Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ অক্টোবর ২০১৮

তথ্যবিবরণী 15/10/2018

তথ্যবিবরণী                                                        নম্বর :  ২৮৫৩
ইলিশের জিনোম গবেষণা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৩০ আশ্বিন (১৫ অক্টোবর) : 
ইলিশের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন সংক্রান্ত গবেষণা কর্মশালায় গবেষক ও বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নিজস্ব মেধা ও দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা ইলিশের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচনে সক্ষম হয়েছেন। দেশীয় ইলিশের জীবন রহস্য প্রস্তুতকরণ, জিনোমিক ডেটাবেজ স্থাপনেও তারা গবেষণায় সাফল্য পেয়েছেন বলে জানান। বছরে দুইবার ইলিশ প্রজনন হয় বলেও তারা দাবি করে বলেন,  জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে এই দুই সময়ের ইলিশ জিনগতভাবে পৃথক কি না এবং কোনো নির্দিষ্ট নদীতে জন্ম নেয়া পোনা সাগরে যাওয়ার পর বড় হয়ে প্রজননের জন্য আবার একই নদীতেই ফিরে আসে কি না সেসব তথ্যও জানা যাবে জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞানীরা জানান, জিনোম হচ্ছে কোনো জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াসহ সকল জৈবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় জিনোম দ্বারা। ইলিশের জিনোমে ৭৬ কোটি ৮০ লাখ নিউক্লিওটাইড রয়েছে, যা মানুষের জিনোমের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। ইলিশের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স জানার মাধ্যমে অসংখ্য অজানা প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে খুব সহজেই। বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশের স্টকের সংখ্যা (একটি এলাকায় মাছের বিস্তৃতির পরিসীমা) কতটি এবং দেশের পদ্মা, মেঘনা নদীর মোহনায় প্রজননকারী ইলিশগুলো ভিন্ন ভিন্ন স্টক কিনা তা জানা যাবে এই জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে। 
বক্তারা জাতীয় মাছ ইলিশের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও টেকসই আহরণ নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,  ইলিশ এখন বিশ্বে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত। তাই দেশীয় ইলিশের জীবন রহস্য প্রস্তুতকরণ, জিনোমিক ডেটাবেজ স্থাপনে গবেষণায় সাফল্য পাওয়ায় ইলিশের ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। গবেষকরা জানান, তারা ইলিশের পূর্ণাঙ্গ ডি-নোভো জিনোম এসেম্বলি প্রস্তুুত করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ইলিশের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স আন্তর্জাতিক জিনোম ডেটাবেজ ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’ (ঘঈইও)-এ জমা দেন। ইলিশের জিনোম সংক্রান্ত গবেষণালব্ধ ফলাফল একাধিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সেও উপস্থাপন করেন।
আজ মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত 'ইলিশের জিনোম সিকোয়েন্সিং উন্মোচন’ সংক্রান্ত গবেষণা কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সামছুল আলম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-রসায়ন ও অনুপ্রাণ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা খান পৃথক পৃথক প্রবন্ধে এসব তথ্য প্রকাশ করেন। 
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রইছ উল আলম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাঈদ মোঃ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মঞ্জুরুল আলম, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কাদের খান, পোল্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্ বায়োটেকনোলজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। 
মন্ত্রী দেশের স্বার্থে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সমন্বিত গবেষণার ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এককভাবে সর্বাধিক অবদান রাখছে জাতীয় মাছ ইলিশ। একক প্রজাতি হিসেবে  ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ, মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। তিনি ইলিশের উন্নয়নে গবেষণা ত্বরাণি¦ত করতে আহ্বান  জানান। 
#
শাহআলম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯১০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৮৫২
 
