তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৬৯
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি নং ৬
সমুদ্রবন্দরের জন্য তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমী নি¤œচাপটি কার্যতঃ একই এলাকায় স্থির রয়েছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছিল (২২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০ দশমিক ২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়োহাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নি¤œচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর মাঝারি ধরণের উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ (তিন) নম্বর পুনঃ ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্কতাসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের জন্য বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তা
চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমী নি¤œচাপের প্রভাবে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে
#
সাইফুল্লাহ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২১৪৫ঘণ্টা
Handout Number : 2068
Shahriar Alam attends Golden Jubilee Celebration
of the Independence of Maldives
Male (Maldives), July 28 :
Bangladesh State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam arrived in Male, Maldives yesterday on a two-day official visit to represent Bangladesh government to the celebration of 50th Independence Day of the Maldives. The celebration began yesterday through a grand reception hosted by the President of Maldives Abdulla Yameen Abdul Gayoom in honour of the visiting foreign dignitaries. The event held at a compound specially built for this occasion was attended by about 400 foreign dignitaries from different countries.
Meeting with Maldivian FM
In the sidelines of the event, Shahriar Alam held bilateral meetings with the Foreign Minister of Maldives at the Maldivian Foreign Ministry.
At the outset of his meeting with Maldivian Foreign Minister Dunya Maumoon, Shahriar Alam congratulated the people of Maldives on the occasion of their 50th Anniversary of Independence and conveyed the warm greetings of the President, the Prime Minister and the Foreign Minister of Bangladesh to the government and people of Maldives. The State Minister thanked the government of Maldives for its decision to re-open their Mission in Dhaka. The State Minister informed that Bangladesh got a large pool of skilled and semi-skilled workforce in different trades which could meet requirement of Maldives in various sectors.
Shahriar Alam expressed satisfaction over the signing of the MoU between the two countries in Healthcare and Medical Sciences Sectors which would facilitate employment of Bangladeshi medical professionals of different categories in Maldives and placement of the Maldivian students in the Bangladeshi medical and dental colleges. He mentioned that Bangladesh could provide Maldives with high quality and international standard products such as readymade garments, medicine, jute and leather goods, plastic items, ceramic items etc. at competitive prices. He stressed on opening direct shipping link between Bangladesh and Maldives and also removal of some trade barriers by the Maldivian government.
Shahriar Alam stated that Bangladesh being one of the worst affected countries by climate change shared its concerns with Maldives and joined hand with global communities in efforts to mitigate the adverse impacts. Given the huge opportunities created in Bangladesh in blue economy sector, particularly after delimitation of the maritime boundaries, the State Minister urged the Maldivian government as well as private entrepreneurs to use their expertise and invest in this sector in Bangladesh, specially in the deep sea fishing.
During the meeting, Maldivian Foreign Minister Dunya Maumoon applauded the contribution made by the Bangladeshi workforce (around 80 thousand) in the economic development of Maldives.
#
Khaleda/Saifullah/Mizan/Sanjib/Selim/2015/1940 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৬৭
মতবিনিময়সভায় মেহের আফরোজ চুমকি
মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছরই থাকবে
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি মেয়েদের বিয়ের বয়স সম্পর্কে কোন প্রকার বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর ছিলো, ১৮ বছরই থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ব্র্যাক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। নারীর ক্ষমতায়নকে এ সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এ সরকারের আমলে নারীবিরোধী কোন আইন হবে না।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি মিলি বিশ্বাস, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, সিডও কমিটির সাবেক চেয়ারপারসন সালমা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজমা চৌধুরী, উইমেন ফর উইমেন এর চেয়ারপারসন জাকিয়া হাসান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ডিএফআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রিডিরেক্টর সারা কুকি এবং গণমাধ্যমকর্মী ফারজানা রূপা।
ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগের ‘মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব’ কর্মসূচি আয়োজিত ‘বাল্যবিবাহ নির্মূলকরণে করণীয়’ শীর্ষক এ মতবিনিময়সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস ডাইভারসিটি অ্যান্ড মাইগ্রেশন কর্মসূচির পরিচালক জেন্ডার বিশেষজ্ঞ শীপা হাফিজা।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বাল্যবিয়ের কারণগুলো চিহ্নিত না হলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবেনা। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই বর্তমান সরকার সমস্যার মূলে হাত দিয়েছে। দারিদ্র্য, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, অভিভাবকদের অজ্ঞতা, অভিভাবক ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাব ইত্যাদি কারণকে বাল্যবিয়ের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব কারণেই সরকার আইনের বাস্তবতা খতিয়ে দেখছে। তিনি এব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাল্যবিবাহ বন্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
#
খায়ের/সাইফুল্লাহ/মিজান/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৬৬
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির সাথে সাবের হোসেন চৌধুরীর সাক্ষাৎ
মালদ্বীপ, ২৮ জুলাই :
ওহঃবৎ চধৎষরধসবহঃধৎু টহরড়হ (ওচট) এর সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি গতকাল মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমের সাথে রাষ্ট্রপতি মালের কার্যালয়ে এক সভায় মিলিত হন। এ সময় মালদ্বীপের সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও মালদ্বীপ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি গাইয়ুম ওহঃবৎ চধৎষরধসবহঃধৎু টহরড়হ (ওচট) এর সাথে মালদ্বীপের সংসদের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ককে স্বাগত জানান এবং ২০১৫ সাল পরবর্তী টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে মালদ্বীপের সংসদকে কার্যকর এবং উপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মালদ্বীপ সরকারের সহযোগিতা এবং অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করে সার্ক দেশসমূহের মধ্যে সংসদীয় পর্যায়ে সম্পর্ক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক ক্ষতির ঝুঁকি হ্রাসকরণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করেন।
#
সাইফুল্লাহ/নবী/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২২২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৬৫
জাইকা সদরদপ্তরে ওবায়দুল কাদের
ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস ও মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সম¥তি
টোকিও, ২৮ জুলাই :
ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস ও মেট্রোরেল রুট-১ নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা।
আজ টোকিওতে জাইকা’র সদরদপ্তরে সংস্থাটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট উড়সরপযর ঐরফবধশর-র নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সাথে জাপান সফররত সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি’র নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ বিষয়ে দু’পক্ষ সম্মত হয়।
বৈঠকে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস ও মেট্রোরেল রুট-১ নির্মাণে অর্থায়নের প্রস্তাব ছাড়াও মেট্রোরেল রুট-৫, যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ, পদ্মা সেতুর সাথে সংযুক্ত চরজানাজাত সংযোগ, ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া-কালনা সংযোগ সড়ক, পাঁচগাছি সেতু, সোনাপুর-সোনাগাজী-জোরারগাছ সড়ক নির্মাণে জাইকা’র মাধ্যমে জাপান সরকারের অর্থায়নের প্রস্তাব করেন।
মন্ত্রী ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে উত্তরা হতে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল-৬ নির্মাণ, ২য় কাঁচপুর, ২য় মেঘনা ও ২য় গোমতি সেতু নির্মাণ, ঢাকা মহানগরীর জন্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিবহণ পরিকল্পনা (এসটিপি) হালনাগাদকরণ এবং ই-টিকেটিং এর ক্লিয়ারেন্স হাউস স্থাপনে জাইকা’র অর্থায়নের জন্য ধন্যবাদ জানান।
জাইকা’র পক্ষ হতে জানানো হয়, কৌশলগত পরিকল্পনা হালনাগাদকরণের পাশাপাশি মেট্রোরেল রুট-১ ও ইস্টার্ন বাইপাস নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। যমুনা নদীর উপর দিয়ে একটি রেলসেতু নির্মাণে জাপান সরকার অর্থায়ন করবে বলে এসময় জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরকালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ অবকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগ খাতের প্রকল্পসমূহ এগিয়ে নিতে জাইকা কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন।
