Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ August ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১২ আগস্ট ২০২৩

তথ্যববিরণী                                                                                                নম্বর :  ৪৬৮

 

অনন্য চলচ্চিত্র ‘মুজিব - একটি জাতির রূপকার’ ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে

                                                                  -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৮ শ্রাবণ (১২ আগস্ট):

 

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও একটি জাতির জন্ম নিয়ে এক নিঃশ্বাসে দেখার মতো ‘মুজিব - একটি জাতির রূপকার’ অসাধারণ চলচ্চিত্রটি ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

আজ রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বলরুমে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায়  বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর নির্মিত ‘মুজিব - একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের সেন্সর সনদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

যারা বঙ্গবন্ধুকে জানতে চায়, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস জানতে চায়, এই সিনেমা তাদেরকে অনেক কিছু দিতে পারবে উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘তিন ঘণ্টা সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও ১৯৭৫ সালের মর্মন্তুদ ঘটনাকে যেভাবে তুলে আনা হয়েছে, সেখানেই চলচ্চিত্র পরিচালকের মুন্সিয়ানা, অন্য পরিচালকের সাথে পার্থক্য। থ্যাংকস টু শ্যাম বেনেগালজী।’

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার ফলেই এ চলচ্চিত্র নির্মাণের শুরু থেকে মুক্তি পর্যন্ত সাথে থাকার সুযোগ হচ্ছে উল্লেখ করে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘অবর্ণনীয় ব্যস্ততার মধ্যেও এই চলচ্চিত্র নির্মাণে আন্তরিক সময়দানের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার সিনেমাটি ইতিমধ্যে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এক নিঃশ্বাসে দেখার মতো এমন সিনেমা নির্মাণের জন্য পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ও শিল্পী, কলা-কুশলী ও নেপথ্য কারিগরদেরকে আবারো অকুণ্ঠ ধন্যবাদ।’

 

তথ্যসচিব হুমায়ুন কবীর তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দুই দেশের চলচ্চিত্র দলের সমন্বয়ে যে ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, তা পারস্পরিক সহযোগিতার অনন্য নজির।’

 

বঙ্গবন্ধু চরিত্রাভিনেতা আরিফিন শুভ তার বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ের পর আর কোনো অভিনয় নাও করি বা যদি পৃথিবী থেকে চলেও যেতে হয়, তাতেও কোনো আক্ষেপ নেই।’

 

স্ক্রিপ্ট রাইটার ভারতের অতুল তেওয়ারি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ যে তিনি তার পিতার জীবনের চলচ্চিত্র নির্মাণে আমাদের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছেন। আমরা ও শিল্পী-কুশলীরা এ নির্মাণকে সেরা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’

 

খন্দকার মোশতাক চরিত্র রূপায়নকারী অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘এই খলচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দর্শক যদি আমার দিকে জুতা ছুঁড়ে মারে, তবে সেই হবে আমার পদক।’

 

চলমান পাতা/২

--০২--

 

মঞ্চে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর এবং ভাইস চেয়ারম্যান মুহ: সাইফুল্লাহ সেন্সর সনদটি চলচ্চিত্রের বাংলাদেশ পক্ষের প্রযোজক এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন ও ভারতের পক্ষে আগত স্ক্রিপ্ট রাইটার অতুল তেওয়ারির হাতে তুলে দেন।

 

প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, সংস্কৃতিব্যক্তিত্ব সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বায়োপিকের অভিনিয়শিল্পীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু চরিত্রাভিনেতা আরিফিন শুভ, বঙ্গমাতা চরিত্রাভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা এবং দিলারা জামান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, চঞ্চল চৌধুরী, খায়রুল আলম সবুজ, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুল আলম সাচ্চু, গাজী রাকায়েত, সংগীতা চৌধুরী, প্রার্থনা দিঘী, রিয়াজ আহমেদ, সাব্বির আহমেদ, জায়েদ খান, সায়েম সামাদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হিমাদ্রি বড়ুয়া, স্ক্রিপ্ট রাইটার অতুল তেওয়ারি, সহযোগী পরিচালক দয়াল নিহালানী, লাইন প্রডিউসার সতীশ শর্মা প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

 

‘মুজিব - একটি জাতির রূপকার' চলচ্চিত্রের শিল্পী, কলা-কুশলী ছাড়াও আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ডলি জহুর, পরিচালক কাজী হায়াৎ, মুশফিকুর রহমান গুলজার, কামাল আহমেদ লিপু, প্রযোজক-পরিবেশক খোরশেদ আলম খসরু, রহমতুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক আবদুল লতিফ বাচ্চু, সম্পাদক আবু মুসা দেবু, চলচ্চিত্র প্রদর্শক উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, প্রদর্শক আওলাদ হোসেন, আমির হামজা, চলচ্চিত্র সাংবাদিক নেতা রিমন মাহফুজ, নাট্য পরিচালক কামরুজ্জামান সাগরসহ সিনেমা অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা প্রাণবন্ত এ আয়োজনে অংশ নেন।

