তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৮
দেশে স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে সরকার
-- প্রতিমন্ত্রী পলক
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে একটি স্টার্ট-আপ ইকো সিস্টেম তৈরি করতে সরকার তিন স্তরের একটি পিরামিড স্ট্রাকচারের চিন্তা করছে, যার সবচেয়ে উপরে থাকবে ইনোভেটররা (উদ্ভাবকরা)। এরা হয়তো সংখ্যায় অল্প হবে কিন্তু বাংলাদেশে আইটি শিল্পে তারা বিশাল অবদান রাখবে। এর পরে থাকবে এচিভাররা, যারা আইটি/আইটিএস গ্রাজুয়েশন করে কোম্পানির সিইও বা সিএক্সও বা সিএফও হবেন। তাদের সে মেধাকে লালন করতে সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করবে। সবশেষে থাকবে ফ্রিল্যান্সিং খাতসহ অন্যান্য খাতে সংশ্লিষ্টরা। এভাবেই দেশে একটি অনন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকো-সিস্টেম তৈরি করতে সরকার কাজ করছে।’
আজ রাজধানীর জনতা টাওয়ারস্থ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ‘ক্রিয়েটিং এ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকো-সিস্টেম: গভর্নমেন্ট’স রোল’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গোলটেবিল আলোচনায় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলতে করণীয় এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সেরা প্র্যাকটিসগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সান-ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনির্ভাসিটির ড. মাহমুদ হুসাইন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনায় সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক সিপিএ ভেঞ্চার ক্যাপিটালের কনসালটেন্ট টিনা জাবিন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র বোর্ড অভ্ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান জামিল আজহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান, সহজ.কম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী আব্দুল বারীসহ আরো অনেকেই অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সংযোগ, স্টার্ট-আপদের সহযোগিতা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গৃহীত ইনোভেশন ডিজাইন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ একাডেমি (আইডিয়া) -এর উদ্যোগে আজকের এই গোলটেবিল আলোচনা থেকে উৎসরিত সুপারিশমালার কার্যকর প্রয়োগ করা হবে।
#
নাছের/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৭
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে বিজেএমসি’র মালিকানাধীন গুলশানের জমি হস্তান্তর
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়াধীন বিজেএমসি’র মালিকানাধীন গুলশানের ১০ দশমিক ৩৩ বিঘা (২০৬ দশমিক ৭০৫ কাঠা) জমিতে আধুনিক খেলার মাঠ ও জিমনেসিয়াম নির্মাণের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জমি হস্তান্তরে স¦াক্ষর করেন বিজেএমসি’র পক্ষে চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব কাজী আকতার উদ্দিন আহমেদ।
সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ এ জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসুসহ উভয় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিজেএমসির কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন গুলশানের জমিতে আধুনিক খেলার মাঠ ও জিমনেসিয়াম নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী গত ০৬/০৯/২০১৬ তারিখ নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার বুকে খেলার মাঠ তো দূরে থাক, ফাঁকা জায়গাও খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু আজকের যারা শিশু-কিশোর তাদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠতে প্রয়োজন খেলার মাঠ, মুক্ত আকাশের নিচে নির্বিঘেœ ছোটাছুটির সুযোগ। সে কথা বিবেচনায় রেখেই প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব উদ্যোগ ও নির্দেশনায় এ জমিতে হচ্ছে খেলার মাঠ।’
তিনি আরো বলেন, ‘সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন ও বহুমুখী ব্যবহার উৎসাহিত এবং জনপ্রিয় করতে পাট চাষিদের সোনালী স্বপ্নপূরণে জোরদার পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এজন্যে পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও ভাতা পরিশোধ, পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, পাটকলগুলোকে উৎপাদনমুখী করতে ও যথাসময়ে পাট ক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) কে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে পাটখাতে দীর্ঘদিনের যে অচলাবস্থা ছিল তা দূর হবে।’
#
সৈকত/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৬
আগামী ৫ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি ২ বিলিয়ন হবে
----বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি):
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে বৈদেশিক বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি সাড়ে ১৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় ২ বিলিয়ন মার্র্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জুলিয়া নিব্লেট (ঔঁষরধ ঘরনষবঃঃব)-এর সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি ও পরিবেশে অস্ট্রেলিয়া সন্তুষ্ট। অষ্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে এবং চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে। প্রয়োজনে বিনিয়োগকারী শতভাগ অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবে। বাংলাদেশ আইন প্রণয়ন করে বিনিয়োগকারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে পণ্য পাঠাতে সরাসরি কার্গো জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। এতে বাংলাদেশের রপ্তানি ব্যয় কিছু বেশি হচ্ছে, জটিলতা না থাকলে রপ্তানি আরো বেশি হতো। উভয় দেশ এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। ভবিষ্যতে এ সমস্যা থাকবে না।
