Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd অক্টোবর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২২ অক্টোবর ২০২৩

Handout                                                                                                         Number :  1393

 

Foreign Secretary urges the D-8 Commissioners to adopt a Joint

Declaration to express steadfast solidarity and support for the Palestinian People

 

Dhaka, 22 October :

Foreign Secretary (Senior Secretary) Ambassador Masud Bin Momen inaugurated the two-day long meeting of the 47th Session of the D-8 Commission held on 22 October 2023 in Dhaka. The D-8 Secretary-General, Ambassador Isiaka Abdulqadir Imam, D-8 Commissioners from the D-8 Member States and Officials from the D-8 Secretariat are participating in the meeting.

In his opening remarks, Foreign Secretary reaffirmed Bangladesh’s unwavering support for the Palestinian people’s inalienable right to self-determination and a two-state solution based on the 1967 borders. Condemning the horrific atrocities against the innocent civilians in Gaza by the Israeli occupation forces, he called for an immediate cessation of violence in Gaza and provide humanitarian access to the conflict zones in order to save lives of the innocent civilians. 

During the meeting, Foreign Secretary of Bangladesh requested the D-8 Commissioners to adopt a Joint Declaration to express steadfast solidarity and support for the Palestinian People. The D-8 Commissioners and the D-8 Secretary-General echoed the proposal of Bangladesh and agreed to adopt a Joint Declaration at the 47th session of the D-8 Commission. 

Appreciating D-8’s remarkable journey of 26 years as an economic bloc, Foreign Secretary  further urged the D-8 Commissioners to deliver tangible outcomes of this economic cooperation by combining efforts of the Member States. 

Prime Minister of Bangladesh assumed the Chairmanship of the Developing-Eight Organization for Economic Cooperation (D-8) from the President of Turkiye on 8 April 2021 at the 10th D-8 Summit.

#

Mohsin/Mosharof/Shamim/2023/2230hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ১৩৯২

দুর্যোগ-উত্তর পুনর্গঠনে প্যারাডাইম শিফটে কাজ করছে সরকার

                                                                       --- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৬ কার্তিক (২২ অক্টোবর):

            দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় যুগোপযোগী ও সমন্বিত দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম ধারণা থেকে সরে এসে দুর্যোগে ‘পূর্ব প্রস্তুতি, দুর্যোগকালীন সুরক্ষা ও দুর্যোগ-উত্তর পুনর্গঠনে প্যারাডাইম শিফটে কাজ করছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আইন, বিধি, পরিকল্পনা ও নীতিমালার আলোকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্কের লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

            প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে দক্ষিণ সুদানের মানবিক বিষয়ক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী অষনরহড় অশড়ষ অঃধশ গধুড়স এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন ।

            তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কর্মসূচির মূলভিত্তি গড়ে গেছেন, তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও সুশাসনে আজ তা এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম, দূরদর্শী পরিকল্পনা ও নতুন নতুন কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সরকার আজ দেশকে সারা বিশ্বের কাছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনুকরণীয় রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

            প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের নীতি পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কৌশল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সবধরনের দুর্যোগের প্রস্তুতিতে সরকার বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দেশবাসীকে আগাম সর্তকর্বাতা দিতে দেশের ৮ টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটেনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসানো হয়েছে। তাছাড়া বজ্রপাতপ্রবণ ১৫ টি জেলায় ৩৩৫ টি বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন করা হয়েছে। এবছর সর্বোচ্চ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ‘ মোখা’ মোকাবিলায় আমাদের আগাম সতর্কতা, প্রস্তুতি ও সাড়াদান আরেকটি নজির সৃষ্টি করেছে।

            তিনি বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় দেশ গড়তে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে ৮টি জোনে ভাগ করে ঢাকাকে ভূমিকম্প সহনীয় হিসেবে গড়ে তুলতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ভূমিকম্পে কার্যকর অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি সংগ্রহ পূর্বক সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে জরুরি সাড়াদানকারী সংস্থাসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়-ক্ষতি প্রশমনকে প্রাধান্য দিয়ে “বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০” প্রণয়ন করেছি। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে যোগসূত্র সৃষ্টি করবে এ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা। এ পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে দুর্যোগের মাত্রা ও প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে ৬টি দুর্যোগ হটস্পটে বিভক্ত করা হয়েছে। ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ এর প্রথম পর্যায়ে মোট বিনিয়োগের একটা বড় অংশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদীভাঙন রোধ, পানিধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নাব্যতা বৃদ্ধির খরচ হিসেবে ধরা হয়েছে। নদী ড্রেজিং, গ্রীষ্মকালে সেচের পানি সংরক্ষণের জন্য জলাধার নির্মাণ, খাল খনন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, সংস্কারসহ নানাবিধ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি দুর্যোগ মোকাবিলায় এসব বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ ‘দুর্যোগ সহনশীল’ (Disaster Resilient) দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হবে।

            এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাসান সারওয়ার এবং কে এম আব্দুল ওয়াদুদ উপস্থিত ছিলেন।

#

সেলিম/পাশা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৯৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ১৩৯১

 

প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে সরকার

     --মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ৬ কার্তিক (২২ অক্টোবর) :  

প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ নীতিমালা ও মিথেন ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রণয়ন সংক্রান্ত উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নীতি অনেক সহায়ক। এ খাতের খামারিদের জ্ঞান ও পরিষেবায় অংশগ্রহণ আরো জোরদার করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) নীতি সহায়তা প্রদান ও নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্প থেকে খামারিদের সংগঠিত করে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন এবং তাদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও খামারি মাঠ স্কুল পরিচালনার মাধ্যমে এলডিডিপি খামারিদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। বিশ্বব্যাংক, এফএও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কিছু সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সব ধরনের শর্ত পূরণ করে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বে পদার্পণ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন, বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ডেল্টা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী ১০০ বছরের জন্য দূরদর্শী পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করেছেন। কিভাবে একটি দেশ পরিচালিত হবে, কিভাবে সে দেশের জনগণ কাজ করবে, কিভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে, কিভাবে অন্যান্য দেশের সাথে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যাবে, তার সবকিছু এ পরিকল্পনায় রয়েছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, উন্নত, উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশের জন্য নয় বরং সবার জন্যই আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। অন্যথায় শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি বিশ্বের মানুষের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে বণ্টন করা যাবে না।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কৃষি অর্থনীতিবিদ আমাদু বা এবং এফএও'র বাংলাদেশ প্রতিনিধি আরনড হ্যামলিয়ারস। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

 

ইফতেখার/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৯১৫ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                   নম্বর : ১৩৯০

২৮ তারিখ রাজপথ থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে

                                --- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ৬ কার্তিক (২২ অক্টোবর):

            তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বিএনপির মহাসমাবেশ, ছোট সমাবেশ, মাঝারি সমাবেশ এবং তাদের হাঁটা, দৌড় বা বসা কর্মসূচি, ভবিষ্যতে হয়তো হামাগুড়ি দেওয়া কর্মসূচি আসবে -এগুলোতে আমরা কখনো চাপ অনুভব করি নাই। আমরা রাজপথের দল, আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো, ২৮ তারিখেও রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে ইনশাআল্লাহ।’

            আজ সচিবালয়ে সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের গবেষণাপত্র ও গবেষণা গ্রন্থগুলো নিয়ে ‘স্বরব্যঞ্জন’প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু সমগ্র’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বিএনপির আগামী সমাবেশ নিয়ে কোনো চাপ অনুভূত হচ্ছে কি না সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ‘স্বরব্যঞ্জন’প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ড. শিহাব শাহরিয়ার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

            ‘যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল সেটা আজ ধুলায় মিশে গেছে’বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কি আসলে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন -এটি আমার প্রশ্ন। কারণ তিনি কয়েক মাস আগে বলেছিলেন, “পাকিস্তানই ভালো ছিলো”। যিনি পাকিস্তান ভালো ছিলো বলেছেন তিনি আসলে বাংলাদেশের জন্য স্বপ্ন দেখেছেন কি না সেটি বিরাট একটা প্রশ্ন। এবং আমি কারো বাবা নিয়ে কথা বলতে চাই না, কিন্তু তার বাবা পাকিস্তান সমর্থক একজন মানুষ ছিলেন, এটি দিবালোকের মতো সত্য। অর্থাৎ মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য বলে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্নটাই দেখেন নাই।’

            তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে যারা স্বপ্ন দেখে নাই বরং পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিলো সেই সমস্ত লোকজনের সন্নিবেশ ঘটিয়ে বিএনপি গঠিত হয়েছে। এবং যে শাহ আজিজুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে “পূর্ব পাকিস্তানে কোনো গণহত্যা হচ্ছে না, ভারতীয় চরেরা গণ্ডগোল এবং বিশৃঙ্খলা করছে মাত্র” এই বক্তব্য দিয়েছিলেন, তাকেই জিয়াউর রহমান প্রথম প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন।’

            ‘অর্থাৎ যারা দেশটাই চায়নি তাদের সন্নিবেশ ঘটিয়ে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে বিএনপি গঠিত হয়েছিলো’ উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘তার অর্থ মির্জা ফখরুলরা আসলে বাংলাদেশের কোনো স্বপ্ন দেখেন নাই। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের পূর্বসূরি মুক্তিযোদ্ধারা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা, যারা দেশটা রচনা করে গেছেন, তাদের চেতনার বেদীমূলে আঘাত হেনেছিলো জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি।’

            বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুুজিব-একটি জাতির রূপকার’সিনেমায় জিয়াউর রহমান ঠিকভাবে চিত্রিত হননি -বিএনপির এ মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘এটি বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে একটি বায়োপিক। বঙ্গবন্ধু কিভাবে খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা এই ছবিটিতে সেটিই উঠে এসেছে। এই ছবি দেশে-বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। বিদেশ থেকে আমি প্রতিদিন বহু ফোন ও এসএমএস পাই, কখন তারা ছবিটি দেখতে পাবে, কখন এটি আন্তর্জাতিকভাবে রিলিজ পাবে।’

            হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তখন স্বাভাবিকভাবেই বিএনপির একটু গাত্রদাহ হচ্ছে হয়তোবা। কারণ তাদের মূল নেতারা কথা না বললেও দু’একজন কথা বলেছেন, লিগ্যাল নোটিশও না কি দেওয়া হয়েছে। তবে যেগুলো ঐতিহাসিক সত্য সেগুলোই এখানে উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে যে জিয়াউর রহমান যুক্ত ছিলো এটা খুনিরাই দম্ভ করে যখন খুনের দায় স্বীকার করেছিলো তখন তারা বলে গেছে, সেই রেকর্ড আছে, আপনারা দেখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে বিচারে খুনি এবং সাক্ষীরা সবাই জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে গেছে। মামলা শুরু হওয়ার আগে কর্নেল ফারুক রশীদ লন্ডনে একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে দম্ভভরে খুনের দায় স্বীকারের সময়ও জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছেন। ছবিতে সেই বিষয়টা পুরো আসে নাই।’

            সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যদি বলে থাকে যে, জিয়াউর রহমানকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয় নাই সেটি ‘টু সাম এক্সটেন্ট’ সঠিক। কারণ উনি যে পরিমাণে বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে যুক্ত ছিলেন ছবিতে এটা পুরো আসেই নাই।’

            এর আগে ‘বঙ্গবন্ধু সমগ্র’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘এই বইটি উঁচুমানের এবং এটি পড়লে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক কিছু জানার সুযোগ সবারই হবে। সেজন্য আমি মনে করি এই উদ্যোগটা অনেক ভালো। এজন্য আমি লেখক ও প্রকাশককে ধন্যবাদ জানাই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক লেখা হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মান রক্ষিত হয় না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যারাই লিখবেন বা লেখেন মানটা যাতে বজায় থাকে সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’অনুষ্ঠানে ড. শিহাব শাহরিয়ার বইটির রূপরেখা তুলে ধরেন।

#

আকরাম/পাশা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৯০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৩৮৯

 

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ৬ কার্তিক (২২ অক্টোবর) :  

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন (Ramis Sen) সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁরা পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 

উভয় দেশের সংস্কৃতি, আমদানি-রপ্তানি, অর্থনীতি অবস্থা, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে এসব খাতের বিভিন্ন উপখাত নিয়ে আলোকপাত করেন।

রাষ্ট্রদূত এ সময় প্রতিমন্ত্রীকে তুর্কি প্রজাতন্ত্র ঘোষণার শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগদান করার আমন্ত্রণ জানান।

#

 

আসলাম/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৯০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৩৮৮

শারদীয় দুর্গোৎসব সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে

                                           -গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ, ৬ কার্তিক (২২ অক্টোবর):

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব এখন শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই উৎসব বাঙালির সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। 

আজ ময়মনসিংহের তারাকান্দা ও ফুলপুর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে এখানে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছে। এখানে যে কোন ধর্মীয় উৎসবে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ আনন্দে মেতে ওঠে, পরস্পর সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়। শারদীয় দুর্গাপূজায়ও দেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলেই উৎসবে মেতে ওঠে। উৎসবমুখর এই পরিবেশ সমগ্র বিশ্বের নিকট একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। সে মূল্যবোধ বজায় রাখা ও সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পূজা মণ্ডপগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কোন স্বার্থান্বেষী মহল যেন কোন অপতৎপরতা চালাতে না পারে এজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

#

রেজাউল/জামান/সাঈদা/শামীম/২০২৩/১৪৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১৩৮৭

 

সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ৬ কার্তিক (২২ অক্টোবর) :  

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক অর্থ উপমন্ত্রী, সাবেক এমপি এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মরহুম ফখরুল ইসলাম মুন্সি দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলস কাজ করে গেছেন। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান জাতি সবসময শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। 

তিনি মরহুম ফখরুল ইসলাম মুন্সির রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

মোহসিন/জামান/শাম্মী/সাঈদা/আসমা/২০২৩/১২১২ ঘণ্টা  

 

2023-10-22-16-48-c61e97f1f919e6aff9ba2a4663ced048.docx