তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৮৮
আমাদের উদ্ভাবকরা স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ অগ্রহায়ণ (১৭ নভেম্বর) :
‘চারটি স্তম্ভের ভিত্তিতে আমরা সফলভাবে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের উদ্ভাবকরা স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্য অর্জনে তরুণসহ সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুই দেশের সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে উন্নত আগামীর পথে এগিয়ে যাক আমাদের নতুন প্রজন্ম। আমরা চাই কোরিয়ার সাথে আমাদের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হোক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হোক।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত কোইকা বাংলাদেশ এলামনাই নাইট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে কোরিয়া কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রতিচ্ছবি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোরিয়া একসাথে কাজ করার বেশ সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে KOICA বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করার বেশ সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, কোরিয়ার সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সেরা ট্রেনিং ইকোনমিক পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের স্থান করে নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম।
#
সহিদুল/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৮৭
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে
-- এনামুল হক শামীম
সাভার (ঢাকা), ২ অগ্রহায়ণ (১৭ নভেম্বর) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে। অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। এদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হলে তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।
আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের সুর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাকসুর সাবেক ভিপি শামীম একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকায় তাদের ইচ্ছেমত ইতিহাস বানিয়ে বইপত্রে শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছে। ফলে ভুল ইতিহাস পড়ানো হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম এখন স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসটা জানতে পারছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
জাকসুর সাবেক ভিপি এনামুল হক শামীম বলেন, ১৯৭১ সালের দীর্ঘ ৯ মাসের স্মৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এ দেশের মানুষের সামনে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরার বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সামনে দেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা না হলে তারা বিভ্রান্ত হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরলে তারা বিভ্রান্ত হবে না, এটা জোর দিয়ে বলা যায়।
অধ্যাপক একেএম শাহনাওয়াজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম, উপউপচার্য অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মনজুরুল হক, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
#
গিয়াস/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৮৬
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন উৎপাদন হবে, দুর্ভিক্ষ হবে না
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ অগ্রহায়ণ (১৭ নভেম্বর) :
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন উৎপাদন হবে, দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সারা দেশ থেকেই আমনের বাম্পার ফলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমন একটি মূল ফসল। আমরা মনে করেছিলাম, শ্রাবণ মাসে মাত্র একদিন বৃষ্টি হয়েছে, কৃষকরা হয়ত ধান লাগাতেই পারবে না। উৎপাদন কমে যাবে। কিন্তু এই প্রতিকূলতার মধ্যেও আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সবাই বলছে যে স্মরণাতীতকালে সবচেয়ে ভালো ধান হয়েছে।
আজ সচিবালয়ে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেল্লি (Domenico Scalpelli) এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুমান করছে পৃথিবীতে একটি খাদ্য সংকট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটাকে বিবেচনায় নিয়েই সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দূরদর্শী। তিনি আমাদেরকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ও গুরুত্বের সাথে কাজ করছে। স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতা করছে। গত ৬ বছর ধরে রোহিঙ্গাদের জন্য যে খাদ্য প্রয়োজন সেটিও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমেই দেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শেষে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেল্লি বলেন, বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো রকম সম্ভাবনা নেই। তবে ইউএসএ, অস্ট্রেলিয়া, ইউকের মতো উন্নত দেশসহ সকল দেশকেই আগামী বছর খাদ্য নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বের সব দেশকেই গরিব মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলছে আন্দোলন সমাবেশ করে সরকারের পতন ঘটাবে, শেখ হাসিনা পালাবার রাস্তা পাবে না। শেখ হাসিনা কি পালায়? উল্টো দেশে আসে। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁকে দেশে আসতে দেবে না, আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে চাপ প্রয়োগ করি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুও কোনোদিন এদেশ থেকে পালিয়ে যাননি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রতিদিন বলছে শেখ হাসিনা পালাবার রাস্তা পাবে না। সরকারের কেউ পালাবে না। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে এবং যত হুমকিই আসুক ইনশাআল্লাহ জনগণকে নিয়ে রাজনৈতিকভাবেই আমরা সেটা মোকাবিলা করবো।
সরকারের মন্ত্রীরা ১০ ডিসেম্বরকে নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ওইদিন দেশে যুদ্ধক্ষেত্র ঘোষণা করেছেন-বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচিত সরকার। আমাদের দায়িত্ব হলো দেশবাসীর, সব শ্রেণিপেশার মানুষের শান্তি নিশ্চিত করা, তাঁদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সুশৃঙ্খল, অনেক দক্ষ। তারা এটা করবে। তার সঙ্গে আমরা যারা রাজনৈতিক কর্মী বা আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আমাদেরও দায়িত্ব সরকারকে সমর্থন করা, সহযোগিতা করা। আমরা সেটি বলি।
#
কামরুল/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯৪০ঘণ্টা
Handout Number: 4585
Bangladesh, Scotland agree to strengthen
Cooperation in Renewable Energy sector
Dhaka, 17 November:
Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen and Scottish Minister for Environment and Land Reform Mairi McAllan agreed to foster cooperation in the renewable energy sector, during a bilateral meeting held on the sidelines of COP27 in Sharm El Sheikh yesterday.
