তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২৫৯
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল কারিগরি
বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষর
ইস্তাম্বুল (তুরস্ক), (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা, শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় এবং গবেষণাধর্মী প্রকাশনা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার এবং কৃষি গবেষণায় অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. ইসমাইল কোয়ুনজু এতে স্বাক্ষর করেন। এই সহযোগিতামূলক প্রটোকল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা সম্প্রসারণসহ বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সুসংহত ও গতিশীল হবে।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলমের সঞ্চালনায় সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস রেক্টর অধ্যাপক ড. সুলে ইতির সাতোগলু এবং রেক্টর অধ্যাপক ড. ইসমাইল কোয়ুনজু বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান এই সহযোগিতামূলক প্রটোকল সাক্ষর মুহূর্তকে একটি স্মরণীয় সময় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একসাথে কাজ করার সুযোগ তৈরি হলো। ভাইস রেক্টর অধ্যাপক ড. সুলে ইতির সাতোগলু তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, প্রজেক্ট, প্রকাশনা ও গবেষণালব্ধ ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি দারুণভাবে উপকৃত হতে পারে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি এ সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রথমবারের মত একে অপরের কাছাকাছি আসার সুযোগ সৃষ্টি করলো বলে উল্লেখ করেন।
ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. ইসমাইল কোয়ুনজু বলেন, ১৭৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গত বছর তাদের ২৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে। তিনি দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়কে একই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে ছাত্র-শিক্ষক বিনিময়সহ যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট ও গবেষণা চালিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করেন।
#
ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৫৮
সোলার ইরিগেশনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব
-- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা
রংপুর, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, সোলার ইরিগেশনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। বর্তমান সরকার বিদ্যুৎখাতে কৃষকদের স্বাবলম্বী করতে সোলার ইরিগেশন বৃদ্ধিতে কাজ করছে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্প পরিদর্শনে শেষে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদাই কৃষকবান্ধব। তিনি চিন্তা করেন কীভাবে কৃষকদের সাহায্য করা যায়। জ্বালানি সাশ্রয় করতে সৌর বিদ্যুৎখাত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত সৌর বিদ্যুৎ অনেক বেশি সময়োপযোগী ও কার্যকর। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের প্রায় ১২-১৩ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। সেজন্য জ্বালানি সাশ্রয়ে সৌর বিদ্যুৎ খাতে গুরুত্ব দিতে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজউদ্দিন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্তী, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জিএম সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, খানসামা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ইফতেখার আহমেদসহ সুবিধাভোগী ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
#
রুপাল/ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২৫৭
উজবেকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের
মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে রোডম্যাপ স্বাক্ষর
তাসখন্দ (উজবেকিস্তান), (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং উজবেকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়ার সহযোগিতা বিভাগের প্রধান মাকহামাদজন বত্রালিয়েভ আজ উজবেকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে গৃহীত একটি রোডম্যাপ স্বাক্ষর করেন।
রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান উভয়পক্ষ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সকল ক্ষেত্রে গুণগত উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনে তাদের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে ও উজবেকিস্তানের মধ্যকার ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারণ ও ফলপ্রসূ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপসমূহ রোডম্যাপে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঢাকা ও তাসখন্দের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগের ওপর জোর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, যা উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পর্যটন বিকাশে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বোঝাপোড়া ও বন্ধুত্বকে আরো গভীর করতে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ গুরুত্ব সহকারে রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে।
#
ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩২৫৬
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে
--- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, খেলাধুলাসহ সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা সৃষ্টিশীল প্রজন্ম গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। খেলাধুলা মানসিক বিকাশ ও শরীর গঠনে সহায়তা করে। ক্রীড়ার মাধ্যমে খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব তৈরির দ্বার উন্মুক্ত হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে।
মন্ত্রী আজ হিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেন, ছেলে-মেয়েদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। সন্তানদের মানসিক বিকাশ যাতে সুস্থ ও সুন্দরভাবে হতে পারে এবং সে যেন নিজেকে একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে জন্য এই ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও এসডিএফ এর চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সামাদ, ওয়ার্ল্ড পিস মিশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ড. কমল কুমার সাহা, হিন্দু রিলিজিয়াস ওয়েলফেয়ার এর ট্রাস্টির সদস্য নান্টু রায় এবং কলেজের অধ্যক্ষ টলবাট দোবে।
পরে মন্ত্রী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপভোগ এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
এনায়েত/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২৫৪
