তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৯০
সরকার শ্রমিকদের বিপদে তাদের পাশে আছে
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, শ্রমিকের বিপদে-আপদে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল নিয়ে শ্রমিকদের পাশে আছে সরকার। এখন থেকে আর কোন শ্রমিক অসহায় থাকবে না।
তিনি আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে মে দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘শ্রমজীবী মানুষ ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সকল বেসরকারি শিল্প-কারখানা, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশের এক দশমাংশ সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা দিলে এ তহবিলে হাজার হাজার কোটি টাকা জমা হবে। তিনি বলেন, এদেশের হাজার হাজার শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র একশ’ এর কিছু বেশি প্রতিষ্ঠান লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ এ তহবিলে জমা দিচ্ছেন। আজ পর্যন্ত এ তহবিলে জমার পরিমাণ ২৮৩ কোটি টাকা। এ তহবিল থেকে ২ হাজার ৬’শ ৫৪ জনকে প্রায় ১৬ কোটি টাকা দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের পরিবারকে, আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা, শ্রমিকের সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শ্রম প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমসহ সকল লাভজনক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণে ব্যয় করার আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেশাগত অসুখে প্রতিবছর অনেক শ্রমিক মারা যান, এসকল শ্রমিকের চিকিৎসার কথা মাথায় নিয়ে সরকার নারায়ণগঞ্জে তিনশ’ শয্যার পেশাগত বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নারী শ্রমিকদের আবাসন সুবিধার কথা বিবেচনায় সরকার নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের কালুরঘাটে এক হাজার ৮শ’ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি ডরমেটরি নির্মাণ করছে। রাঙ্গামাটির ঘাঘরায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জমিতে শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ করছে। এছাড়া সারাদেশে শ্রম মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জমিতে যেসকল শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ সামছুজ্জআমান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. এ এম এম আনিসুল আওয়াল বক্তৃতা করেন। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ সেকেন্দার আলী মিনা। প্যানেল আলোচক ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন এবং জিআইজেডের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ফিরোজ আলম।
#
আকতারুল/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৯
সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা
মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতেই এ প্রতিযোগিতা
---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত ও চিহ্নিত করতেই সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা। যেসব মেধাবী শিক্ষার্থী দৃষ্টির বাইরে ছিল তাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে এবং মানেরও উন্নতি হয়েছে। দেশে-বিদেশে আমাদের ছেলেমেয়েরা সফলতার স্বাক্ষর রাখছে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০১৮ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমান এবং সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০১৮এর জাতীয় পর্যায়ের বিচারকদের মধ্য থেকে নূর হোসেন তালুকদার।
শিক্ষামন্ত্রী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০১৮ প্রতিযোগিতায় ৩টি গ্রুপে ৪টি বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী ১২ জন সেরা মেধাবী শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেন। শিক্ষামন্ত্রী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানান।
ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে নির্বাচিত বছরের সেরা মেধাবীরা হচ্ছে : ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপে কুমিল্লা জিলা স্কুলের মোঃ ফাইজুল কবির রাব্বি, নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপে নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জান্নাতুল বুশরা এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি গ্রুপে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সিরাতল মোস্তাকিম শ্রাবণী।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান বিষয়ে নির্বাচিত বছরের সেরা মেধাবীরা হচ্ছে : ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপে কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোছাঃ তাসনিম জাহান মিসৌরী, নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ সানজাদ হোসেন এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি গ্রুপে নটরডেম কলেজের মুহাম্মদ রাকীন মুয়ীব মনন।