The two Ministers discussed possibilities of unlocking opportunities for engaging in offshore wind power and hydrogen to further broaden Bangladesh’s energy mix.
At the meting, Minister McAllan underscored Scotland’s support for ‘loss and damage’. Foreign Minister Dr. Momen stressed the critical importance of the issue for climate vulnerable countries. He urged that the concerns of those displaced due to climate change are also addressed as part of that. Dr. Momen also thanked the Scottish government for hosting COP26 in Glasgow in November 2021.
The Bangladesh Ambassador to Egypt Md. Monirul Islam was present at the meeting.
#
Reza/Rahat/Rafiqul/Likhon/2022/Hours 1940
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৮৪
ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেবেন কিন্তু অর্জনগুলো যেন যথাযথ প্রচার পায়
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২ অগ্রহায়ণ (১৭ নভেম্বর) :
গণমাধ্যমের উদ্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, যা কিছু ভুলত্রুটি তা সংশোধন করে সবার সহযোগিতা নিয়ে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই। সেজন্য গণমাধ্যমের সহায়তা প্রয়োজন। আমাদের ভুলত্রুটি অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন কিন্তু অর্জনগুলো যেভাবে প্রচার হওয়ার দরকার সেভাবে উপস্থাপনের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি নিবেদন রইল।’
রাজধানীতে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ হলে আজ তথ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আগত পত্রিকা সম্পাদক, টিভি চ্যানেলের বার্তা সম্পাদক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জ্যেষ্ঠ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। গণমাধ্যম সমাজকে সঠিক চিন্তা করতে সহায়তা করতে পারে, করে। গণমাধ্যম সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করে, করতে পারে। আবার গণমাধ্যম যদি চেষ্টা করে সমাজকে ভুল বার্তাও দিতে পারে। আমরা চাই অবশ্যই আমাদের ভুলত্রুটি আপনারা তুলে ধরবেন। একইসাথে আজকে যে দেশটা বদলে গেল, এই বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে পৃথিবীময় যুদ্ধাবস্থায় বিশ্বমন্দার মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের যে প্রশংসা করে, সেটি অনেক সময় বড় আকারে পত্রিকায় আসে না। কিন্তু কেউ একজন নেতিবাচক কথা বললে দেখা যায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে বড় আকারে পত্রিকায় আসে কিম্বা টেলিভিশনে উপস্থাপিত হয়। আমরা এই ক্ষেত্রে আপনাদের সহায়তা চাই।
সরকারের ভুলত্রুটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো সরকার দাবি করতে পারবে না অতীতে শতভাগ নির্ভুল কাজ করেছে কিংবা ভবিষ্যতে করবে। আমাদের অবশ্যই ভুলত্রুটি আছে কিন্তু সেই ভুলগুলোকে যদি অনেক বড় করে আর অর্জনগুলোকে যদি ছোট করে দেখানো হয়, তাহলে সমাজের সঠিক চিত্র পরিস্ফুটিত হয় না। ১৪ বছর ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছেন এবং তার ফলে আজকে বাংলাদেশ একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে।
ড. হাছান বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের সহায়তা চাই কারণ গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং গণমাধ্যমের সহায়তা ছাড়া বহুমাত্রিক, গণতান্ত্রিক, বিতর্ক এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার ভিত গভীরে প্রোথিত হয় না। একটি কথা নিশ্চয়ই সবাই স্বীকার করবেন- এই দেশে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি চেতনার মূর্ত প্রতীক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দেশে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালির চেতনা-সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশে তার কোনো বিকল্প নেই। দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির যদি ক্ষয় হয়, তাহলে কারা জায়গা করে নেবে সেটি আমাদের ভাবনায় রাখা প্রয়োজন।’
গণমাধ্যমের বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বহুমুখী উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সাড়ে চারশ’ পত্রিকা ছিল এখন সাড়ে বারোশ’। ১০টি টেলিভিশন ছিল, এখন ৩৮টি সম্প্রচারে আছে, আরো কয়েকটি সম্প্রচারে আসার কথা। অনলাইন গণমাধ্যমের এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন যেখান থেকে আমরা সাংবাদিকদের পাশাপাশি অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদেরও বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
চলমান পাতা/২
--০২--
সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা, বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস প্রমুখ।
গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বাসসের প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, কালবেলার উপদেষ্টা সম্পাদক আবেদ খান, সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, কালের কণ্ঠ সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ, গ্লোবাল টিভির প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ডিবিসি নিউজ টিভির প্রধান নির্বাহী মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, দীপ্ত টিভির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ আহমেদ চৌধুরী, একুশে টিভির প্রধান নির্বাহী পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, বাংলাভিশনের প্রধান সম্পাদক ড. আবদুল হাই সিদ্দিক, নেক্সাস টিভির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, গ্লোব জনকন্ঠ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী জিনাত জেরিন আলতাফ, কবি ড. তারিক সুজাত, লেখক আনিসুল হক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মহাপরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, বাংলাদেশ পোস্ট সম্পাদক শরিফ শাহাবুদ্দীন, এশিয়ান এজ সম্পাদক ড. জেসমিন চৌধুরী, বাংলাদেশ টুডে সম্পাদক মোঃ জোবায়ের আলম, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা মামুন, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, সংবাদ সারাবেলা সম্পাদক আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ সমাচার সম্পাদক ড. খান আসাদুজ্জামান, আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাসিমা খান মন্টি, নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি সম্পাদক ড. এনায়েত করিম প্রমুখ। বিবিসি বাংলা থেকে যোগ দেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং কাদির কল্লোল।
