Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ জুন ২০২০

তথ্যবিবরণী ২৪ জুন, ২০২০

Handout                                                                                                                  Number : 2270

Foreign Minister requests UK DFID Secretary of State to increase pressure on

Myanmar for early repatriation of the Rohingyas to Rakhine

 Dhaka,  June 24:

            Foreign Minister Dr. A K Abul Momen called on the UK to exert and increase pressure on Myanmar for solving the Rohingya crisis urgently by sustainable repatriation of the Rohingyas to Rakhine. He made this call during the video conference with Ms. Anne-Marie Trevelyan held today, 24 June 2020.

            At the outset, Foreign Minister Momen expressed his sympathy for the severity of Covid19 in the UK and briefed Ms. Trevelyan on the steps taken by Bangladesh to contain the virus. He briefed Secretary of State for DFID about the economic and social impact of COVID19 in Bangladesh, including the challenge of job loss by a significant number of Bangladeshi migrant workers abroad, particularly in the Middle East. He requested the support of the UK in overcoming this difficulty.

In the meeting, Foreign Minister Momen flagged that Myanmar has not done anything till date for repatriation of the Rohingyas. He insisted that until the international community exerts more pressure on Myanmar, including by putting trade and investment moratorium, the Rohingya crisis will not be resolved.

            While thanking DFID as a longstanding development partner of Bangladesh, Dr. Momen pointed out that transparency, accountability and aid effectiveness regarding disbursement of aid are critical, and requested the UK to keep the Government of Bangladesh informed of the different development programmes, modes of distribution and modalities of development activities carried out by DFID in Bangladesh. DFID Secretary Ms. Trevelyan assured Foreign Minister Momen of following transparent mechanism in this regard. The two Ministers also discussed the issue of climate change and committed to work together for addressing the global challenge. Dr. Momen informed Ms. Trevelyan about the Climate Vulnerable Forum, where Bangladesh is the Chair now and suggested that UK could help Bangladesh to strengthen the Forum. Foreign Minister Momen also raised the issue of RMG export to UK being severely affected during the Coronavirus crisis. He flagged that even now, close to 300 million dollars’ worth of confirmed orders have been cancelled by the British brands/retailers. He requested for support of the Government of UK to solve this problem of defaulting on confirmed orders by UK companies. He suggested that a COVID19 recovery fund could be created to address this particular issue.

            Dr. Momen also briefed Ms. Trevelyan about the trade and investment opportunities in Bangladesh. He flagged the advantages of investing in Bangladesh, and suggested that UK, a major investor in Bangladesh, could further diversify its investment here. Foreign Minister Momen also suggested that the UK could invest in skill development in Bangladesh for sectors that would be beneficial both for Bangladesh and the UK.

            The two Ministers also discussed the possibility of strengthening the Commonwealth. It was agreed that the two countries would explore the ways to take the Commonwealth to new levels.

            Dr. Momen and Ms. Trevelyan agreed to meet once the Coronavirus pandemic is over.

#

Tohidul/Farhana/Rafiqul/Rezaul/2020/2130   hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২২৬৯

জাতিসংঘের দারিদ্র্য নির্মূল জোটে যোগ দিল বাংলাদেশ

নিউইয়র্ক, ১০ আষাঢ় (২৪ জুন) :

          জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি থেকে টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে। এই সহযোগিতা হতে হবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে। আর তাহলেই কেবল এই প্রচেষ্টা দারিদ্র্য নির্মূলের ক্ষেত্রে পরিপূরক ভূমিকা পালন করতে পারে’।

          আজ জাতিসংঘের দারিদ্র্য নির্মূল জোটের এক ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

দারিদ্র্য বিমোচন ও এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সদস্য রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অন্যান্য অংশীজনদের পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে এই জোট গঠনের উদ্যোগ নেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি তিজানী মোহাম্মদ বান্দে। উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক সদস্য দেশ দারিদ্র্য নির্মূলের এই জোটটিতে যোগ দিয়েছে।

জোটটিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ঘোষণা প্রদানকালে বর্তমান সরকারের ‘জনকেন্দ্রিক’ও ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’দারিদ্র্য বিমোচন নীতিসমূহের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার গৃহীত এই নীতিসমূহ দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষমতা বিনির্মাণে বিনিয়োগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, মোবাইল ব্যাংকিং ও কৃষি বিপননসহ নানা মুখী সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্য সীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে মর্মে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

