তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৭৫ সম্মিলিত মানবিক প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানুষ মানুষের জন্য। মানুষের জন্য ভালো কাজ করতে পারার মাধ্যমে পবিত্র অনুভূতি পাওয়া যায়। মানুষ ও সমাজের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করতে পারা সব সময়ই গর্বের। তিনি বলেন, সম্মিলিত মানবিক প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
আজ রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভালো কাজ আমাদের মনে শান্তি আনে৷ আর সংঘবদ্ধভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করলে তা সহজ হয়ে যায়। মানুষের জীবনে প্রশান্তিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সম্পদ থাকলেও অনেকের জীবন মানসিক দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। ধ্যান বা সাধনা মানুষের মানসিক দুশ্চিন্তা দূরীকরণের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। স্বেচ্ছায় রক্তদান মহৎ কাজ বলে তিনি উল্লেখ করেন৷
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার রক্ত দানকারী লাইফ লং, ১০ বারের সিলভার, ২৫ বারের গোল্ডেন এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করা প্লাটিনাম বিভাগে তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। এ সময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন কাওকাব আস সাদিয়া এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মোঃ মেহেদী হাসান।
#
রুবেল/এনায়েত/রফিকুল/শামীম/২০২২/২২১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৭৪
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলদেশের ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশসহ শিল্প-বাণিজ্যের সম্পর্ক আরো উন্নয়ন করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎকালে তাঁর দেশের এই আগ্রহের কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিশেষ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিনোয়োগ এবং মোবাইল সেটসহ ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বন্ধু। আগামী দিনগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগবান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে অধিকতর বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনার কথা জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি আগামী দিনগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ভিত্তিতে উভয় দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিকভাবে আরো সম্পর্ক উন্নয়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আগামী বছর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী ব্যাপকভাবে উদ্যাপন করা হবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
#
শেফায়েত/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২১৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৭৩
দেশকে পেছনে নেওয়ার অপচেষ্টা রুখতে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক বিপ্লব
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
দেশকে পেছনে নেয়ার অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক বিপ্লবের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র’ সেমিনার ও বাচসাস সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহসভাপতি অঞ্জন রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, নির্বাহী সদস্য রাফি হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা এবং আমাদের তরুণ সমাজকে বিপথগামিতা, মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই দেশে একটা সাংস্কৃতিক বিপ্লব দরকার। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ জানাবো, আসুন সবাই মিলে সেটি করি। কারণ, যারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাও বলে শ্লোগান দেয়, তাদের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করা দরকার।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সিনেমা ভালবাসতেন বলেই তাঁর হাত ধরে সিনেমা শিল্প আমাদের দেশে চালু হয়েছে। গতবার আজীবন সম্মাননায় ভূষিত সোহেল রানা ভাই সিনেমা বানানোর পর বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে গেছেন এবং বঙ্গবন্ধু ‘ভালই তো করছ, অভিনয়েই থেকে যাও’ বলায় বঙ্গবন্ধুর এক কথায় এই লাইনেই থেকে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনেমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন এ জন্য যে সিনেমাকে তিনি ভালবাসেন। কারণ, ভাল সিনেমা সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য সহায়ক।’
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হাত ধরে ১৯৫৭ সালে এফডিসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরুর পর আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যে উচ্চতায় চলচ্চিত্র শিল্প ছিল, মাঝখানে সেটি থমকে গিয়েছিল। একে একে সিনেমা হলগুলো সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল এবং ভাল সিনেমা, ভাল নির্মাতার অভাব সব মিলিয়ে থমকে গিয়েছিল। কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সিনেমা হলের সংখ্যা একশ’র নিচে নেমে গিয়েছিল, সেটা আবার তিনশ’তে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহ্মুদ বাচসাস’র আয়োজনের প্রশংসা করেন ও সমিতির ৭ সদস্য আতাহার খান, সলিমউল্লাহ সেলিম, মাইনুল হক ভূঁইয়া, এ জেড এম রাহাগীর, এল এ সরকার বাচ্চু, বরুণ শংকর ও এস আর রেজার হাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
বাচসাস’র কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হুরায়রা মুরাদ। নির্বাহী সদস্য লিটন এরশাদ, মাইনুল হক ভূঁইয়া, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আমিনুর ইসলাম লিটন, রাশেদ আনিস, রাফি হোসেন, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৭২
স্মার্ট কৃষি গড়ে তোলার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
আধুনিক জ্ঞান প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট কৃষি গড়ে তোলার জন্য কৃষিবিদদের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটেছে কৃষিতে। স্বাধীনতার পর যেখানে ১ কোটি ১০ লাখ টন চাল উৎপাদন হতো, সেখানে এখন তা ৪ কোটি ৪ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। গম, ভুট্টা, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনেও এসেছে ব্যাপক সাফল্য। এই সাফল্যের নায়ক হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর কারিগর হলেন দেশের কৃষিবিদ ও কৃষকেরা।
আজ রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে সবচেয়ে কম পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে, তারপরও কোনো রকম খাদ্য সংকট
