Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী ৪ মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১০৫৩

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে যাচ্ছেন

                                                               -- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ) :

 

          সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা যতই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মিথ্যাচার করুক, এদেশের ১৭ কোটি মানুষ অনুধাবন করতে পেরেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তিনি দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে যাচ্ছেন।

 

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে জাতীয় সমাজসেবা একাডেমি আয়োজিত ‘এডমিনিস্ট্রেশন ও ডেভেলপমেন্ট’ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

          সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির অধ্যক্ষ মোঃ সাফায়েত হোসেন।

 

          প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের মেধা ও জ্ঞানের বিকাশ ঘটিয়ে অর্পিত দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে  সেবা প্রদান গতিশীল করার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তিকে অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

 

          মন্ত্রী বলেন, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অনুযায়ী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  সেবা গণমানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে।

 

          নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবিধানে পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। জিটুপি’র আওতায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি ভাতা প্রদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাতা প্রদানের কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। জিটুপি’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশানুযায়ী সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

 

#

 

জাকির/মাসুম/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২২৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর :  ১০৫২

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন

ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ) :

            জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আগামী ১৭ থেকে ২৬ মার্চ দশ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হচ্ছে। বিদ্যমান কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব অনুষ্ঠানে দেশি ও বিদেশি অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আজ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ কথা জানান। জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

            সভার শুরুতে সম্প্রতি প্রয়াত দু’জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটির সদস্য প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

            ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সভায় জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন পৃথক থিমভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিওভিজুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। অনুষ্ঠানমালার থিমগুলো হলো- ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’, ‘মহাকালের তর্জনী’, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’, ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়া, দশ দিনের অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের ধারণকৃত বক্তব্য সম্প্রচার করা হবে। মুজিববর্ষ যথাযথভাবে উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠান সফলভাবে বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।

            সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সত্যজিত কর্মকার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, অ্যাসোসিয়েশন অভ্‌ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এ্যাটকো) এর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি তারিক সুজাত, সংগীত শিল্পী সাজেদ আকবর এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

#

লিপি/মাসুম/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ১০৫১

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সংবাদ সম্মেলন বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য

ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ) :

          বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর এর  উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ আজ এক সংবাদ সম্মেলনে যে  বক্তব্য রেখেছেন তার প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। তার বক্তব্য সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য নিম্নরূপ : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে  বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে নানা ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বরাবর তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়; ইউজিসি তাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণে তদন্ত সম্পন্ন করে মন্ত্রণালয়ে  তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করে। ইউজিসি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিধায় এ প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়ে মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই এবং এ সংক্রান্ত ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর অভিযোগ অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

          ড. কলিমুল্লাহ সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য রেখেছেন যা নিতান্তই অনভিপ্রেত। তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে যে সভাটিতে মন্ত্রীর দেরিতে উপস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন সে সভাটি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরে সভাটির সময় পরিবর্তন করে বিকালে নেয়া হয়। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের অভিন্ন ন্যূনতম নির্দেশিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সভা থাকায় এবং সে সভাটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে আলোচনার পূর্বে হলে ভালো হয় বিবেচিত হওয়ায় উপাচার্যদের সাথে সভাটির সময় পরিবর্তন করা হয়েছিল। শিক্ষক নিয়োগের অভিন্ন ন্যূনতম নির্দেশিকার সভাটি নির্ধারিত সময়ের চেয়েও অনেক পরে হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রী, সচিব এবং ইউজিসির চেয়ারম্যানসহ প্রতিনিধিবৃন্দের উপাচার্যের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় যোগ দিতে দেরি হয়। মন্ত্রী উপস্থিত সকলের কাছে অনিচ্ছাকৃত এই বিলম্বের জন্য বিশেষভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী সময়ানুবর্তিতার বিষয়টি সবার কাছে সুবিদিত। তিনি সময় মতো সকল সভায় অংশ নেন। সেদিনের সভায় অনিচ্ছাকৃত বিলম্বকে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে উপাচার্য যে বক্তব্য রেখেছেন তা শুধু অনাকাক্সিক্ষত ও দুঃখজনকই নয় নিতান্তই রুচি বিবর্জিত।

          বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকাশনার জন্য মন্ত্রীর একটি বাণী একবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাওয়া হয়েছিল। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বড় ধরনের ছাত্র আন্দোলন চলছিল। সে পরিস্থিতিতে মন্ত্রী সে বাণীটি দেয়া সমীচীন মনে করেননি। এরপরে বিগত এক বছরে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মন্ত্রীর কাছে আর কোনো বাণী চাওয়া হয়নি।

          ড. কলিমুল্লাহ উপরোক্ত বিষয়সমূহের বাইরেও মন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার কথা উল্লেখ করে রাজনীতিকে জড়িয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যার সাথে মন্ত্রণালয়ের কোনো বিষয়ের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকায় এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছে।

          ড. কলিমুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্যে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে যেসব বক্তব্য রেখেছেন সে সকল বিষয়ে এ মুহূর্তে মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছে।  কারণ তার বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে ইউজিসি কর্তৃক প্রেরিত হয়েছে। সে বিষয়ে শীঘ্রই মন্ত্রণালয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত আরেকটি অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।  এমতাবস্থায় কলিমুল্লাহ কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত অন্যান্য সকল বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রাপ্তি ও বিবেচনার পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয় বক্তব্য উপস্থাপন করবে।

#

খায়ের/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ১০৫০

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করায়

 বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে

                                             -- ধর্ম  প্রতিমন্ত্রী

কক্সবাজার, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ) :

          ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা  বিরাজ করায়  বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ  উন্নয়নের সকল সূচকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

          আজ কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  নির্দেশে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী  কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্প সরকারের একটি অন্যতম উদ্যোগ। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  নির্মাণ, উন্নয়ন, মেরামত ও সংস্কারে বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। যার সুফল সকল সম্প্রদায়ের জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে।

          ফরিদুল হক খান বলেন, সরকার মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডাভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পসমূহের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে প্রাক-প্রাথমিক ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান করে ধর্মীয় ও নৈতিকতাসম্পন্ন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তথা উন্নত জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

          কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃধর্মীয় মতবিনিময় সভায় মুখ্য আলোচক  হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত  সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য জাফর আলম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ বক্তব্য রাখেন।

          এর পূর্বে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন ধর্মীয় সমপ্রদায়ের অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।

#

আনোয়ার/রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১০৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ১০৪৯

তরুণদের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে দক্ষ করতে পারলে বিলিয়ন ডলার অর্জন সম্ভব

                                                                                                                -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ) :

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, দেশের তরুণদের মোবাইল অ্যাপস, ওয়েবসাইট ডেভেলপার বিষয়ে সক্ষম ও দক্ষ করে তুলতে পারলে বিলিয়ন ডলার অর্জন করা সম্ভব। এ সুযোগ কাজে লাগাতে তরুণ সফট্ওয়্যার ডেভেলপারদের দক্ষতা বাড়াতে দেশে ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৪টি বিভাগীয় শহরে গেইম টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি’র মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগ ও মোবাইল অপারেটর রবি’র মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম ‘বিডি অ্যাপস’ এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

          বর্তমানে বিশ্বে অ্যাপস, গেইমস ও ওয়েব সাইটসহ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মার্কেট প্রাইজ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মেধাবী তরুণদের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষ করে তুলতে আইসিটি বিভাগ মোবাইল গেইমস এন্ড অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন প্রকল্পের আওতায়  সারা দেশে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও গেইম ডেভেলপার তৈরি করার জন্য ট্রেইনারদের ট্রেনিং দেয়া, মেন্টরস পুল তৈরি ও ল্যাবরেটরি সেটআপ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৫২৫ জনকে ট্রেনিং করানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও ১৬ হাজার জনকে  অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এবং  ৭০০ জনকে  এডভান্স ডেভেলপার ট্রেনিং দেয়া হয়েছে।

          আমাদের দেশের তরুণদের প্রচুর মেধা রয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এক লাখ দক্ষ মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপার তৈরি করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এন্ড গেইম ডেভেলপমেন্টের হাব হিসেবে গড়ে উঠবে।

