তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০১
সঠিক তথ্যপ্রবাহের মাধ্যমে জনবিভ্রান্তি নিরসন করতে হবে
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
সঠিক তথ্যপ্রবাহের মাধ্যমে জনবিভ্রান্তি নিরসন করতে হবে, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত 'তথ্য অধিকার আইন ও গভীরতাধর্মী সাংবাদিকতা' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজনীতি ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে উৎসাহিত করে মন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতি-অপচয় রোধেও এর ব্যবহার হওয়া উচিত। জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও স্বৈরশাসনকে অবাধ ও সঠিক তথ্যপ্রবাহের সবচেয়ে বড় বাধা বলে এদের নির্মূলেও কাজ করতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বিএফইউজে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ৭১ টিভির বার্তা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ সাংবাদিক মাসরুর ও সাহিদুলের মূলপ্রবন্ধ ও তথ্যপ্রবাহ বিষয়ে সেমিনারে আলোচনা করেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০০
জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে
-- এলজিআরডি মন্ত্রী
টাঙ্গাইল, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের উন্নয়নে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। গ্রামীণ যোগাযোগে বাংলাদেশ বিশে^ আজ প্রথম স্থান অর্জন করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত হলে বন্ধবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে।
তিনি আজ টাঙ্গাইল জেলার সকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য মনোয়ারা বেগম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিগণকে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সরকার প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন সংস্কার করে আরও জনকল্যাণমুখী আইন প্রণয়ন করবে। তিনি বলেন, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশে^র অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে এ সেবা আরও বাড়াতে হবে।
তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের কাজ করার জন্য সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে তিনি নব নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিগণকে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
#
জাকির/মাহমুদ/আলী/জয়নুল/২০১৭/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯৯
২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ
-- এলজিআরডি মন্ত্রী
টাঙ্গাইল, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের অগ্রযাত্রা অন্য যে কোন সরকারের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। সকল ক্ষেত্রে এ অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় দেশ ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
তিনি আজ টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য সানোয়ার হোসেন, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য মনোয়ারা বেগম এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুর রহমান খান বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার কাঠামোকে শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় সারাদেশে সকল উপজেলায় উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন তৈরি হচ্ছে। এ সময় মন্ত্রী স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের ভাতা বৃদ্ধির আশ^াস দেন এবং টাঙ্গাইলের উন্নয়নে ২৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও বলেন।
এর আগে মন্ত্রী সদর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন।
পরে মন্ত্রী লৌহজং নদী পুনঃখনন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং এম জি এস পি প্রকল্পের অধীন টাঙ্গাইল স্ট্যান্ড রোড-এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
#
জাকির/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯৮
বাল্যবিবাহ নারী অধিকার বাস্তবায়নে প্রধান অন্তরায়
-- মেহের আফরোজ চুমকি
ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, বাল্যবিবাহ নারী অধিকার বাস্তবায়নে প্রধান অন্তরায়। সরকার দেশকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সরকার বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন সংসদে পাস করেছে। এ আইনের মাধ্যমে বাল্য বিবাহে জড়িত ছেলে-মেয়ে, পিতা-মাতা, বিবাহ রেজিস্ট্রারদের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে এবং বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি আজ সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত এক র্যালিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। র্যালিটি শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর থেকে শুরু হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে এবং মেয়েদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রায় ২ কোটি নারীকে ১৮টি ট্রেডে বিনা খরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। তাছাড়া বাল্যবিবাহ, যৌতুক, প্রজনন স্বাস্থ্য, সম-অধিকারসহ সচেতনতার জন্য বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
র্যালিতে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরামের আহ্বায়ক এবং সুজনের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার জলি প্রমুখ।
#
খায়ের/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৭/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯৭
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সফল হতে হবে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সরকার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সফল হোক। যারা আন্তরিকতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবেন, তাদেরকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে। তবে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশিদিন চলতে পারবে না। সঠিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে না পারলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশ
(ডব্লিউইউবি)-এর ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংসদে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন অনুমোদন পেয়েছে। শীঘ্রই আইনটি কার্যকর করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য আমাদের নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। তাই স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করার যথোপযুক্ত পরিকল্পনা বিশ্বিবিদ্যালয়গুলোর থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য বিষয় বাছাই, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন এবং শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী এবং দৃঢ়। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সমাজে স্থান পেতে চাই। এজন্য পর্যাপ্তসংখ্যক জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ প্রকৃত উচ্চশিক্ষিত নাগরিক সৃষ্টি করতে হবে।
সমাবর্তনে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর মুশফিক এম চৌধুরী বক্তৃতা করেন। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন এসোসিয়েশন অব্ কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ-এর সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. জন উড। সমাবর্তনে ৩১৭৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
#
আফরাজ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯৬
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ):
জাতীয় সংসদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়নের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, মো. ইসরাফিল আলম, দিদারুল আলম এবং মাহজাবীন মোরশেদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ আমন্ত্রণে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি বৈঠকে যোগদান করেন।
বৈঠকে বিগত সভার গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি কিছু সংখ্যক প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েছে মর্মে কয়েকটি দূতাবাস কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং প্রবাসে কর্মরত নারী কর্মীদের নিরাপত্তায় হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত মনিটরিং সেল গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে বাণিজ্যিক ব্যাংকে রূপান্তর, প্রবাসী কর্মীদের বৈধ পথে রেমিটেন্স আনার জন্য প্রণোদনা দেয়া এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যাতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব থাকে সেবিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া বিমান বন্দরে প্রবাসী কর্মীরদের হয়রানী থেকে মুক্ত ও তাদের জন্য আলাদা কাউন্টার স্থাপন, প্রবাসে গমনকারী কর্মীদের জীবন বীমার আওতায় আনা এবং বিএমইটির আওতাধীন প্রশিক্ষণ সেন্টারগুলোতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখার বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করে।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
