Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ August ২০২২

তথ্যবিবরণী ১৩ আগস্ট ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩২৫৪

 

গুজব ও অপপ্রচার প্রশমনে নীতিমালা করা হচ্ছে

                              -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট) :

            ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের উদ্বেগের বড় একটি জায়গা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার প্রশমনে সকলের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে এই লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ডিজিটাল মিডিয়ায় নিজ নিজ অধিক্ষেত্র নিয়ে দু’টি পৃথক নীতিমালা প্রণয়ন করছে।

            মন্ত্রী আজ ঢাকায় এফবিসিসিআই মিলনায়তনে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘রেগুলেশন অভ্‌ ডিজিটাল, সোস্যাল মিডিয়া এন্ড ওটিটি প্লাটফর্ম: দ্য নিড টু স্ট্রাইক দ্য রাইট ব্যালেন্স’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

            এফবিসিসিআই‘র সভাপতি  মোঃ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচক হিসেবে সিঙ্গাপুর থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে মেটা’র (ফেসবুক) হেড অভ্‌ পাবলিক পলিসি, বাংলাদেশ সাবহানাজ রশিদ দিয়া ও এশিয়া ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেফ পেইনি, অনুষ্ঠানে  সরাসরি উপস্থিত থেকে এফবিসিসিআই’র পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির, বিটিআরসি’র ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, আরটিভি’র সিইও সৈয়দ আসিক আহমেদ এবং বঙ্গবিডি’র পরিচালক নাবিদুল হক বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার রশনা ইমাম।

            ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ফেসবুক ব্যবহার করে নাসির নগরসহ বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এর আগে মিডিয়াকে ব্যবহার করে কখনো তা হয়নি। তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষের জাতীয় আইডি আছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঠিকানাহীনদের কীভাবে শনাক্ত করবো এই প্রশ্ন রাখেন। ২০১৮ সালে স্পেনের বার্সেলোনায় ফেসবুকের সাথে দ্বিপাক্ষিক একটি বৈঠকের পর আমরা সম্পর্কের দূরত্ব কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল অপরাধ দমনে তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন, সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করেই এই আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।  তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক  নীতিমালায়  যে সব জায়গায় পরিবর্তন করা দরকার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পরামর্শের ভিত্তিতেই করা হবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতাদেরকে কপি রাইট নিবন্ধন করার পরামর্শ ব্যক্ত করে বলেন, আমি মনে করি আমার বড় সম্পদ হচ্ছে মেধা। মেধা রক্ষা করতে না পারলে উন্নত জাতি হতে পারবো না।  ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের এই অগ্রদূত বলেন, কপি রাইট, লেভেল ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক একই ছাতার অধীন থাকা উচিত। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বিপ্লবের এই কর্মসূচির আট বছর পর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণাটি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম ঘোষিত হয় বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ শেষ। তিনি তাদেরকে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি  গ্রহণের আহ্বান জানান।

            তথ্য ও সম্প্রচার সচিব স্বাধীন মত প্রকাশে বাংলাদেশকে পৃথিবীর অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনটা প্রকাশ করা যাবে আর কোনটা যাবে না, নিজের বিবেক এপ্লাই করে তা করা উচিত। ডিজিটাল মাধ্যমের জন্য কনটেন্ট তৈরি এবং প্রচার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির  প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ওটিটি  প্লাটফর্ম নীতিমালা প্রসঙ্গে বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওটিটি প্লাটফর্ম বিষয়ে সম্পুর্ণভাবে পৃথক দুটি কাজ সম্পাদন করে থাকে। তিনি বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাজ কনটেন্ট ফেসিলেট করা। আমরা এই নিয়েই কাজ করছি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আদালতের নির্দেশনা আলোকে স্ব স্ব এখতিয়ার ফোকাস করেই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

            অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ওটিটি প্লাটফর্ম নীতিমালার সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব ও সুফল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।

 #

শেফায়েত/রফিক/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২১১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩২৫৩

 

রঙিন খোয়াব দেখে লাভ নেই, বঙ্গবন্ধুকন্যা টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হবেন

                                                    -- বিএনপিকে এনামুল হক শামীম

 

ঢাকা, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট) :

 

            বিএনপির উদ্দেশে পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, রঙিন খোয়াব দেখে লাভ নেই। দেশের জনগণ পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ানদের কখনো ক্ষমতায় বসাবে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।

 

            আজ রাজধানীর ডেমরায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-মন্ত্রী একথা বলেন।

 

            উপ-মন্ত্রী শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করতে করতে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনের ভয় আওয়ামী লীগকে দেখিয়ে লাভ নাই। দীর্ঘ আন্দোলন, লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এ অবস্থানে এসেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারো কাছে ধরনা দেয়ার প্রয়োজন হয় না।