অনলাইন গণমাধ্যমের মধ্যে যোগ দেন বিডিনিউজের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, বাংলানিউজ সম্পাদক জুয়েল মাজহার, জাগোনিউজ সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক, বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, সারাবাংলাডটনেট সম্পাদক বদরুল আলম খান, ঢাকা প্রকাশের প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
#
আকরাম/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৮৪০ ঘণ্টা
Handout Namber: 4583
Meeting between Foreign Minister Dr. Momen and
Commonwealth Secretary General Patricia Scotland
Dhaka, 17 November :
Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen met with the Commonwealth Secretary General Patricia Scotland on the sidelines of COP27 in Sharm El Sheikh yesterday. They exchanged views on COP27 issues that are of particular interest to the Commonwealth member states. They particularly discussed ways for the effective implementation of the Commonwealth Blue Charter for a fair, inclusive and sustainable approach to ocean protection and economic development.
Citing Bangladesh as a powerful champion of climate change causes, Secretary General Scotland requested Bangladesh to consider leading one of the Action Groups under the Commonwealth Blue Charter.
Foreign Minister Dr. Momen endorsed the Commonwealth Secretary General’s suggestion to create a high-level core group for raising awareness on mental health issues. He also requested to provide increased number of Commonwealth scholarships for Bangladeshi students. The Secretary General informed the Minister about a new opportunity being created for training young people from the Commonwealth member states in artificial intelligence and machine learning.
The Bangladesh Ambassador to Egypt Md. Monirul Islam was present at the meeting.
#
Reza/Rahat/Rafiql/Likhon/2022/Hours 1755
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৮২
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বর্তমান অর্থবছরের
১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে আইসিটি বিভাগ
ঢাকা, ২ অগ্রহায়ণ (১৭ নভেম্বর) :
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বর্তমান অর্থবছরের ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে আইসিটি বিভাগ। আজ অনলাইনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত এবং অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি বিষয়ক এ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ-সহ প্রমুখ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নতি লাভ করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে আইসিটি বিভাগ। করোনাকালীন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। একই সাথে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ নানারকম অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুপরামর্শে বাংলাদেশও তার রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন কৌশল অবলম্বন করে। এরই আলোকে প্রতিটি মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব পরিচালনা কৌশলে পরিবর্তন আনতে শুরু করে।
পলক আরো বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ইভেন্টে অংশগ্রহণ করাসহ আয়োজন করে থাকে। ২০২১-২২ অর্থবছরেও বিভিন্ন রকম আয়োজন অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার বিশেষ কৌশলের আলোকে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যয় সংকোচনসহ নিয়মিত ক্যাম্পেইন, ইভেন্ট বা অনুষ্ঠান আয়োজনে কিছুটা পরিবর্তন আনে।
প্রতিমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফ্ল্যাগশিপ অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আয়োজনগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২২, ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড ইনোভেশন এক্সপো, বিপিও সামিট, ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ, ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, ১৬তম ইন্টারন্যাশনাল চিল্ড্রেনস ফিল্ম ফেস্টিভাল, ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইটি (ডব্লিউসিআইটি), বাংলাদেশ ইন্ডিয়া স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ, জাপান আইটি উইক, চ্যানেল আই ডিজিটাল বাংলাদেশ মিডিয়া এওয়ার্ড, রোডশো দুবাই/লন্ডন ব্রান্ডিং, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ) অন বাংলাদেশ, টেক কার্নিভাল, বিজয় দিবসের যান্ত্রিক বহরে ব্রান্ডিং, বুয়েট সিএসই ফেস্ট এবং আইসিটি জাম্বুরি (বাংলাদেশ স্কাউট) আয়োজনগুলোর মধ্য থেকে উল্লেখিত কয়েকটি ইভেন্টের জন্য ইতোমধ্যে ইওআই ও ওটিএম আহ্বান করা হয়েছিল। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইভেন্টসমূহ এবছর বাতিল করা হয়েছে। তবে জাতীয় দিবস বিবেচনায় “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস” সীমিত পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
