তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর গভীর শোক প্রকাশ
ঢাকা, ২৩ আষাঢ় (৭ জুলাই) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রাকালে রথের উপরে মানুষ উঠায় রথের সাথে ১১ কেভি লাইনের সহিত সংযোগ ঘটার ফলে বগুড়া সদর উপজেলার সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে ১১ কেভি লাইনের সাথে বিদ্যুতায়িত হয়ে ৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ৯জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ জন নিহত হয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, প্রতি বছরই বগুড়ায় রথযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে হলেও এভারের ঘটনাটি মর্মান্তিক। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য তদন্ত কমিটি করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ আরো বাড়াতে হবে।
#
আসলাম/সায়েম/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/১২৪০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১১০
জনগণের কল্যাণে সততার সাথে কাজ করতে হবে
- ধর্মমন্ত্রী
ইসলামপুর (জামালপুর), ২৩ আষাঢ় (৭ জুলাই):
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০৪১ সালে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের কল্যাণে সততার সাথে কাজ করতে হবে।
আজ জামালপুরের ইসলামপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, উপজেলা পরিষদ স্থানীয় সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তর। প্রয়োজনীয়তার নিরিখে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের অনেক দায়িত্ব উপজেলা পরিষদের ওপর ন্যস্ত। টেকসই ও জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমেই কেবল দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে মন্ত্রী নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করেছিলেন বলেই আজ আমরা আর্থসামাজিক উন্নয়নে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছি। আমরা নিজেদের অর্থায়নে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করার নজির স্থাপন করেছি। এদেশের উন্নয়নে আমাদের যে সুনির্দিষ্ট ভিশন রয়েছে সেটিও আমরা যথাসময়ে অর্জন করতে হলে আমাদের সকলকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি দেশের উন্নয়নে অংশ গ্রহণে সকলকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল আব্দুল নাসের, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আখন্দ বিএসসি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আবুবকর/সায়েম/শফি/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১০৯
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ আষাঢ় (৭ জুলাই):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তেই বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্ম জাতির মানুষ সম্মিলিতভাবে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এই স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে রূপরেখা তৈরি করেন। ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পূর্বে ধর্মে ধর্মে মানুষের মধ্যে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক কখনো দেখা যায়নি। নির্বিঘ্নে সকল ধর্মের মানুষ তাদের আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পেরেছে।
মন্ত্রী আজ কুমিল্লার জগন্নাথপুরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষ্যে ধর্মসভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে উপস্থিত সুধিবৃন্দের প্রতি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে। এই বিভাজন আমরা মানতে পারিনি বলে পরবর্তীতে অসম্প্রদায়িক চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশে তাই কোনো ধর্মীয় বৈষম্য থাকবে না। তিনি আরো বলেন, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান। তিনি এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেন যেখানে, আপনি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কিংবা মুসলিম যে ধর্মেরই হোন না কেন, আপনার সমান অধিকার থাকবে। শুধু ধর্মীয় উৎসব পালনে নয়, রাষ্ট্রের সকল নাগরিক অধিকার ভোগ করার ক্ষেত্রে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবেন। বর্তমান সরকার ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র গঠনে যে রূপরেখা তৈরি করেছে, তা গড়তে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি শ্রীমান সুদর্শন দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৭ সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানসহ আরো অনেকে।
#
পবন/সায়েম/শফি/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১০৮
গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সকল মিথ্যা প্রত্যাখ্যান করে তার প্রতিবাদ করতে হবে
--- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ আষাঢ় (৭ জুলাই):
দলমত নির্বিশেষে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সকল মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে তার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদান ও আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, একদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গণমাধ্যমকে বিস্তৃত করবেন, তার পরিসর বাড়াবেন, গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থা করবেন, অন্যদিকে একটা গোষ্ঠী তার বিপক্ষে গণমাধ্যমে অসত্য কথা বলে যাবেন, এটা হতে পারে না। কাজেই আমি অনুরোধ জানাবো দলমত নির্বিশেষে গণমাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুরা সকল মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ করুন। আপনারা অপপ্রচারের বিপক্ষে সবাই রুখে দাঁড়ান, সত্যের পক্ষে থাকুন। অবশ্যই সরকারের ব্যর্থতা-বিচ্যুতির সমালোচনা করবেন। এটা সরকার স্বাগত জানাবে। কিন্তু মিথ্যাচারের মাধ্যমে সমালোচনা করলে সেটা মেনে নেয়া হবে না, সত্য তুলে ধরে জবাব দেয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এ দেশে মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা আছে। যখন-তখন যেভাবে ইচ্ছা সারাক্ষণ মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা এ দেশে