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক চমৎকার। আশার কথা বাংলাদেশের তৈরি পণ্য অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বেশি রপ্তানি হচ্ছে। আমরা দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। কার্গো জাহাজ সরাসরি চলাচল করলে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের রপ্তানি আরো বাড়বে। বাংলাদেশের ৩০ হাজার মানুষ সুনামের সাথে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছে। অনেকেই নাগরিকত্ব পেয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ খুবই আন্তরিক ও অতিথিপরায়ণ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের দায়িত্বে) জহির উদ্দিন আহমেদ, যুগ্মসচিব (এফটিএ) মুনির চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/মাহমুদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৫৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৫
রাষ্ট্রহীনতা একটি বৈশ্বিক সমস্যা
-- স্পিকার
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রাষ্ট্রহীনতা কোনো একক রাষ্ট্রীয় সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আন্তর্জাতিক রাজনীতির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
তিনি আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার (বিআইসিসি)-এ ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) যৌথ উদ্যোগে ‘ন্যাশনালিটি এন্ড স্টেটলেসনেস : হ্যান্ডবুক ফর পার্লামেন্টারিয়ানস’ এর বাংলা সংস্করণ ‘জাতীয়তা এবং রাষ্ট্রহীনতা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রহীনতা একটি মানবিক সমস্যা। সমস্যাটি ব্যক্তি, পরিবার এবং সামাজিক জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাষ্ট্রহীনতা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সম্মিলিত উদ্যোগ এ সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি। সংসদ সদস্যগণ আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দেশীয় আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রহীনতা সমস্যার সমাধানে ভূমিকা পালন করতে পারেন। তিনি রাষ্ট্রহীনতা সমস্যার সমাধানে সংসদ সদস্যদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আইপিইউয়ের প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের আবাসিক প্রতিনিধি শিনজি কুবো (ঝযরহলর কঁনড়) এবং সিনিয়র প্রটেকশন অফিসার খালেদ ফানসা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ সম্ভু এবং মোঃ ইসরাফিল আলম অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা জাতীয়তা, বিশ্ব মানবাধিকার, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রহীন মানুষের অবস্থা, দুর্দশা এবং বিশ্ব মানুষের সংহতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
পরে স্পিকার ‘জাতীয়তা এবং রাষ্ট্রহীনতা’ পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন করেন।
#
কামাল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৪
গণঅভ্যুত্থান দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বাংলাদেশের স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ১৯৬৯ সালের ২৪শে জানুয়ারি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। স্বায়ত্তশাসনসহ ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। ৬ দফা ঘোষণার পর স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্রতর হয় এবং তা সারা পূর্ব বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বাম রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের যৌথ আন্দোলন গণআন্দোলনকে বেগবান করে। তৎকালীন পাকিস্তানি সরকার এ আন্দোলন নস্যাৎ করতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে। বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তি এবং সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক, ছাত্র-শিক্ষক, জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।
শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায় নি। গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর, যা ছিল জনগণের মহাবিজয়। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমি সবাইকে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৭/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৩
গণঅভ্যুত্থান দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স¦াধীনতা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঔপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসন, শোষণ, বৈষম্য ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। এতে স¦াধিকার আন্দোলনের গতি হয় তীব্রতর। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে বন্দি করে। এ মামলার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-জনতা দুর্বার ও স¦তঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন গড়ে তোলেন।
বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা এবং পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের এ দিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণে শহিদ হন নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে সৈ¦রাচারী আইয়ুব সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুব খানের সৈ¦রতন্ত্রের। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
সকল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষষ্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে আমি দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি শহিদ মতিউরসহ মুক্তি সংগ্রামের সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নজরুল/অনসূয়া/শহিদ/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৪৩০ ঘণ্টা