পানগাঁও আইসিটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে দেয়া যাবে না
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন, (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সবকিছুর সম্ভাব্যতা যাচাই করে পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটিকে মুখ থুবড়ে পড়তে দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, পানগাঁও আইসিটিতে অনেক প্রণোদনা ও ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। টার্মিনালটির বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনালের’ বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান ড. এম মতিউর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ কাস্টমস, শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন, কন্টেইনার শিপিং এসোসিয়েশন, কন্টেইনার শিপ ওনার্স এসোসিয়েশন ও কন্টেইনার অপারেটরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২৫৫
ইতিহাস ও গবেষণাধর্মী ‘জানতে ইচ্ছে করে’
গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন, (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সহকারী সম্পাদক সোহেল সানি’র ইতিহাস ও গবেষণাধর্মী ‘জানতে ইচ্ছে করে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সম্রাটের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি আসলাম সানি, সাংবাদিক সোহেল সানি, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মননশীলন এর অন্যতম কর্ণধার মুহম্মদ আকবর।
#
জাহাঙ্গীর/ফয়সল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২৫৩
সিলেট বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
সিলেট, ১৪ ফাল্গুন, (২৭ ফেব্রুয়ারি) :
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বিমানবন্দরে চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। এ সময় তিনি বিমানবন্দরে চলমান উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
আজ সিলেট সফরকালে তিনি ওসমানী বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে বিদ্যমান টার্মিনাল ভবনের সুযোগ-সুবিধা, রানওয়ে ও নির্মিতব্য টার্মিনাল ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, কার্গো ভবনসহ চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক মোঃ আনিসুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী চলমান উন্নয়ন কাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সরেজমিন অবহিত হন। এ সময় তিনি গুণগত মান ঠিক রেখে কাজের গতি বাড়িয়ে প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময় ডিসেম্বর-২০২৫ এর মধ্যেই উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সকলকে জোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৫১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রানওয়ে শক্তিশালীকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরো ২ হাজার ৩০৯ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর এই বিমানবন্দর ব্যবহারকারী সকল যাত্রী আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাবেন।
বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সিলেটে অবস্থিত বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের পর্যটন মোটেল পরিদর্শন করেন। পরে শহরের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি হযরত শাহজালাল (র.) এঁর মাজার জিয়ারত করেন। এছাড়া, মন্ত্রী দেশ ফাউণ্ডেশন-ইউকে কর্তৃক সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘Tourism for Building Smart Bangladesh and Investment Opportunity for NRB’s’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
#
তানভীর/ফয়সল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০১৫ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩২৫২
পেট্রোলে দগ্ধ চিকিৎসক ডা. লতা আক্তারের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
প্রাক্তন স্বামীর পেট্রোলের আগুনে মারাত্মক দগ্ধ চিকিৎসক ডা. লতা আক্তারের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থার সরেজমিন খোঁজ নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মন্ত্রী আজ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ডা. লতা আক্তারকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ ডা. লতা আক্তারের শারীরিক অবস্থা সন্তোষজনক নয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবগত করেন। ডা. লতা আক্তারের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।
পুরো ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই ঘটনাটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক, হৃদয়বিদারক ও দুঃখজনক। এমন ঘটনায় আসলে কেউই লাভবান হয় না, শুধু নিজেদেরই ক্ষতি হয়। রোগীর প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে সুস্থ করা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তবে, রোগীকে সুস্থ করতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সব ধরনের চেষ্টাই অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি জানান।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর আহমেদুল কবীর, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক রায়হানা আউয়ালসহ অন্যান্য চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নরসিংদীর ডা. লতা আক্তার নামে একজন চিকিৎসক দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি হন। তার সাবেক স্বামী খলিলুর রহমান লতার গায়ে আগুন দেয়ার পর নিজের গায়েও আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তিনি গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঔষধের মূল্য কমানো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, তিনি এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঔষধ কোম্পানি মালিক পক্ষের সাথে আলাপ করার জন্য তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, ঔষধের মূল্য নিয়ে পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি হচ্ছে। হঠাৎ করে এমনি এমনি তো ঔষধের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে না। কেন বাড়ছে, কতটুকু বাড়ছে, তার যৌক্তিকতা কতটা সে ব্যাপারে আমাদেরকে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩২৫১
টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন
--- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ বলেছেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ হলো জলবায়ু পরিবর্তন।