গণিত ও কম্পিউটার বিষয়ে নির্বাচিত বছরের সেরা মেধাবীরা হচ্ছে : ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ইপশিতা জাহান, নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপে বরিশাল জিলা স্কুলের ইমতিয়াজ তানভীর রাহিম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি গ্রুপে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ চট্টগ্রামের
মোঃ মেহরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে নির্বাচিত বছরের সেরা মেধাবীরা হচ্ছে : ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপে আব্দুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয় পটুয়াখালীর মাহিন মুনতাসির, নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের অনির্বাণ মৈত্র আবীর এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি গ্রুপে হলিক্রস কলেজ তেজগাঁও, ঢাকার সাফওয়াত সায়মা অর্পি।
#
আফরাজ/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/২০৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৮
এলজিআরডি মন্ত্রীর সাথে ডি-৮ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :
বিশে^র আটটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত অর্থনৈতিক জোট ডি-৮ এর মহাসচিব উধঃড়’ কঁ ঔধধভধৎ কঁ ঝযধধৎর আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারের কর্মপন্থা, লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন বিষয়ে মন্ত্রী ডি-৮ মহাসচিবকে অবহিত করেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের প্রাক্কালে এ দেশের জনসংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে সাত কোটি। ২০১৮ সালে এখন তা প্রায় ১৭ কোটির মতো ; এ বৃহৎ সংখ্যক জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা বর্তমান সরকার পূরণ করতে পেরেছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে গ্রাম থেকে শহরমুখী হওয়ার হার কমছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার ফলে প্রতিটি গ্রাম থেকে শহরে এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব। তিনি দেশে বিদ্যমান পাঁচ স্তরের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিধিকে অবহিত করে বলেন, প্রায় ৬০ হাজারেরও অধিক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সর্বদা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। যার সুফল আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি ; আমরা জাতিসংঘ কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এখন স্বীকৃত।
সাক্ষাৎকালে ডি-৮ এর মহাসচিব বলেন, ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়াতে হবে। তিনি অর্থনৈতিক, কৃষি, সড়ক পরিবহণ ও পর্যটন খাতসমূহে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিষয়ে পরস্পর অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য ডি-৮ এর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
মন্ত্রী ডি-৮ এর সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
জাকির/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৭
গণমাধ্যমের প্রতিপক্ষ জঙ্গি-অপরাধী-রাজাকার চক্র দমনে ঐক্যের ডাক তথ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :
জঙ্গি-অপরাধী-রাজাকার চক্রকে গণমাধ্যমের প্রতিপক্ষ হিসেবে বর্ণনা করে এদের দমনে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
আজ দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, 'গণমাধ্যম গণতন্ত্রের পরিপূরক এবং সরকার নয়, গণমাধ্যমের প্রতিপক্ষ হচ্ছে জঙ্গি, রাজাকার, মাফিয়া, কালোবাজারি ও অপরাধীচক্র। এদের দমনে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'
সরকার গণমাধ্যমের সংকোচনে বিশ্বাসী নয় এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সরকার ও গণমাধ্যমের পরিপূরক সম্পর্ক বজায় রয়েছে, যা গণমাধ্যমের বিকাশ ত্বরান্বিত করছে। কিন্তু মালিকপক্ষের ভূমিকা কতটা মুক্তগণমাধ্যমের সহায়ক তা বিশ্লেষণ করে সাংবাদিকদের পেশাজীবী সংগঠন থেকে বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন ও মূল্যায়ন আশা করে সরকার।' তিনি আরো বলেন, 'গণমাধ্যমকর্মীদের নির্যাতনকারীর কোনো দায়মুক্তির বিধান দেশে নেই। এছাড়া ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজ, ব্যাংক ডাকাতসহ ক্ষমতা অপব্যবহারকারী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লেখার পূর্ণ স্বাধীনতা বিদ্যমান। এসকল বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সরকারকে তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করেছে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু খ-িত, অসত্য বা গুজব ছড়ানো কখনো সাংবাদিকতা নয়।'
'সরকারের ভাষ্য না নিয়ে অনেক বিদেশি সংস্থার প্রতিবেদনই একতরফা, তথ্যবিভ্রাটে ভরা ও ক্ষেত্রবিশেষে উদ্দেশ্যমূলক বলে তা গ্রহণযোগ্য নয়', বলেন ইনু।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সামরিক শাসন, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিদের জঞ্জাল যেমন এখনো গণতন্ত্রে সক্রিয়, ঠিক তেমনি গণমাধ্যমের ভেতরও ঐ সামরিক-সাম্প্রদায়িক-জঙ্গিবাদীদের অনুচরচক্রও বর্তমান। এদের কারণেই গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম উভয়েই এখনো হুমকির মুখে।'
'শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। সামরিক ও স্বৈরশাসকদের আমলে খুনি ও অপরাধীদের যে দায়মুক্তির বিধান করা হয়েছিল, শেখ হাসিনার সরকারই তা বাতিল করেছে, অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করেছে। সুতরাং এটা প্রমাণিত যে, আমাদের সরকার কখনও বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে না। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও হয়েছে উন্মুক্ত আদালতে', বলেন মন্ত্রী।
সাংবাদিকরা যাতে কোনোভাবেই অনর্থক হয়রানির স্বীকার না হন, সেজন্য সরকার সিআরপিসি বা দ-বিধিও সংশোধন করেছে উল্লেখ করে ইনু বলেন, 'মানহানির মামলায় তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিধান বাতিল করা হয়েছে। এখন এ ধরনের মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিককে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে পূর্বে জানানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। '
শুধু দেশি নয়, বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরাসহ বিদেশি চ্যানেলগুলোও এখানে স্বাধীনভাবে সম্প্রচারিত হচ্ছে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে, বলেন ইনু।
জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংবাদিক সোহরাব হাসান।
বিকেলে প্রেসক্লাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এলামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : শঙ্কা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে প্রণীত হচ্ছে না। তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব দেশ, সমাজ তথা সমগ্র বিশ্বকে যে কাঁচের ঘরে রূপান্তর করছে, সেখানে শিশু-নারী, ব্যক্তি-সমাজ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিধানের জন্যই এ আইন।'
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো মতামত দমন বা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধের জন্য নয়। এবং এ আইনের আওতায় অভিযুক্ত সাংবাদিকদের বিষয়টি আমরা তৎক্ষণাৎ নজরে এনে জামিনসহ হয়রানি থেকে রক্ষার পদক্ষেপ নিয়েছি, গণমাধ্যমে তার প্রতিফলনও ঘটেছে।' এরপরও সরকার যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, সেখানে গণমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালসহ সকল অংশীদারের সাথে আলোচনা করেই তৈরি হবে।
#
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৬
নবনির্মিত ডরমেটরিভবন উদ্বোধন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :
আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) এর জন্য নবনির্মিত ডরমেটরিভবন উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এসময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জিল্লার রহমান ও সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মুহাম্মদ নুরুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘সমাজসেবামূলক কর্মকা- পরিচালনার জন্য প্রতিটি জেলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ভবন থাকা জরুরি। একারণে সরকার দেশের ৬৪টি জেলাতেই সরকারি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে ২০টি জেলায় ভবন নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। খুব দ্রুতই বাকি জেলাগুলোতেও মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হবে।’
সমাজকল্যাণ সচিব জানান, শিশু পরিবারের জন্য এই ডরমেটরি ভবনটির কাজ শুরু হয় ১৯১৪ সালে। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ভবনে মোট ১৭২ জন নিবাসী থাকার সুযোগ পাবে।
পরে সেখানে শিশু পরিবারের নিবাসীদের মাধ্যমে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
#
মাইদুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৫
কিছু মানুষ ঘুরেফিরে সকলের স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে
-- আসাদুজ্জামান নূর
ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, কিছু মানুষ ঘুরেফিরে সকলের স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে। তাঁদেরকে কখনো ভোলা যায় না। কর্মের জন্যই মানুষ তাঁদেরকে চিরকাল মনে রাখবে। কবি বেলাল চৌধুরী সেরকমই একজন মানুষ। শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন ছায়ার মতো। জাতীয় কবিতা পরিষদ প্রতিষ্ঠার পেছনেও রয়েছে তাঁর বিরাট অবদান।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী কক্ষে কবিতা পাঠ, স্মৃতিচারণ, গান ও আবৃত্তির সমন্বয়ে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘কবি বেলাল চৌধুরী স্মরণানুষ্ঠান’-এ বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বেলাল চৌধুরী খুব সহজে মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি প্রায়ই আমাদের নাটকের মহড়ায় আসতেন, আড্ডা দিতেন। কলকাতার বড় বড় কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে তাঁর আড্ডার কথা, রাজনীতির কথা আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতাম।’