আছে। গত কিছুদিন ধরে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন, সমঝোতা স্মারক করে এসেছেন, চুক্তি করে এসেছেন যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের ট্রেন যাবে, বাংলাদেশকে বিক্রি করে দিয়ে এসেছেন, এ ট্রেন দিয়ে গোলাবারুদ যাবে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে ভারতের অপর প্রান্তে এবং বাংলাদেশ একটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। বিরোধীদলের নেতারা টকশোতে এসব কথা বলেছেন। অথচ এই সমঝোতা স্মারকে আছে ভারতের ওপর দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন চলবে এবং বাংলাদেশের ট্রেন ভারতের ওপর দিয়ে চলে নেপাল-ভুটানে যাবে। নেপাল ও ভুটানের সাথে আমাদের ৫০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আছে। এ সত্য কথা কেউ বলে না। সমঝোতা স্মারকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতের গ্রিড লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে আমদানি করে নিয়ে আসার কথা রয়েছে। যেটা বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করবে।
সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভারতের বুক চিরে শুধু বাংলাদেশের ট্রেনই চলবে না, ভারতের আকাশ চিরে বিদ্যুৎও আসবে বাংলাদেশে। গণমাধ্যম এই হেডলাইন কেনো করলো না- এ সময় প্রশ্ন রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের ট্রেন চলবে এই সমঝোতা স্মারক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন এটা সত্যি। কিন্তু এটা অর্ধেকটা সত্য। পুরো সত্য হচ্ছে, ভারতের ওপর দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন চলবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতাই নয়, মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা আছে। সরকারের কোনো একটা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক বা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার অধিকার যে কারো আছে। কিন্তু মিথ্যা বলে কেনো বিরোধিতা করতে হবে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে কেনো বিরোধিতা করতে হবে? এতে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়, এটা অপরাধ। অথচ বর্তমান সরকারের বিপক্ষে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হয়।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধুর সাথে সাংবাদিক সমাজের যেমন নিবিড় সম্পর্ক ছিল, বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে একইভাবে এক ধরনের নিবিড় সম্পর্ক সব সময়ই ছিল। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গণমাধ্যম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিক সমাজ এবং তাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে সাংবাদিক সমাজের পাশে এবং গণমাধ্যমের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে। সাংবাদিকদের জন্য তার চিন্তাভাবনা খুবই ইতিবাচক। যে কারণে কল্যাণ ট্রাস্টের মতো এরকম একটি উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এই উদ্যোগ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য খুবই সহায়ক ভূমিকা নিচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার এবং তাঁর সাথে গণমাধ্যমের সম্পর্ক,
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এগুলো নিয়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে সমালোচনা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সাংবাদিকদের কল্যাণে, গণমাধ্যমের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলো খুব বেশি শোনা যায় না। এগুলো নিয়ে বড় আকারে রিপোর্টও আসে না। এগুলো দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জায়গায় বলা দরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের আকার দ্বিগুণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণমাধ্যমবান্ধব বলেই তিনি গণমাধ্যমের বিস্তৃতির শুধু সুযোগ করে দেননি, গণমাধ্যমকে বিস্তৃত হওয়ার জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন, পরিবেশ তৈরি করেছেন। গণমাধ্যমে যারা কাজ করছেন তাদের কল্যাণের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এ ইতিবাচক বিষয়গুলো আমরা খুব একটা তুলে ধরতে পারছি না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন এবং এই কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে সত্যিকার অর্থে দুস্থ সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর যে প্রচেষ্টা, সেটিই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। কাজেই যারা আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের বিপক্ষে অপপ্রচার করার চেষ্টা করে, এই তথ্যগুলো তুলে ধরে তাদের অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো যোগ করেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারাদেশে ৭৮৪ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের মাঝে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৫০ টাকা কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সর্বশেষ পুরো বাংলাদেশে ২৯৩ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের মাঝে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা অন্দুান দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ শাহেনুর মিয়া এবং ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ে ২৯৪ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ২২ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত ৩ হাজার ৯৪১ জন সাংবাদিক এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা ও কল্যাণ অনুদান বাবদ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
#
ইফতেখার/শফি/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১০৭
দেশের তরুণ প্রজন্ম উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে সহমর্মিতা ও মানবিকতার প্রসার ঘটাবে
- প্রতিমন্ত্রী পলক