এমাদুুল /অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৬২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯৫
নবম ওয়েজবোর্ড দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার
-তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ):
নবম ওয়েজবোর্ড দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অভ্ নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা জানান। মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, এ বছরের জানুয়ারি মাসের ৯ম ওয়েজবোর্ড গঠনের প্রস্তাব অনুমোদনের সাথে সাথেই বোর্ডের সভাপতিসহ ৯ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদ গঠনের জন্য যথাযথ সংস্থাগুলোর কাছে মনোনয়ন চাওয়া হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অভ্ নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স প্রতিনিধিদের নাম পাওয়া গেছে। নিউজপেপারস ওনার্স এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (নোয়াব) এবং বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন প্রতিনিধির নামও শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।
ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, রেডিও এবং টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের ৯ম ওয়েজবোর্ডে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে নীতিগতভাবে সরকারের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। এজন্য আইনগত পদক্ষেপ নেয়া এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের জন্য অংশীজনদের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মো. মতিউর রহমান তালুকদার ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অভ্ নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন খান এসময় সংগঠনদ্বয়ের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রীর কাছে ১০দফা সংবলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, দ্রুত ৯ম ওয়েজবোর্ড গঠন, কর্মচারী-প্রেস শ্রমিকদের জন্য দুঃস্থ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন ও অফিস ও আবাসন ব্যবস্থা, নিউজপেপার অ্যাক্ট ১৯৭৪ পুনর্বহাল, সংবাদপত্র শিল্পের নীতিমালা প্রণয়ন ও সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের সমান সুবিধা দেয়া, ছাঁটাইকৃত সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, ছাঁটাই বন্ধ, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার বাস্তবায়ন ও সকল পত্রিকায় ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন।
#
আকরাম/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৬০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯৪
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিবসটি দেশব্যাপী পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০১৫-২০৩০ এর দুর্যোগ সম্পর্কিত ধারাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই এ বছরের জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস- এর প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগের প্রস্তুতি সারাক্ষণ, আনবে টেকসই উন্নয়ন’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশ বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে আসছে। তাই দুর্যোগের হাত থেকে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার জন্য দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রতিরোধে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ পালনকে আমি সাধুবাদ জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করে ১৯৭২ সালে গঠন করেছিলেন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে প্রাণিসম্পদের রক্ষার জন্য দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তৈরি করেছিলেন ‘মুজিব কিল্লা’।
২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা সকল উন্নয়ন কর্মসূচি দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ দেশ গঠনে সদাপ্রস্তুত। আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থপনা পরিকল্পনা ২০১০-২০১৫ এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১১ প্রণয়ন করেছি।
আমাদের সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বস্তরের জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদেরকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প এবং বজ্রপাতের ওপর পৃথক পৃথক জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করছে। এতে সারাদেশ থেকে জনপ্রতিনিধি, সরকারি চাকুরিজীবী, এনজিও প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ইতোমধ্যেই বজ্রপাতে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সারাদেশে ১০ লাখ তালগাছ রোপণসহ বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় আধুনিক উদ্ধার সরঞ্জাম ক্রয় অব্যাহত রয়েছে। নগর পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা হয়েছে। সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকম্প পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
দুর্যোগ বিপদ সংকেত পদ্ধতি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ঝুঁকিহ্রাস, প্রস্তুতি, সাড়াদান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন ইত্যাদি কার্যক্রমে আমাদের সরকার তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমাদের এসকল পদক্ষেপের ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে দুর্যোগের নতুন ঝুঁকি প্রতিরোধ ও বিদ্যমান ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন সকলের সচেতনতা ও সমন্বিত প্রস্তুতি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য আমি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণকে সদাপ্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাই।
আমি ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/ ১১২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯৩
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (৯ মার্চ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১০ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০১৭’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগের প্রস্তুতি সারাক্ষণ, আনবে টেকসই উন্নয়ন’ যা জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আজ বিশ্বব্যাপী। প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব আজ সুস্পষ্ট। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ ও মাত্রায় ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভূমিকম্প, বন্যা, নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাসসহ বজ্রপাতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সিডর, আইলার মতো প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় এলাকাকে তছনছ করেছে। ফলে জীবনহানির পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাম্প্রতিককালে বজ্রপাতে শতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানির ঘটনা দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সকল উন্নয়ন কর্মসূচিতে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কার্যক্রম সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাহসী জনগণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবিলা করে টিকে আছে। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে আমরা হয়তো প্রতিহত করতে পারবো না, তবে প্রস্তুতি থাকলে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। এ কারণে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ নির্ধারণ করেছে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবিলা, সাগর-মহাসাগরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার উদ্বুদ্ধকরণ, স্থলজ সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, মরুকরণ, ভূমিক্ষয় ও জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও উদ্যোগে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/আলমগীর/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১০৪৫ ঘণ্টা