অনুষ্ঠানে সদ্য প্রয়াত কবি বেলাল চৌধুরীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি হাশেম খান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, বিশিষ্ট আলোকচিত্র শিল্পী নাসির আলী মামুন ও কবি বেলাল চৌধুরীর ভ্রাতুষ্পুত্র রফিক মনির চৌধুরী প্রমুখ৷
পরে মন্ত্রী কবি বেলাল চৌধুরীকে স্মরণ করে একটি কবিতা পাঠ করেন।
#
ফয়সল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৪
সফররত থাইমন্ত্রীর প্রতি তোফায়েল আহমেদ
তৈরি পোশাক ঔষধসহ ৩৬ পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিন
ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের ১শ’টি প্রকল্পে প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। থাইল্যান্ড আরো বিনিয়োগ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্য থেকে একটি অঞ্চল বরাদ্দ প্রদান করা হবে। এ জন্য সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প নগরীতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে রপ্তানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত নগদ আর্থিক সহায়তার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ মুহুর্তে থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে ৬ হাজার ৯৯৮টি পণ্য রপ্তনির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ঔষধসহ যে সকল পণ্যের থাইল্যান্ডে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এমন ৩৬টি পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং থাইল্যান্ড ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা সহজ করার জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২০২১ সালে উভয় দেশের বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সফররত থাইল্যান্ডের ইনভেস্টমেন্ট এন্ড ইকোনমিক রিফর্মস বিষয়কমন্ত্রী কড়নংধশ চড়ড়ঃৎধশড়ড়ষ এর নেতৃত্বে থাই প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
থাইল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। বিনিয়োগের বিষয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সাথে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের সাথে পর্যটন, ফাইন্যান্স, ম্যানুফ্যাকচারির্সসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাণিজ্য করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিশ^ সেরা। ভবিষ্যতে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বাণিজ্যসচিব শুভাশীস বসু, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের হাইকমিশনার বেনোয়েট প্রিফনটেইন (ইবহড়রঃ চৎবভড়হঃধরহব), থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিসেস সাঈদা মুনা তাসনিম, থাইল্যান্ডের ডেলিগেশন সদস্যবৃন্দ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/মাহমুদ/রফিকুল/আব্বাস/২০১৮/১৮৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮৩
বিডা-তে বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব কাজী মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আজ বিডা’র মিলনায়তনে বার্ষিক কর্ম-সম্পাদনা চুক্তি (এপিএ) বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এপিএ’র অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং বিভিন্ন অধিশাখা থেকে প্রাপ্ত এপিএ’র অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। সভায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সকল অধিশাখার এপিএ’র সকল কাজ জুন মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য নির্দেশ দেন। বিভিন্ন অধিশাখার উপস্থিত কমকর্তাবৃন্দ এপিএ’র সকল কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাহী চেয়ারম্যান স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি বিষয়ে সভা অনুষ্ঠানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া নির্বাহী চেয়ারম্যান এ অফিসের অভ্যন্তরীণ জনবলের সক্ষমতা তৈরি এবং গবেষণার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাগিদ দেন।
বিডার সচিব, নির্বাহী সদস্য, পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কমকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
বিবেকানন্দ/মাহমুদ/পারভেজ/আব্বাস/২০১৮/১৮৩৮ ঘণ্টা
Handout Number : 1382
Visiting Thai Minister calls on Foreign Minister
Dhaka, May 03 :
Foreign Minister A H Mahmood Ali during a meeting today with the visiting Thai Minister for Economic Reforms and Investment Dr. Kobsak Pootrakool sought more investment from Thailand. He also requested for greater duty-free and quota-free access to Bangladeshi products in Thai market. Dr. Pootrakool is on a visit to Bangladesh with a high powered Thai trade and investment delegation to explore business and investment opportunities in Bangladesh.