ঢাকা, ২৩ আষাঢ় (৭ জুলাই):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্ম মানুষের মধ্যে সংহতি, সহমর্মিতা ও মানবিকতার প্রসার ঘটাবে। তিনি বলেন, শান্তি ও সংহতির বার্তা বহনকারী চলচ্চিত্র তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবিক গুণাবলি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে “ক্যামেরায় গাঁথি স্মার্ট বাংলাদেশের গল্প” শীর্ষক প্রতিপাদ্যে আয়োজিত 'শান্তি চলচ্চিত্র উৎসব- ২০২৩' এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ বহু জাতি-ধর্ম-গোষ্ঠী-লিঙ্গ-সম্প্রদায়ের মানুষের দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের সাংবিধানিক ঘোষণা হচ্ছে সকল জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সাথে সমমর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বাঁচবে, গড়ে উঠবে বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। তিনি বলেন, সেই চেতনা নিয়েই আমরা স্বাধীনতার তেপ্পান্ন বছর পার করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যখন দৈনন্দিন কাজগুলো করছে, তখন বেশ কিছু হিংসাত্মক মনোভাব মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের জাতি, গোষ্ঠীর মধ্যে একধরনের বিবেধ, সহিংসতা, ঘৃণা ছাড়ানোর অপচেষ্টা করছে। আমরা সেজন্য ডিজিটাল লিটারেসি, সাইবার বুলিংয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে চাই। তিনি আরো বলেন, একটি জাতির উন্নয়নের জন্য তার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে এই ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ১৭০টি ছবির মধ্যে ২৫টি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে, ফিকশনে আত্মিক, মিরাকল ইন হ্যাভেন, ফ্রেগরেন্স, হুঁশ, এ নাইট টেইল, সদয় ফকিরের পাঠশালা; নুঅইন, হিউম্যান, নন্দিত নরকে, বেনিয়ান, মরিচীকা, রংপিন্সল, এন্টিটি, চৈতন্য, স্লিপস অব মাইন্ড; ভিডিও কন্টেন্টে ম্যাসেঞ্জার, দানবাক্স, অগ্রগামিনী, চাকরি নাই, হাসি, স্কৃপ্টে বর্ণমালা, বিফর দ্য বিগিনিং, উধাও।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মানিত সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর সিনিয়র গভর্ন্যান্স স্পেশালিস্ট শীলা তাসনীম হক, এটুআই এর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (উদ্ভাবন) মানিক মাহমুদ এবং ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি শীপা হাফিজা।
#
বিপ্লব/সায়েম/শফি/রানা/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৮০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১০৬
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর: ২০ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
--প্রেসব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ আষাঢ় (৭ জুলাই):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রিমিয়ার অভ্ দ্য স্টেট কাউন্সিল লি শিয়াং-এর (Li Qiang) আমন্ত্রণে আগামীকাল চারদিনের সরকারি সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন।
৮ থেকে ১১ জুলাই এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট, প্রিমিয়ার অভ্ দ্য স্টেট কাউন্সিল, সিপিপিসিসি’র জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে।
অর্থমন্ত্রী; পররাষ্ট্রমন্ত্রী; প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা; বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী; জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী; পররাষ্ট্র সচিব, অন্য সচিববৃন্দ-সহ উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাগণ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ এ তথ্য জানান।
চীন থেকে বাজেট সহায়তা নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাজেট সহায়তা নয় বরং চীনের সাথে ব্যবসা ও অর্থনৈতিক খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ সহযোগিতার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।
চীনকে বাংলাদেশ অফশোর ব্যাংকিংয়ের প্রস্তাব দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অফশোর ব্যাংকিং ইজ ওপেন ফর অল। যে কোনো দেশ যদি চায়, আমাদের সেন্ট্রাল ব্যাংকে চাইলে টাকা রাখতে পারে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অনেক দেশ টাকা রাখতে পারে। তবে অফশোর ব্যাংকিং কিছুটা ভিন্ন বিষয়।
মোংলা বন্দর উন্নয়নের বিষয়ে চীনের সাথে সমঝোতা হয়েছিল, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব চীনকে দেয়া হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দর উন্নয়নের বিষয়ে চীনের সাথে আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। এই সফরে আশা করছি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হবে।
দু’দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। দেশটি থেকে আমরা আমদানি করছি বেশি, রপ্তানি কম হয়। আমাদের পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সফরের বিস্তারিত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটযোগে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন এবং একই দিন চীনের স্থানীয় সময় বিকেল ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অভ্ অনার-সহ যথাযথ অভ্যর্থনা জানানো হবে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন (Jin Liqun)-এর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর তিনি সাংগ্রিলা সার্কেলে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস এন্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ এন্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন। বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সম্মেলনে যোগ দেবে।
চলমান পাতা-২
পাতা-২
সেদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী চাইনিজ পিপল’স পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ১৪ তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং (Wang Huning) -এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং বিকেলে ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। রাতে তিনি বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।
১০ জুলাই সফরের তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অভ্ দ্য পিপল -এ উপস্থিত হলে তাঁর সম্মানে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শেষে চীনের প্রিমিয়ার অভ্ দ্য স্টেট কাউন্সিল লি শিয়াং (Li Qiang)-এর সাথে সাক্ষাৎ ও দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০ থেকে ২২টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণার কথা রয়েছে।
