তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯৮
জুলিও কুরিই বিশ্বশান্তিতে অবদানের শ্রেষ্ঠ ও যথার্থ পুরস্কার
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জুলিও কুরিই বিশ্বশান্তিতে অবদানের শ্রেষ্ঠ ও যথার্থ পুরস্কার। এ যাবৎকাল যাঁরা এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তাঁদের জীবনী পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাঁরা সত্যিকার অর্থেই বিশ্বশান্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসের, বিখ্যাত মানবাধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং প্রমুখের মতো বিশ্ববরেণ্য নেতা ও ব্যক্তিত্ববর্গ।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত বিশেষ আবৃত্তি আয়োজন ‘কবিতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক কথামালা, আবৃত্তি ও কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি ছিল বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের। কেননা, তিনি ছিলেন বিশ্ব শান্তির বার্তাবাহক। মানবতার মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নোবেল পুরস্কার এর নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে ব্যক্তি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সুদ নেন, তিনি কি করে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান? প্রতিমন্ত্রী এসময় আগামী ২৮ মে ২০২৩ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশের ৪৯২টি উপজেলায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উৎসব উদ্যাপন করা হবে বলে জানান।
বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি নূরুল হুদা, দেওয়ান সাঈদুল হাসান, ডালিয়া আহমেদ, জয়ন্ত রায়, শাহাদাৎ হোসেন নিপু, কবি মিনার মনসুর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী।
#
ফয়সল/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৯৭
মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবে
--স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর যে-কোনো ধরনের অংশীদারিত্বমূলক বোঝাপড়ায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
আজ চলমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের সাইড লাইনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি গ্লোবাল কোভ্যাক্স ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানসহ ভ্যাকসিন পরিবহণ, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ্ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারি হ্যাভিয়ার বে’চারা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এর মতো মহামারি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতামূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন। জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ন্যায্যতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অধিকতর উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একসাথে কাজ করবে বলে জানান।
এছাড়া, তাঁরা স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা এবং মহামারি অতি দ্রুততার সাথে মোকাবিলায় জেনেটিক ইনফরমেশন শেয়ারিং, ভ্যাকসিন শেয়ারিং এবং মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থা উদ্ভাবন করে তা সারা বিশ্বে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় এ ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তি/সমঝোতা ফলপ্রসূ হতে পারে মর্মে একমত পোষণ করেন।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সেক্রেটারির পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, ইউএসএইড, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেনেভাস্থ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার-সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ও জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী একই দিনে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথেও বৈঠকে মিলিত হন।
#
মাইদুল/রাহাত/সঞ্জীব/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৯৪১ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯৬
বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির মাধ্যমে শান্তিপ্রিয়
বাঙালি জাতিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন
-- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির মাধ্যমে শান্তিপ্রিয় বাঙালি জাতিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। তিনি সারা জীবন নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি
উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছেন। তিনি দেশের লাখ লাখ গৃহহীন মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করে গৃহহীন মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। মন্ত্রী এ সময় সবাইকে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ শহিদুল আলম ও বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আনোয়ার হোসেন মল্লিক।
#
রাশেদুজ্জামান/রাহাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯৫
পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে
--- কৃষিমন্ত্রী
পাবনা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সফলভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে দেশে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা ও সংকট দূর হবে এবং পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে। তিনি বলেন, দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় কিন্তু এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজের ঘাটতি হয়, দাম অস্বাভাবিক হয়। ফলে পাশের দেশ ভারত থেকেই আমদানি বেশি করতে হয়, ভারত অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে, এতে চরম সংকট দেখা দেয়। সেজন্য সরকার পেঁয়াজ সংরক্ষণে গুরুত্ব দিচ্ছে।
আজ পাবনার সাথিয়া উপজেলার পূর্ব বনগ্রামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নির্মিত পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের দেশীয় মডেল ঘর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। এর ফলে কৃষকেরা মৌসুমে কম দামে দ্রুত পেঁয়াজ বিক্রি করে দেয়। মৌসুম শেষ হলে পেঁয়াজের বাজার আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায়। সেজন্য, সরকার পেঁয়াজ সংরক্ষণের এই পরীক্ষামূলক ঘর চালু করছে। যেখানে ৪-৫ মাস পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। এটিতে সফল হলে দেশে পেঁয়াজের সংকট হবে না, আমদানিও করতে হবে না বরং রপ্তানি করা যাবে।