চলমান পাতা - ২
--- ২ ---
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো জানান, উল্লেখিত অনুষ্ঠানগুলোর জন্য মোট বাজেট ছিল ৭৫ কোটি টাকা। দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা আয়োজন না করা হলে উক্ত আয়োজনের প্রায় ৩০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হত। কিন্তু ২০১৭ সালে আইসিপিসি আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয় যার ফলে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সম্মান অটুট রাখার জন্য প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপ নামে খ্যাত উক্ত আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আইসিটি বিভাগ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক মন্দার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সামগ্রিকভাবে ব্যয়ের পরিমাণ হ্রাসকরণে সচেষ্ট।
উল্লেখ্য, ভুল বশত বা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গত ১৫ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোতে “চলতি অর্থবছরে অনুষ্ঠানের জন্য ৭৫ কোটি টাকা চেয়েছে আইসিটি বিভাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয় যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নজরে আসে। উক্ত সংবাদটির শিরোনাম ও উল্লেখিত তথ্যাদি পাঠক কিংবা জনসাধারণের নিকট ভুলভাবে উপস্থাপিত হতে পারে বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে বিধায় এ প্রেস ব্রিফিংয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছে আইসিটি বিভাগ।
#
সোহাগ/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৮১
সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্মৃতি সংরক্ষণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে
--- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
ঢাকা, ২ অগ্রহায়ণ (১৭ নভেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্মৃতি সংরক্ষণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আজ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহে ২০২১-২২ অর্থবছর হতে সকল শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতা বিশ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ও সমন্বিত তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধপূর্ব ঐতিহাসিক ঘটনাবলি, মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনা ও স্থানসমূহকে আগামী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানাবিধ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আরো বলেন, ইতোমধ্যে জেলায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বরিশালের বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
#
আহসান/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৮০
বিজিবি এবং বিএসএফ এর মধ্যে অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলন সমাপ্ত
ঢাকা, ২ অগ্রহায়ণ (১৭ নভেম্বর) :
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর রিজিয়ন কমান্ডারস (রংপুর ও যশোর রিজিয়ন) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেলস্ (সাউথ বেঙ্গল, নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ার)-এর মধ্যে ৪ দিনব্যাপী ১৮তম সীমান্ত সম্মেলন গতকাল সমাপ্ত হয়েছে।
বিজিবি’র উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন, রংপুর-এর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান, বিএসপি, পিএসসি’র নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। অপরদিকে, বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. অতুল ফুলজেলে, আইপিএ’র নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।
সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে- সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা, আহত, মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় যৌথ টহল পরিচালনা, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি আরো বেগবান করা এবং বিভিন্ন আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণসহ সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ; বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ বিশেষ করে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ও নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ইত্যাদি পাচার রোধ, স্বর্ণ, অস্ত্র ও গরু চোরাচালান রোধে উভয় বাহিনীর মধ্যে তাৎক্ষণিক ও দরকারী তথ্য আদান-প্রদান এবং এ ধরনের অপরাধ নির্মূলে এর সাথে জড়িত ও আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ; সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ টহল বৃদ্ধি; আন্তর্জাতিক সীমানা লংঘন করে অবৈধভাবে সীমানা অতিক্রম/অবৈধ অনুপ্রবেশ করা থেকে সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে বিরত রাখতে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করার বিষয়েও উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ ও অননুমোদিত নির্মাণকাজ না করার ব্যাপারে এবং বন্ধ থাকা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলো পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। এছাড়া উভয় পক্ষই বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে এবং পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য প্রীতি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপ আয়োজন করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর ভারতের কলকাতায় এ সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়।
#
শরিফুল/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৪৫৭৯
এলডিসি গ্রাজুয়েশন সংক্রান্ত ন্যাশনাল সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত