তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৬১
ইইউ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার জন্য অবাধ নির্বাচন অপরিহার্য
সিলেট, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার জন্য অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সহিংসতাবিহীন নির্বাচন অপরিহার্য। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাঁর নিজ বাসভবনে এসব কথা বলেন।
জনগণ উন্নয়ন, শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা চায় উল্লেখ করে ইইউ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দলকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানুষ কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চায় না, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চায়। যেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে ।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটাই চাওয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা। যেখানে দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সেবামুখী ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করার প্রতি আরো বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে।
আমরা সব সময় শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না- এরকম পররাষ্ট্রনীতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী ইইউ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দলকে বলেন, বাঙালি এমন একটা জাতি যাঁরা স্বাধীনতার জন্য ৩০ লক্ষ প্রাণ দিয়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে । এ নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ, যে রাষ্ট্র মানবাধিকার ও ন্যায় বিচারের অগ্রনায়ক। এজন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভোট ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের পাশাপাশি সর্বস্তরে নিরপেক্ষ প্রশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে।
#
মাসুদ/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২২৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৬০
উন্নয়নের কারণে নৌকার বিজয়ের জোয়ার উঠেছে
-পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
শরীয়তপুর, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, উন্নয়নের কারণে চারদিকে নৌকার বিজয়ের জোয়ার উঠেছে। সেই জোয়ারে ষড়যন্ত্রকারীরা ভেসে যাবে। তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই নৌকার বিজয় ঠেকাতে পারবে না। নৌকার বিজয়ের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন।
আজ শরীয়তপুর-২ নির্বাচনি এলাকার সখিপুর, উত্তর তারাবুনিয়া ও দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে গণসংযোগ, প্রচারণা ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে নড়িয়া-সখিপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত সব খাতে উন্নয়ন হয়েছে। দেশের এ অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসে আরো উন্নয়ন হবে। নৌকায় ভোট দিলে দেশে বড় বড় উন্নয়ন হয়, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলেই বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আর এটি একমাত্র শেখ হাসিনা সরকার থাকলেই সম্ভব হয়।
এ সময় সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, সহ-সভাপতি নাসির সরদারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/সায়েম/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫৯
টিআইবি’র কোটিপতির হিসাবে গরমিল, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
‘টিআইবি’র দেওয়া কোটিপতির হিসাবে গরমিল আছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে টিআইবি’র গতকালের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তথ্য ‘আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি প্রার্থী বেশি’ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘গ্রামেও এক কাঠা জমির দাম ২০ লাখ টাকা, ৫ কাঠা জমির দাম ১ কোটি টাকা। আর ঢাকা শহরে ১ কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই। চট্টগ্রাম শহরেও নেই। সুতরাং এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই। তাদের এই হিসাব ধরে যদি কোটিপতি গোনা হয় তাহলে সেই হিসাবে গরমিল আছে এবং সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে টিআইবি’র খুব বড়গলা ছিলো, প্রচুর প্রেস কনফারেন্স করেছে, বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েছে। পরে দেখা গেলো যে, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি তো হয়নি, দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগও সৃষ্টি হয়নি কারণ টাকা ছাড়া দুর্নীতি হয় কিভাবে! তারা নানা সময়ে নানা গবেষণা করে, পরে দেখা যায় সেগুলো আসলে গবেষণা নয়, কতগুলো রিপোর্ট। নিজেদের ইচ্ছামতো বা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।’
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর ‘জনগণ ও বিদেশিরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে’ মন্তব্যের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে এখন নির্বাচনি উৎসাহ-উদ্দীপনা। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে। নির্বাচন যদি প্রত্যাখ্যান করতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা অবজারভার পাঠাতো না, ওআইসি, সার্কভুক্ত দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশ অবজারভার পাঠাতো না। তাদের ভোটে আগ্রহ আছে এবং এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে বিধায় তারা অবজারভার পাঠাচ্ছে। রুহুল কবির রিজভীসহ গুটিকয়েক নেতা হয়তো নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কর্মী-সমর্থকরাও সবাই প্রত্যাখ্যান করেনি, তাদের সমর্থকরা ভোট দিতে যাবে।’