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ গণমাধ্যমের জন্য করা হয়নি
                                               --- তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ আশ্বিন (১৫ অক্টোবর) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের জন্য করা হয়নি।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন বলেছিলাম মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করব। আজ মন্ত্রিপরিষদে এই আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এরপরও যদি এই আইন নিয়ে কোনো আলোচনা থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় আলোচনা করে দেখবে।’
ইনু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এই আইন করা হয়েছে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য, সাইবার অপরাধীদের জন্য, হ্যাকারদের জন্য, ডিজিটাল সমাজের নিরাপত্তার জন্য। কোনো অবস্থায়ই গণমাধ্যমের জন্য করা হয়নি। এই আইনের কোনো জায়গায় গণমাধ্যমের কর্মীদের কথা বলা হয়নি।’
‘এরপরও যদি এই আইন নিয়ে কোনো আলোচনা থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় আলোচনা করে দেখবে’ জানান তথ্যমন্ত্রী।
#
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৮৫১
 
আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসে তথ্যমন্ত্রী
অর্থনীতিতে নারীদের অবদান গণনায় আনতে হবে
 
ঢাকা, ৩০ আশ্বিন (১৫ অক্টোবর) : 
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘নারী বাদ দিলে অর্থনীতি হয় খোঁড়া, আর গণতন্ত্র হয় পঙ্গু। গণতান্ত্রিক ও আধুনিক ডিজিটাল সমাজ গড়তে দেশের অর্থনীতিতে নারীদের অবদান গণনায় আনতেই  হবে।’ 
আজ আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-ডব্লিউজেএনবি এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে ‘অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের নারীদের অবদানকে অসামান্য বলে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন,  ‘দেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের পেছনে গৃহকর্মের পাশাপাশি শস্য উৎপাদন, পশুপালন, মৎস্যচাষ এবং তৈরি পোশাক উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে গ্রাম ও শহরের নারীদের অবদান অসামান্য।’ 
‘নারীদের শিক্ষা, সম্পদ, ক্ষমতায়ন ও কাজের সুযোগপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’, বলেন ইনু।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভি’র প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী, বার্তা সম্পাদক আঙ্গুর নাহার মন্টি প্রমুখ।
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২০১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২৮৫০
 
২০২১ সালের মধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে 
                                                        --- এলজিআরডি মন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ আশ্বিন (১৫ অক্টোবর) : 
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপনের পরিবেশ নিশ্চিতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে বাংলাদেশ বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিতে উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমানে দেশে প্রতি ৮৭ জনের জন্য একটি সরকারি পানির উৎস রয়েছে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎসের ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করছে। 
মন্ত্রী আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন চত্বরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৮’ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ, বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি সুমি চক্রবর্ত্তী এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমানসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ। 
মন্ত্রী বলেন, সরকার বিগত ১০ বছরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎসের জন্য প্রায় ৩ লাখ হ্যান্ড টিউবওয়েল এবং ১ হাজার ১৬৬ টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন করেছে। নিরাপদ পানির উৎসবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৬ হাজার ১৮৪ টি টিউবওয়েল ও ২৬ হাজার ৮০৯ টি ওয়াশব্লক নির্মাণ করেছে। 
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক উপায়ে হাত ধোয়ার বিষয়টি অপরিহার্য। নিউমোনিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস, কৃমির মতো রোগের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে সঠিক উপায়ে হাত ধৌতকরণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিদ্যালয়ে টয়লেট ব্যবহারের পর ও খাবার গ্রহণের পূর্বে হাত ধোয়ার সাবান ব্যবহারের সুবিধা থাকলে শিশুদের বিকাশ দ্রুততর হয়। ‘হাত ধোব নিয়মিত, থাকবো সবাই স্বাস্থ্যসম্মত’ প্রতিপাদ্য-কে ধারণ করে প্রতিটি শিশুকে পরিবার ও বিদ্যালয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতন করতে হবে। 
বর্তমান সরকারের গৃহীত কর্মসূচির আওতায় দেশে এখন উন্মুক্তভাবে মলত্যাগের হার এক শতাংশের নিচে নেমে এসেছে বলে জানান মন্ত্রী। ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ লোকের স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে কার্যক্রম চালান। তিনি বলেন, শুধু স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করলেই চলবেনা, সার্বিক স্যানিটেশন অর্জনে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও গণমাধ্যম কর্মীদের এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
#
জাকির/মাহমুদ/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৮৪৯
 