The two Ministers discussed direct coastal shipping connectivity between Ranong Port of Thailand and Chittagong Port of Bangladesh and road connectivity between Bangladesh and Thailand via Myanmar to meet the bilateral trade volume worth USD 1.8 billion by 2021. They further discussed on the possibility of FTA between Bangladesh and Thailand.
Highlighting the huge growing market in Bangladesh, Foreign Minister pointed out that there are huge opportunities to increase trade and investment between the two countries, particularly in the textiles, ship building, tourism, energy sector and development of privately owned special economic zone in Bangladesh. Foreign Minister also explained the congenial investment atmosphere prevailing in Bangladesh.
Bangladesh’s Ambassador to Thailand was present during the meeting.
#
Tohidul/Mahmud/Mosharaf/Salimuzzaman/2018/1820 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮১
গভীর সমুদ্রের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানো হবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গভীর সমুদ্রের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা হবে। এজন্য প্রয়োজন যথাযথ গবেষণা এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের কার্যকর অবদান। আগামীর প্রয়োজন বিবেচনা করেই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ভালোবাসা নিয়ে, একাগ্রতা নিয়ে, নিজের জন্য, দেশের জন্য কাজ করতে পারলেই দ্রুত উন্নয়ন হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা ক্লাবে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘খঘএ ওসঢ়ড়ৎঃ: ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং ্ ঈযধষষবহমবং’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গ্যাস উৎপাদন খরচ ৯ টাকা ২০ পয়সা হলেও সরকার গড়ে ৭ টাকা ৩৯ পয়সায় বিক্রয় করে। অর্থাৎ মুনাফার দিকে না চেয়ে জনগণকে সেবা দেয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য। এলএনজি এলে গ্যাসের মূল্য কিছুটা হয়তো বাড়বে যা বিইআরসি নির্ধারণ করবে। এলএনজির সম্ভাব্য মূল্য নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা হয়েছে। একই সাথে এলপিজি, এলএনজি, তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উপর গুরুত্ব দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল মহেশখালীতে ১,৩৬,০০৯ ঘন মিটার এলএনজি নিয়ে ঋঝজট (ঊীপবষষবহপব) পৌঁছেছে। আগামী ২৫ মে থেকে গ্যাস সরবরাহ হতে পারে।
অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের অধ্যাপক ম তামিম। ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্সের সভাপতি অরুণ কর্মকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তাদির আলী, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালেক সুফি ও অধ্যাপক শামসুল আলম বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৮০
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এজন্য শতকরা ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হচ্ছে। ছাত্রীদের বিনা বেতনে পড়াশোনা এবং উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। শতকরা ৯৮ ভাগ শিশু এখন স্কুলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সারাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের উৎসাহিত করতে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ২০১৩ সাল থেকে চালু করা হয়েছে। এ মেধাবীরা যাতে ঝরে না পড়ে সেদিকে সরকার লক্ষ্য রাখবে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০১৮ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য সৃজনশীল মেধাবী নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা, যারা দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, প্রতিটি কাজের উপযোগী দক্ষ লোক তৈরি করতে হবে। একই সাথে আমরা ভাল মানুষ তৈরি করতে চাই। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, জ্ঞান ও প্রযুক্তি শুধু আমদানি নয়, রপ্তানি করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমান এবং মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক ও সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার সদস্য সচিব ড. মোঃ আব্দুল মালেক বক্তব্য রাখেন ।
উল্লেখ্য, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০১৮ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ৮টি বিভাগ ও ঢাকা মহানগরী থেকে উত্তীর্ণ ১০৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছে। এই ১০৮ জনের মধ্য থেকে ৪টি বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে ১২ জন সেরা মেধাবী নির্বাচন করা হবে।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৭৯