          উল্লেখ্য, বিডি অ্যাপসের ওয়েবসাইটে বর্তমানে ১২ হাজারের বেশি ডেভেলপারের ২৩ হাজারের বেশি অ্যাপ রয়েছে। যার মধ্যে ২০ শতাংশই নারী ডেভেলপার। যেকোনো প্রোগ্রামার এবং নন-প্রোগ্রামার উভয়ই http://dev.bdapps.com/ ওয়েবসাইটের এর মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং প্রকাশ করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য support@bdapps.com. -এ যোগাযোগ করা যাবে।

          অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, রবি আজিয়েটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, রবি আজিয়েটা লিমিটেডের সিসিও শিহাব আহমেদ এবং আইসিটি বিভাগের মোবাইল গেমিং অ্যান্ড অ্যাপ প্রকল্পের পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম।

#

শহিদুল/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১০৪৮

 

এইচ টি ইমাম মনের দিক থেকে তরুণ ছিলেন

                                         -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ) :

 

          বয়স হলেও এইচ টি ইমাম মনের দিক থেকে তরুণ ছিলেন, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

          আজ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রধানমন্ত্রীর সদ্যপ্রয়াত রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা কখনো ভাবিনি যে তিনি এভাবে চলে যাবেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল, এই করোনাকালেও তিনি নানাভাবে কাজকর্ম চালিয়ে গেছেন। আমার সঙ্গে কিছুদিন আগেও দেখা হয়েছিল। তাঁর বয়স হয়েছিল ঠিক, কিন্তু মনের দিক থেকে অনেক তরুণ ছিলেন।’ তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশ নেন।

 

          দীর্ঘদিন ধরে এইচ টি ইমামের সঙ্গে কাজ করেছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘তিনি উপ-প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি প্রচার সম্পাদক হিসেবে তাঁর সাথে পাঁচ বছর কাজ করেছি। তাঁর মতো এতো বুদ্ধিদীপ্ত এবং কর্মঠ মানুষ খুব কম। আমাদের দলকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি যেভাবে কাজ করেছেন এবং পরবর্তী সময়েও যখনই দলের ওপর দুর্যোগ এসেছে, যখন দেশে কোনো পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্টা হয়েছে, তখন তিনি দলের সাথে একাত্মভাবে কাজ করেছেন।’

 

          একই সাথে সরকারের প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর যে বুদ্ধিদীপ্ত পরামর্শ এবং নানা পদক্ষেপ, সেগুলো যারা কাছে থেকে দেখেনি তারা বুঝতে পারবেন না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম কেবিনেট সচিব। জীবনের নানা বাঁকে তিনি যেভাবে কাজ করেছেন, এ রকম বর্ণাঢ্য মানুষ আমাদের দেশে খুব বেশি জন্ম হয়নি। তাঁর চলে যাওয়া আমাদের দেশ, সরকার ও দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

 

          তথ্যমন্ত্রী এদিন বিকেলে বাদ-আসর রাজধানীর গুলশানে আজাদ মসজিদে এইচ টি ইমামের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন। গতকাল এইচ টি ইমামের ইন্তেকালের সংবাদে তাৎক্ষণিকভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

#

 

আকরাম/রোকসানা/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ১০৪৭

 

সারা দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১ লাখ ২১ হাজার ১০ জনের ভ্যাকসিন গ্রহ

 

ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ) :

 

          গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে মোট ১ লাখ ২১ হাজার ১০ জন ব্যক্তি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭২ হাজার ৮০০ জন এবং মহিলা ৪৮ হাজার ২১০ জন।

 

          একই সাথে সারা দেশে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত সর্বমোট ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ জন এবং মহিলা ১২ লাখ ৮৭ হাজার ১০০ জন।

 

          উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত সরকার কর্তৃক তৈরিকৃত সুরক্ষা অ্যাপে মোট ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৩ জন  ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন।

 

#

 

মাইদুল/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২০৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১০৪৬

 

কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় আইন বাতিলের দাবি আইনহীনতারই নামান্তর

