তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭১
ভবিষ্যতে লাঙ্গলবন্দের পুণ্য¯œান নিরাপদ করতে
সরকার সবধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে
-- ধর্মমন্ত্রী
লাঙ্গলবন্দ (নারায়ণগঞ্জ), ১৯ চৈত্র (২ এপ্রিল) :
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, গত ২৭ মার্চ লাঙ্গলবন্দে পুণ্য¯œান উৎসবে যোগদানকালে প্রচ- ভিড় ও হুড়োহুড়ির কারণে পদদলিত হয়ে ১০ জন পূণ্যার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু অনাকাক্সিক্ষত ও দুঃখজনক ঘটনা। ভবিষ্যতে এ ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে এবং পুণ্যার্থীদের যাতায়াতসহ পুণ্য¯œান উৎসব নিরাপদ ও সুন্দর করতে সরকার সম্ভাব্য সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবে।
মন্ত্রী আজ নারায়ণগঞ্জের দুর্ঘটনাস্থল লাঙ্গলবন্দ পুণ্য¯œান ঘাটপরিদর্শন ও পুণ্য¯œান উৎসবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশ্যে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
মতিউর রহমান বলেন, সেদিনের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত¦না প্রদানের ভাষা আমার জানা নেই। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার স্বর্গীয়সুখ কামনা করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। আর যারা আহত হয়েছেন আমি তাদের দ্রুতসুস্থতা কামনা করছি।
তিনি আরো বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য ঐতিহাসিক এ পুণ্যস্থানে যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে তার কারণ আমরা খতিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার রিপোর্ট আমরা পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখবো।
ধর্মমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক পরিবারের জন্য ৩০ হাজার টাকার অনুদান ঘোষণা করেন।
মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ ¯œান উৎসব উদ্যাপন কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত কমিটির সভাপতি পরিতোষ সাহার সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এবং জেলা প্রশাসক মোঃ আনিছুর রহমান মিঞা বক্তৃতা করেন। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হাসান জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হাসান, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনারা নাজমীন, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ ¯œান উৎসব উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
শোকসভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুলসংখ্যক সদস্য অংশগ্রহণ করে নিহত পুণ্যার্থীদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
#
আনোয়ার/ফায়জুল/নবী/আলম/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৭০
বাংলাদেশ থেকে পুরুষকর্মী নিতেও জর্ডানের আগ্রহ প্রকাশ
ঢাকা, ১৯ চৈত্র (২ এপ্রিল) :
জর্ডান বাংলাদেশ থেকে নারীকর্মীর পাশাপাশি পুরুষকর্মী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জর্ডানের ইন্টেরিয়র মিনিস্ট্রির পরিচালক গভর্নর ওয়ালিদ আবিদা (এড়াবৎহড়ৎ ডধষরফ অনরফধ) এর নেতৃত্বে পাঁচসদস্যবিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল আজ প্রবাসীকল্যাণ ভবনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে সাক্ষাৎকালে আগ্রহের কথা জানান।
প্রতিনিধিদল জানান, জর্ডানে দক্ষ নারীকর্মীর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশি কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাঁদের দেশে প্রেরণের ওপর তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিনিধিদল আরো জানান, বাংলাদেশের ৪/৫টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে জর্ডান থেকে প্রশিক্ষক প্রেরণ করা হবে এবং তাঁরা জর্ডানের কর্মের উপযোগী করে কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। এরফলে সেদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের ভালোবেতনে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া সাক্ষাৎকালে অভিবাসন ব্যয় কমানো, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মীদের স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, বর্তমানে জর্ডানে ৪০ হাজারেরও অধিককর্মী কর্মরত আছে।
প্রবাসীকল্যাণসচিব খন্দকার মোঃ ইফতেখার হায়দার এবং বিএমইটি’র মহাপরিচালক বেগম শামছুন নাহার সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।
পরে নারীকর্মী প্রেরণ বিষয়ে উভয়দেশের মধ্যে একটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসীকল্যাণসচিব এবং জর্ডানের পক্ষে ইন্টেরিয়র মিনিস্ট্রির পরিচালক সমঝোতাস্মারকে স্বাক্ষর করেন।
#
শহিদুল/ফায়জুল/মিজান/আলম/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৬৯
রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী
-- বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ চৈত্র (২ এপ্রিল) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। রাশিয়ায় এক লাখ টন আলু রপ্তানি করা হবে। এ বিষয়ে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধিদল অল্পসময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সফর করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার বাজারে তৈরিপোশাক রপ্তানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াও বাংলাদেশ থেকে তৈরিপোশাক নিতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে কাস্টমস ডিউটিসংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে, এ কাস্টমস ডিউটির সঙ্গে বেলারুশ ও কাজাকিস্তানেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এ জটিলতা দূর করার জন্য প্রচেষ্টা চলছে। কাস্টমস ডিউটিসংক্রান্ত জটিলতা দূর হলে রাশিয়ার বাজারে তৈরিপোশাক রপ্তানি সহজ হবে। মন্ত্রী ১৮-২০ জুন রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় “১৯তম সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকনমিক ফোরাম” এ যোগদানের জন্য রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী সারগেই প্রিখোডকো (ঝবৎমবর চৎরশযড়ফশড়) এর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলভ (অষবীধহফবৎ অ ঘরশড়ষধবা) এর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মুর্তজা রেজা চৌধুরী, মোঃ শওকত আলী ওয়ারেছী ও মনোজ কুমার রায় সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। বাংলাদেশের সাথে রাশিয়া ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে রাশিয়া কাজ করে যাচ্ছে। ভোলা জেলায় চারটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলছে। গ্যাস উত্তোলন শুরু হলে ভোলা শিল্পনগরীতে পরিণত হবে।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে চলমান বাণিজ্যচুক্তি রিভিউ করা হচ্ছে। এ চুক্তিতে ভুটান ও নেপালের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধার জন্য ভারতের করিডোর ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। এ চুক্তি এখন চূড়ান্ত। এর ফলে নেপাল ও ভুটানের ট্রাক বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের ট্রাক সেখানে যাতায়াত করার সুযোগ পাবে। এতে বাংলাদেশে বৈদেশিক বাণিজ্য সহজ হবে এবং বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানি করেছে ২৮৩ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, একই সময়ে রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করা হয়েছে ২৮৬ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ৩ দশমিক ০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বাণিজ্য বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। বাংলাদেশ রাশিয়ার বাজারে তৈরিপোশাক ও আলু রপ্তানি করলে তা হবে বাংলাদেশের জন্য বড় রপ্তানিবাজার।
#
বকসী/ফায়জুল/মিজান/আলম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৫/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৬৮
বিএবি’র সক্ষমতা বাড়াতে ইউকেএএস এর সহায়তা চাইলেন শিল্পমন্ত্রী
লন্ডন, ১৯ চৈত্র (২ এপ্রিল) :
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাজ্যের বিশ্বসেরা অ্যাক্রেডিটেশন প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কিংডম অ্যাক্রেডিটেশন সার্ভিসের (টকঅঝ) প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা চেয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
যুক্তরাজ্য সফররত শিল্পমন্ত্রী গতকাল লন্ডনে অবস্থিত ইউনাইটেড কিংডম অ্যাক্রেডিটেশন সার্ভিস (টকঅঝ) পরিদর্শন শেষে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এ সহায়তা কামনা করেন। এ সময় ইউনাইটেড কিংডম অ্যাক্রেডিটেশন সার্ভিস এর কারিগরি বিভাগের পরিচালক রব বেটিনসন (জড়ন ইবঃঃরহংড়হ), শিল্পমন্ত্রীর সফরসঙ্গী এবং পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য এস এম গোলাম ফারুক, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ইকরামুল হক এবং লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে শিল্পমন্ত্রী বলেন, অপেক্ষাকৃত নবীন হলেও বিএবি ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অ্যাক্রেডিটেশন ফোরামের স্বীকৃতি অর্জনের পথে অনেক দূর এগিয়েছে। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ল্যাবরেটরি টেস্টিংয়ের জন্য বিএবি’র অ্যাক্রেডিটেশন সনদ এশিয়া-প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলে পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতার স্বীকৃতি (অচখঅঈ গজঅ) অর্জন করেছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে আঞ্চলিক ও বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের ভূমিকা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। বাংলাদেশ শীঘ্রই এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক ব্যাঘ্র (ঊসবৎমরহম অংরধহ ঊপড়হড়সরপ ঞরমবৎ) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি গুণগতমানের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির ওপর গুরুত্ব দেন। ব্রিটেনসহ উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশে বিশ্বমানের মেট্রোলজি, স্ট্যান্ডার্ড, সার্টিফিকেশন, ইন্সপেকশন ও অ্যাক্রেডিটেশন সেবা প্রদানে সক্ষম মান অবকাঠামো গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পরে মন্ত্রী লন্ডনে অবস্থিত ডিপার্টমেন্ট অভ্ বিজনেস, ইনোভেশন অ্যান্ড স্কিল (ইওঝ) পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম ও উদ্ভাবন ঘুরে দেখেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শিল্পমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, পণ্যের গুণগতমান ও কারিগরি বিধি-নিষেধ (ছঁধষরঃু ্ ঞবপযহরপধষ জবমঁষধঃরড়হ) বিশ্ববাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিনিয়তই এক্ষেত্রে পরিবর্তনের ফলে বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হচ্ছে। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের শুল্ক ও কারিগরি প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় অন্যান্য দেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি বিশ্বমানের গুণগত মাননীতি (ছঁধষরঃু চড়ষরপু) প্রণয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ৩০ মার্চ শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেন। প্রতিষ্ঠানটির মান বিষয়ক পরিচালক ড. স্কট স্টিডম্যান (উৎ. ঝপড়ঃঃ ঝঃববফসধহ) প্রতিনিধিদলকে সংস্থার বিভিন্ন কর্মকা- সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা প্রতিষ্ঠানটির গবেষণাগার ঘুরে দেখেন এবং সেখানে কর্মরত গবেষক, পরীক্ষক, মান নির্ধারক ও মান বিশেষজ্ঞদের সাথে মতবিনিময় করেন।
#
জলিল/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/শুকলা/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৫/১৬০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৬৬
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৯ চৈত্র (২ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৫ উপলক্ষে আমি চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী এবং সকল শ্রেণির দর্শককে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদে ‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল’ উত্থাপন করার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা এফডিসি। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক উদ্যোগের ফলেই বাংলা চলচ্চিত্রে সৃষ্টি হয় প্রাণের স্পন্দন। এফডিসি প্রতিষ্ঠার পর চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃজনশীল কর্মতৎপরতায় এদেশে বহু কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
চলচ্চিত্র জীবন, সমাজ ও সময়কে ধারণ করে এবং তা মানুষ ও সমাজকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এরই ভেতর দিয়ে ফুটে ওঠে মানুষের আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, জীবনবোধসহ সমাজের নানা চাওয়া-পাওয়া। সমাজে চলচ্চিত্রের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এফডিসি প্রতিষ্ঠার দিনকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ ঘোষণা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি জেনেছি চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তা ছাড়া চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের জন্য দক্ষ কলাকুশলী সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট। আমি আশা করি, চলচ্চিত্র নির্মাতাগণ এসব সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে অধিক সংখ্যক জীবনঘনিষ্ঠ ও বিনোদনধর্মী চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দিতে সক্ষম হবেন। আমি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে চলচ্চিত্রে মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরার আহ্বান জানাই।
আমি জেনে খুবই আনন্দিত যে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং এফডিসি’র আয়োজনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলী, দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলে বিপুলভাবে উৎসাহিত হবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৫’ এর সফলতা কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/শুকলা/আসমা/২০১৫/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৬৭
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৯ চৈত্র (২ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৫ উপলক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলীসহ সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
মানুষের চেতনাকে শাণিত করার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্র অনন্য এক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। অন্তর্নিহিত ও অপরিমেয় শক্তির অধিকারী চলচ্চিত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাণকেন্দ্র এফডিসি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটিকে আমরা জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা করেছি।
চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সরকার বহুমাত্রিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি তথা ডিজিটাল প্রযুক্তির চলচ্চিত্র নির্মাণ যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং এফডিসি’র আধুনিকায়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। চলচ্চিত্র প্রদর্শন ব্যবস্থা ডিজিটালাইজড্ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। অসচ্ছল শিল্পী, কলাকুশলীদের আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার আমরা বহন করছি। জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতি আমার আহ্বান, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আপনারা মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধকে যথাযথভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। চলচ্চিত্রকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও অরাজকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত করুন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-এর আয়োজনে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০১৫’ উদ্যাপনের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/শুকলা/আসমা/২০১৫/১১০০ ঘণ্টা