এ সময় পেঁয়াজ আমদানির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সকলের স্বার্থ বিবেচনা করে কয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরে ব্যবহৃত বিদ্যুৎকে ভর্তুকি বা কৃষিখাতে বিবেচনা করার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হলো কৃষক যেন তাঁদের ঘাম ও পরিশ্রমের সঠিক দাম পায় এবং কম আয়ের মানুষের জন্য এই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মশলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে। উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দুই শ্রেণির জন্য এর সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। আর পেঁয়াজকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করতে কৃষকের নিজের এবং মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবিত পরামর্শ গ্রহণ করে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে হবে।
এ সময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মাসুদ করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলমান পাতা - ২
পেঁয়াজ রসুন সংরক্ষণাগার (মডেল ঘর)
প্রতিটি ঘরে বাতাস চলাচলের জন্য ৬টি বায়ু নিষ্কাশন পাখা সংযুক্ত রয়েছে। মূলত ভ্যান্টিলেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকার কারণেই সংরক্ষিত পেঁয়াজ-রসুন পচবে না। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য প্রতিটি ঘরে হাইগ্রোমিটার রয়েছে।
‘কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২১ হতে জুন ২০২৬, মোট বাজেট ২৫ কোটি টাকা। ঢাকা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পাবনা ৭টি জেলার ১২টি উপজেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করা হবে। এবছর ২০২২-২৩ সালে মোট ৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ২৫০-৩০০ মণ পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ করা যাবে। প্রতিটি ঘরের আয়তন প্রায় ৩৭৫ বর্গফুট। ৩টি স্তরের এই সংরক্ষণ ঘরের স্থায়িত্ব কমপক্ষে ১৫-২০ বছর।
পেঁয়াজের উৎপাদন ও বিপণনের বর্তমান চিত্র: ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লাখ মে. টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এবছর ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫-৩০% বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ লাখ মে. টন। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে প্রায় ২৮-৩০ লাখ মে. টন। ২০২১-২২ অর্থ বছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬ দশমিক ৬৫ লাখ মে. টন।
পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়ন করছে রোডম্যাপ। এতে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। গত ২ বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দু’বছর আগে যেখানে উৎপাদন হতো ২৫ লাখ টনের মতো, এখন উৎপাদন হচ্ছে ৩৫ লাখ টন। বিপরীতে দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৮-৩০ লাখ টন। এর ফলে দেশে পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু উৎপাদিত পেঁয়াজের ৩০-৩৫% নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য আমদানি করতে হয়। এছাড়া পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোনো প্রযুক্তি বা কোল্ড স্টোরেজ দেশে নেই।
এ অবস্থায় পেঁয়াজ সংরক্ষণে আশার আলো হতে পারে দেশীয় মডেল ঘর। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এ ঘরে কৃষকেরা সহজেই ৩-৪ মাস পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ করতে পারবেন।
#
কামরুল/আরমান/রাহাত/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯৪
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ০৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ১০১জন।
#
রাশেদা/আরমান/সঞ্জীব/রফিকুল/লিখন/২০২৩/ঘন্টা১৭১৮
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৯৩
নদীর তীর দখল প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এক্ষেত্রে কোনো আপস করা হয়নি
--নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০০৪ সালের ২৩ মে লঞ্চডুবির ঘটনাটি দুর্ঘটনা, এটি ঠিক নয়; এটি অবহেলা। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে এসে বলেছিলেন, ‘নদীর নাব্যতা কমে গেছে, এর প্রবাহ ধরে রাখতে হবে।’ নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। সেই সাতটি ড্রেজার থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র ডেজার বহরে আটটি ড্রেজার হয়নি। এটাই বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর নদীর দখল ও দূষণ নিয়ে ভাবা হয়নি। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ক্ষমতায় থেকে বাংলার মানুষের প্রতি অবহেলা করেছে। বাংলার মানুষের ওপর রোলার চালিয়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে নদী, প্রাণ-প্রকৃতি ও সমুদ্র সম্পদভিত্তিক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘নোঙর ট্রাস্ট’ আয়োজিত ‘নদী আমাদের মা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
‘নোঙর ট্রাস্ট’ এর চেয়ারম্যান সুমন শামস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নদী গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ, মেরিন হাইস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নৌস্থপতি মোঃ শামসুল আলম, বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস এবং রিভারাইন পিপল এর মহাসচিব শেখ রোকন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় নৌ ও রেলপথকে বাদ দিয়ে সড়কের জন্য অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো- ব্যবসায়ীদের লাভবান করা আর মুনাফার একটি অংশ সরকারের লোকদের দেয়া। সাশ্রয়ী নৌ ও রেল পথের প্রতি তারা সজাগ ছিল না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে আরো ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। নদী তীরের দখল প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো আপস করা হয়নি।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে একটি ক্রুজ ভেসেল সংগ্রহ করতে যাচ্ছি, যা দিয়ে বিদেশি পর্যটকদের সেবা দেয়া যাবে। বাংলাদেশের নেভাল আর্কিটেক্টদের নির্মিত জাহাজ বিদেশে যাচ্ছে। নেভাল আর্কিটেক্টদের কর্মক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে। নৌসেক্টরের মাধ্যমে যাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে যেতে না পারে সে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিদেশি জাহাজ মনিটরিং ও দিকনির্দেশনার জন্য আটটি লাইটহাউজ (বাতিঘর) নির্মাণ করা হচ্ছে। জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ভিটিএমএস) চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের কারণেই এসব সম্ভব হয়েছে। নদী তীরে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ হাঁটতে পারছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৩ মে চাঁদপুরের মেঘনায় ‘এমভি লাইটিং সান’ নামের লঞ্চডুবির ঘটনায় ২০০৫ সাল থেকে নোঙর ট্রাস্ট ২৩ মে-কে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে।
