Handout Number: 71
Newly appointed Ambassador of France to Bangladesh
calls on Foreign Minister Dr. Momen
Dhaka, 05 January 2023:
The newly appointed Ambassador of France to Bangladesh Marie Masdupuy paid a maiden courtesy call on Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen at the Ministry of Foreign Affairs today.
The Foreign Minister congratulated Ambassador Marie Masdupuy on her appointment as the Ambassador of France to Bangladesh and expressed his satisfaction at the excellent bilateral relations between the two countries. He also recalled the support of France and contributions of the French intellectuals like André Malraux during the War of Liberation in 1971. The French Ambassador applauded Bangladesh’s steady and outstanding development, which supports its goal of becoming a developed nation by 2041.
Both sides exchanged views on different issues of mutual interest, including cooperation in aviation, food processing, clean and green energy, climate change, food security, repatriation of the Rohingyas, and free, open and inclusive Indo-Pacific, etc.
The Foreign Minister assured the new Ambassador Marie Masdupuy full support and cooperation during her tenure in Bangladesh and both sides agreed to further strengthen bilateral ties between the two friendly nations.
#
Mohsin/Siraj/Rahat/Mosaraf/Rafiqul/Likhon/2023/1910 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭০
অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে পিছিয়ে রেখে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়
--শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নারীরা আজ সব জায়গায় কাজ করছেন, নারীরা এগিয়ে গেছেন। একটি সমাজ বা রাষ্ট্রকে এগিয়ে যেতে হলে নারীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করছে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা হিসেবে কাজ করেন তাদের সহধর্মিণীরা। পুনাক সদস্যরা সেই অনুপ্রেরণার কাজটি করছেন।
আজ রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) বার্ষিক সমাবেশ ও আনন্দমেলা-২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের সহধর্মিণীরা তাদের স্বামীদের কর্মক্ষেত্রে শক্তি-সাহস ও অনুপ্রেরণা দেন। পুলিশ সদস্যদের সহধর্মিণীরা শুধু তাদের স্বামীদের সহযোগিতা ও সাহসই দেন না, পুনাকের মাধ্যমে তারা নানাবিধ কাজও করেন। নানা ধরনের সামাজিক কাজে অংশ নেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, পুনাক নানা ধরনের সামাজিক কাজ করছে। জনসচেতনতার জন্য কাজ করছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করছে। এতে অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হচ্ছে।
পুনাক সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী লুৎফুল তাহমিনা খান, পুনাক সাধারণ সম্পাদিকা নাসিমা আমিন, পুনাক
সহ-সভাপতি মুনমুন আহসান, শারমিন আক্তার খান, মাহমুদা দিদার ও দিলরুবা খুরশীদ প্রমুখ।
#
খায়ের/সিরাজ/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২২/ঘন্টা১৯২০
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯
‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ পেলো ২০ শিল্প প্রতিষ্ঠান
ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :
বর্তমান সরকার উন্নয়নের যে গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধীরা তা বাধাগ্রস্ত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অবদানের ফলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন তথা দেশের উন্নয়ন হয়েছে এবং সামনেও এ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের বিকল্প নেই।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন।
শিল্পমন্ত্রী মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এই স্বীকৃতি দেশে শিল্পখাত বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে আত্মনির্ভরশীল ও শিল্পসমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করতে বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি সব সময় বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে একটি মহল বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকা পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় তাদের এ ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে দেশে অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, যার সুফল দেশবাসী পাচ্ছেন। এছাড়া পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের সুবিধা মানুষ ভোগ করছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার মতো স্থাপনার সুফল অচিরেই মানুষ ভোগ করবে। রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে সরকার পায়রা বন্দর ও মাতারবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে আমাদের জিডিপি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ছয় ক্যাটেগরির জন্য মোট ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তাকে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটেগরিতে যৌথভাবে ১ম হয়েছে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড এবং ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, যৌথভাবে ২য় হয়েছে বিআরবি কেব্ল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ফারিহা