 

#

 

আকরাম/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/সেলিম/২১২০ ঘন্টা 

 

 

তথ্যববিরণী                                                                                                নম্বর :  ৪৬৭

 

বিদেশিদের কথায় ক্ষমতা বদল হবে না

                 -- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

শরীয়তপুর, ২৮ শ্রাবণ (১২ আগস্ট):

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ, মডেল মসজিদ, রাস্তাঘাটসহ মেগা প্রজেক্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সম্পন্ন হয়েছে। এখন মানুষ তার সুফল ভোগ করছে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। আওয়ামী লীগও জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কারণ দেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত জনগণের হাতে। কোন বিদেশির হাতে নয়। জনগণ যতদিন চাইবে, আওয়ামী লীগ ততদিন ক্ষমতায় থাকবে। তাই বিদেশিদের কথায় ক্ষমতা বদল হবে না।

জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিএনপি একদফা দাবিতে আন্দোলন করছে। তারা কখনো সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে। কখনো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছেন। কখনো উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে দাবি করছেন। আবার কখনো ৩১ দফা দাবি করছে। আসলে বিএনপির দফা কোনটি? সেটা জাতি জানতে চায়।

উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নতুন করে পরিচিত করে দিয়েছেন। এজন্য আগামী সংসদ নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

ঘড়িষার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম আকবর হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন মুন্সীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওহাব বেপারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম ইসমাইল হক, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান প্রমুখ।

এর আগে দিনব্যাপী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্প ‘জয় বাংলা এভিনিউ’ নড়িয়া, সখিপুর অত্যাধুনিক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সখিপুর থানা ভবন, সাব রেজিস্ট্রি অফিস, সোনালী ব্যাংকের শাখা, উত্তরা ব্যাংকের শাখা, অত্যাধুনিক ডাকবাংলো, ‘সোনার বাংলা এভিনিউ’ সখিপুর, নির্মাণাধীন ব্রিজ, সড়ক এবং গ্রামীণ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের সাথে কুশল বিনিময় করেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।

#

গিয়াস/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/১৯২০ ঘন্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর :  ৪৬৬

বরিশালে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

 

বরিশাল, ২৮ শ্রাবণ (১২ আগস্ট) : 

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বাড়ায় না, মাটির ক্ষয় রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড় তুফানকে বাধা দিয়ে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। নদী বা খালের তীরে এবং বাঁধে পরিকল্পিত বনায়নের মাধ্যমে ভূমি-ক্ষয় রোধের পাশাপাশি বাঁধের স্থায়িত্ব ও নদী তীর ভাঙনের হার কমানো সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর বৃক্ষপ্রেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বরিশাল এর কলোনি প্রাঙ্গণে চারা রোপণ করা হয়।

আজ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বরিশালের কলোনী প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

“গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি” - এ স্লোগানকে সামনে রেখে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলতি অর্থবছরে সারাদেশে ১০ লাখ বৃক্ষ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় বাপাউবো বরিশালের দুই আবাসিক কলোনিসহ জেলাব্যাপী বিভিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধে বৃক্ষরোপণ করা হবে। বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করা হয় এসময়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যার যতটুকু জায়গা আছে, তার ততটুকু জায়গার মধ্যে অন্তত একটি করে গাছ লাগান। যারা শহরে বসবাস করেন তারা ছাদে বা বাসার ব্যালকনিতে টবে গাছ লাগাতে পারেন। এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলতে গাছপালার রয়েছে এক অনস্বীকার্য ভূমিকা। এছাড়া আমাদের জীবনের বেশিরভাগ মৌলিক চাহিদাগুলোই পূরণ করে থাকে গাছপালা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। বরিশাল জোনের প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী-সহ অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

পরে প্রতিমন্ত্রী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নিবন্ধনকৃত বরিশাল সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

#

গিয়াস/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮৩৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৪৬৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে

                          -- পরিবেশমন্ত্রী

জুড়ী (মৌলভীবাজার), ২৮ শ্রাবণ (১২ আগস্ট) : 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবদিক দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। সড়ক ও রেলপথের উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, গড় আয়ু ও শিক্ষার হার বৃদ্ধি করে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, সরকারের বিশেষ উদ্যোগের ফলে গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে।

মন্ত্রী আজ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার হাজী সোনা মিয়া-আপ্তারুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা মোতাবেক বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে স্মার্ট নাগরিকের প্রয়োজন। স্মার্ট নাগরিক হতে হলে সুশিক্ষিত হতে হবে। বড়লেখা ও জুড়ী সহ সারাদেশে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শামসুল আরেফিন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক মিয়া এবং বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এডভোকেট আব্দুর রহমান।