হয়নি। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ভালো বলেই সংকট দেখা দেয়নি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান বাঙালি চেতনাবিরোধী ছিলেন আর সেজন্যই তিনি সমাজের সর্বত্র রাজাকার, আলবদর ও স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এখনও এই অপশক্তি সক্রিয় রয়েছে।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৭১
ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে
-ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
মৌলভীবাজার, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি আমাদের দেশের সুদীর্ঘকালের সামাজিক ঐতিহ্য। ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে ধর্মীয় উস্কানিতে কোনোমতেই অংশগ্রহণ করা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী আজ মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজ সভাকক্ষে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো অশুভ শক্তি যেন ধর্মের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সে বিষয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী মূলধন ২১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এই প্রথম সমগ্র দেশে মন্দির ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২৬২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সারাদেশে ২ হাজার ৩শত ৫১টি মঠ, মন্দির, শ্মশান সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি কর্মসূচির অধীনে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরসহ চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১৯৯টি মঠ, মন্দির, শ্মশান সংস্কারের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ঈদগাহ, কবরস্থান, শ্মশান সংস্কার ও মেরামত বাবদ বিগত ১৪ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য নেছার আহমেদ ও সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সিলেট ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপপরিচালক শাহ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়।
এছাড়া মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, খতিব, ইমাম, পুরোহিত, সেবাইত, শিক্ষক প্রতিনিধি, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন।
#
আনোয়ার/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৭০
জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য ৫৭ হাজার ৭৩৯ টন ভিজিএফ বরাদ্দ
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
২০২২-২৩ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৫৭ হাজার ৭৩৯ দশমিক শূন্য ৪ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালে দেশের ২০ জেলার জাটকা সংশ্লিষ্ট ৯৭টি উপজেলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৯টি জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আওতায় ফেব্রুয়ারি-মে ২০২৩ মেয়াদে চার মাসের জন্য নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি হারে চাল প্রদান করা হবে।
গতকাল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি প্রদান করেছে। ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখের মধ্যে ভিজিএফের চাল উত্তোলন ও বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
যেসব উপজেলায় ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর, শ্রীনগর, লৌহজং, টঙ্গিবাড়ী ও গজারিয়া, ফরিদপুর জেলার সদর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসন, রাজবাড়ি জেলার সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও গোসাইরহাট, মাদারীপুর জেলার সদর, কালকিনি ও শিবচর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, মীরসরাই ও চট্টগ্রাম মহানগর, ফেনী জেলার সোনাগাজী, নোয়াখালী জেলার সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর, রামগতি, রায়পুর ও কমলনগর, চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ, বাগেরহাট জেলার সদর, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, চিতলমারি, শরণখোলা ও কচুয়া, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, চৌহালি, বেলকুচি, কাজীপুর ও শাহজাদপুর, বরিশাল জেলার সদর, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর, গৌরনদী ও বাকেরগঞ্জ, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী ও কাউখালী, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা ও দুমকি, ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমদ্দিন ও মনপুরা, বরগুনা জেলার সদর, আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী এবং ঝালকাঠি জেলার সদর, কাঠালিয়া, নলছিটি ও রাজাপুর।
উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চার মাস জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।
#
ইফতেখার/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৬৯
জিয়ার আমলেই দেশ ছিল কারাগার
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানই কারফিউ দিয়ে দেশকে কারাগার বানিয়ে রেখেছিলেন। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান যাদের সংক্ষিপ্ত বিচার এবং বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারের সদস্যরা আজও কাঁদছে।’
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) সভাপতি তপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উল হক ও নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানের সাম্প্রাতিক এক মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘ড. মঈন খান হয়তো ভুলে গেছেন, তার বাবা তখন জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। তখন পুরো দেশে কারফিউ দিয়ে রাখা হতো। রাত ১০ টার পর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম শহরসহ বড় বড় সব শহরে কারফিউ থাকতো। পুরো শহর ছিল কারাগার। কারফিউ মানেই তো কারাগার। কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। আজকে কি সেই পরিস্থিতি আছে! মঈন খান জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, তার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার বাবার আমলটা যদি একটু মনে করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আসলে তিনি তার বাবার আমলের কথা বলেছেন অর্থাৎ জিয়ার আমলের কথা যখন পুরো দেশটাকে কারাগার বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশে গুম, খুন শুরু করেছিল’ উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছিল, খুন করা হয়েছিল, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল। যাদেরকে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সংক্ষিপ্ত বিচার এবং বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারগুলো ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের সদস্যরা রাস্তাঘাটে কেঁদে বেড়াচ্ছে। আর মঈন খান সাহেবের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে তাদের কর্মীরা ২০১৩-১৪-১৫ সালে যাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, তাদের সংগঠন হচ্ছে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’। তাদের আর্তনাদও আজকে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমি মঈন খান সাহেবসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের আয়নায় নিজেদের চেহারাটা ভালোভাবে দেখার জন্য এবং তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনকার পরিস্থিতি একটু মনে করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানাই। এই দেশে অপরাজনীতি, গুম, খুন এগুলো বিএনপি করেছে এবং জিয়াউর রহমান এই পুরো দেশটাকে কারাগার বানিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়াও বানানোর চেষ্টা করেছে। নিশ্চয়ই মনে আছে, অবরোধের নামে তারা একশ’ দিন মানুষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল, সেটাও তো দেশকে কারাগার বানানো। সুতরাং এই অপরাজনীতি তারাই করে।’