 

            প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসররা রাজপথে আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও করলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। বিএনপি ও তাদের দোসর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশের মধ্যে একটা অরাজকতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। তাই ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সর্তক অবস্থায় থাকতে হবে। তারা যেখানেই নাশকতা করার চেষ্টা করবে, সেখানেই তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।

 

            ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খাঁনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজলের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতন, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ, ডিএসসিসির ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিনসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

 

#

 

গিয়াস/রফিক/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২১২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩২৫২

 

চিকিৎসকদের আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে

                                      -জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

 

মেহেরপুর, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট) :

 

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে আরো উন্নত করতে চিকিৎসকদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

 

আজ মেহেরপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতি হিসাবে বক্তব্য প্রদান কালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষ অসুস্থ হলে অনেক অসহায় বোধ করে। সেই সময়ে চিকিৎসকদের কাছে তাদের প্রত্যাশা অনেক। তাই তারা যেন যথাযথ সেবা পায় এবং কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবায় জড়িত সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী এসময় হাসপাতালগুলোর পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

সভায় মেহেরপুরের পুলিশ সুপার, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

 

#

 

শিবলী/রফিক/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২১২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩২৫১

 

আওয়ামী লীগ সরকার গরিবের বন্ধু, আর দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বর

                                                                                       -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

সিলেট, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট) :

 

            পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গরিবের বন্ধু, আর দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সারাবিশ্বে এক নম্বর। দেশের যেকোনো দুর্যোগে শেখ হাসিনার সরকার সবসময় জনগণের পাশেই রয়েছে।

 

            মন্ত্রী আজ সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

            ড. মোমেন বিগত বন্যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যাতে সহায়তা নিশ্চিত করা যায় সেজন্য তথ্য দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি আপনাদের প্রতিনিধি। আপনারা যদি আমাকে তথ্য দেন, তাহলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তা প্রদান করা সহজ হবে। তিনি আরো বলেন, আকস্মিক বন্যায় যখন সিলেট প্লাবিত হলো, তখন মানুষের অসহায়ত্বের কথা জানামাত্রই আমি ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সরকার সবধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমরাও সাথে সাথেই সরকারি সহযোগিতা নিয়ে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ড. মোমেন বলেন, তবে বন্যায় আমাদের রাস্তাঘাটসহ অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং এগুলোর উন্নয়নেও সরকার ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।

 

            অনুষ্ঠানে ড. মোমেন বলেন, সিলেট সদরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক, সর্বমোট ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। বিগত বন্যায় সিলেট সদরে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে এযাবত ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ১৭৪ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

 

            সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তবে সরকার খুব চেষ্টা করছে জিনিসপত্রের দাম যেন সহনীয় মাত্রায় রাখা যায়। গরিব মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সেজন্য এক কোটি পরিবারকে সরকারের পক্ষ হতে সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

            আগামীতে সিলেটে বন্যার প্রকোপ কমানোর লক্ষ্যে এবং সিলেটে নদী ভাঙন ঠেকাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী নভেম্বরেই এ কাজ শুরু হবে। শেখ হাসিনার সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে জনগণের কল্যাণের জন্যই কাজ করে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 

            অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ আশফাক আহমদ এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী মিসেস সেলিনা মোমেন, জাতীয় মহিলা সংস্থা, সিলেট জেলা শাখার চেয়ারম্যান হেলেন আহমেদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

মোহসিন/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩২৫০

 

 

‍‍বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত স্মৃতি নিদর্শনসমূহকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সংরক্ষণ করা হবে

                                                                      -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট) :

 

            সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত স্মৃতি নিদর্শনসমূহ জাতির অমূল্য সম্পদ। অর্থমূল্য দিয়ে এর পরিমাপ করা যাবে না। আবার নতুন করে এটি সৃষ্টিও করা যাবে না। আমরা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে নিদর্শনসমূহকে সংরক্ষণ করতে চাই যেন হাজার বছর পরেও এটি অবিকল ও অবিকৃত থাকে।

 

            প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত ৪টি অমূল্য স্মৃতি নিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর কর্তৃক বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

            বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর সাবেক সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান ও সহকারী কিউরেটর কাজী আফরিন জাহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান।

 

            প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মৃতি নিদর্শনসমূহ হস্তান্তর করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মোঃ নজরুল ইসলাম খান। জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত ৪টি স্মৃতি নিদর্শন যথাক্রমে মুজিব কোট, টোব্যাকো পাইপ, পাঞ্জাবি ও পায়জামা গ্রহণ করেন যথাক্রমে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর, জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান।

