Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ মার্চ ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৮ মার্চ ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৩৭২৫

আত্মতুষ্টি নয় আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো

                                           -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ):

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘পরপর চতুর্থবারসহ পাঁচবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও আওয়ামী লীগ আত্মতুষ্টিতে ভুগবে না, যেভাবে ভোটের বাক্স পাহারা দিয়েছি, রাজপথ পাহারা দিয়েছি, সেভাবে আমরা আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো।’

আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের আলোচনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় মন্ত্রী এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়েছে, ট্রেনে আগুন দিয়েছে, তবু নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি। চমৎকার সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। বিশ্বের ৮০ টি দেশ, ৩২ টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে। এসব দেখে বিএনপি এখন হায় হায় করে, লিফলেট বিতরণ করে, আর কি করা যায় ভাবছে। আশা করি তারা আর আগের মতো নাশকতার পথে যাবে না। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাই আত্মতুষ্টি নয় আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো আমরা।’

এ সময় চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ব্যাঙ ছোট হলেও আওয়াজ বড়ো, ছোট কিছু রাজনৈতিক দল এবং পরিত্যক্ত নেতাদের ইদানীং বড়ো আওয়াজ শোনা যায়। তাদের নাম বলতে চাই না, কিন্তু তাদের সাথে মানুষ নাই। মঞ্চে ১০০ জন সামনে ২০ জন আর বাকিটা মিডিয়া নিয়ে তাদের সভা হয়। 

#

আকরাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৭২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বৈঠক

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ):

আজ বাংলাদেশ সফররত আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কোভনি (Simon Coveney) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকা ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি (Kevin Kelly) এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে এ দিন ঢাকায় অনারারি কনসুলেট উদ্বোধনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন ঢাকায় অনারারি কনসুলেটে জমাদান চালু করে সহজীকরণের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) এবং 'জিএসপি প্লাস' সুবিধা অব্যাহত রাখতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন। 

আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কোভনি বাংলাদেশে তাঁর দেশের প্রথম কোনো পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে সফর হিসেবে এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছেন জানিয়ে এ দেশ থেকে আরও জনবল ও শিক্ষার্থী আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্যকরণের আহ্বানেও ইতিবাচক সাড়া দেন মন্ত্রী কোভনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ এ দিন সকালে বাংলাদেশ সফরে আসা জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়াকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান এবং পরে রাজধানীর কাওরানবাজারে প্যানপ্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার বৈঠকে অংশ নেন। রাজকুমারীর সাথে সফররত সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী জোহান ফরসেল (Johan Forsell) বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

#

আকরাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০৫৫ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                       নম্বর : ৩৭২৩

পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

                             --- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ):

          সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পথশিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।

          মন্ত্রী আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চাইল্ড সেনসেটিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের অধীনে পথশিশুদের পরিস্থিতি বিষয়ক গবেষণা পত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

          সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।

          মন্ত্রী বলেন, যারা পথেই থাকে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। তদের অসহায়ত্ব অনেক বেশি রকমের, তারা হয়তোবা সমস্যার সম্মুখীন হয়, অনেক রকমের নির্যাতনেরও শিকার হয়। রাতের অন্ধকারে খুবই অনিরাপদ একটা অবস্থার মধ্যে থাকে। আর যারা রাতে পরিবারের কাছে ফেরে, এদেরও নানা সমস্যা থাকে। নানা কারণে পথশিশু হয়। পরিবারের ভেঙে যাওয়া, অতিদারিদ্র্য ও নানাবিধ সমস্যার কারণে শিশুরা পথে থাকে।

          মন্ত্রী পথশিশুদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ও সহানুভব হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন,  পথ চলতি মানুষ কীভাবে তাদের সাথে আচরণ করে তার প্রভাব তাদের ওপর পড়ে। আমাদের প্রত্যেককে তাদের প্রতি  এমপ্যাথি দেখাতে হবে। আমরা কতজন এ শিশুদেরকে একবার ভালো করে দেখি এবং আমরা হয়তো জীবন বদলে ফেলতে পারবো না, কিন্তু যে কয়েক সেকেন্ডের জন্য তাদের সাথে আমাদের একটা যোগাযোগ ঘটলো, সেই কয়েকটা সেকেন্ডে তাদের  প্রতি যদি আমাদের সহমর্মিতা থাকে, তার প্রতি আচরণে, আমাদের কথায় তার জীবনে একটা পরিবর্তন এনে দিতে পারে। আমরা যেভাবে আচরণটা করি সাধারণত তার কারণে তাদের মধ্যে একটা হীন মনোভাব তৈরি হয়। সে মনে করে নিজে কোন একটা অপরাধ করছে, মনে করে সে ভীষণ রকম খারাপ কিছু বা তুচ্ছ। আমরা যদি এই বাচ্চাগুলোকে স্বপ্ন দেখাতে পারি, তাহলে তারা স্বপ্নের দিকে নিজেদের নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে যাবে। যদি তাদের প্রতি আচরণটাই সেই রকম ইতিবাচক না হয় তাহলে কিন্তু তারা স্বপ্ন দেখতে সক্ষম হবে না। মন্ত্রী সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও পথশিশুদেরকে সমাজের মূলধারায় আনতে কাজ করার আহ্বান জানান।