স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড, ৩য় হয়েছে এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড। মাঝারি শিল্প ক্যাটেগরিতে ১ম হয়েছে নোমান টেরি টাওয়াল মিলস্ লিমিটেড, যৌথভাবে ২য় হয়েছে মাসকোটেক্স লিমিটেড এবং এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস লিমিটেড, যৌথভাবে ৩য় হয়েছে বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস্ লিমিটেড এবং অকোটেক্স লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটেগরিতে ১ম হয়েছে মাসকো ওভারসিজ লিমিটেড, যৌথভাবে ২য় হয়েছে আব্দুল জলিল লিমিটেড এবং প্যাসিফিক সী ফুডস লিমিটেড, ৩য় হয়েছে মাধবদী ডাইং ফিনিশিং মিলস্ লিমিটেড। মাইক্রো শিল্প ক্যাটেগরিতে শুধুমাত্র ১টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে, মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজ। কুটির শিল্প ক্যাটেগরিতে ১ম হয়েছে ইন্টেলিজেন্ট কার্ড লিমিটেড এবং ২য় হয়েছে রং মেলা নারী কল্যাণ সংস্থা (আর এন কে এস)। হাইটেক শিল্প ক্যাটেগরিতে ১ম হয়েছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ২য় হয়েছে মীর টেলিকম লিমিটেড এবং ৩য় হয়েছে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড।
‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী ২০১৩’ অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৪ সালে ১ম বারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ প্রদান শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ৬ষ্ঠ বারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ প্রদান করা হলো।
#
মাহমুদুল/সিরাজ/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৮
সুস্থ, সবল ও মেধাবী শিশু কিশোররাই আগামী দিনে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ
--- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
বরিশাল, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, আজকের সুস্থ, সবল ও মেধাবী শিশু কিশোররাই আগামী দিনে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। তিনি বলেন, কোমলমতি শিশু কিশোরদের সুপ্ত মেধা, মনন ও প্রতিভা বিকাশে সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সরকারের সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখা অপরিহার্য।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে গৌরনদীর বিভিন্ন শিশু কিশোর সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত বিপন্ন শিশুদের সেবা প্রদান ও তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করেছে। এসব কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবহেলিত ও অসহায় শিশু অবস্থান করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নতুন প্রজন্মকে ক্রীড়া চর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত রাখতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়মিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা বহির্বিশ্বে তাদের দক্ষতা ও নৈপূণ্য দিয়ে সফলতা অর্জন করেছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ এ সময় শিশু কিশোরদেরকে তাদের স্ব স্ব প্রতিভা বিকাশে আরো মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি সংগঠনগুলোর সার্বিক কল্যাণে সম্ভাব্য সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
#
আহসান/সিরাজ/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৭
আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি
--- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাস, আন্দোলন, হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ করে বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগামী ১১ তারিখ না, আগামী ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যেও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি।
আজ সচিবালয়ে নিজের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ তারিখ বিএনপি আন্দোলনের নামে যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ তৎপর থাকবে। দলের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও সরকারকে সহযোগিতা করবে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিদেশি বা রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপমূলক তৎপরতা অনেক কমে এসেছে। একসময় হ্যারি কে. টমাসের মতো অনেক রাষ্ট্রদূত এদেশে নিজেদের কিং বা রাজা মনে করতো, এখন এই পরিস্থিতি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন ও আর্থিক অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ অনেক মর্যাদাশীল জাতি।
মন্ত্রী বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের কাছে বিএনপির ধর্না দেয়া বা হাত পাতা জাতির জন্য মর্যাদার নয় এবং এটিকে সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না।
এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সাথে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকালে দুদেশের কৃষি, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি প্রভৃতি বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রি কীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার কৃষিযন্ত্রে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি প্রদান রছে। আগামীতে বাংলাদেশে প্রচুর কৃষি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ভারতের কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা জানান, ভারতের মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে । এছাড়া, তিনি দুদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সমঝোতা স্মারক স¦াক্ষরের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও পাটবীজের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, এবছর ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ এনে দেশে চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া গেছে। এছাড়া কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, কাজুবাদাম, কফিসহ উন্নতজাতের জাত ও চারা সরবরাহ, এগ্রো প্রসেসিং, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি এবং সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা, মাদক ও মানব পাচার রোধ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