এসময় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য জাপান সরকার ও জাপানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বীকৃতি দানকারী প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম।
তিনি জাইকা’র অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান। তিনি মেট্রোরেল-৬ এর কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়নে আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
জাইকা’র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল তরুণ শ্রমশক্তি। তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এসময় জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. জীবন রঞ্জন মজুমদার, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব আবদুল মালেকসহ সফরকারী প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী টোকিও মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় টিকেটিং সিস্টেম, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যাত্রী-ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন।
#
ওয়ালিদ/সাইফুল্লাহ/মিজান/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৬৪
মিট দ্য প্রেসে পরিকল্পনা মন্ত্রী
সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ৯১%
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) এডিপি বাস্তবায়ন হার ৯১ শতাংশ বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ সকালে পরিকল্পনা কমিশনে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ এ পরিকল্পনা মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে সংশোধিত এডিপি বরাদ্দ ছিল ৭৭ হাজার ৮শ ৩৬ কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে ব্যয় হয়েছে ৭১ হাজার ১শ ৩৯ কোটি টাকায়। শতকরা হিসেবে তা ৯১ ভাগ।
বাস্তবায়ন হার এবছর একশভাগ হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বছরের শুরুতে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাস বিএনপি, জামায়াতের সহিংস রাজনীতি এবং পদ্মাসেতু প্রকল্প থেকে শেষ পর্যন্ত ৩৩০০ কোটি টাকা অব্যবহৃত থাকায় বাস্তবায়ন হার ৯১ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন,রাজনীতিতে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য যে সহিংসতা তাকে কিছুতেই রাজনীতি বলা যায় না'।
এডিপি বাস্তবায়ন শতভাগ হতে হলে সামগ্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে উল্লেখ করে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা যদি ৭৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে না পারি তবে এবছর ১ লাখ কোটি টাকা ব্যয় করবো কেমন করে? এজন্য সরকারি কর্মকর্তাদের মিলিতভাবে একটি দল হিসেবে কাজ করতে হবে। কাজের গতি আরো বাড়াতে হবে। সেইসাথে স্থানীয় লোকজনদের প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত করা গেলে প্রকল্প আরো সুষ্টুভাবে সম্পন্ন হবে।
যেসব প্রকল্প পরিচালক ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৩০ জন প্রকল্প পরিচালককে বদলি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এ বার্তা দিচ্ছি যাতে করে কোন প্রকল্প পরিচালক এটা মনে না করেন প্রকল্পে কাজ ঠিকমতো না করে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আরাম আয়েশে সময় কাটিয়ে দেয়া যায়।
বছর শেষে এডিপি ব্যয় হিসেবে অর্থ বিভাগ ও আইএমইডি’র মধ্যে অমিল থাকে কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আইএমইডি পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ থেকে বরাদ্দের হিসাব তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ে থাকে। অপরদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয় অডিট রিপোর্ট পাওয়ার পর বরাদ্দের হিসাবকে গ্রহণ করে বলে পূণাঙ্গ হিসাব পেতে দেরি হয়।
কোন কোন মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার শতভাগের বেশি কিভাবে হয় এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে প্রকল্প শেষ হওয়ার সুযোগ থাকলে ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্প শেষ করে ফেলা হয়। এতে করে ঐ বছর ঐ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হার বেড়ে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে আহম মুস্তফা কামাল বলেন, এখন থেকে একটি প্রকল্পের সংশোধন বারবার করা যাবে না। প্রকল্পের সংশোধনের প্রয়োজন হলে নতুন প্রকল্প হিসেবে আনতে হবে। যেসব প্রকল্প বছরের পর বছর ধরে চলছে সেসব প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ১০০ থেকে ১২৫টা প্রকল্প বর্তমানে বছরের পর বছর ধরে চলছে। আমরা মনে করি এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের আর দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেতে এ প্রকল্পগুলো আমরা একনেকে উত্থাপন করবো।
#
তাপস/সাইফুল্লাহ/মিজান/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৬৩
জেন্ডার গ্যাপ সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য
সুজনের সংবাদ সমে¥লনে উপস্থাপিত তথ্যাদি সম্পূর্ণ ভুল
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