রিজভীর অপর মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে দেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে যাবে’ এর জবাবে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। ভারতের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু আদায় করেছি। ১৯৭৪ সালে ভারতের সাথে আমাদের ছিটমহল বিনিময়ের চুক্তি হয়েছিলো, সেটি কার্যকর ছিলো না, সেটি শেখ হাসিনা কার্যকর করেছেন। আমরা আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা করে ভারতের কাছ থেকে বিপুল সমুদ্রসীমা আদায় করেছি। সমুদ্রে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ একটি অঞ্চল আমাদের অধিকারে এসেছে।
-২-
ভারতের সাথে সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। সীমান্তে লাখ লাখ মানুষের কোনো পরিচয় ছিলো না, তারা এখন পরিচয় পেয়েছে। শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভবপর হয়েছে। সমগ্র ভারতে এখন বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখা যায়। এভাবে বহুকিছু অর্জন হয়েছে। অঙ্গরাজ্য হলে তো বহু আগে হয়ে যেতো। উনারা ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের আগে বলেছিলো যে আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ তো ক্ষমতায় গিয়েছিলো কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। বরং ভারতের কাছ থেকে আমরা কূটনৈতিকভাবে এবং সুসম্পর্কের মাধ্যমে বহুকিছু আদায় করেছি। অর্থাৎ এই সমস্ত দাওয়াই উনারা আগে ব্যবহার করেছিলেন তখন কিছুটা কাজ করতো এখন আর এই দাওয়াই কাজ করে না।’
এদিন মতবিনিময়ের শুরুতে মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সদ্যঘোষিত ইশতেহার নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। এবার আমাদের স্লোগান হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। ইনশাআল্লাহ বরাবরের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেমন ইশতেহার বাস্তবায়ন করেছে, জনগণ যদি আমাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে, আমরা সরকার গঠন করতে পারি, এবারকার ইশতেহারও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হবে।
#
আকরাম/সায়েম/শফি/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫৮
সিনেমা হল নির্মাণে হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল পর্যালোচনা
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
দেশে নতুন সিনেমা হল নির্মাণ ও পুরনো হল সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিলের ব্যবহার পর্যালোচনা সভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনেমা হল মালিক ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার পরিচালিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
মন্ত্রী এ তহবিল থেকে ঋণ গ্রহণ উৎসাহিত করে বলেন, মেট্রোপলিটন এলাকায় হল নির্মাণে ঋণের সুদ ৫ শতাংশ এবং অন্যত্র এই সুদের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এতো স্বল্প সুদে আর কোনো বাণিজ্যিক ঋণ দেশে নেই।
সিনিয়র সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন এই ঋণের জন্য আবেদন করেছে এবং আবেদনকারীদেরকে তাদের উদ্যোগের জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস জানান, তফসিলি ব্যাংকগুলো সিনেমা হলের মাধ্যমে অর্থ আদায়ে সংশয় প্রকাশ করলেও সত্য এই যে, বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে এ পর্যন্ত সিনেমা হল নির্মাণে ২৪৮টি ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে এবং একটি ছাড়া সবগুলোই পরিশোধিত। পাশাপাশি সরকার সিনেমা হলগুলো থেকে এ যাবৎ ৮৯১ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চলচ্চিত্র) মোঃ কাউসার আহম্মদ, সিনেমা হল উদ্যোক্তা চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে সহসভাপতি আমির হামজা এবং এস এম মাসুদ পারভেজ, শামসুল আরেফিন, তাপস দাস গুপ্ত, রায়হান পরামাণিক, মুহাম্মদ বেলাল প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
#
আকরাম/সায়েম/শফি/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৮২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার
৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ সময় ৪০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯১২ জন।
#
সুলতানা/পাশা/সায়েম/শফি/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫৬
জাপানের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে বাংলাদেশ লাভবান হবে
--- বাণিজ্য সচিব