#
কামরুল/সিরাজ/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬
বিএনপির কর্মসূচি প্রমাণ করে তারা দেশে অস্থিরতা চায়
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপির সাম্প্রতিক সময়ের কর্মসূচিই প্রমাণ করে যে, তারা দেশে একটা অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। তারা ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরেও আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছে। আগামী ১১ জানুয়ারি তারা আবার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেখানেও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা তারা চালাবে।’
সেই সাথে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরের ১০ তারিখ যেমন সতর্ক পাহারায় ছিলাম এবং গত ৩০ তারিখ তারা ঢাকায় গণমিছিল ডেকেছিল, সে দিনও আমরা সতর্ক পাহারায় ছিলাম। ভবিষ্যতেও তারা এই কর্মসূচির নামে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা উচিত জবাব দেবো।’
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। সরকার সেই ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে এবং করবে। কিন্তু তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা করার অপচেষ্টা চালালে জনগণ প্রতিহত করবে, জনগণের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থাকবে।’
‘বিএনপি সরকারের বিদায় চায়’ এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি সাড়ে ১৩ বছর ধরেই সরকারের বিদায় চাচ্ছে। বিডিআর বিদ্রোহ, সেখানে তো তাদের ইন্ধন ছিলো, তখন থেকেই তারা সরকারের বিদায় চাচ্ছে। সরকারকে বিদায় দিতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হবে। অন্য কোনো পথে সরকারের বিদায় দেওয়া তো সম্ভব নয়, এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। কিন্তু তারা সেটিতে বিশ্বাস করে না, তারা পানি ঘোলা করে মাছ শিকার করতে চায়, সে সুযোগ তারা পাবে না।’
তথ্যমন্ত্রীর সাথে অভিনয় শিল্পী সংঘের মতবিনিময়
এর আগে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ দেশের টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাথে মতবিনিময় করেন। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু খাদেম, নির্বাহী সদস্য মাজনুন মিজান, সদস্য হৃদি হক, সংগীতা চৌধুরী ও আইনুন নাহার বৈঠকে অংশ নেন।
শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব অভিনয় শিল্পকে পেশা হিসেবে ঘোষণা করা, শিল্পীদের জন্য গঠিত কল্যাণ ট্রাস্টে নাট্যশিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, টেলিভিশন নাটক ও সিরিয়াল নির্মাণে উৎসাহ দানসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।
মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়া শুরু করেন। এরপর ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে টেলিভিশনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১০টিতে। আমরা ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার গঠন করার পর আজ পর্যন্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ৪৬টি, সম্প্রচারে আছে ৩৬টি টেলিভিশন চ্যানেল এবং আরো কয়েকটি খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে। এভাবে ব্যাপক বিকাশ ঘটার কারণে টেলিভিশন শিল্প আমাদের ছেলেমেয়েদের একটি বড় কর্মক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
ড. হাছান জানান, ‘কোনো কোনো টেলিভিশন শুধু বিদেশি সিরিয়াল নির্ভর ছিল, পরে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিপত্র দিয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেল একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল একই সময়ে দেখাতে পারবে না সেটি কার্যকর করেছি। ফলে আমাদের দেশেও এখন সিরিয়াল নির্মাণ হচ্ছে। আমরা আরো বিধি করেছি, বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করলে প্রচলিত ট্যাক্সের বাইরে শিল্পী প্রতি দুই লাখ টাকা এবং যে টেলিভিশন চ্যানেল সেই বিজ্ঞাপন দেখাবে তাদেরকে বিশ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে দিতে হবে। কারণ আমাদের শিল্পীরা অনেক স্মার্ট এবং ভালো অভিনয় করে, দেখতেও সুন্দর। তাদের বাদ দিয়ে বিদেশিদের নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আমরা খুঁজে পাইনি।’
শিল্পীদের দাবি দাওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব সবই পূরণ করার চেষ্টা করছি। যে সব দাবি দাওয়া ছিল না, সেগুলোর ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিকল্পনা আছে টেলিভিশন মাধ্যমে যারা অভিনয় করেন, তাদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের প্রবর্তন করা যায় কি না, সেটি আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনায় এনেছি।’
#
আকরাম/সিরাজ/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২২/১৮১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ সময় ৪ হাজার ৮১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৬১ জন।