ভার্চুয়াল এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাষ্ট্রদূত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী বিপুল জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যতার দিকে ঠেলে দিবে। এই মহামারির ফলে এসডিজি’র বাস্তবায়ন দারুনভাবে বাধাগ্রস্ত হবে; কারণ জরুরি স্বাস্থ্য সঙ্কট মেটানোর প্রয়োজনে সম্পদকে এখাতেই প্রবাহিত করতে হচ্ছে। রাষ্ট্রদূতগণ আশা প্রকাশ করেন, বহুপাক্ষিক পর্যায়ে এবং উন্নয়ন অংশীজনদের মাঝে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে দারিদ্র্য নির্মূলের এই জোট হতে পারে কার্যকরী একটি প্ল্যাটফর্ম।

#

খাদিজা/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/২১০৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ২২৬৮

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পবিত্র হজ বাতিলের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত

ঢাকা, ১০ আষাঢ় (২৪ জুন) :

            আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পবিত্র হজ বাতিলের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের করণীয় নির্ধারণ করতে আজ ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় (অনলাইন) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নূরুল ইসলাম।

সভায় ধর্ম সচিব মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, রাজকীয় সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টিার টেলিফোনে ২০২০ সালের হজ এর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এ সময় করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বিষয়ে বাংলাদেশ, সৌদি আরব এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তিনি জানান, সার্বিক বিবেচনায় এ বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রী প্রেরণ করা যাবে না।

            সভায় জানানো হয় সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিক এবং সৌদি আরবের নাগরিকদের অংশগ্রহণে সীমিত পরিসরে হজ অনুষ্ঠিত হবে।

          সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ২০২০ সালের জন্য যাদের প্রাক-নিবন্ধনের মেয়াদ বৈধ ছিল তা ২০২১ সালের জন্য বলবৎ থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যস্থাপনার যেসব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তি ২০২০ সালের হজের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন তাঁদের নিবন্ধন ২০২১ সালের জন্য বৈধ থাকবে। নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদের জমাকৃত টাকা ২০২১ সালের প্যাকেজ মূল্যের সাথে সমন্বয় করা হবে। 

            নিবন্ধন বাতিলকারী হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা কোন প্রকার কর্তন ব্যতিত ফেরৎ প্রদান করা হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক থেকে  প্রাক-নিবন্ধন  ও নিবন্ধনের অর্থ  সরাসরি হজযাত্রীর একাউন্টে স্থানান্তর করা হবে। কোন হজযাত্রীর ব্যাংক হিসাব না থাকলে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী চেক/পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।

            বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত অর্থ হজযাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী সরাসরি ব্যাংক থেকে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রাক-নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত অর্থ পূর্বের ন্যায় পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা থেকে হজযাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী সরাসরি তাঁর ব্যাংক হিসাবে চেক এর মাধ্যমে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে ফেরৎ প্রদান করা হবে।  

            সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত কোন হজযাত্রী নিবন্ধন বাতিল করে টাকা ফেরত চাইলে তা অনলাইনে অথবা হজযাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী ফেরৎ প্রদান করার জন্য আগামী ১২ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার অনুরূপ একটি নিবন্ধন বাতিল প্রক্রিয়া (Software) প্রস্তুত করে ই-হজ সিস্টেমে সংযুক্ত করা হবে। নিবন্ধন বাতিলে ইচ্ছুক হজযাত্রীগণকে স্ব স্ব নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করতে হবে। ১৩ জুলাই থেকে নিবন্ধনে বাতিলে ইচ্ছুক হজযাত্রীগণ আবেদন করতে পারবেন।

            ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হজ এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনলাইন সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লি., ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার, কাউন্সেলর (হজ), জেদ্দা, পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা, বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক লি., প্রিমিয়ার ব্যাংক লি., হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অভ্‌ বাংলাদেশ (হাব) এবং বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড এর প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করেন।

#

 

আনোয়ার/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৯৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২২৬৭

উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সকল কর্মসূচি যথাসময়ে সম্পন্ন করতে হবে

                                           -- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১০ আষাঢ় (২৪ জুন) :