এছাড়া, পরিবেশমন্ত্রী এদিন জুড়ী উপজেলার জীবন জ্যোতিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন এবং গাছের চারা বিতরণ করেন।

#

 

দীপংকর/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭৫৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৪৬৪

হালদায় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন

          --মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ শ্রাবণ (১২ আগস্ট) :  

হালদা নদীতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ কুমিল্লায় মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিভাগের মৎস্যসম্পদের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় রাজধানীর মৎস্য ভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, হালদা নদী এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য হালদার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। হালদাকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই হেরিটেজের গুণগত মান, ঐতিহ্যগত অবস্থা, সাংস্কৃতিক পরিবেশ সবকিছু আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। এর স্বতন্ত্র অবস্থা যেন বিনষ্ট না হয়, এখানে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এর যাতে দূষণ না হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়গুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় কুমিল্লা প্রান্তে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। কুমিল্লা প্রান্তে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবদুস ছাত্তার। ঢাকা প্রান্তে আরো বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (ব্লু ইকোনমি) ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর এবং মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার। কর্মশালার বিষয়বস্তু নিয়ে উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ডমেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম।

কর্মশালা শেষে কুমিল্লার আহমেদ নগরে নবনির্মিত ৫ তলা বিশিষ্ট নান্দনিক মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, মৎস্য খাতে আমরা গতানুগতিক পদ্ধতিতে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এখাতে গবেষণাভিত্তিক প্রকল্প নিতে হবে, অঞ্চলভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, মাছ রপ্তানির বিষয়ে সরকারের নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বিদেশে বাংলাদেশের মাছের চাহিদা তৈরি হয়েছে। শিগগিরই দেশে একটি ফিশ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হবে যেখানে ২০টিরও অধিক দেশের প্রতিনিধি অংশ নেবে। কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মাছে ভেজাল মেশানোর কারণে পরীক্ষায় কোথাও কোথাও রপ্তানি করা মাছের চালান আটকে যাচ্ছে। এ জাতীয় ঘটনায় যারা জড়িত, যারা বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে তাদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করা থেকে সরকার সরে আসবে। অপরদিকে যারা রপ্তানিতে ভালো করবে তাদের সরকার সহায়তা করবে।

মন্ত্রী বলেন, যারা বৈজ্ঞানিক উপায়ে মৎস্য আহরণ করে না তাদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমুদ্রে, নদীতে, বিল, হাওর, বাওড়ে যারা মাছ আহরণ করে তারা অনেক সময় মা মাছ ও পোনা মাছ আহরণ করে। অবৈধ জাল ব্যবহার করে অথবা বিষপ্রয়োগ করে যারা দেশের মৎস্যসম্পদ ধ্বংস করার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর।

নবনির্মিত মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুবই সময়োপযোগী উল্লেখ করে এখানে শুধু মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরই নয় বরং মৎস্য উৎপাদন, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানির সাথে সম্পৃক্তদের পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

#

 

ইফতেখার/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭৫২ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর :  ৪৬৩

 

পার্বত্য অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার কোনো দুর্গত মানুষ না খেয়ে থাকবে না

                         --পার্বত্য মন্ত্রী

বান্দরবান, ২৮ শ্রাবণ (১২ আগস্ট) :  

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন, সেনা, পুলিশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ, পৌর ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে দুর্গত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অনুদান বিতরণ করছে, পাশাপাশি সমাজের সামার্থ্যবান মানুষ বন্যা দুর্গতদের জন্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার কোনো দুর্গত মানুষ না খেয়ে থাকবে না। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ-সহ দুর্গতদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পার্বত্য অঞ্চলে দুর্গতদের সহযোগিতায় জেলা পরিষদের মাধ্যমে প্রত্যেক উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ কাজ অব্যাহত রেখেছে, জানান পার্বত্য মন্ত্রী।

মন্ত্রী আজ বান্দরবান সদর বাসস্টেশন এলাকায় বন্যা দুর্গতদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

বন্যা দুর্গতদের যাদের বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বন্যা পরবর্তীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা মেরামত-সহ পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পার্বত্য মন্ত্রী।

বান্দরবান লোকাল ট্রাক, মিনি ট্রাক মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষ থেকে এসময় ৫শত শ্রমিককে ৫ কেজি করে চাল হাতে তুলে দেন পার্বত্য মন্ত্রী। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহআলম, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ, বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. মুছা, মুদি ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাশসহ বান্দরবান লোকাল ট্রাক মিনি ট্রাক মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের বিভিন্ন সদস্য এবং বিভিন্ন শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজুয়ান/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭৩৫ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৪৬২