                                                                        -- তথ্যমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ) :

 

          কারাগারে কোনো মৃত্যুর ঘটনায় আইন বাতিলের দাবিকে আইনহীনতারই নামান্তর হিসেবে বর্ণনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

          আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকবৃন্দ ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় ‘নাগরিক সমাজ’ উত্থাপিত আইনটি বাতিলের দাবি’র বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো আইনে যদি কেউ গ্রেপ্তার হয় এবং তিনি যদি কারাগারে স্বাভাবিকভাবে বা কোনো কারণে মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে যদি সেই আইন বাতিল করতে হয়, তাহলে তো বাংলাদেশে সব আইনই বাতিল করার কথা আসে।’

 

          অন্যান্য আইনেও মানুষ গ্রেপ্তার হয় এবং কারাগারে নানা কারণে মৃত্যু হয়, তাহলে সেই সমস্ত আইনও কি বাতিল করে দিতে হবে- প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।

 

          ‘নাগরিক সমাজ’ প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘তারা কয়েকজন নাগরিক এটা বলেছেন। বাংলাদেশে আরো বহু নাগরিক আছেন। নাগরিক বলতে শুধু কয়েকজন যারা সবসময় প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করেন তাদেরকে বুঝায় না, বাংলাদেশে সুশীল সমাজের আরো লাখ লাখ নাগরিক আছে।’

 

          আর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সমস্ত মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন এই ডিজিটাল বিষয়টা ছিল না, তখন আইনের প্রয়োজন ছিল না। এখন যখন ডিজিটাল বিষয়টা আসছে, ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টাও আসছে। এ ধরনের আইন বিভিন্ন দেশে আছে, সেখানেও গ্রেপ্তার ও শাস্তি হচ্ছে। তবে এই আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয় সেদিকে সরকার সতর্ক আছে এবং থাকবে।’

 

          জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রস্তাব সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘প্রথমত: জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বটে কিন্তু তার ভূমিকাটা রহস্যজনক ছিল। কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে কারো বাড়িতে পানি খাওয়ানো হলেও সে কারণে সেই বাড়ির ওপর নির্যাতন হয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টরের কমান্ডার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী আর পুত্ররা একেবারে পরম অতিথির আদরে পাকিস্তানিদের ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেন- এটা রহস্যজনক।’

 

          মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয়ত: মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা জিয়াকে চিঠি লিখেছিল যে, তার কর্মকান্ডে পাকিস্তানিরা খুশি। সেই চিঠির কপি রয়েছে। তৃতীয়ত: ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের তিনি পুনর্বাসিত করেছিলেন। যে যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশ চায়নি, বাংলাদেশের পতাকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষ হয়ে গণহত্যা করেছে, তাদেরকে তিনি মন্ত্রী বানিয়েছেন। যে শাহ আজিজুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানিদের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছেন এবং বলেছিলেন পুর্ব পাকিস্তানে কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না, কিছু ভারতীয় চর সেখানে গন্ডগোল করছে মাত্র, তাকে কেন প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন- সেটি বিরাট প্রশ্ন।’

 

          ‘এভাবে মুক্তিযুদ্ধকাল থেকে পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের কর্মকান্ডে সাক্ষ্য দেয় যে, তিনি আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন, সেই কারণে তার খেতাব বাতিলের প্রসঙ্গ এসেছে, তবে খেতাব বাতিলের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি’ জানান ড. হাছান।

 

          বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বিষয়টির আইনগত দিকগুলো নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও  আইন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বলে জানান।

 

          এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডভান্সমেন্ট অভ্‌ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং’ এর উদ্বোধনকালে তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সক্ষমতা ও সৃষ্টিশীলতার প্রশংসা করেন এবং বলেন বৈশ্বিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। উদ্বোধনী সভায়  চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, পুরকৌশল বিভাগের প্রধান ড. সুদীপ কুমার পাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

#

 

আকরাম/রোকসানা/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১০৪৫

 

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ১৯ ফাল্

2021-03-04-22-47-57ee7b5607530fd699abc13d3f8eb50b.docx