#
কবীর/সিরাজ/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/১৭২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৩
ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী
ক্যাপিটাল মার্কেট শক্তিশালী রাখতে বিনিয়োগকারীদের দক্ষতা দরকার
ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ক্যাপিটাল মার্কেট দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির পাশাপাশি দক্ষ বিনিয়োগকারীও দরকার। বিনিয়োগকারীদের এবিষয়ে উপযুক্ত শিক্ষা দরকার, তবেই ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে ভালো কিছু আশা করা যায়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের এবিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা দরকার। ক্যাপিটাল মার্কেট শক্তিশালী রাখতে বিনিয়োগকারীদের দক্ষতা দরকার।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ইনস্টিটিউট অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি বিষয়ক অনলাইন পত্রিকা অর্থসূচক আয়োজিত ‘আধার শেষে আসেই আলো পুঁজিবাজারও হবেই ভালো’স্লোগান সামনে রেখে তিনদিনব্যাপী “ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩” এর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর অনেক প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে তৈরি পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পুঁজিবাজারকেও খারাপ অবস্থা থেকে ভালোর দিকে নিয়ে আসতে হবে। এজন্য এ সেক্টরের সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। আমাদের দক্ষতা অভিজ্ঞতা দিয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, সফলভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
অর্থসূচক এর সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা স্টক এক্সঞ্জের চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট আনিস উদ দৌলা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।
#
বকসী/সিরাজ/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৭১৫ঘণ্টাতথ্যবিবরণী
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬২
যুব সমাজ ও শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিং, কোডিং ও প্রোগ্রামিং বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে চুক্তি সই
ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :
আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সভাকক্ষে বেকার যুব সমাজ এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের স্কুল কলেজের ১০ লাখ শিক্ষার্থী কিশোর কিশোরীদের ফ্রিল্যান্সিং, কোডিং এবং প্রোগ্রামিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে আইসিটি অধিদপ্তর ও আইটি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারসমূহের কোর্স কারিকুলাম ও প্রশিক্ষক নির্বাচনের লক্ষ্যে একই প্রতিষ্ঠানের সাথে অপর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল হক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদ, উপদেষ্টা আবদুল করিমসহ আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সনদমুখী শিক্ষার দিকে নজর না দিয়ে কর্মমুখী শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং, কোডিং ও প্রোগ্রামিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে তরুণ প্রজন্ম যেন শ্রম ও মেধা দিয়ে বিশ্বকে জয় করতে পারে সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আজকের এই চুক্তি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ নীতিতে উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এই প্রযুক্তির শিল্পকে একটা শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেন, ইডিসি প্রকল্পের আওতায় ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। এর ফলে কোডার্সট্রাস্ট ঐ সকল সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে আমাদের প্রশিক্ষণার্থীরা প্রযুক্তি জ্ঞান আহরণ করে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং অর্থনীতিও হবে স্মার্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে সারা দেশের নির্বাচিত ১৩টি উপজেলায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান।
জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ বুদ্ধিদীপ্ত, সাশ্রয়ী, উদ্ভাবনী, জ্ঞানভিত্তিক, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
#
শহিদুল/সিরাজ/ রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/১৮২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৬১
তামাককে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে
-পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পরিবেশ-প্রতিবেশ, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধে আমাদেরকে আন্তরিক হতে হবে। সমাজকে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার থেকে দূরে রাখতে রেডিও, টিভি, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত 'ন্যাশনাল সেমিনার টু সাপোর্ট স্মোক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট এন্ড টোবাকো কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ তামাকের আগ্রাসন। পরোক্ষ ধূমপান অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ২৫-৩০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ। কাজেই, পাবলিক প্লেস ও পরিবহনসমূহ শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতে ধূমপান না করে তা নিশ্চিত করতে হবে।