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের লক্ষ্যে জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং জাপান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। উভয় দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও জাপানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাপানে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে এবং আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাবে। গতবছর জাপানে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিলো ৪৫ শতাংশ যা যেকোনো উন্নত দেশের চেয়ে বেশি। উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে উভয় দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তপন কান্তি ঘোষ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জাপান সফরকালে উভয়দেশ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে Strategic Partnership হিসেবে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই প্রেক্ষিতে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরে জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালেও আরো একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাপানের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উভয় দেশ প্রস্তাবিত EPA সম্পাদনের লক্ষ্যে Scope এবং Coverage হিসেবে ১৭টি সেক্টর চিহ্নিত করে। সরকারি, বেসরকারি, একাডেমিয়া ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্তার মাধ্যমে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mincom.gov.bd-তে পাওয়া যাবে।
#
হায়দার/সায়েম/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২১৫৫
৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ের পর বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল ভূমি জরিপ প্রকল্প
শীর্ষক ভুয়া খবর বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর):
সম্প্রতি ‘৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ের পর বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল ভূমি জরিপ প্রকল্প’ কিংবা ‘Digital Land Survey Scrapped’ শীর্ষক ভুয়া খবর/গুজব বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে/ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ধরনের ভুয়া খবর/গুজব জনমনে বিরূপ প্রভাব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে - যা মোটেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে;
২। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে বাংলাদেশ ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রম (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে প্রোগ্রাম/বিডিএস প্রোগ্রাম) চলমান রয়েছে;
৩। সমগ্র বাংলাদেশে দক্ষভাবে জরিপ পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ প্রোগ্রাম মূলত দু’টি প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পাদন করা হচ্ছিল। যার একটি হচ্ছে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প’ (সিডিপি প্রকল্প) এবং অপরটি হচ্ছে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপের মাধ্যমে ৩টি সিটি কর্পোরেশন, ১টি পৌরসভা এবং ২টি গ্রামীণ উপজেলার ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি স্থাপন প্রকল্প’ (ইডিএলএমএস প্রকল্প);
৪। সিডিপি প্রকল্পে ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলে গুজবে দাবি করা হলেও প্রকৃতপক্ষে প্রকল্পে গাড়ি, অফিস সরঞ্জাম, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং প্রশিক্ষণে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। দেখা যায় প্রকল্পের মোট ১ হাজার ২১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বিপরীতে ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, অর্থাৎ শূণ্য দশমিক তিন শতাংশ আর্থিক ব্যয় করে প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে শূণ্য দশমিক আঠাশ শতাংশ। প্রসঙ্গত, সিডিপি প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া মৌজায় ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক জরিপ কাজও শেষ হয়েছে;
৫। উপরন্তু, উল্লিখিত প্রকল্প কার্যক্রমের শুরু থেকেই সামসময়িক সময়ে সারা দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে এর অগ্রগতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এছাড়া, প্রায় এক বছর প্রকল্পটি ‘গ’ ক্যাটেগরির প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলে কোনো বাস্তব অগ্রগতি সম্ভব হয়নি। শুধুমাত্র চলমান অর্থবছরে এ প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়। যেহেতু প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়, বিধায় কোনো ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি প্রচেষ্টা চালানো হয়নি। সিডিপি প্রকল্প স্টাডি করে অধিকতর দক্ষ করে নতুনভাবে প্রস্তাব করা হবে;
৬। পক্ষান্তরে, ইডিএলএমএস প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ৫টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ভূমি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে। যার অগ্রগতি ২৪ শতাংশের উপরে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রম বর্তমানে পুরোদমে চলমান। নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও চট্টগ্রামে এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে বিডিএস কার্যক্রম চলছে;
৭। অনলাইনে ভূমি বিষয়ক যেকোনো বিভ্রান্তিকর সংবাদ/তথ্য দেখলে তা যাচাই করতে ভূমিসেবা হটলাইন ১৬১২২ (বিদেশ থেকে +৮৮০-৯৬১২৩-১৬১২২) নম্বরে কল, অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূমিসেবা পেজে (www.facebook.com/land.gov.bd) কমেন্ট কিংবা মেসেজ (বার্তা) প্রেরণ, কিংবা ভূমি মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক পোর্টালে (minland.gov.bd) ভিজিট করা যেতে পারে। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক পেজেও (www.facebook.com/ minland.gov.bd) নিয়মিত তথ্য আপডেট করা হয়; উল্লেখ্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়া খবর/গুজব ইন্টারনেটে কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রচার করা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
#
আব্দুল্লাহ/জামান/রবি/আলী/মাসুম/২০২৩/১৫২০ ঘণ্টা