আজ রাজধানীর হোটেল আমারিতে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সংগঠন কনসাল্টেটিভ গ্রুপ অভ্ ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (সিজিআইএআর) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের একটি বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদন বিশেষ করে ধানের উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ঝুঁকি তৈরি করবে; ধানের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য হল টেকসই, নিরাপদ ও লাভজনক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক্সপার্ট পোলের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি হোমনাথ ভান্ডারি; ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অফিসার ডাউ দ্য অ্যান; কম্বোডিয়ায় কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ফেলোউন চ্যান; ইরির সিনিয়র বিজ্ঞানী বোয়র্ন ওলে স্যান্ডার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে ১৭টি দেশের ৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।
সিজিআইএআর এশিয়ান মেগা ডেল্টাস (এএমডি) নিয়ে গবেষণা করছে। এর মধ্যে রয়েছে গঙ্গা- ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ বা বাংলাদেশ, ইরাবতী বদ্বীপ বা মিয়ানমার এবং মেকং বদ্বীপ বা ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে জলবায়ুসহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করাই এই গবেষণার লক্ষ্য।
#
কামরুল/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩২৫০
মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য
--- পরিবেশ সচিব
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান (গঈচচ) বাস্তবায়নের কর্মকৌশল প্রণয়নের উদ্দেশ্যে আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, গঈচচ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। সকলের মতামত নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা কর্মকৌশল প্রণয়ন করতে চাই। তিনি বলেন, জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থা গ্রহণ, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, বনায়ন ও বনজ সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনায় এ কর্মকৌশল কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
সভায় গঈচচ কর্মকৌশল প্রণয়নে পদক্ষেপ গ্রহণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে মতামত দেন। উপস্থিত সকলে গঈচচ-এর দ্রুত ও কার্যকর বাস্তবায়নে তাদের পূর্ণ সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার।
#
দীপংকর/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৪৯
স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন
-- প্রতিমন্ত্রী পলক
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। চারটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন। তিনি বলেন স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিকদেরকে শুধু উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাই আমাদের লক্ষ্য নয়, এর সাথে তাদেরকে সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, সমস্যা সমাধানকারী মানসিকতা, নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা দেওয়াও আমাদের লক্ষ্য।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বসুন্ধরায় আগা খান একাডেমি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামের মেধাবীদের জন্য দেশে বিশ্বমানের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রামের হতদরিদ্র ছেলেমেয়েদেরকে অত্যাধুনিক ও বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগা খান একাডেমি এবং আইসিটি বিভাগ একসাথে কাজ করবে এবং দু’পক্ষের মধ্যে এ সংক্রান্ত ‘নলেজ পার্টনারশিপ’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হবে। এছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) লিটারেসি ক্যাম্পেইন অ্যাওয়্যারনেস প্রোগ্রাম আগা খান একাডেমিতে চালু করা হবে।
তিনি বলেন, শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অভ্ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স সম্পর্কে উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে, এটুআইয়ের মুক্তপাঠ, এডুহাবসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আগা খান একাডেমি ও আইসিটি বিভাগ নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বিগত ১৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের ট্রানজিশন অনেক চ্যালেঞ্জিং। শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব এবং এই তিনটির ওপর নির্ভর করেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
পলক বলেন, সরকারি-বেসরকারি সেবাকে আরো সহজ করার লক্ষ্যে দেশে এআই পাওয়ার্ড গভর্নমেন্ট ব্রেইন তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এআই এর নেতিবাচক ব্যবহার কমানোর জন্য এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা একটি এআই আইন করতে চাই। যেটা এখনো ড্রাফটিং পর্যায়ে আছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকারি সকল সেবা পেপারলেস-স্মার্ট, সকল লেনদেন ক্যাশলেস এবং সবগুলোকে ইন্টার-অপারেবল, ইন্টার-কানেক্টেড ও অটোমেটেড করা হবে।
আগা খান একাডেমি আমাদের সামনে রোল মডেল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন সম্ভব। এআই অ্যাওয়্যারনেস প্রোগ্রাম, ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফান্ড এবং এডুকেশন ও নলেজ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য আগা খান একাডেমি এবং আইসিটি বিভাগ একসাথে কাজ করবে।
এসময় আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক এর বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনৈতিক প্রতিনিধি মুনির মি. মেরালি উপস্থিত ছিলেন।
#
বিপ্লব/ফয়সল/শফি/রফিকুল/রেজাউল/২০২৪/১৮১৫ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ৩২৪৮
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে আইটিএফসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ সচিবালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেম সুনবল (Eng. Hani Salem Sonbol) সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে তেল রিফাইনারি, তেল ও গ্যাস পরিবহণের পাইপলাইন, সাশ্রয়ী জ্বালানির বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইত্যাদি বিষয়ে বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য খোলামেলা আলোচনা হয়।
আইটিএফসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের সাথে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়াতে আমরা আগ্রহী। তেলের সাথে সাথে এলএনজি আমদানিতেও আইটিএফসি অর্থায়ন করবে। প্রাথমিকভাবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার হলেও পর্যায়ক্রমে তা বাড়তে পারে।
প্রতিমন্ত্রী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিদ্যমান সম্পর্ক বাড়াতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার উত্তরোত্তর বড় হচ্ছে। বাংলাদেশে চলমান ও পরিকল্পনাধীন প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চাই। বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণেও আইটিএফসি সহযোগিতা করতে পারে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র