 

            জাতির পিতার ব্যবহৃত জিনিস ও নিদর্শনসমূহ দিয়ে জাতীয় জাদুঘরে আলাদা গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করা হবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে ৪৯টি নিদর্শন উপহার দেন, যার মধ্যে ছিল মানপত্র, কাঁসার থালাসহ আরো কিছু জিনিসপত্র। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত সাইকেল, কলম, স্বহস্তে লিখিত ও স্বাক্ষরিত পত্র, বিভিন্ন সূচিকর্ম ও চিত্রকর্ম জাদুঘর কর্তৃক সংগৃহীত হয়েছে। কে এম খালিদ বলেন, আমরা জাদুঘরের জন্য একটি বাস পেয়েছি যেটি দিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ছাত্র-ছাত্রীসহ দর্শনার্থীদের জাদুঘর পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে যার মধ্য দিয়ে তাদের সামনে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধসহ জাতির সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হবে।

 

            সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগস্ট শোকের মাস। এ মাসে যখন বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত জিনিস স্পর্শ করি, তখন সারা শরীরে কম্পন অনুভব করি, গভীর শোকে বেদনার্ত হই। প্রতিমন্ত্রী এসময় দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিদর্শনসমূহ জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

 

#

 

ফয়সল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/২০৪০ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৩২৪৯

 

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত

ঢাকা, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট):

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজার বিষয়ে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।  তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ হয়তো এই কমিশন চালু করা যাবে। 

আজ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘এস্টাবলিশ পাইলট প্রসেস টু ক্লাসিফাই কেসেস ইন কনসালটেশন উইথ দ্য জাজেস অভ্ দ্য লেবার কোর্টস উইথ আ ভিউ টু এড্রেসিং কেস ব্যাকলগস’ শিরোনামে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কমিশন গঠন ও তার কার্প্রণালীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোভিড যায় যায় করে যায় না। জনগণ বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুধাবন করছেন। এখন অর্থনৈতিক ব্যাপারেও কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। নিশ্চিয়ই বর্তমান পরিস্থিতিতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ‘প্রাওরিটাইজ’ করতে হচ্ছে। সেজন্য হয়তো কমিশনের রূপরেখার ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের সাথে যে আলাপ আলোচনা করা দরকার সেটা হয়ে ওঠেনি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কিছু দিনের মধ্যে এই আলোচনা করতে পারবেন এবং এই বছর শেষ হওয়া নাগাদ কমিশন চালু করতে পারবেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘উইচ হান্টিং’ বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে বদলে দেওয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল, যে নৃসংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলে তার সাথে কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।

কমিশন কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমার যে রূপরেখা সেটা যদি উনি (প্রধানমন্ত্রী) একটু পরিবর্তন করতে চান, তার আগে আমি যদি ওটা বলে দিই তাহলে আমার মনে হয় সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের যে উদ্দেশ্য ও আদর্শ সেটার ব্যাঘাত হয়।’ আনিসুল হক বলেন, তিনি যে রূপরেখা তৈরি করেছেন সেটাতেই এগিয়ে যাবেন। 

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্যান্য সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই সমস্যাগুলো একটা একটা করে শেষ করতে হচ্ছে। সেজন্য তাদের তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।

সরকার ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলাকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছে। কারণ এই মামলা ১৪ বছর পর নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন এটি উচ্চ আদালতে তড়িৎ শুনানি করে এর পরিসমাপ্তি ঘটানো হবে। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. ফারুক, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার  বিভাগের  সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন প্রমুখ বক্তৃতা প্রদান করেন।

#

রেজাউল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২২/২০০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩২৪৮

 

 

মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন

 

মানিকগঞ্জ, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট) :

 

          আজ মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র (স্ক্যানু) উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। ইউএসএআইডি’র ‘মামনি’ মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্প (মামনি এমএনসিএসপি)-এর সহযোগিতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র (স্ক্যানু) চালু হয়েছে।

 

          বাংলাদেশে প্রতি বছর অনুমানিক ৯০ হাজার নবজাতক মৃত্যুবরণ করে এবং দুই তৃতীয়াংশের বেশি শিশু জন্মের সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে অর্ধেক শিশু সংক্রমণ, জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা, কম জন্ম ওজন এবং অপরিণত জন্মের কারণে জন্ম নেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করে। অথচ মানসম্মত নবজাতকের বিশেষায়িত সেবায় এই অপ্রত্যাশিত মৃত্যুগুলোর বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

         

          মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন এই অঞ্চলের অসুস্থ নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাহিদ মালেক বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। কিন্তু সেই সাথে আজকে আমাদের জন্য আনন্দের দিন। আমরা শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে চাই। এই মাসে আমরা বসে থাকবো না। আমরা  ইউএসএআইডি ও সেভ দ্য চিলড্রেন-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি তারা তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। আমরা ৫০ জেলায় স্ক্যানু স্থাপন করেছি, বাকি জেলায় করবো। নবজাতকের পাশাপাশি মায়েদের বিষয়ে নজর বাড়াতে হবে।

         

          স্ক্যানু গুরুতর অসুস্থ নবজাতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা নবজাতকদের জন্য আইসিইউ। স্ক্যানুতে নবজাতকেরা তাৎক্ষণিক সেবা পায় এবং জীবন রক্ষা পায়। গর্ভবতী মায়েদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বা ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি বাড়ানোর ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া তিনি বলেন, সময়মতো আমরা কোভিড-১৯ এর টিকা শুরু করতে পেরেছি। এটি আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে এই স্ক্যানুর নামকরণের প্রস্তাবনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

          মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপত্বিতে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা সম্পর্কিত একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

           

#

 

মাইদুল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/সেলিম/২০২২/১৯৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৩২৪৭

 

বিএনপির পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরা মাঠে নেমেছে, প্রতিরোধ করতে হবে

                                                        --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট):

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বিএনপির পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরা আবার মাঠে নেমেছে। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে এবং তাড়িয়ে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির সমাবেশে আমরা কখনো বাধা দিইনি, দেবো না, তারা নিজেরা নিজেরাই মারামারি করে। কিন্তু যদি পেট্রোলবামা বাহিনীদের দেখি, তখন কিন্তু আমরা বসে থাকব না, প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘তেলের দাম বাড়াতে বিএনপি এখন বর্ষাকালের পুঁটি আর মলা মাছের মতো একটু লাফাচ্ছে, যার কোনো প্রয়োজন নেই’ উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর সমগ্র পৃথিবীতে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ৬০ ডলারের তেল ১৭০ ডলারে গিয়েছে। এখন সেটি ১৩৮-৪০ ডলার। দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। আমাদের দেশে দ্বিগুণ নয়, সব মিলিয়ে ৩৮-৪০ শতাংশ বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের সমান করেছি। বিশ্ববাজারে তেলের দাম স্থিতিশীলভাবে কমলে আবার দাম সমন্বয় করা হবে।’

ড. হাছান বলেন, ‘কাগজে দেখলাম বিএনপি মহাসচিব বলেছেন সরকার না কি বিদেশিদের চাপে কোনো সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না। অথচ আমাদের নেত্রী কদিন আগে বলেছেন, আমরা বিএনপির কোনো সমাবেশে বাধা দেব না এবং আমরা দেইনি। কিন্তু গতকাল তারা নিজেরাই মারামারি করে নিজেদের সমাবেশ পন্ড করে দিয়েছে। সমাবেশ ডাকলে যারা নিজেরাই চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি, মারামারি করে সমাবেশ পন্ড করে, সেখানে বাধা দেওয়ার দরকার নেই। ভবিষ্যতেও দেখবেন যখনই বিএনপি সমাবেশ ডাকবে তখনই নিজেরা সমাবেশ পন্ড করে দেবে।’

অতীতের দিকে তাকিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপির সময়ে সারা দেশের ৫’শ জায়গায় বোমা ফাটানো হয়েছিল। আগামী ১৭ আগস্ট সমগ্র বাংলাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির নৈরাজ্য এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ হবে। রাঙ্গুনিয়ার নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেবে।’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মন্ত্রী হাছান বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সেবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবার। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সংরক্ষিত প্রসিডিংয়ে আসামি এবং সাক্ষীরা তাদের জবানবন্দিতে সবিস্তারে বলেছেন কখন কোথায় কীভাবে জিয়াউর রহমানের সাথে দেখা করেছিল, তিনি কীভাবে ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিল। এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খোন্দকার মোস্তাক তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব বলেই জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান করে। সেই জিয়া বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করে এবং সেই ধারাবাহিকতাই বিএনপি বয়ে চলেছে।’

রাঙ্গুনিয়ায় এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার পৌর অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. শামসুল আলম তালুকদার ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, এমরুল করিম রাশেদ, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

#

 

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২২/১৮৫২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৩২৪৫   

 

আন্দোলনের নামে হামলা-ভাঙচুর, বোমাবাজি করতে দেয়া হবে না

                                                       -স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট):

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আন্দোলনের নামে কেউ হামলা-ভাঙচুর ও বোমাবাজি করে জনজীবন অতিষ্ঠ করার চে

2022-08-13-15-48-cc2e41a483a8ab77ee7e9a991ed1388c.doc