তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২২
টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে জার্নালে প্রকাশনা
পরবর্তী করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১২ ফাল্গুন (২৫ ফেব্রুয়ারি):
‘টাঙ্গাইল শাড়ি’-কে জিআই পণ্য হিসেবে জার্নালে প্রকাশনা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে অংশীজনের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা আজ সকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় সিনিয়র সচিব জিআই পণ্য হিসেবে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’-কে ভারতে নিবন্ধন এবং বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন।
জাকিয়া সুলতানা জিআই ট্যাগ ব্যবহার করে নিবন্ধিত পণ্যসমূহ রপ্তানির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, জিআই ট্যাগ ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করলে উদ্যোক্তাগণ পণ্যের অধিকতর মূল্য পাবেন এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। শিল্প সচিব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে একটি লিগ্যাল এক্সপার্ট প্যানেল গঠনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
সভায় এ বিষয়ে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস (ডিপিডিটি)-এর পক্ষ থেকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। উক্ত উপস্থাপনায় বাংলাদেশ ও ভারতের জিআই সংশ্লিষ্ট আইন, উভয় দেশের টাঙ্গাইল শাড়ির জার্নাল, TRIPS Agreement এর সংশ্লিষ্ট ধারা এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
আলোচনা পর্বে টাঙ্গাইল শাড়ির আবেদনকারী হিসেবে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক এই শাড়ি উৎপাদনের ইতিহাস, উৎপাদন ও বিপণন অঞ্চল নিয়ে সভাকে অবহিত করেন।
আলোচনায় অংশ নেন সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, এসএসজিপি প্রকল্পের সম্মানিত উপদেষ্টা শরিফা খান, ট্রেড এক্সপার্ট ড. মোস্তফা আবিদ খান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আলম মোস্তফা।
#
মাহমুদুল/ফয়সল/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২২১
সম্পর্কের নতুন অধ্যায় নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মার্কিন প্রতিনিধিদলের আলোচনা
ঢাকা, ১২ ফাল্গুন (২৫ ফেব্রুয়ারি):
বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হাছানের সঙ্গে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশ সফররত এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর আইলিন লবাখার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পত্রের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর লেখা পত্রের একটি কপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী লবাখারকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। দু'দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু নিয়ে, এই সম্পর্ককে কীভাবে আরও গভীর করা যায়, সে সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে একমাত্র সমাধান হিসেবে বিবেচনা করছে। তারাও চায় রোহিঙ্গারা সসম্মানে নিজ দেশে ফিরে যাক। সেই সাথে তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতা দেখিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে মার্কিন প্রতিনিধিরা।
হাছান বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধসহ যে কোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে দেশে আনার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এটি দেখছে।
র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ (অবজারভেশন) দিচ্ছে সে সব বিষয়ে বাংলাদেশ তার গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরবে।
পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহযোগিতা, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইউএসএইডের সহযোগিতা আলোচনায় স্থান পায়, উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
সফররত ইউএসএইডের এশিয়া ব্যুরোর এসিস্ট্যান্ট এডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অভ স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার বৈঠকে অংশ নেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিনিধিদলের একাংশ পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হয়।
এ দিন দুপুরে মন্ত্রণালয়ে আসিয়ান দেশগুলোর ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী জানান, আসিয়ানের পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ও এই জোটভুক্ত দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে অংশ নেন।
#
আকরাম/পাশা/ফয়সল/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২০৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২২০
শিক্ষাই উন্নয়নশীল দেশের ভরসা
---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১২ ফাল্গুন (২৫ ফেব্রুয়ারি):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশের তেল গ্যাস ও অন্যান্য সম্পদ সীমিত। পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য শিক্ষাই উন্নয়নশীল দেশের ভরসা।
মন্ত্রী আজ চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর মাস্টার্স অভ্ আর্টস ইন এডুকেশন ডিগ্রি প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা গ্রহণ নিম্ন আয়ের দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। সম্পদের সীমাবদ্ধতা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নানা প্রতিকূলতার কারণে শিক্ষা গ্রহণ সহজলভ্য নয়। তিনি সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এখানকার অর্জিত বিদ্যা নিজের দেশে এবং বিশ্বের বিস্তৃত কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন, নারী তথা সমাজের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করবেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক ও বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত শিক্ষাবিদগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ২১ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করেন।
#
জাকির /পাশা/ফয়সল/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/২০১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১৮
ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি থেকে সার্ভিস ডেলিভারিতে রূপান্তরের উদ্যোগ নিন
-- প্রতিমন্ত্রী পলক