সম্প্রতি সুজন নামের একটি সংস্থার পক্ষ হতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে যে, দেশে ভোটার অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে নারী ভোটার আশঙ্কাজনক কমে গেছে অর্থাৎ জেন্ডার গ্যাপ বেড়েছে। সম্মেলনে পুরুষ ও নারী ভোটারের কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়েছে- সর্বশেষ ২০১৪-১৫ সালে হালনাগাদের পর পুরুষ ও নারী ভোটারের পার্থক্য ১২% অর্থাৎ নারী ভোটার কমে গেছে ১২%।
প্রকৃতপক্ষে সুজন কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে নারী ভোটার কমে যাওয়ার যে তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয়েছে তা সঠিক নয়। প্রকৃত তথ্য নি¤œরূপ-
বছর মোট ভোটার পুরুষ মহিলা % পুরুষ % মহিলা
২০০৭-২০০৮ ৮১১৩৩৪৪৮ ৩৯৮৪৫৭৪১ ৪১২৮৭৭০৭ ৪৯.১১১৩৬ ৫০.৮৮৮৬৪
২০০৯-২০১০ ৮৫১৯২৫৫৬ ৪২১৩৯৬২৫ ৪৩০৫২৯৩১ ৪৯.৪৬৩৯৮ ৫০.৫৩৬০২
২০১২-২০১৩ ৯১৭৫৪৫৮২ ৪৬১০৯৩৭৩ ৪৫৬৪৫২০৯ ৫০.২৫২৯৪ ৪৯.৭৪৭০৬
২০১৪ ৯৬১৩০০১৮ ৪৮৪৩৯০৫২ ৪৭৬৯০৯৬৬ ৫০.৩৮৯১ ৪৯.৬১০৯
উপরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ২০০৮ সালে ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি হয়েছে। অথচ ঐ সময়ে ২০০১ সালে আদমশুমারি অনুযায়ী নারীর চেয়ে পুরুষ সংখ্যা বেশি ছিল [পুুরুষ ৫১.৫৪% এবং নারী ৪৮.৪৬%]। স্পষ্ঠতঃ ২০০৮ সালে অনেক পুরুষ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। পরবর্তীতে পুরুষের বিপরীতে যে জেন্ডার গ্যাপ ছিল তা হালনাগাদ কর্মসূচিতে ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে।
১৫ জুন ২০১৫ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজ অনুযায়ী পুরুষ ও নারী ভোটারের শতকরা হার যথাক্রমে ৫০.৩৯ এবং ৪৯.৬১; যা ২০১১ সালের আদামশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার শতকরা হারের প্রায় কাছাকাছি [২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার হার পুরুষ ৫০.০৬ এবং নারী ৪৯.৯৪]।
সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু জেলায় নারী ভোটার হওয়ার সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে সবচেয়ে বড় জেন্ডার গ্যাপ হলো ফেনীতে যা- ৩৫.৩%, লক্ষ¥ীপুরে ৩০.৮২%, নোয়াখালীতে ২৬.৪৪%, চাঁদপুরে ২৫.৭২%, কুমিল্লায় ২৩.৪%, কক্সবাজারে ২২.৫৮% এবং ভোলায় ২০.২৩%।
প্রকৃতপক্ষে উল্লিখিত জেলাসমূহের ভোটার সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ফেনীতে পুরুষ ও নারী ভোটারের শতকরা হার যথাক্রমে ৫০.৩৭ ও ৪৯.৬৩, লক্ষ¥ীপুরে ৫০.৩৪ ও ৪৯.৬৬, নোয়াখালীতে ৫০.৩৭ ও ৪৯.৬৩, চাঁদপুরে ৫০.৬১ ও ৪৯.৩৯, কুমিল্লাতে ৪৯.৯৫ ও ৫০.০৪, কক্সবাজারে ৫১.৪১ ও ৪৮.৫৮ এবং ভোলায় ৫০.৬৩ ও ৪৯.৩৬। এতে দেখা যায়, সুজনের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত তথ্যাদি সম্পূর্ণ ভুল।
একটি সম্পূর্ণ নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য ভোটার তালিকা প্রণয়নে নির্বাচন কমিশন সর্বদাই সজাগ, যতœবান ও বদ্ধপরিকর। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত জাতীয় সম্পদ ছবিসহ ভোটার তালিকাকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিতর্কিত না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
#
আসাদুজ্জামান/সাইফুল্লাহ/মিজান/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৬২
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ডাচ রাষ্ট্রদূতের বিদায়ি সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সাথে বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস্ এর রাষ্ট্রদূত গার্বেন ডি ইয়ং (এবৎনবহ ফব ঔড়হম) আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিদায়ি সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত গার্বেন বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস্ এর মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়েই দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং এলক্ষ্যে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গত তিনবছর বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সকল সহযোগিতার জন্য নেদারল্যান্ডস্ এর বিদায়ি রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এদেশে তাঁর কর্মকাল অত্যন্ত আনন্দময় ও ফলপ্রসূ ছিল বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
মাহমুদ আলী রাষ্ট্রদূত গার্বেন ডি ইয়ং এর সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য এবং নেদারল্যান্ডস্ এর জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করেন।
#
খালেদা/সাইফুল্লাহ/মিজান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৫/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৬১
ড. এপিজে আবুল কালামের মৃত্যুতে রাশেদ খান মেননের শোক
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এপিজে আবুল কালামের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন ।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, ভারত রতœ খেতাবে ভূষিত ড. আবুল কালাম কেবল একজন বৈজ্ঞানিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক সফল রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর মৃত্যুতে ভারত হারাল একজন মহান ব্যক্তি আর হারিয়েছে এক বিরল প্রতিভা। তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়।
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
শেফায়েত/সাইফুল্লাহ/মিজান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৫/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৬০
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুতে
স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও চিফ হুইপের শোক
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও ভারতের পরমাণু বোমার জনক এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।
এক শোকবাণীতে স্পিকার বলেন, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম ছিলেন সারাবিশ্বের জ্ঞানের বাতিঘর। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে, আর বিশ্ব হারিয়েছে একজন জ্ঞানের সাধককে। তাঁর মৃত্যু সারাবিশ্বের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এ ক্ষতি কোনভাবেই পূরণ হবার নয়।
স্পিকার তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের শোক
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।
এক শোকবাণীতে ডেপুটি স্পিকার বলেন, জ্ঞানতাপস এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুতে সারাবিশ্ব একজন জ্ঞানের সাধককে হারিয়েছে। এ ক্ষতি কোনভাবেই পূরণ হবার নয়।
ডেপুটি স্পিকার মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপের শোক
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।
চিফ হুইপ মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
#
নূরুল/অনসূয়া/শাহআলম/খাদীজা/লাভলী/২০১৫/১১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৫৯
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৫ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সাগর নদী সকল জলে, মাছচাষে সোনা ফলে’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। এ উপলক্ষে আামি দেশের সকল মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবীসহ মৎস্যখাত সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির একটি অংশ। আমাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদাপূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্যবিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে মৎস্যখাত তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশের ১১ শতাংশের বেশি মানুষের জীবনজীবিকা মৎস্যখাতের উপর নির্ভরশীল। জিডিপিতে মৎস্যসম্পদের অবদান ৩.৬৯ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে প্রায় ২২.৬০ শতাংশ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে তখনই মৎস্যখাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাস্তবধর্মী ও সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে প্রায় ৮৩ হাজার ৫২৪ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যরপ্তানির মাধ্যমে দেশ আয় করেছে
৪ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা।
প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনা ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধনিষ্পত্তির মাধ্যমে আমরা গভীর সমুদ্রে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকার মালিকানা অর্জন করেছি। বিশাল এই সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথা মৎস্য আহরণ, বৈদেশিক মুদ্রার্জন ও জীবিকানির্বাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমরাই প্রথমবারের মতো জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদানের কাজ শুরু করি যা এখন সফল সমাপ্তির পথে। ভিজিএফ কার্যক্রমের আওতায় ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে মৎস্যজীবীদের পরিবারপিছু ৪০ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে এবং একইসাথে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে। বিপুল সম্ভাবনাময় মৎস্যখাত এ লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মৎস্যখাতের সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাই আরও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।
আমি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচি সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/অনসূয়া/শাহআলম/খাদীজা/আসমা/২০১৫/১২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৫৮
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৫’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষি, ব্যবসায়ী, মৎস্যবিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্যখাতের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ পূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানসহ রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে এ খাত থেকে। সরকার মৎস্য খাতের উন্নয়নে মৎস্যচাষ কার্যক্রম সম্প্রসারণসহ উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম, মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ ও মৎস্য গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। ফলে মাছের উৎপাদন পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিককালে সমুদ্র বিজয়ের ফলে ‘ব্লু-ইকোনমি’র বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। দেশের সমৃদ্ধির জন্য এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে দক্ষ জনবল ও লাগসই প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
অভ্যন্তরীণ মুক্তজলাশয় ও অন্যান্য বদ্ধজলাশয়ে পরিকল্পিত