Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ মার্চ ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২৭ মার্চ ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৩৯৩২   

 

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মাতা

নাজমা রহিমের ইন্তেকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, স্বাধীনতা পদকে ভূষিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এম আব্দুর রহিমের সহধর্মিণী এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের মাতা নাজমা রহিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  

আজ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে নাজমা রহিমের ইন্তেকালের সংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান তাঁর শোকবার্তায় বলেন, মরহুমা নাজমা রহিম তাঁর পুত্র বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, কন্যা ডা. নাদিরা সুলতানা, ডা. নাসিমা সুলতানা, নাফিসা সুলতানা ও নাজিলা সুলতানার জীবনে সাফল্যের কারিগর হিসেবে তিনি রত্নগর্ভা “স্বপ্নজয়ী” মায়ের সম্মাননায় ভূষিত হন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় দিনাজপুর গোর-এ-শহিদ বড় ময়দানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ্ মাঠে প্রথম জানাজা এবং দুপুর ২ টায় মরহুমার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার ৮নং শংকরপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে পাঁচকুড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে মরহুমা নাজমা রহিমের দাফন কার্য সম্পন্ন হবে।

#

আকরাম/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২২২৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৩৯৩১   

 

স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। পানি পরিশোধন প্রকল্পে বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়সমূহ এ সময় বিশদভাবে আলোচিত হয়। আজ মন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ সময় মেঘনা নদী থেকে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে মেঘনা নদী থেকে সঞ্চালন পাইপের মাধ্যমে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানি সরবরাহ এবং সমুদ্রের পানি লবণাক্ততা দূর করে পরিশোধনের মাধ্যমে সরবরাহের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উপযোগী পদ্ধতি কোনটি হতে পারে তার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে ।

মোঃ তাজুল ইসলাম দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

#

হেমায়েত/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২২২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৩৯৩০ 

 

জলবায়ু-সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

                                                   - পরিবেশমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আমাদের পরিবেশ রক্ষায় এবং জলবায়ু-সহনশীল সম্প্রদায় গড়ে তুলতে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন এবং অভিযোজন প্রচেষ্টায় তাদের ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরিহার্য। নারীর পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আমরা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৃহত্তর স্থায়িত্ব ও স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করতে পারি।

আজ রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন ও উন্নয়ন সংস্থা বহ্নিশিখার যৌথ উদ্যোগে ‘এমপাওয়ারিং উইমেন ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি কারণ তারাই হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় পরিবর্তনের মূল এজেন্ট। তিনি বলেন, নারীরা পরিবেশ সংরক্ষণ, অভিযোজন এবং প্রশমন প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি বলেন, সরকার প্রভাব মূল্যায়ন করে জলবায়ু পদক্ষেপ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের অভিজ্ঞতা স্বাগত জানায়। সর্বাধিক প্রভাবের জন্য কৌশলগত ব্যয় অপরিহার্য। তিনি বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।

#

 

দীপংকর/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০০৫ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                              নম্বর : ৩৯২৯

সবুজ অর্থনীতি নারীদের অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে

                                                                                     --- অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

          অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ছয় দফা প্রস্তাবের মধ্যে দিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়ন বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো যে অঙ্গীকার করেছে তা পালন করা জরুরি। তিনি ২০২৫ পরবর্তী নতুন জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণেও গুরুত্ব দিয়েছেন। সবুজ অর্থনীতি লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে নারীদের অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে।

          রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে দি এশিয়া ফাউন্ডেশন ও উন্নয়ন সংস্থা বহ্নিশিখা'র যৌথ আয়োজনে ‘এমপাওয়ারিং উইমেন ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী প্রধান অতিথি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ২৫টি মন্ত্রণলায় ও বিভাগ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করছে। সমাজ ও অর্থনীতিতে নারীদের অবদান তুলে ধরে তাদের কাজের ইতিবাচক মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টিতে সকলকে কাজ করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু এবং জেন্ডার সম্পর্কিত এসডিজি-র লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করতে হবে।

          অনুষ্ঠানে দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মিজ লরেল ই মিলার ‘উইমেন্স ক্লাইমেট রেজিলেন্স এন্ড এডাপ্টেশন এলায়েন্স’ কর্মসূচির সূচনা করেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নারীর অংশগ্রহণ, মিটিগেশন, এডাপ্টেশন এবং সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব বিষয়ে প্যানেলিস্টবৃন্দ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।

#

আলমগীর/পাশা/সায়েম/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ৩৯২৮  

বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে

                                                  -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, সারা পৃথিবীতে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় আর বিএনপি-জামায়াত এই হত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তারা ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে, এদের চিহ্নিত করতে হবে।

আজ রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৩২ হাজারের বেশি মানুষ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। লন্ডন, ওয়াশিংটন, সিডনিসহ বিশ্বের বহু জায়গায় এমন কি ইসরায়েলের তেল আবিবেও মানুষ এই হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। অথচ ক্ষমতায় যাবার লোভে বিএনপি- জামায়াত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে নাই, কোনো বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে এই ভয়ে। অর্থাৎ তারা আজ ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।

 

মন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল একটি বড় দেশ তাদেরকে ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের অনুকরণে তারা ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখন তারা হাঁটে। হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করে। এটা তারা করুক, কিন্তু আগের মতো আগুনসন্ত্রাস যেন না করতে যায়, তাহলে জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে।

 

এ সময় ইসলামের কল্যাণে সরকারের অবদান তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইসলাম ও আলেম সমাজের কল্যাণে যা করেছেন অন্য কোনো সরকার তা করেনি। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিদান, প্রতিটি উপজেলায় মনোরম মসজিদ, শিক্ষকসহ মক্তব, আলেমদের সম্মান প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।

 

ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর সভাপতিত্বে ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান এএএম একরামুল হক ও অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন হেলালী এবং স ম হামেদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মারুফ আজহারী প্রমুখ মাহফিলে বক্তৃতা দেন।

 

#

আকরাম/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০০৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ৩৯২৭   

 

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):                                            

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের মাতা নাজমা রহিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি। 

 

আজ এক শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য এম আব্দুর রহিমের সহধর্মিণী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের মাতা নাজমা রহিম ছিলেন একজন গুণী ব্যক্তিত্ব ও রত্নগর্ভা। 

 

শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 

 

উল্লেখ্য, নাজমা রহিম (৮৪) আজ বুধবার বেলা তিনটায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। তিনি দুই ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

#

জাকির/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৯৫৫ঘণ্টা

 

তথ্যববিরণী                                                                                       নম্বর : ৩৯২৬

 

ম্যানচেস্টারে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ এর বর্ণাঢ্য উদ্‌যাপন

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

          ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’-এর গৌরবোজ্জ্বল ৫৩-বছরপূর্তি উদ্‌যাপিত হয়।

 বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ সকাল ১০টায় সহকারী হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়।

 ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ম্যানচেস্টার, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস থেকে বাংলাদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণির বিপুল সংখ্যাক বাংলাদেশির অংশগ্রহণে সহকারী হাইকমিশনের চ্যান্সারিতে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উদ্‌যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে আগত অতিথিবৃন্দ-কে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইফতার এবং নৈশভোজে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

 স্বাগত বক্তব্যে সহকারী হাইকমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়, বিশ্বমানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। জাতির পিতার স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও ১৯৭১ এ সেই স্বাধীনতা প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ৫৩-তম বার্ষিকীতে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতার অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, জনগণের জীবনমান বৃদ্ধি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান আজ অত্যন্ত সম্মানের। তিনি উন্নয়নের সোপানে দ্রুত অগ্রসরমান বাংলাদেশের সোনার বাংলা রূপায়নে সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেন।

#

জিয়াউল/পাশা/সায়েম/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ৩৯২৫  

 

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে

                                                                               - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্যই সম্ভব হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস। তাই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

আজ প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয়-৭১ হলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে তথা সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, এখন তিনি লক্ষ্য স্থির করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

#

সৈকত/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৯৪৫ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                    নম্বর : ৩৯২৪

 

বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের ব্যাপকতা আপামর মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেছিল

                                           --- প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

            প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী, বীর বিক্রম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের গভীরতা ও ব্যাপকতা আপামর মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেছিল। ২৬ মার্চ  স্বাধীনতার ঘোষণা আসার পূর্ব থেকে বাংলার মেহনতী মানুষ প্রস্তুত ছিল। মূলত ৭ মার্চের ভাষণই আমাদেরকে প্রস্তুত করেছে।

            উপদেষ্টা আজ ‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

             তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন আমাদের আত্মোপলদ্ধির  সূচনা করেছে। এই উপলব্ধি পাকিস্তানের শাসন-শোষন সম্পর্কে সচেতন করেছে; যা পরবর্তিতে ৬ দফার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আর এই ৬ দফায় নিহিত ছিল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর বিরল নেতৃত্বেই আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীন একটি দেশে দিয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, এ দেশে শত্রু আগে ছিল এখনও আছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, ভালোভাবে কাজ করে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আমরা যত শক্তিশালী করবো, দেশটা তত দ্রুত এগিয়ে যাবে।