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৮ শ্রাবণ (১২ আগস্ট) :  

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ সময় ৬৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।                     

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১২ হাজার ৬৬ জন।

 

#

 

সুলতানা/পাশা/রেজাউল/২০২৩/১৬৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৪৬১

 

গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালীকরণে সমবায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

                                    - স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

বার্ড, কুমিল্লা, ২৮ শ্রাবণ (১২ আগষ্ট):

 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, গ্রামের মানুষকে সুসংগঠিত এবং তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সমবায় শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। প্রান্তিক মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি একত্রিত করে তা তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির কাজে ব্যবহার করতে পারলে গ্রামীণ অর্থনীতির চেহারা আমূল পাল্টে যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ‘নিউ কমিউনিটি মুভমেন্ট’ এর উদাহরণ দিয়ে তিনি আরো বলেন, কুমিল্লার বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড) মডেল অনুসরণ করে দক্ষিণ কোরিয়া জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে তাদের গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড় করাতে পেরেছে।

মন্ত্রী আজ কুমিল্লায় বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড) এর ময়নামতি অডিটোরিয়ামে ৫৬তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম বাহাউদ্দিন।

মোঃ তাজুল ইসলাম গ্রামীণ রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি আরো শক্তিশালীকরণের সুযোগ আমাদের দেশে তৈরি হয়েছে। সমবায়ের মাধ্যমে সে সুযোগ এখন আমাদেরকে নিতে হবে। শুধুমাত্র শহরের উন্নয়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না, এ ক্ষেত্রে সমবায় গ্রামীণ অর্থনীতির শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হতে পারে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। তারপর বিদ্যুৎ ঘাটতির বাংলাদেশকে তিনি শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে পরিণত করেন। আর এখন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা মোবাইলে থাকার ফলে জ্ঞান বিজ্ঞানের অবারিত দ্বার মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। যার ফলে করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আমাদের অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে, যেখানে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও এ প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, উন্নত বাংলাদেশ-২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সমন্বয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় গবেষণা করার জন্য বার্ডের প্রতি আহবান জানান। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।

#

হেমায়েত/জুলফিকার/রবি/কলি/মাসুম/২০২৩/১৫৫৮ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৪৬০

 

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ম্যানচেষ্টারে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানচেষ্টার, ১২ আগস্ট :

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শাহাদতবরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্য শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

 গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন ম্যানচেষ্টারে শাহ্জালাল মসজিদ এবং ইসলামিক সেন্টারে এ মাহফিলের আয়োজন করে।

এ দোয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও জাতির কল্যাণে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করা হয়।

#

জুলফিকার/রবি/কলি/মাসুম/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৫৯

 

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বয় করে কাজ করুন

       -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ২৮ শ্রাবণ (১২ আগস্ট) :  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য যেসব প্রকল্প গ্রহণ করেছেন অন্য কেউ তা করেননি উল্লেখ করে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সব উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল যেন জনগণ পায় সেজন্য সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ৭ আসনের সংসদ সদস্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী                    ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

গতকাল চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন গত সপ্তাহের প্রচণ্ড বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম শহরের প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ হয়েছে। সেটি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে বাদানুবাদও হয়েছে। এটি আসলে আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, বিভিন্ন সংস্থা যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে, সেখানে সমন্বয় করার জন্য আমরা ইতোপূর্বেও বেশ কয়েকবার বসেছি। বসার পর কিছুটা সমন্বয় হয়েছে, কিন্তু আরো সমন্বয়ের প্রয়োজন। সেই কারণেই আজ আমরা বসেছি। এছাড়া, জঙ্গল সলিমপুরসহ আরো কিছু বিষয়াদি আছে। 

মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ডেরও প্রকল্প আছে। এতবড় প্রকল্প, এত মূল্যমানের প্রকল্প, এটির জন্য ভবিষ্যতে তো টাকা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে না। কেন আমরা সুফল পাচ্ছি না, কোথায় সমস্যা, কোথায় সমন্বয়ের অভাব সেগুলো আলোচনা করার জন্যই আমরা সবাই মিলে এখানে বসেছি। 

চট্টগ্রামের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার অনেক কিছু করেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন শিগগিরই বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক টানেল। একই সাথে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপনের জন্য ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে। একটি নতুন নগর নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ভবিষ্যতে। চট্টগ্রামের মানুষ এত উন্নয়ন কখনো দেখেনি এবং এত উন্নয়ন আশাও করেনি। 

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ চন্দ্র দাশ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, পুলিশ সুপার এ কে এম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানসহ চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বন্দরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও প্রতি

2023-08-12-15-54-347774027831e3c5179d05170814c891.docx