন, গবেষণা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ, সংস্কৃতিচর্চা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের জনসমষ্টিকে আলোকিত ও সমৃদ্ধ করে তোলার লক্ষ্যে গ্রন্থাগার খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ অর্থবছরেই নির্মিত ৬টি জেলা গণগ্রন্থাগার ভবন ইতিমধ্যেই উদ্বোধন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট মাল্টিপারপাস কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবাদানের লক্ষ্যে শাহবাগস্থ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের অনলাইন ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ পূর্ণোদ্যমে এগিয়ে চলছে। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কর্তৃক পূর্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের নতুন ফেজ বর্তমান গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রন্থাগারের জনবলকে দেশে বিদেশে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শাহবাগে অবস্থিত গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর পুনর্নির্মাণ, ৫০টি জেলার সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, সারাদেশের সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহে অনলাইন ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণ ইত্যাদি প্রকল্পসমূহের অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পথে।
বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সাহিত্য-সংস্কৃতির মূল্যবান উপাদানের যথাযথ সংরক্ষণে জাতীয় আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর অব্যাহতভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র কর্তৃক বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহে বিনামূল্যে বই সরবরাহ এবং আর্থিক অনুদান করাসহ ব্যাপক কর্মকা-ের অব্যাহত বাস্তবায়ন সাফল্যজনকভাবে এগিয়ে চলেছে। আমি আশা করি, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার এবং উপকারিতা বিষয়ে জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতার সৃষ্টি করবে।
আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি। আসুন, সকলে মিলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
আমি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/শাম্মী/শামীম/২০১৯/১১০৬ ঘণ্টা