            ভার্চুয়াল সবায় অন্যান্যের মধ্যে  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুঃ জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মোঃ মোকাব্বির হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নুরুল আলম, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং পেট্রাাবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

#

আসলাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০২০ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                        নম্বর : ৩৯২৩

বঙ্গবন্ধু নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন করেছেন

                                                                                 ---শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :

            শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি কোনো অন্যায় ও সহিংস পথ অবলম্বন করেননি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ধাপে ধাপে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন যথাক্রমে ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, '৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, '৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন ও সবশেষে ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

            মন্ত্রী আজ রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

            মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়নি। এটি ছিল দীর্ঘ ২৪ বছরের বিভিন্ন নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল একটি জনযুদ্ধ। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন পুরোদস্তুর একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি মানুষকে পড়তে পারতেন এবং তাদের হৃদয়ের ভাষা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারতেন। মানুষকে একত্রিত ও সংগঠিত করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতেন এবং তাদের দুঃখকষ্টে পাশে দাঁড়াতেন। প্রধান অতিথি বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী প্রমুখ নেতারাও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সৃষ্টিতে অবদান রেখেছেন। তবে এতে সবচেয়ে মুখ্য ও গুরুত্বপূর্ণ রেখেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

            শিল্পমন্ত্রী বলেন, পিতার কাছ থেকে নেতৃত্বের সব গুণাবলি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বড় মেয়ে বলে পিতার বেশি সান্নিধ্য ও আদর পেয়েছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশা, বিপদে-আপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো, দলের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেয়া প্রভৃতি মানবিক গুণাবলি তিনি বঙ্গবন্ধুর নিকট থেকে শিখেছেন।

            শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচক হিসাবে বক্তৃতা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর এর সদস্য সচিব ও কিউরেটর মোঃ নজরুল ইসলাম খান।

             খোকা থেকে জাতির পিতায় রূপান্তরের ইতিহাস বর্ণনা করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এর কিউরেটর সাবেক সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম রাজনৈতিক নেতা যিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশেছিলেন, তাদের কাছে ক্ষমতা নিয়ে গিয়েছিলেন। যে কারণে তিনি এদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষ, শ্রমিক, মজুরের নেতা।

            শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, স্বাধীনতা মানে শুধু দেশ ও জাতি স্বাধীন হওয়া নয়। এর তাৎপর্য আমাদের গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। তিনি বলেন, শুধু দিবস পালনে সীমাবদ্ধ না থেকে স্বাধীনতার মর্মার্থ ও তাৎপর্য আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

            আলোচনা সভায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

            উল্লেখ্য, মন্ত্রী এর পূর্বে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি মন্ত্রণালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।

#

ফয়সল/পাশা/সায়েম/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৩৯২২  

 

দ্বীপ এবং চরে বসবাসকারী বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর

 জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

                                             - পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় দ্বীপ এবং নদীর চরে বসবাসকারী বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে স্থানীয় জনসাধারণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এর ফলে রংপুর এবং ভোলা জেলার চরে বসবাসকারী জনসাধারণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে। মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি এবং বন্যা মোকাবিলা করার জন্য ৯শ টি জলবায়ু-সহনশীল ঘর মেরামত করা হবে। ৫শ’ পরিবারের জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩০ টি সোলার ন্যানো-গ্রিড এবং ২০ টি ক্ষুদ্র দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-’২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় ও নদী চর এলাকার ইকোসিস্টেমভিত্তিক অভিযোজন এবং ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও মজবুত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। নির্বাচিত দ্বীপগুলোর জন্য জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি মানচিত্র তৈরি করা হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া ও ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতির সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে। জরুরি উদ্ধারে নৌযান বা ভাসমান অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীয় মানুষের জন্য জলবায়ু সহনশীল বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকদের জলবায়ুসহনশীল কৃষি অনুশীলনের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সৌরচালিত হিমাগার ও সেচ পাম্প স্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের তাদের নিজ নিজ কর্মকাণ্ডে জলবায়ু ঝুঁকি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ৪ টি জলবায়ু অভিযোজন শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। জলবায়ু সচেতনতা প্রচার অভিযানের বাস্তবায়ন করা হবে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়। পরিবেশমন্ত্রী প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।

#

দীপংকর/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮০৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              &

2024-03-27-16-32-b05d81ec3f73c0635478a84856158d35.docx