সমঝোতা স্মারক নিয়ে ড. হাছান জানান, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ হতে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে গ্রেট হলে আয়োজিত ব্যংকুয়েটে এ সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
১০ জুলাই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেট হল অভ্ দ্য পিপল-এ চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং (Xi Jinping)-এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।
১১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীন ত্যাগ করে দুপুর দু'টায় ঢাকা অবতরণের কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল স্বাধীনতারও পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ সালে ঐতিহাসিক চীন সফরের মাধ্যমে। সে সময় চীনের তৎকালীন নেতা মাও সেতুংয়ের সাথে জাতির জনকের সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বঙ্গবন্ধু ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি রচনা করেন। চীন ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে, যার ধারাবাহিকতায় দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উন্নয়নের পথে অগ্রসরমান।
২০১৬ সালে শি চিন পিং (Xi Jinping)-এর ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়। বিগত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হবার পর শেখ হাসিনাকে চীনের পক্ষ হতে সরকারি সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়। চীন বাংলাদেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একজন গুরত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে। একইসাথে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন প্রদান করে যাবে। চীনে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন এ সফর সফল এবং ফলপ্রসূ হবে বলে আমরা আশাবাদী।
#
আকরাম/সায়েম/শফি/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা
Handout Number: 105
Bangladesh and France strengthen climate partnership with Adaptation Pact
--- Environment Minister
Dhaka, 7 July 2024:
Minister of Environment, Forest and Climate Change Saber Hossain Chowdhury said the France-Bangladesh Adaptation Pact signifies a robust partnership aimed at addressing the urgent challenges of climate change. This collaborative effort aims to expedite Bangladesh’s adaptation strategies while securing additional funding for climate resilience projects.
Environment Minister said this while a delegation led by the Ambassador of France Marie Masdupuy held bilateral meeting to discuss the France-Bangladesh Adaptation Pact at the Ministry of Environment, Forest and Climate Change in Dhaka today.
The meeting focused on finalizing the France-Bangladesh Adaptation Pact. The MoEFCC proposed resource allocation aligns with national priorities. The timeline for the Pact is set from September 2023 to August 2028. The French delegation expressed willingness to align interventions with Bangladesh’s National Adaptation Plan (NAP) during the implementation phase.
Discussions emphasized the need for a targeted capacity-building program. The MoEFCC will submit project concepts under the ‘Ecosystem, Wetland and Biodiversity’ sector of the NAP to access initial funding. AFD has requested the MoEFCC’s formal project request to secure the first tranche of 4 million euros for 2024.
The meeting highlighted projects aimed at restoring and protecting the Sundarbans, including mangrove plantation and community-based forest fire management.
The French Government, through AFD is offering a climate policy loan support of 300 million euros. MoEFCC stressed the need for technical support to meet specific indicators, particularly those related to the Enhanced Transparency Framework.
#
Dipankar/Shafi/Sanjib/Joynul/2024/2045 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১০৪
বিদেশে শ্রমবাজারের টেকসই উন্নয়নে কারিগরি ও ভাষা দক্ষতা আরো বাড়াতে হবে
--- প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ আষাঢ় (৭ জুলাই):
বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য শ্রমিকদের কারিগরি ও ভাষা দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিজয়-৭১ হলে দক্ষিণ কোরিয়াগামী ইপিএস কর্মীদের কোরিয়ান ভাষা প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন দক্ষ করে জনশক্তি বিদেশে প্রেরণ করতে হবে এবং বৈধ পথে তাদের অর্জিত রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে হবে। এলক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন কারিগরি জ্ঞান ও ভাষার ওপর দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।
সভায় জানানো হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, দুই দেশের দূতাবাস ও এইচআরডি কোরিয়ার সহযোগিতায় এবং নিয়োগকর্তার চাহিদা মোতাবেক বোয়েসেল দ্রুত কর্মী প্রেরণ করায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়ায় অধিক সংখ্যক কর্মী প্রেরণে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গত দুই বছরে ১০ হাজার ৬৯৫ জন ইপিএস কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভ করেছে। ফলে বাংলাদেশ ২০২৩ সালে ১০ হাজার জন এবং ২০২৪ সালে ১১ হাজার ৫০০ জন কর্মী প্রেরণের কোটা লাভ করে। এ পর্যন্ত ২০০৮ সাল হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৩৪ হাজার ৬৯ জন এপিএস কর্মী সফলভাবে দক্ষিণ কোরিয়া গমন করেছেন এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এসময় বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, ওয়েস আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, কোরিয়ার ডিরেক্টর এইচআরডি কিম ডং চ্যান উপস্থিত ছিলেন।
#
সৈকত/শফি/র