ঢাকা, ১২ ফাল্গুন (২৫ ফেব্রুয়ারি) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি থেকে সার্ভিস ডেলিভারিতে এবং টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানসমূহকে অধিকতর জনবান্ধব এবং স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে ‘রেগুলেটর থেকে ফেসিলিটেটর’-এ রূপান্তরের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সেবা জনবান্ধব ও স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শতাব্দীর প্রাচীন পোস্ট অফিস অ্যাক্ট ১৮৯৮ এবং টেলিকম অ্যাক্ট ২০১০ এর সংশোধন বিষয়ক এক পর্যালোচনা সভায় সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশনা প্রদান করেন। দ্য পোস্ট অফিস অ্যাক্ট ১৮৯৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ডাক অধিদপ্তরের ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিতকরণে গ্রাহকবান্ধব ও প্রযুক্তিবান্ধব সময়োপযোগী আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী কুরিয়ার সার্ভিসকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিসের উন্নয়ন ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং তদ্সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আমিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ই কায়নাত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/ফয়সল/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২১৯
ব্লক ইট ব্যবহারের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে
---পরিবেশ মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ফাল্গুন (২৫ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশের ক্ষতি রোধে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইট ব্যবহার জরুরি, তাই সরকার ব্লক ইট ব্যবহারের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইট ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ব্লক ইট তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ এবং ঋণ প্রদান করবে। বিভিন্ন ব্যাংক যাতে ঋণ দিতে এগিয়ে আসে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ওয়ানস্টপ সেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সভায় ব্লক ইট ব্যবহারের চ্যালেঞ্জসমূহ সমাধানে সকল স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে একটি কর্মশালা করা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছিউদ্দিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, রাজউক চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উদ্দিন নুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) ড. ফাহমিদা খানমসহ ব্লক ইট প্রস্তুতকারক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
দীপংকর/পাশা/ফয়সল/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১৭
প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনে গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে
--মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ফাল্গুন (২৫ ফেব্রুয়ারি) :
শেখ হাসিনার বাংলাদেশে মাছ, মাংসসহ অন্যান্য প্রাণিজ প্রোটিনের অভাব থাকবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
আজ হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প আয়োজিত ‘Agro Business Planning, Technologies and Marketing Advice and Implementation Support for Livestock Sector’ বিষয়ে প্রণীত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভেলিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে মেধাবী কর্মঠ মানুষ প্রয়োজন। আর মেধাবী ও কর্মঠ মানুষ পেতে হলে প্রয়োজন প্রাণিজ আমিষের নিয়মিত জোগান। দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ছাড়া মেধাভিত্তিক জাতি গঠন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি জানান, এসব পণ্যের জোগান নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি উন্নয়ন করতে পারি, ইনশাল্লাহ এই দিন আমাদের থাকবে না।’ বঙ্গবন্ধুর সে আশাবাদকে হৃদয়ে ধারণ করে কাজ করলে আমাদের কোনো অভাব থাকবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, সেক্টরাল প্ল্যান, সর্বোপরি বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্ত্রী এসময় মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তার মাধ্যমে ডেইরি ও পোল্ট্রি সেক্টরে বিদ্যমান সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক ও যুগোপযোগী টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে স্বপ্ন অভিযাত্রা সূচিত হয়েছে, তা পূরণে এ সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি বলেন, ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড, প্রাণিসম্পদ সেক্টরের আধুনিক ডিজিটাল ডেটাবেইজ প্রণয়ন, পশুবিমা চালুর ক্ষেত্র তৈরি এ সরকারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ও বিস্তারে শুধু কাজ করলেই হবে না, এর গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এ খাতে গুণগত মানসম্পন্ন সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করতে হবে। উৎপাদিত মাংস যেন মানবদেহের জন্য উপযোগী হয়, মাংস থেকে অন্যান্য পণ্য উৎপাদন করলে সেটা যেন মানসম্পন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও আন্তর্জাতিক মানের হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোঃ এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. সেলিম উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জনাব মোঃ আব্দুর রহিম, সার্ভিস এন্ড সলিউশনস ইন্টারন্যাশন্যাল লিমিটেড (এসএসআইএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফরিদ উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
নাজমুল/ফয়সল/সায়েম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৪/১৯১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২১৬
হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখা হবে
---স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ফাল্গুন (২৫ ফেব্রুয়ারি):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশব্যাপী স্বাস্থ্যখাতের সাম্প্রতিক কিছু ইস্যু নিয়ে কথা হচ্ছে। ঘটনাগুলো যেকোনো মানুষের মনকেই নাড়া দেবে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আমাকে শক্ত হাতে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। তিনি আমাকে এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে বলেছেন। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো আমরা বন্ধ করতে চাই না, তবে এগুলো চালাতে হলে যত চিকিৎসক, নার্স প্রয়োজন তা থাকতে হবে; যা যা যন্ত্রপাতি থাকার কথা সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে। সেটা করা না হলে, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণসহ জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, কোন অনুরোধ বা তদবিরেই এ সকল অবৈধ বা যন্ত্রপাতিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সচল রাখা হবে না। আমরা গত এক মাসে প্রায় ১ হাজার ২২৭টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছি, এখনও অভিযান চলমান আছে। একই সাথে বৈধ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত লোকবল ও যন্ত্রপাতি না থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ের ওপর মিডিয়া ব্রিফ্রিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন ।
মন্ত্রী জানান, রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে যেভাবে ভাবা হচ্ছে একইভাবে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। ভালো সেবা পেতে হলে ভালো চিকিৎসক লাগবে। ভালো সুযোগ-সবিধা না পেলে ভালো চিকিৎসক পাওয়াও মুশকিল হবে।
তিনি অতীতে কী হয়েছে সেগুলো নিয়ে না ভেবে এখন কী করা হচ্ছে সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে মিডিয়া কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নততর করতে চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল ও ক্লিনিক সেবা শাখার সাথে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও কর্মকর্তাদের নিয়ে পৃথক সভা করেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হাসান, বিএসএমএমইউ এর এনেস্থেসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর দেবব্রত বণিক, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের এনেস্থিসিওলজি বিভাগের প্রধানগণ সহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/পাশা/ফয়সল/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১৫
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে
--আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ফাল্গুন (২৫ ফেব্রুয়ারি) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার হলেও এর সাথে রয়েছে তাঁর গভীর সম্পর্ক। কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। গত ১৫ বছরের উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সরকার সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এই গতি-পথকে মসৃণ ও গতিশীল রাখতেই দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিরঙ্কুশভাবে নির্বাচিত করে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। জনগণের বিশ্বাস, একমাত্র তিনিই পারবেন উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে।
পিরোজপুরে সাড়ে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত আট তলা বিশিষ্ট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে বিচারপ্রার্থী জনগণ দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। তিনি শুধু এ স্বপ্নই দেখেননি, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পর একটি আইনি কাঠামোও তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসকদের জাঁতাকলে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আর প্রস্ফুটিত হতে পারেনি।
আমিনুল হক বলেন, ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর উচ্চ আদালতের একটি রায় অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পুরোপুরি পৃথক হলেও তখন স্বাধীনভাবে চলার মতো বিচার বিভাগের বিশেষ করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির নিজস্ব কোন অবকাঠামো ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর এই সমস্যা দূরীকরণে বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যার মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ ছিল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির স্থান সংকুলানের জন্য প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ২৬০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪১টি জেলা শহরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ। অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ৪১টি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ২৩ জেলাতেও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন সেখানে ভবন নির্মাণের জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ কার্যক্রম চলছে। নতুন এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের সকল জেলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির অবকাঠামো সংকট সম্পূর্ণ দূর হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন অপরিহার্য। এই বিশ্বাসকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশনে আইনি পদক্ষেপসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রবর্তন-বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ মহিউদ্দীন মহারাজ, পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্মসচিব বিকাশ কুমার সাহা।
#
রেজাউল/ফয়সল/সায়েম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৪/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২১৪
বস্ত্রখাতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পাচ্ছে ১১ প্রতিষ্ঠান
ঢাকা, ১২ ফাল্গুন (২৫ ফেব্রুয়ারি):
জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষ সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় সম্মাননা পাচ্ছে ১১টি প্রতিষ্ঠান।
আজ সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদ্যাপনের বিস্তারিত তুলে ধরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক । এ সময় বস্ত্র ও পাট সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ নূরুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ - বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, বস্ত্রখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যুগোপযোগীকরণ ও বিনিয়োগে আকৃষ্টকরণ এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে উদ্যোক্তা শ্রেণিকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে যথোপযুক্ত নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি গ্রহণ, প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, উপযুক্ত ভৌত অবকাঠামো এবং অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণ নীতিমালা সংবলিত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে মর্মে অঙ্গীকার করা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মোতাবেক মিশন, ভিশন প্রস্তুত ও কার্যাবলি নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, দিবসটি উপলক্ষ্যে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ‘বস্ত্রখাত’ দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। সরকার বস্ত্রখাতের অংশীজনদের সাথে সমন্বয় করে এখাতের উন্নয়নকে গতিশীল রাখার পাশাপাশি বস্ত্র অধিদপ্তর পোষক কর্তৃপক্ষের সকল সেবা ওয়ানস্টপ সার্ভিস এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে প্রদান করছে। বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন ও বিকশিত করার নিবন্ধিত বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে তৈরিপোশাক শিল্পে উন্নতমানের ২০৬টি সবুজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।
সম্মাননার জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ও সংগঠন গুলো হল- বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ), বাংলাদেশে গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ), বাংলাদেশ এমব্রয়ডারি ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইএমইএ) এবং বাংলাদেশ তাঁতী সমিতি।
#
সৈকত/পাশা/ফয়সল/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৭৫১ ঘণ্টা
তথ্যবিবর