তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৫৬২
মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক বিদায় জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভেম্বর) :
মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম বাংলাদেশে তিনদিনের সরকারি সফর শেষে মালের উদ্দেশ্যে আজ সন্ধ্যায় ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে আন্তরিক বিদায় জানান।
#
মোহসিন/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১:০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৬১
ক্ষমতাকে জনতার কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
নাটোর, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভেম্বর) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ক্ষমতাকে জনতার কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে টিকে থাকা যায় না।
প্রতিমন্ত্রী আজ নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে কথা বলেন। সম্মেলনে বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তি রচনা করে গেছেন, মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এ পাঁচটি মৌলিক চাহিদা বাংলাদেশের সংবিধানে সংরক্ষণ করে গেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ে তোলা। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, সমুদ্রসহ প্রায় সকল খাতে নানা উদ্যোগ ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। বেশকিছু খাতে তার উদ্যোগ ছিল গভীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। ডিজিটাল বিপ্লবে শামিল হওয়ার দূরদর্শী চিন্তা থেকে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্প্রসারণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু।
তারই উদ্যোগ ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের পনেরোটি সংস্থার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আই টি ইউ) এর সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেদবুনিয়া উপকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তাঁর আধুনিক স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তা হতে দেয়নি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চার দফায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে নিজেকে শাসক হিসেবে নয় সেবক হিসেবে নিয়োজিত করেছেন।
#
শহিদুল/পাশা/নাইচ/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৬০
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রাণশক্তি প্রধানমন্ত্রী
-- অর্থমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভেম্বর) :
অফিসার্স ক্লাব, ঢাকায় আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত সেরা করদাতাদের ‘ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন এবং সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার উষালগ্নে ১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করে এদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ধারাবাহিক উন্নয়ন-এর ভিত রচনা করেছিলেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারকে যে উন্নয়ন ব্যয় করতে হয় তার মূল যোগান আসে রাজস্ব ব্যবস্থা থেকে। ১৯৭২-১৯৭৩ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২৫০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল যা সময়ের পরিক্রমায় আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে। আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রাণশক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে জনগণের স্বতর্স্ফূত অংশ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ এশিয়ার নব্য টাইগার হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রাকে সফল করতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সম্পদের যোগান বাড়াতে হবে। রাজস্ব অনুপাত এখনও আমাদের প্রতিবেশী ও উন্নয়ন প্রতিযোগী অনেক দেশের তুলনায় কম। এ বিষয়ে আরো কাজ করতে হবে। এনবিআর-এর রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ২০০৫-০৬ সালের ৩৪ হাজার কোটি টাকা থেকে সাড়ে সাত গুণেরও বেশি বেড়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত এক যুগে আয়কর-এর পরিমাণ ৭ হাজার কোটি টাকা থেকে বার গুণ বেড়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। করদাতার সংখ্যা প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে। ফলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতৃক আয়োজিত ‘সেরা করদাতা সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড’ অনুষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। সম্মানিত সর্বোচ্চ করদাতাদের সম্মাননা প্রদান এটি শুধু একটি পুরস্কারই নয়, এটি একটি স্বীকৃতি, একটি উৎসাহ, একটি অনুপ্রেরণা।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে আজ ২০২০-২১ অর্থবছরের সেরা করদাতা হিসেবে বিশেষ সম্মাননা ‘ট্যাক্স কার্ড’-এর জন্য ১৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ড এবং সর্বোচ্চ ও দীর্ঘসময় আয়কর প্রদানকারী ৫২৫ জন সম্মানিত করদাতা সম্মাননা পেয়েছেন। ট্যাক্স কার্ডের জন্য ব্যক্তি শ্রেণিতে ৭৫ জন, কোম্পানি ক্যাটেগরিতে ৫৪ ও অন্যান্য ক্যাটেগরিতে ১২ করদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