চলমান পাতা - ২
--- ২ ---
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমি কাগজে দেখেছি যে, নকশা বহির্ভূতভাবে সারিনা হোটেল ১৫ তলার অনুমোদন নিয়ে ২১ কি ২২ তলা করা হয়েছে। ১৫ তলার অনুমোদন নিয়ে ২২ তলা করলে সেটা তো গর্হিত কাজ, আইন বহির্ভূত কাজ। সেটিই দুদক খুঁজে বের করেছে এবং মামলা করেছে। যারা আইন প্রণেতা হতে চায়, তাদের তো আইন বহির্ভূত কাজ করা উচিত নয়। এ ধরনের কাজ উনাদের আরো অনেকেই করেছেন। সেগুলোও আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসবে।’
মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘মেট্রোরেল চালু হচ্ছে এটিই খুশির বিষয়। আমাদের দেশে কেউ ভাবেনি যে, এভাবে মেট্রোরেল হবে। প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উদ্বোধন করছেন। ধীরে ধীরে এই মেট্রোরেল আরো সম্প্রসারিত হবে। আজকে সমগ্র দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছে যে মেট্রোরেল চালু হবে এবং মানুষ চড়বে। মেট্রোরেলের মাসিক ভাড়া কিন্তু অনেক কম। এমনি টিকিট করলে এক ধরনের ভাড়া। আবার ত্রৈমাসিক বা সাপ্তাহিক ভাড়াও অনেক কম। আমি ঠিক করেছি আমার নির্বাচনি এলাকার উৎসাহী গ্রামের মানুষদের মেট্রোরেলে চড়াবো।’
#
আকরাম/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৬৮
ভারত সফরের ওপর বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং
চাহিদামতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে ভারত
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের চাহিদা মোতাবেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ ভারত থেকে প্রয়োজনীয় চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং ডাল আমদানি করে থাকে। অনেক সময় ভারত হঠাৎ করে পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এর ফলে বাংলাদেশকে সমস্যায় পড়তে হয়। মন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার এসকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে বার্ষিক কোটা নির্ধারণ করতে সম্মত হয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছরের আমদানি-রপ্তানির তথ্য পর্যালোচনা করে এ সকল পণ্যের বার্ষিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য পাটজাত সামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত এন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করেছে। এ ডিউটি প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সেপা) নামে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য একমত হয়েছিলেন। সেটা যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করে একমত হওয়া গেছে। আশা করা যায়, অল্প সময়ের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফরের ওপর প্রেস ব্রিফিং এর সময় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ সফরে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান এবং বিভিন্ন প্রকার শুল্ক-অশুল্ক বাধা অপসারণের মাধ্যমে বাণিজ্য সহজীকরণ, ভারত হতে উচ্চ ফলনশীল রাবার ক্লোন আমদানি, ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, ভারত এ সকল বিষয়ে বাংলাদেশকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় রুপী ব্যবহারের বিষয়েও ভারত প্রস্তাব দিয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের পক্ষে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পিয়ুশ গয়ালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। সফরকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভারতের অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারামন এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
প্রেস ব্রিফিং এর সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মোঃ মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক) মোঃ হাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মোঃ রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৬৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১১ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৩৯ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪৪৭ জন।
#
কবীর/রাহাত/মাহমুদ/রেজাউল/১৭১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৬৬
বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশের গর্ব ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক মেট্রোরেল বাংলাদেশের নগর গণপরিবহন ব্যবস্থায় একটি অনন্য মাইলফলক। Mass Rapid Transit (MRT) Line 6 বা বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন ঢাকা মহানগরবাসীর বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্ন। MRT Line-6 এর উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ মহানগরবাসীর সেই স্বপ্ন পূরণ হল। মেট্রোরেল উদ্বোধনের এ মাহেন্দ্রক্ষণে আমি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দেশের পরিবহন ও যোগাযোগ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনের উন্নয়ন যাত্রার সূচনা করেছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ৬ (ছয়)টি মেট্রোরেল লাইন সমন্বয়ে বর্তমান সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর আওতায় ৪ (চার)টি মেট্রোরেল লাইনের নির্মাণ বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন আছে এবং ২ (দুই)টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের নিমিত্ত সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন আছে। আগামী মাসেই বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
সবার জন্য মেট্রোরেল- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা মেট্রোরেলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উন্নত বিশ্বের ন্যায় প্রয়োজনীয় সকল সুবিধাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেট্রোরেলে মহিলা যাত্রীগণের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে একটি স্বতন্ত্র মহিলা কোচ রাখা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে এক অনাকাঙ্ক্ষিত বিয়োগান্তক ঘটনায় MRT Line 1 এবং MRT Line-5 এ কর্মরত ০৭ (সাত) জন জাপানী পরামর্শক জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের স্মরণে বাংলাদেশ ও জ