Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ August ২০১৭

তথ্যবিবরণী ১৮ আগস্ট ২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২১৫৪

রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের জন্য সরকার তৈরি হচ্ছে
                    -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট):

    আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিষয়ে বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপির জন্য দরখাস্ত করা হয়েছে। রায়টি আরো পরীক্ষা করা হচ্ছে। আরো পড়ে দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের জন্য সরকার তৈরি হচ্ছে।

    আইনমন্ত্রী বলেন, রায়ের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয় এবং আপত্তিকর যে কথাগুলো  উঠে এসেছে, সেগুলো সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দেখানো স্বাভাবিক। যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ উগ্র কোন প্রতিক্রিয়া না দেখায় বা প্রতিক্রিয়ার কোনো ভাষায় আদালত অবমাননা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত  এসব ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেখানো অন্যায় নয়। সরকার রায়ের সঙ্গে হয়তো একমত পোষণ করে না, কিন্তু রায়কে শ্রদ্ধা করে।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারি শিশু পরিবারের ১৫৪ জন অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে খাবার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    এখন অনেকেই বলছেন তদন্তের ত্রুটির কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত রাঘব বোয়ালরা  ছুটে গেছে- উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা কিন্তু ১৯৭৫ সালে বা আশির দশকে কিংবা নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে  শুরু হয় নাই। শুরু হয়েছে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সাথে সম্পৃক্ত এবং তারাই এই হত্যাকা-ে জড়িতদের প্রমাণ লুকানোর এবং সরানোর কাজটা করেছেন। সুতরাং ২১ বছর পর যে তদন্ত হয়েছে তা বাস্তবভিত্তিক ছিল।

    খাবার বিতরণের সময় আইন সচিব আবু সালেহ্ শেখ মোঃ জহিরুল হক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মোঃ আব্দুল মান্নান, আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্মসচিব বিকাশ কুমার সাহাসহ আইন মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#

রেজাউল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৪০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ২১৫৩

মনোবিজ্ঞান সমিতি আয়োজিত সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী
মনোবিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট):

    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের উন্নয়নে মনোবিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তাই মনোবিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

    তিনি আজ ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে ‘উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মনোবিজ্ঞান শিক্ষা কার্যক্রমের সমস্যা ও সমাধানের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতি এ সেমিনারের আয়োজন করে।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একজন মানুষের সার্বিক বিকাশ ও সমাজের অগ্রগতিতে এবং শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ ও তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে মনোবিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। স্কুল পর্যায়ে অটিস্টিক শিশুদের চিহ্নিত করতে ও তাদের মানসিক বিকাশে মনোবিজ্ঞানীদের সাহায্য প্রয়োজন।

    তিনি আরো বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে এমন দক্ষতা দিতে হবে, যাতে সে দুনিয়ার যেকোন জায়গায় গিয়ে কাজ করতে পারে। তিনি জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন,  মনোবিজ্ঞান সমিতির সহ-সভাপতি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা এবং মনোবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মো. রওশন আলী ও ড. আব্দুল খালেক বক্তব্য রাখেন।

    সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শামসুদ্দীন ইলিয়াস। সেমিনারে বক্তাগণ উচ্চ মাধ্যমিকের মানবিক শাখায় মনোবিজ্ঞানকে আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে এবং বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।

#

আফরাজ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৩৫ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ২১৫২

ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে
      -- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী

ঠাকুরগাঁও, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট):

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যাপ্লাবিত মানুষের কষ্ট লাঘবে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। চাহিদা থাকলে আরো পাঠানো হবে। যতক্ষণ বন্যার পানি নেমে না যায় এবং মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হয় ততক্ষণ ত্রাণ সাহায্য অব্যাহত থাকবে।

    তিনি আজ ঠাকুরগাঁও জেলার শিল্পকলা একাডেমি মাঠে বন্যাপ্লাবিত মানুষের সাথে মতবিনিময় ও ত্রাণ বিতরণকালে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ সেন এমপি, ইয়াসিন আলী এমপি, সেলিনা জাহান এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেক কোরাইশি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত সচিব গোলাম মোস্তফা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন আকন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    এর পূর্বে মন্ত্রী দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার পাকের হাট বাজার ও ইকবাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যাপ্লাবিত মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও জেলার ৫ উপজেলার ৪১টি গ্রাম বন্যাপ্লাবিত হয়েছে। এখানে এ পর্যন্ত পানিতে পড়ে ১ জন লোক মারা গেছে। এখানে এ পর্যন্ত ৭৫০ টন চাল, ১৭ লাখ টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজকে আরো ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

    দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়ন বন্যাপ্লাবিত হয়েছে। দিনাজপুরে এ পর্যন্ত  ১৭৯৫ টন চাল, ৬৬ লাখ টাকা এবং ৫০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজকে আরো ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

    দেশব্যাপী এ পর্যন্ত ২৫টি জেলার ১৩৮টি উপজেলার ৯০০ ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে ৯ লাখ ৬০ হাজার পরিবার বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব পরিবারের ২ লাখ ৮৫ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় । আজ পর্যন্ত ১০৫২ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ লাখ ৫৮ হাজার পরিবার আশ্রয় গ্রহণ করেছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে ৬৪ জন লোক মারা গেছে। সাপের কামড়, সাতার কাটতে না জানার কারণে পানিতে ডুবে, ভেলা বা নৌকা উল্টিয়ে, বজ্রপাতে ও শিশুদের অসতর্কাবস্থায় রাখা মৃত্যুর অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।  বন্যাপ্লাবিত জেলাসমূহে এ পর্যন্ত ১৫৬৯৫ মেট্রিক টন চাল, ৩ কোটি ১ লাখ টাকা ও ২৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
#
দেওয়ান/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮২০ ঘণ্টা

 

Todays handout.docx