#
তৌহিদ/পাশা/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৫৯
আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের
ঢাকা, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভেম্বর) :
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার পরিকল্পিত ও সমন্বিত উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন নতুন সংস্থা হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
২২ নভেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হেমায়েত হোসেনকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতাসহ উক্ত কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন নবগঠিত এ সংস্থার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৯ মহান জাতীয় সংসদে পাস হয়। এই আইনের অধীনে গাজীপুর সিটি গঠিত হয় গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। অনেকটা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আদলে গঠিত হয়েছে গাজীপুর নতুন এ সংস্থা। একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে এই কর্তৃপক্ষ। চেয়ারম্যান নিয়োগের মাধ্যমে এর প্রথম ধাপ সম্পন্ন হলো। বাকি সদস্যদের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কর্তৃপক্ষ গঠন এখন সময়ের দাবি।
নবগঠিত এ কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলীর মধ্যে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ভূমি জরিপ ও সমীক্ষা ও এ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ, সড়ক মাহাসড়ক, নৌপথ ও রেলপথ নির্মাণের লক্ষ্যে পরিকল্পণা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এসকল সেবা প্রদান করে থাকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। রাজধানী ঢাকা থেকে গাজীপুরের দূরত্বের কারণে এতদঞ্চলের মানুষের সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নতুন এ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার ফলে মানুষ হাতের কাছে এসব সেবা পাবে এবং তাদের অর্থ, শ্রম ও সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি এতদঞ্চলের পরিকল্পিত, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে সকলের প্রত্যাশা।
#
রেজাউল/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৫৬
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে পাল্টে যাচ্ছে বিশ্বের এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের ধরন
-- পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভেম্বর) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে পাল্টে যাচ্ছে বিশ্বের এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের ধরন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, ইন্টারনেট অভ্ থিংস, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, থ্রিডি প্রিন্টিং ও অন্যান্য প্রযুক্তি এই দুই শিল্পের বিকাশে দারুণভাবে সহায়কের ভূমিকা পালন করছে।
আজ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে পর্যটকদের ধরন-ধারনেও ব্যাপক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব তাদের হাতের মুঠোয়। এখন তারা মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে ট্রাভেল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পর্যটন গন্তব্য, আকর্ষণীয় স্থান, হোটেলের মান এবং ভ্রমণ আয়োজন প্রতিষ্ঠানের নির্ভরযোগ্যতাসহ সবকিছু জেনে নিতে পারছে, বিভিন্ন প্যাকেজ পছন্দ করে বুকিং দিতে পারছে, সার্ভিস ফিডব্যাক দিতে পারছে। এয়ারলাইন্সের টিকিট এখন মানুষ ঘরে বসেই ক্রয় করতে পারছে, অনলাইনে বোর্ডিং সম্পন্ন করতে পারছে। আকাশপথ ও বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায়ও আসছে নানা প্রযুক্তিগত পরিবর্তন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবসভ্যতা ইতিহাসে এখন পর্যন্ত তিনটি শিল্পবিপ্লবের অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করেছে। এক-একটি শিল্পবিপ্লব পাল্টে দিয়েছে সারা বিশ্বের শিল্প উৎপাদন, বাজার ও ব্যবসার গতিপথ, পাল্টে দিয়েছে মানবসভ্যতার ইতিহাস ও মানুষের জীবনাচরণ। আগের তিনটি বিপ্লবকে ছাড়িয়ে যাবে ডিজিটাল বিপ্লব তথা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব।
মাহবুব আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। জাতির পিতার সেই চাওয়া এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তাঁর নেতৃত্বে সারা দেশ এখন তথ্যপ্রযুক্তির সুফল ভোগ করছে। তিনি নির্মাণ করেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রামের প্রান্তিক লোকজনের কাছেও পৌঁছে দেয়া হচ্ছে সরকারের নানান সেবা। এই ডিজিটাল বিপ্লব জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং কী নোট উপস্থাপন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী।
#
তানভীর/পাশা/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৫৫৫
অসুস্থতা নিয়ে অসুস্থ রাজনীতি করবেন না -- বিএনপিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভেম্বর):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বিএনপি’র উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অসুস্থ রাজনীতি করবেন না। বেগম জিয়াকে অসুস্থ রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের অপচেষ্টায় বেগম জিয়ার প্রতি অসম্মান জানানো হচ্ছে।’
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকার (সিজেএফডি) নবনির্বাচিত পরিষদের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। সিজেএফডি’র নবনির্বাচিত সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, সাবেক সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাহিন উল ইসলাম চৌধুরী, অনুপ খাস্তগীর, মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী, সাঈফ ইসলাম দিলাল, মুজিব মাসুদ, সায়েম টিপু, রিশাদ হুদা, মোমেনা আক্তার পপি প্রমুখ মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও আলোচনায় অংশ নেন।
‘বেগম খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন, একথা কে বলছেন’ প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, রিজভী সাহেবসহ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এটি বলছেন, কোনো ডাক্তার বা এভারকেয়ার হাসপাতাল বলেনি যে বেগম জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন। এখন ডাক্তারদের বাদ দিয়ে কি বিএনপি’র নেতারা চিকিৎসক হয়ে গেছেন। সরকার এখন বিএনপি’র নেতাদের প্রেসক্রিপশনে সিদ্ধান্ত নেবে কি না, সেটিও একটি প্রশ্ন।’
বেগম জিয়া একটু অসুস্থ হলেই অতীতের মতো বিদেশ পাঠানোর জিকির তোলার কারণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি বেগম জিয়াকে বিদেশের কথা বলে লন্ডনে পাঠাতে চান যেখানে তারেক জিয়া আছে। যাতে বেগম জিয়া যেন তারেক জিয়ার মতো দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হয়ে সেখান থেকে রাজনীতি করতে পারেন। সেকারণেই তারা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বেগম জিয়ার আসলে কী হয়েছে, সেটি পরীক্ষার কথা বলছেন না। তারা ঠিকই জানেন, সরকার বেগম জিয়ার সঠিক চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্য বিএনপি’র বিভিন্ন জনের মধ্যে এনিয়ে সভা সেমিনার করার একটা প্রতিযোগিতাও দেখা গিয়েছে কারণ তাদের পদ রক্ষা করতে হয়, বেগম জিয়া, তারেক জিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয় কে কত বেশি দৌড়াচ্ছেন, সেজন্য অনশন করছেন সেটি দেখাতে। তবে অনশনের সময় নয়াপল্টনে খাবারের দোকানে খুব ভালো বিক্রি হতে দেখা গেছে, এটিই বাস্তবতা।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য রহস্যজনক’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, আসলে বেগম জিয়ার ব্যাপারে বিএনপি’র ভূমিকাটাই রহস্যজনক। সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত স্পষ্ট। বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা বাংলাদেশে পান সেটি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তারা যদি মনে করেন দেশের সমস্ত বড় বড় চিকিৎসকদের নিয়ে বেগম জিয়ার জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা যাতে নিশ্চিত করা হয় সেটিও সরকার করতে চায়। কিন্তু তাদের ভূমিকা রহস্যজনক কারণ তারা বেগম জিয়া যখনই অসুস্থ হন, তখনই বিদেশ নিয়ে যেতে চান, এটিই রহস্যজনক।’
চট্টগ্রামে পার্বত্য অঞ্চলে হাতির মৃত্যু বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান এটিকে উদ্বেগজনক বর্ণনা করে বলেন, ‘এটি সত্যিই উদ্বেগজনক। এটির অনেকগুলো কারণ আছে-নানা কারণে বনভূমি কমে গেছে, নানা কারণে হাতির আবাসস্থলগুলো ধ্বংস হয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প যেখানে হয়েছে, সেটি হাতির আবাসস্থল ছিলো, সেটি ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি মনে করি এক্ষেত্রে খুব দ্রুত আমাদের একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একজন পরিবেশবিদ, পরিবেশ বিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসেবে বলতে চাই পৃথিবীর একমাত্র অধিপতি শুধুমাত্র মানুষ নয়, মহান ¯স্রষ্টার সমস্ত সৃষ্টিগুলোরই পৃথিবীর মালিকানা আছে, সেটি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’
চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরামকে সাংবাদিকদের একটি প্রাচীন সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা শুধু চট্টগ্রামেরই নয়, সার্বিকভাবে সারাদেশের বিষয়গুলো সবসময় উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। ভবিষ্যতেও এই ফোরাম যাতে চট্টগ্রাম তথা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন সেই কামনা করি।
#
আকরাম/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৮০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৫৫৪
২১টি স্থানে মহাসমাবেশে ‘পথে পথে বিজয়’ উদ্যাপন শুরু ২৬ নভেম্বর থেকে
ঢাকা, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভেম্বর):
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ২১টি স্থানে মহাসমাবেশের মাধ্যমে 'পথে পথে বিজয়’ উদ্যাপন করা হবে। যার মধ্যে ৭টি আঞ্চলিক ও ১৪টি উপ-আঞ্চলিক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব অঞ্চল ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর আগেই পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয়। আগামী ২৬ নভেম্বর দিনাজপুরে উপ-আঞ্চলিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ আয়োজন শরু হবে।
আজ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদ্যাপনের জন্য গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মোজাম্মেল হক বলেন, এ বছর জাতীয়ভাবে উদ্যাপন করছি মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি তথা সুবর্ণজয়ন্তী। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদ্যাপনের জন্য গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি ৫০টি জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে একটি কর্মসূচি হলো ‘পথে পথে বিজয়' শিরোনামে দেশের বিভিন্ন স্থানে শত্রুমুক্ত হওয়ার দিনে আঞ্চলিক মহাসমাবেশ।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বছর ২০২১ সাল এবং এই মাহেন্দ্রক্ষণ প্রত্যেকেরই উদ্যাপন করা উচিত। তাই এই আনন্দক্ষণ উদ্যাপন করতে ফিরে যেতে চেয়েছি, আমাদের গৌরবময় ইতিহাসে তুলে ধরতে চেয়েছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরিচয়। যদিও বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় অর্জন করেছিল কিন্তু দেশের অনেক অঞ্চলে বিজয় এসেছিলো ১৬ ডিসেম্বরের আগেই, হয়েছিলো শত্রুমুক্ত। আমরা এই বিজয়গুলো উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের কাছে এই শত্রুমুক্ত অঞ্চলগুলোর তাৎপর্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবে এমন উন্মুক্ত স্থানে মহাসমাবেশগুলো অনুষ্ঠিত হবে। মহাসমাবেশে বিভিন্ন কার্যক্রম, প্রদর্শনী, খেলা, কুইজ, আলোচনা, সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণসহ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সারা দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য সকল শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেবেন।
৭টি আঞ্চলিক ও ১৪টি উপ-আঞ্চলিক মহাসমাবেশ করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে— বিজয়ের গল্পগুলো পুনরায় বলা, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে পুনরায় জানা এবং সম্মান প্রদর্শন করা, যুদ্ধের অসাধারণ গল্পগুলো উপভোগ করা, তরুণদের যুদ্ধের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, বিজয় দিবসের বিশালতা উপলব্ধি করা, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশব্যাপী উদ্যাপন করা।
আঞ্চলিক মহাসমাবেশের স্থান ও সময়—পঞ্চগড়ে ২ ডিসেম্বর, যশোরে ৬ ডিসেম্বর, গোপালগঞ্জে ৭ ডিসেম্বর, কুমিল্লায় ৮ ডিসেম্বর, জামালপুরে ১১ ডিসেম্বর, কক্সবাজারে ১২ ডিসেম্বর এবং সিলেটে-১৫ ডিসেম্বর।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, বাণিজ্য সচিব ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব তপন কান্তি ঘোষ, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মারুফ/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৫৫৩
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভেম্বর):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ হাজার ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯৪৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯৬১ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৩ জন।
#
ইউনুস/পাশা/রাহাত/রেজাউল/২০২১/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৫২