          প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভুত মহাদুর্যোগের পরও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে সততা ও নিষ্ঠার সাথে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি যথাসময়ে সম্পন্ন করতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করে সরকার সকল ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ তাঁর নির্বাচনি এলাকা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় চলমান  বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি মূল্যায়ন পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণের ফলে দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় রৌমারী, রাজীবপুর ও চিলমারীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব অনেক কম। করোনা ভয় নয়, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের লক্ষণ ও প্রতিরোধে করনীয় সম্পর্কে নিজেকে জানতে হবে এবং সাধারণ জনগণকে জানতে হবে। এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদেরকে রুটিন করে পড়ালেখার  করানোর জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।

          এ সময় চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর বিক্রম শওকত আলী-সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

রবী/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৯২২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর: ২২৬৬

করোনামুক্ত হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ১০ আষাঢ় (২৪ জুন) : 

          পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং করোনামুক্ত হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে আজ বাসায় ফিরেছেন।         

          মন্ত্রীর ফলোআপ করোনা রেজাল্ট নেগেটিভ আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি দেয়।

          উল্লেখ্য, ৭ জুন থেকে করোনা পজিটিভ হয়ে মন্ত্রী ঢাকা'র সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

#

 

নাছির/ফারহানা/রফিকুর/রেজাউল/২০২০/১৮০২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২২৬৫

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১০ আষাঢ় (২৪ জুন) :

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ।

 ‌         স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৩ হাজার ৪৬২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন-সহ এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৮২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৬৬৬জন ।

          এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৫ লাখ ২৮ হাজার ২৪৫টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ২৩ লাখ  ৬০ হাজার ৩১৪টি এবং মজুত আছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৩১টি।

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

#

 

তাসমীন/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭৫০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ২২৬৪

 

পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন হচ্ছে

                              -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১০ আষাঢ় (২৪ জুন) :  

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, মহাপরিকল্পনায় প্রদর্শিত পন্থায় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন করা হচ্ছে। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১০ পর্যালোচনা করে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে। জ্বালানি মিক্স, উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আরো যুগোপযোগী করা হয়েছে। দেশে বিদ্যুতের কোনো ওভার ক্যাপাসিটি নেই।

          প্রতিমন্ত্রী আজ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে   “কোভিড-১৯ ও বাজেট ২০২০-২১ পর্যালোচনাঃ বিদ্যুৎ খাতে বণ্টনের অগ্রাধিকার এবং বিকল্প প্রস্তাবনা শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিস্তারে সহযোগিতা করছে। ৫৮ লক্ষ সোলার হোম সিস্টেম সংযোজন করা হয়েছে। মিনিগ্রিডের মাধ্যমেও সংযোজন দেয়া হচ্ছে। নেট মিটারিং সিস্টেম প্রচলন করা হয়েছে। কারণ ১০০ মেগাওয়াটের একটি সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে প্রায় ৩৫০ একর অকৃষি জমি লাগে যা বাংলাদেশে পাওয়া খুবই দুষ্কর।

          নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যৌক্তিক ও সহনীয় মূল্যে বিদ্যুৎ, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ানো যাবে স্বচ্ছতাও তত বাড়বে। তাই সকল স্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। বিল সম্পর্কিত কিছু অভিযোগ রয়েছে যা যথাযথভাবে সমাধান করা হবে।

          এ সময় তিনি ইলেকট্রিক ভিহেক্যাল ব্যবহার করা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, জ্বালানি হিসেবে তেল ইঞ্জিনের চেয়ে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের দক্ষতা অনেক বেশি। তাই ইলেকট্রিক ভিহেক্যাল ব্যবহার করা লাভজনক।

          প্যানেল আলোচক হিসেবে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বুয়েটের সাবেক শিক্ষক  ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ড. মোঃ ফওজুল কবির খান, স্রেডার সাবেক সদস্য সিদ্দিক যোবায়ের ও বাংলাদেশ ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইমরান করীম বক্তব্য রাখেন। সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

#

 

আসলাম/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭২৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২২৬৩

সরকারের পদক্ষেপেই করোনা নিয়ে বিএনপি ও কিছু বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত

                                                                                    -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১০ আষাঢ় (২৪ জুন) :

          তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি ও কিছু বিশেষজ্ঞের শঙ্কা-আশঙ্কা ভুল প্রমাণ হয়েছে।’  

          আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি  নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের চতুর্থ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন সঞ্চালিত এ সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

          মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ তিন মাসের বেশি সময় ধরে প্রায় সবকিছু বন্ধু। এখন সীমিত আকারে খুললেও সবকিছু চালু হয়নি। সরকারের সঠিক এবং সময়োচিত পদক্ষেপ ও একইসাথে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার কারণেই তিন মাসে বাংলাদেশে একজন মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। দেশে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই। খাদ্যের জন্য হাহাকারের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন, তাদের সেই মত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রেও সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আরো নতুন নতুন পদক্ষেপ নেয়া  হচ্ছে এবং এগুলো ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমরা যদি এভাবে এগিয়ে যেতে পারি, পরম সৃষ্টিকর্তার আর্শিবাদে আমরা এই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।’ 

          চিকিৎসা শুধু ধনাঢ্য ব্যক্তিদের জন্য নয়, চিকিৎসা সবার জন্য এবং সরকার সেটি নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে সামর্থ্য অনুযায়ী সমস্ত মানুষের জন্য চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে।’

          চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনার জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে আইসিইউ বেড ১৯৬টি। এরমধ্যে কিছু বেড খালিও আছে। অর্থাৎ এখানে শুরুতে যে সংকট ছিল, এখন তা নেই। চট্টগ্রামের রোগীরা যাতে আরো ভালোভাবে চিকিৎসা সুবিধা পায় সেজন্য আমরা সর্বোত্তভাবে চেষ্টা করছি, চট্টগ্রামে নিয়মিত সমন্বয় সভা করছি। স্থানীয়ভাবে বিষয়গুলো দেখভাল করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে  যে কমিটি করে দেয়া হয়েছে, তারাও কষ্ট করে অনেক কাজ করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় কোভিড-১৯ টেস্টের ব্যবস্থা করে যে উদাহরণ তৈরি করেছে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদেরকে অনুসরণ করবে বলে আমি আশা করি।’ মন্ত্রী এসময় চট্টগ্রামে করোনা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং প্রয়োজনে লাশ দাফনের কাজে এগিয়ে আসা মানুষ ও সংগঠনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

          জীবন এবং জীবিকা রক্ষা দুটির মধ্যে সমন্বয় করেই নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, সেজন্য এখন এলাকাভিত্তিক রেড জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, চিহ্নিত এলাকায় যেসব বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন, আমাদেরকে অবশ্যই কঠোরভাবে সেগুলো মানতে হবে। তাহলেই আমাদের পক্ষে নিজেদেরকে, নিজের পরিবারকে, নিজের কাছের জনদেরকে সুরক্ষা দেয়া, সর্বোপরি মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। 

#

আকরাম/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৮২৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর: ২২৬২

 করোনার প্রভাব মোকাবিলায় কৃষিতে বড় প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ১০ আষাঢ় ( ২৪ জুন):

 

করোনার প্রভাব মোকাবিলায় কৃষিতে বড় প্রকল্প গ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনার এই মহাদুর্যোগের প্রভাবে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে হলে কৃষিখাতে বাস্তবধর্মী সমন্বিত বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী আজ তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় অনলাইন সভায় এ কথা বলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 মন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনার প্রভাবে মোকাবিলা করে কৃষিই সকলকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এ সময়ে অর্থনীতির যত ক্ষতিই হোক ঘরে খাবার থাকলে অন্তত জীবনটা বাঁচানো যাবে। আর সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় করোনার প্রকোপের শুরু থেকেই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে মাঠ পর্যন্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকের পাশে থেকে কাজ করছে। ফলে কৃষিতে এ দুর্যোগের সময়ও সাফল্য ধরে রাখা গেছে। এসময় মন্ত্রী কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারি সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ সাফল্য বজায় রাখার আশা প্রকাশ করেন।

উদ্ভাবিত জাত বা প্রযুক্তি দ্রুত মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি বা জাত উদ্ভাবন করে ফেলে রাখলে চলবে না। সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করে যত দ্রুত সম্ভব সেসব জাতকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এসময় তিনি লবণ-সহিষ্ণু ধানের জাতকে অতিদ্রুত দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় কৃষকের কাছে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেন। 