দেশের উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান সেতুমন্ত্রীর
 
ঢাকা, ৩০ আশ্বিন (১৫ অক্টোবর) :
গতকাল মাওয়া, জাজিরা ও শিবচরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেতু বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও পরিদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিসমূহ সফল করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 
আজ এক ধন্যবাদপত্রে মন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আনসার-ভিডিপি, বিআইডব্লিউটিএ, তিন জেলার সরকারি দপ্তরসমূহ, গণমাধ্যম, স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। 
স্বতঃর্স্ফূতভাবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমাবেশসহ কর্মসূচি সফল করায় মন্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথি এবং সর্বস্তরের জনগণকে ধন্যবাদ জানান। দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতেও সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 
উল্লেখ্য, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন ও সেতু প্রকল্পের ষাট ভাগ কাজের সার্বিক অগ্রগতির ঘোষণা প্রদান, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রাবাড়ী-মাওয়া-ভাঙ্গা চারলেনে উন্নয়ন প্রকল্পের চলমান কাজ পরিদর্শন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ এবং মূল নদীশাসন কাজ সংলগ্ন স্থায়ী নদীতীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন করেন।
#
নাছের/মাহমুদ/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯০০ঘণ্টা
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৮৪৮
 
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন
                                   --- শিক্ষামন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩০ আশ্বিন (১৫ অক্টোবর) : 
 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আসন্ন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট  (জেএসসি) ও সমমান পরীক্ষা-২০১৮ সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পাদনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণায়ের আওতাধীন শিক্ষা বোর্ডসমূহ, মাঠ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
 
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০১৮ উপলক্ষে জাতীয় মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন। 
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও নির্ধারিত সময়ে জেএসসি পরীক্ষা ১ নভেম্বর শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী। নির্ভেজাল, প্রশ্নফাঁসমুক্ত, নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে যা যা করা দরকার, সে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা বোর্ডসমূহ এবং মাঠ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদেরকে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে কোন্ সেটে পরীক্ষা হবে তা কেন্দ্র সচিবকে জানানো হবে। মিথ্যাচার বা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে কেউ রেহাই পাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মাহামুদ-উল হক, মোঃ জাবেদ আহমেদ ও নাজমুল হক খান এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা সভায় উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ, র‌্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিগণসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
#
আফরাজুর/মাহমুদ/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৮৪৭
বিশ্ব খাদ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩০ আশ্বিন (১৫ অক্টোবর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৮’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই কৃষিখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি কৃষকভাইদের জন্য ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশকে আবারও সবুজের সমারোহে পরিপূর্ণ করে তুলতে বৃৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।
কৃষির সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আমরা কৃষিবান্ধব নীতি ও সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা সার, বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস করেছি। কৃষকদের সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণসুবিধা এবং বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। আমরা কৃষি গবেষণায় অধিক বরাদ্দ নিশ্চিত করে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি। কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে ই-কৃষির সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের সরকার ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। কৃষি ভর্তুকির টাকা ঐ একাউন্টে সরাসরি প্রেরণ করা হচ্ছে।
কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ধান, পাট, আলু, সবজি, ফলসহ মাছ, মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সেলক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
আমি ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৮’ এর সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি।   
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১১২৩ ঘণ্টা 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৮৪৬
বিশ্ব খাদ্য দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩০ আশ্বিন (১৫ অক্টোবর ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৮’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
আবহমানকাল থেকেই কৃষি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন এবং তাঁদের জীবনমান কৃষিনির্ভর। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অত্যধিক। সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে কৃষিখাতে এ অর্জন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।   
দারিদ্র্য ও নানা অভিঘাত মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকারের পাশাপাশি কৃষিবিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে বিশ্ব খাদ্য দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘কর্মে গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত বিবেচনায় নিয়ে এ দেশের গ্রামীণ কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যবলয় তৈরি করা প্রয়োজন। সেলক্ষ্যে পরিবর্তিত জলবায়ু সহনশীল লাগসই ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণে কৃষিবিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে আরও সচেষ্ট হবেন - এ প্রত্যাশা করি।  
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কৃষির অগ্রযাত্রা বিশ্বব্যাপী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতাকে টেকসই রূপ দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ। 
আমি ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১১২০ ঘণ্টা 
 
Todays handout (5).docx