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ৫০তম সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপন
ঢাকা, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভম্বের) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন ৫০তম সশস্ত্রবাহিনী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে।
এ উপলক্ষ্যে গত ২২ নভেম্বর লন্ডনে ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়ামে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর পরই যুদ্ধ-বিধস্ত দেশ পুন:গঠনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকেও একটি আধুনিক ও চৌকশ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। তাঁর হাতে গড়া সশস্ত্রবাহিনী আজ দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীও একটি আধুনিক, সুসজ্জিত ও সুদক্ষ সশস্ত্র বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে - যারা স্থল, আকাশ ও সমুদ্রসহ সর্বক্ষেত্রে একুশ শতকের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম।”
সাইদা মুনা তাসনিম ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নসহ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সাথে বহুমাত্রিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো জোরদার করার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দুদেশের মধ্যে শীঘ্রই প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হবে।
হাই কমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ৫০তম দিবস পালন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক। এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো গভীর ও সুদৃঢ় হবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি গেভিন রিচার্ডসন ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সাথে কাজ করার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর প্রতিষ্ঠা ও দেশে-বিদেশে এর বিশেষ ভূমিকার ওপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা ও এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকবৃন্দ, কূটনৈতিক ফোরামের সদস্য, বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং লন্ডনে বাংলাদেশি-বৃটিশ কমিউনিটির গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিৎ/শাম্মী/জসীম/মাসুম/২০২১/১৪৩৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৫১
কৃষিপণ্যের পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপণে নেদারল্যান্ডস সহযোগিতা করবে
-কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ অগ্রহায়ণ (২৪ নভম্বের) :
কৃষিখাতে সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে ট্রেড মিশন পাঠাবে নেদারল্যান্ডস। একইসাথে, দেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপন, পেঁয়াজ ও আলু সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন, গ্রিন হাউজ ও গ্লাস হাউজ তৈরির ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
আজ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউরোপের বাজারে কৃষিপণ্যের রপ্তানি এবং কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে গত ০৯ নভেম্বর ১৮ থেকে নভেম্বর নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্য সফর করেছেন কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারি ও বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের একটি প্রতিনিধিদল। এ বিদেশ সফর ও কৃষির সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মন্ত্রী প্রেস ব্রিফিং করেন।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী জানান, নেদারল্যান্ডস বেসরকারি খাত থেকে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি, সংগ্রহ, সংগ্রহত্তোর প্রযুক্তি, বিভিন্ন ধরনের মেশিনারিজ তৈরির প্রযুক্তিগত দিক, রিয়েল টাইম স্বয়ংক্রিয় রিপোর্টিং ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষায় সহায়তা পাওয়া যাবে। এসব বিষয়ে ওখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের সাথে সমঝোতা স্মারক শিগগিরই স্বাক্ষর হবে। এছাড়া, দেশে ঘাটতি হলে সেপ্টেম্বর মাসে নেদারল্যান্ডসে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণে ডাচ বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো জানান, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন, ইন্টার ল্যাবরেটরি টেস্টিং ভ্যালিডেশন, ISO 17025 Standard এর জন্য কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। এছাড়া, গ্রিনিচ ইউনিভার্সিটির সাথে প্রশিক্ষণ সহযোগিতার প্রক্রিয়া এবং ব্রিটেনের সুপার স্টোর সেইন্টসবারি, আজডা, টেসকোর সাথে ব্রিটিশ বাংলাদ