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি তুলে ধরেন। সভায় জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সংশোধিত এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট ৭৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। এসব প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ আছে ১৭৬৩.৯৪ কোটি টাকা। এ অর্থ বছরে মে, ২০২০ পর্যন্ত সময়ে অর্থ অবমুক্ত হয়েছে ১২৮৯.৫৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত বরাদ্দের ৭৩.০০ শতাংশ এবং অর্থ ব্যয় হয়েছে ১০৪২.৫৬ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৫৯ শতাংশ।

 এছাড়া, করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে বসতবাড়ি ও অনাবাদি পতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সবজি ও ফল চাষাবাদের লক্ষ্যে ১৭৪৯৮.০০ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে যা শীঘ্রই অনুমোদনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হবে।

কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন সাইট ‘হর্টেক্সবাজারবিডি.কম’ উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী

কৃষিপণ্যের রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধি, মানসম্পন্ন সবজি ও ফলমূলের বাজার উন্নয়ন, করোনা পরিস্থিতিতে সতেজ পণ্য ক্রয়ে ভোক্তাশ্রেণী সৃষ্টি, কৃষিপণ্যের সঠিক বাজারজাত ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে অনলাইন মার্কেট সাইট ‘হর্টেক্সবাজারবিডি.কম’ (hortexbazarbd.com)’ উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষিমন্ত্রী আজ তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ সাইট উদ্বোধন করেন। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

  উদ্বোধনকালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি বা রপ্তানি বাড়াতে হলে অভ্যন্তরীণ বাজারে সেসব পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়াতে হবে, বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে, দেশে উন্নত অভ্যন্তরীণ বাজার স্থাপন করতে হবে, কাঁচাবাজার ব্যাবস্থাপনায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তানাহলে বিদেশিরা এদেশ থেকে কৃষিপণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে না। তিনি বলেন, হর্টেক্স ফাউন্ডেশন কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে। এই অনলাইন মার্কেট কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

হর্টেক্স ফাউন্ডেশন ‘সফটওয়্যার শপ লিমিটেড’(এসএসএল) এর মাধ্যমে এই ই-কমার্স সাইটটি তৈরি করেছে। এটি পুরোপুরি ব্যবহারকারীবান্ধব একজন ভোক্তা সহজেই তার পছন্দমতো পণ্যের ক্রয়াদেশ দিতে পারবেন। পণ্যের মূল্য ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড/বিকাশ/নগদ/রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া নগদ টাকা পরিশোধ করেও পণ্য গ্রহণ করতে পারবেন। পণ্য সরাসরি হর্টেক্স ফাউন্ডেশন অফিস থেকে ভোক্তা গ্রহণ করতে পারবেন। এমনকি হোম ডেলিভারির মাধ্যমেও পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমান পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের সবজিসহ আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, আনারস, সুগন্ধি চাল, ইত্যাদি ভোক্তা সাধারণের জন্য যোগান দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার ভোক্তা সাধারণের জন্য হর্টেক্স ফাউন্ডেশন এর রিফার ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন সবজি ও ফল সরবরাহ করা হচ্ছে।

 

 #

কামরুল/হাসান/জসীম/কানাই/২০২০/১৬২০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর: ২২৬১

 

 

মাশুক চৌধুরীর মৃত্যুতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ১০ আষাঢ় (২৪ জুন) :  

 

          বিশিষ্ট কবি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান বার্তা সম্পাদক মাশুক চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

          মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, বাংলা কাব্যসাহিত্য ও সাংবাদিকতায় মাশুক চৌধুরী ছিলেন একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি সাংবাদিকতায় অসাধারণ দক্ষ ও মেধাবী ছিলেন। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো বাংলা সাহিত্যের মূল্যবান সম্পদ। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট কবিকেই হারায়নি আমরা হারিয়েছি নিবেদিত প্রাণ একজন সাংবাদিককে। মাশুক তাঁর কাজের মাধ্যমে অমর হয়ে থাকবেন।

          মন্ত্রী মাশুক চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

শেফায়েত/হাসান/জসীম/আসমা/২০২০/১৪০০ ঘণ্টা

2020-06-24-21-32-ced153a27910ed45433831a746b68605.docx