          মন্ত্রী পথশিশুদের ওপর উন্মোচিত হওয়া গবেষণা পত্রটি সম্পর্কে তার মূল্যায়নে বলেন, এ বিষয়টিতে যদিও সরকার অত্যন্ত সজাগ এবং ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পথশিশুদের আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনে অনেক কাজ চলমান রয়েছে। তারপরও এ গবেষণায় তাদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেল যা ভবিষ্যতে নীতি নির্ধারণী বিষয়ে কাজ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মন্ত্রী গবেষণাটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

          বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হেসেন (রিমি) বলেন, এই গবেষণা ভবিষ্যতে পথশিশুদের জন্য কাজ করতে সহায়তা করবে। শিশুদের জন্য একটি সহনশীল সমাজ করতে হবে। অনগ্রসর শিশুদের জন্য পুনর্বাসন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য তাঁর মন্ত্রণালয় ৬টি কেন্দ্র পরিচালনা করছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

          এর আগে মন্ত্রী পথশিশুদের পরিস্থিতি বিষয়ক গবেষণা পত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন।

#

জাকির/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৩৭২২

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান

লন্ডন, ১৮ মার্চ:

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার মূল্যবোধের আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করেছে।

এ উপলক্ষ্যে আজ ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র পূর্ব লন্ডনে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। তাঁর মহান নীতি ও আদর্শে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। হাইকমিশনার এজন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধে এবং বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে উজ্জীবিত করে গড়ে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশি মা-বাবাদের প্রতি আহ্বান জানান।

শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম মমতার কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অনুসরণে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে এবং আজকের শিশুদের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং বিশেষ বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।

হাই কমিশনার বলেন, কমনওয়েলথের ৫৪টি দেশে জাতির পিতার মূল্যবোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি জলবায়ুবান্ধব প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ উৎসাহিত করতে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বিশেষভাবে তুলে ধরতে ‘কমনওয়েলথ-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্ব আরও গভীর ও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু-এডওয়ার্ড হিথ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘বঙ্গবন্ধু-থমাস উইলিয়াম কেসি ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করা হয়েছে । এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখার জন্য লন্ডনের গ্ল্যাডস্টোন পার্কে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এবং লন্ডন বা’রা অব ব্রেন্টের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু সেন্টেনারি পিস গ্রোভ’। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আইরিশ, স্কটিশ ও ওয়েলস ভাষায় অনুবাদও বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের উদ্যোগে প্রকাশ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বাংলাদেশ -এর সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল হাসান। আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।

 

 

 

 

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এদিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা যাতে অনেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি-শিশু-কিশোর বিপুল উৎসাহে অংশগ্রহণ করে। হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে শিশু-কিশোরদের সনদ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে সম্মিলিত কবিতা আবৃতি করেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী ঊর্মি মাজহার, শতরূপা চৌধুরী ও দেওয়ান মাহমুদ। ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে একটি গান এবং পবিত্র রমজানে ইফতারের পূর্বে হামদ ও নাথ পরিবেশন করে। ইফতারের পর হাইকমিশনার অতিথি ও শিশু-কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হাইকমিশনার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচী শুরু করেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদদের জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

#

নবী/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যববিরণী                                                                                             নম্বর : ৩৭২১

‘জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪’ উদযাপন

পর্তুগাল, ১৮ মার্চ:

          যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন করেছে।

          সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।

          পরবর্তীতে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

          এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং  জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সকল শিশু কিশোরের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাঙ্গালির অধিকার আদায়ের আপসহীন সংগ্রামে ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র সত্তাকে নিয়োজিত করেন। বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস একই সুত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি । তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে।

            এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

          উল্লেখ্য, দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ১৫ মার্চ ২০২৪ দূতাবাস লিসবনের পার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিশুদের অংশগ্রহণে দুইটি পৃথক বয়সের ক্যাটেগরিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলার ওপর নির্মিত এনিমেশন ছবি প্রদর্শন করার হয়। ছবিটির প্রতিপাদ্য পর্তুগিজ ভাষায় বর্ণনা করা হয় এবং শিশুরা অত্যন্ত আগ্রহের সাথে এনিমেটেড ছবিটি অবলোকন করে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগী শিশুর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।     

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটায় বাংলাদেশি শিশু ও পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশিগণ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগ দেন।

          অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের কামনায় মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণকে ইফতার পরিবেশন করা হয়।

#

 রেজিনা/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯০০ঘণ্টা

 

তথ্যববিরণী                                                                                             নম্বর : ৩৭২০