#
জাহাঙ্গীর/রাহাত/সঞ্জীব/রফিকুল/লিখন/২০২৩/ঘণ্টা১৯৩৪
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯২
স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম উন্নয়ন সহায়ক ও গণতন্ত্রে অপরিহার্য
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে):
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, স্বাধীন, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য। একইসাথে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।
আজ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিট উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভলোপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী Khieu Kanharith, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী Maung Maung Ohn, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী Toelupe Poumulinuku Onesemo এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী Sakiusa Tubuna বক্তব্য রাখেন। তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য 'অর্থনীতিকে আরো টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা’।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুণরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশে প্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। একইসাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি করে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স প্রদান করেছে যাতে এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
আমাদের দেশ এবং এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে, প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন হাছান মাহ্মুদ ।
#
আকরাম/আরমান/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৭২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯১
জুলিও কুরি শান্তি পদক বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধুর মর্যাদা এনে দিয়েছিল
-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে) :
‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধুর মর্যাদা এনে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। 'এতে বাঙালি জাতি যেমন গর্বিত হয়েছে, তেমনি বিশ্ববাসীও বঙ্গবন্ধুর মত ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা দিতে পেরে গর্বিত হয়েছে', বলেন তিনি।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর আয়োজনে আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
মন্ত্রী বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় জুলিও কুরি পুরস্কার অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। ফিদেল কাস্ত্রো, পাবলো নেরুদা, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো নেতারা এই পুরস্কার পেয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর এত বড় সম্মান বা স্বীকৃতি আমরা ভুলতে বসেছি। নতুন প্রজন্ম জানেও না জুলিও কুরি পদক কী। গবেষক, লেখকদের দায়িত্ব এই পদকের তাৎপর্য মানুষের সামনে নিয়ে আসা।
আলোচনায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এঁর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি ছিলো বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের। কেননা, তিনি ছিলেন বিশ্ব শান্তির বার্তাবাহক। মানবতার মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।
#
মারুফ/পরীক্ষিৎ/মেহেদী/সিরাজ/রাসেল/শামীম/২০২৩/১৫৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯০
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে করণীয়
ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে) :
বজ্রপাত একটি আকস্মিক ঘটনা, যা প্রতিরোধ করা অত্যন্ত কঠিন।
দেশে সাধারণত এপ্রিল থেকে মে মাসে সর্বোচ্চ হলে জুন মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর বজ্রপাতে গড়ে প্রায় ২৫০ জনের মত মানুষ মারা যান।
বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গ্রামের বির্স্তীণ ক্ষেত ও হাওর অঞ্চলে। বজ্রপাতে প্রায় দিনই মানুষ ছাড়াও প্রচুর গবাদি পশু মারা যাচ্ছে।
মৃত্যুর সংখ্যা বিচার করে ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
মৃত্যু ও হতাহত হওয়া এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এক্ষেত্রে করণীয়গুলো হলো:
বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে ধরার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। কারণ আহত কিংবা মৃত ব্যক্তির শরীরে বিদ্যুৎ থাকে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। বজ্রপাতে আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হৃৎস্পন্দন দ্রুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। কয়েক মিনিটের মধ্যে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে পারলে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। বেশি দেরি হলে আহত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
বজ্রপাতে আহত হলেও কিছু কিছু মানুষের হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে তাৎক্ষনিকভাবেই মারা যায়। আবার কারো-কারো হৃদপিণ্ড একটু বন্ধ হয়ে আবার চালু হয়। তাদের যদি হাসপাতালে আনা যায়, তখন বাঁচানো সম্ভব হতে পারে।
যদি আহত ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড সচল থাকে তাহলে তাকে সাথে সাথে সিপিআর দিতে হবে। সেজন্য সিপিআর সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি। সিপিআর দিয়ে হৃদপিণ্ড সচল রাখতে হবে। এর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স বা কোন গাড়ি ডেকে দ্রুত আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিতে হবে।
#
পরীক্ষিৎ/মেহেদী/সিরাজ/রাসেল/শামীম/২০২৩/১৪০৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৯
রাষ্ট্রপতির সাথে বিমান বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন -এর সাথে আজ বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দ