 

ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম

জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদ্যাপন

 

হ্যানয়, ভিয়েতনাম, ১৮ মার্চ:

          আজ ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদ-এর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে দিবসটির প্রথম ভাগের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় ।

          অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং প্যাসিফিক বিভাগেরে উপ-মহাপরিচালক চিন থি তাম।

          আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না। তার ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ৭ কোটি বাঙালি ঐক্যবন্ধ হয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ছিনিয়ে আনে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। তাই, বঙ্গবন্ধুর জন্মের সাথে বাংলাদেশের জন্ম ও অস্তিত্ব একই সূত্রে গাঁথা। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অপরিসীম ভালোবাসতেন। তাদের অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন। জাতিসংঘ শিশুসনদ প্রণয়নের ১৫ বছর পূর্বেই তিনি জাতীয় শিশু আইন ১৯৭৪ প্রণয়ন করে বাংলাদেশের শিশুদের উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষার পথ সুগম করেন। বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে আজ তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শিশুদের উন্নয়নে সকল ধরনের উদ্যেগ হাতে নিয়েছেন। শিশুদের শিক্ষা বিকাশে প্রতি বছরের শুরুতে সকল শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।

          ইফতার ও নৈশভোজের পরে অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ থিমের ওপর অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুরা এবং হ্যানয়স্থ সেন্টার ফর এডুকেশন এন্ড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের এক ঝাঁক শিশু।

#

লুৎফর/পাশা/সায়েম/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৭১৯

আপাতত ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই

                                         ----রেলপথ মন্ত্রী

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী), ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ):

রেলপথ মন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আপাতত ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। এটি গুজব। জনগণ জানেন কারা গুজব সৃষ্টি করে, কারা ট্রেনে আগুন দেয়, রেললাইনকে ধ্বংস করে। বিএনপির কাজই ষড়যন্ত্র করা। কিছুদিন আগে গোপীবাগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল বিএনপি। যেটা পুরো জাতি দেখেছে। যে আগুন ধরিয়ে ছিল সে নিজেই সব স্বীকার করেছে।

আজ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

আসন্ন ঈদে টিকিট কালোবাজারি রোধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানো হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সহজ ডট কমের সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। টিকিট অনলাইনে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায়। আমরা এবার প্রতিটি টিকিটের মোবাইল নম্বর যাচাই করব। প্রতিদিনের তালিকা অনুযায়ী এনআইডি নম্বরগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। ট্রেনের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো রকম অনিয়ম ধরা পড়লেই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

গতকাল রেলের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। যে ব্যক্তি ফিস প্লেট খুলছিল সে ধাওয়া খেয়ে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে গেছে। তার আইডি কার্ডসহ কাগজপত্র পাওয়া গেছে। সে মূলত কিছু টাকার বিনিময়ে এই কাজ করছে। আগুন সন্ত্রাসী বিএনপি ও বিএনপি সমর্থনকারী জামায়াত এই কাজগুলো করে। এগুলো করে তারা জনসমর্থন পাচ্ছে না। বরং আস্তে আস্তে জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। তারা জানে মানুষ তাদের ভোট দেবে না, সে জন্যই এই সব অপকর্ম করছে। রাজনীতি করার প্রথম শর্ত দেশকে ভালোবাসতে হবে।

#

সিরাজ/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯১৫ঘণ্টা

 

তথ্যববিরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৭১৮

 

তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে

                                                                           --- তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ):

          তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্থা বা হয়রানির শিকার না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

          আজ রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোন সাংবাদিক যেনো কোন ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়ে। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে, এরকম একটি সমাজ ব্যবস্থা আমরা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার চিন্তা করে না।

          ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদান করে জেলে নেয়ার ঘটনা উল্লেখ করে এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ খবরটি জানার সাথে সাথে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে।

          এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাজনৈতিক বিশ্বাস বা অন্য কোন কিছু দেখেননি,  শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন এগুলো চিন্তা করেননি এবং তার ভিত্তিতে পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।

          নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সাথে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি এ সময় আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

          প্রতিমন্ত্রী আরো যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব ও গণমাধ্যমবান্ধব। আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই এবং পেশাদার সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। সেই নিরিখে সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার তার জায়গায় কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেনো সহানুভূতি ও পেশাদারিত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এ সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে কাজ করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে, সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

চলমান পাতা - ২

--- ২ ---

          প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদেরকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবো। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।

          বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

          অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

          উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

          প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

#

ইফতেখার/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৩৭১৭  

সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার কাছে বাংলাদেশের

ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ):

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফরে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কীভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিসহ নানা খাতে সুযোগ তৈরি করেছে তা একটি প্

2024-03-18-15-51-6c0d641633981cbe65e99adf8dcfa2a4.docx 2024-03-18-15-51-6c0d641633981cbe65e99adf8dcfa2a4.docx

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon