তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৪
সনদ সর্বস্ব ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকার সনদ সর্বস্ব, পরীক্ষা নির্ভর ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনে কাজ করছে এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবছে। তিনি বলেন, জিপিএ পাওয়া মেধা যাচাইয়ের একমাত্র পদ্ধতি হতে পারে না। তাই মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন জরুরি।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটি ও দৈনিক সমকাল আয়োজিত জাতীয় জীববিজ্ঞান উৎসব ২০২১ এর জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা অতীতের শিল্পবিপ্লবগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিতে পারেনি তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আমরা সফল অংশীদার হতে চাই। পাশাপাশি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের যথাযথ সুফল আমরা নিতে পারিনি। তাই আগামী ১০ বৎসরে আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল নিতে হবে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই'। তাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন জরুরি। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সভাপতি ড. মোহম্মদ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ও দৈনিক সমকালের সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি প্রমুখ।
#
খায়ের/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩৩
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত আরো ২০০ ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
করনায় ক্ষতিগ্রস্ত আরো ২০০ ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে সরকার। আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনাড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আর্থিক সহায়তার এ চেক বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। প্রত্যেক অসহায় ক্রীড়াবিদকে ৭ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
চেক বিতরণকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা দুর্যোগের শুরু থেকেই আমরা আমাদের ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠকদের মানবিক সহায়তা করার চেষ্টা করে আসছি। ইতোমধ্যে আমরা পাঁচ হাজারেরও অধিক ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। আজ আমরা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত আরো ২০০ ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সহায়তা করছি। আমরা বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীও বিতরণ করেছি। আমরা ৮টি বিভাগীয় ও ৬৪টি জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকার চেক বিতরণ করেছি”। সরকারের এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিমসহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩২
রাজশাহী বিভাগে করোনাকালিন সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
রাজশাহী বিভাগে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৪ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫৫০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৩০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ৬০৯ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৮ হাজার ২৬৯ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জিআর (ক্যাশ) খাতে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ৫১ হাজার ৪০০ পরিবারের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৪৮ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকা ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৩ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্য হিসেবে ৯ লাখ করে ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা বিতরণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ৩৭৭ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জিআর (ক্যাশ) খাতে ১ কোটি ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ২০ হাজার ৩৪৮ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫০ টাকা ৮৫ হাজার ৬৯৭ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্য হিসেবে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং বিতরণ করা হচ্ছে।
নওগাঁ জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯২৯ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ২৫০ পরিবারের মাঝে ৩০৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৪০০ পরিবারকে নগদ ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। কোভিড ২য় ঢেউ এর বিশেষ ত্রাণ ৫৭ হাজার ২৫০ পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৮৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫৯ পরিবারের মাঝে ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ১০ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২৮ পরিবারের মাঝে ১৭ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, করোনায় গবাদি পশুকে বাঁচিয়ে রাখতে এ জেলায় ৭ লাখ টাকা গো-খাদ্য এবং ৪ লাখ টাকা শিশু খাদ্য হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে ।
রাজশাহী জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৯ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ হাজার ৭০৫ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ২ কোটি ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে । ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯০ পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ৩৪৪ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, এ জেলায় ৯ লাখ টাকা গো-খাদ্য এবং ৯ লাখ টাকা শিশু খাদ্য হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
নাটোর জেলায় করোনার মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৩১ হাজার ১৫০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা ১ লাখ ২০ হাজার ৮৩২ দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ১১৬ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) খাতে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ৪৮ হাজার ৯০০ পরিবারের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫০ টাকার মধ্যে ৫০ লাখ ৮৫ হাজির ৭৫০ টাকা ২ লাখ ১৮ হাজার ৫২১ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো খাদ্য হিসেবে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা অচিরেই বিতরণ হবে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ৬৬৪ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
পাবনা জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৭ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জিআর (ক্যাশ) খাতে ২ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ৪৪ হাজার ১২০ পরিবারের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে ৮ কোটি ৫২ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪০৮ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ৭৭২ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
#
মারুফ/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৩০
নবনিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য নবনিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। কর্তব্য পালনে অবহেলা মেনে নেয়া হবে না বলেও জানান মন্ত্রী ।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিতে নবনিয়োগ প্রাপ্ত ২৬০ জন সহকারী প্রকৌশলীদের যোগদানের পর ওরিয়েন্টেশনের উদ্বধোনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলে অসংখ্য শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে এতে করে দেশের জিডিপি এক শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। দেশে একশো টি ইকনোমিক জোন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন এসবের কারণে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে । লক্ষ্যে পৌঁছানো সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
ভালো কাজের পুরস্কার এবং খারাপ কাজের জন্য তিরস্কারের নীতি অনুসরণের কথা জানিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণ করাই জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী । তিনি বলেন, পদোন্নতির জন্য কাজ নয় বরং ভালো কাজ করে পদোন্নতি পাওয়ার অধিকারী হতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের দেশ উন্নয়নের কান্ডারি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশকে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের শিখরে নিতে হলে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ সবাই মিলে একসাথে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে । কাজ আরম্ভ করে দীর্ঘদিনে সম্পন্ন না করে মানুষের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোন ভাবেই কাম্য নয়। মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের চলমান ও সমাপ্ত কাজ যাচাই বাছাই করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এলজিইডির নিজস্ব তদন্ত টিমের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত টিমও নিবীড়ভাবে কার্যক্রম তদন্ত করবে ।
এর আগে, মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর- এলজিইডি'র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবা উদ্দিন, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
হায়দার/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২৯
'ইয়াস' মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম চালুসহ ৮ নির্দেশনা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম চালুসহ ৮ নির্দেশনা দিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। গতকাল (২৩মে) ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবেলায় দিকনির্দেশনা প্রদানে মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত মতে, ‘ইয়াস” এর পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় (ফোন নম্বর ০১৩১৮২৩৪৫৬০)।
নির্দেশনামতে, ২৪ মের উপকূলাঞ্চলের বাধসহ সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট প্রেরণ করতে হবে। ব্যবস্থা রাখতে হবে প্রয়োজনীয় বালু, জিও ব্যাগ এবং জরুরি শ্রমিক। বিতরণের ব্যবস্থা রাখতে হবে মাস্ক, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার ৮টি পোল্ডার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য থাকতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। লোকজন সরিয়ে নিতে প্রয়োজনমতো নৌযান ব্যবস্থা থাকতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
এছাড়া, সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর পেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অবহিত করতে হবে। মাঠ পর্যায় কর্মকর্তাগণ ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনগণ এবং মিডিয়ার সাথে সমন্বয় করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় 'ইয়াস'সহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে বরিশাল ও খুলনা এলাকায় লক্ষাধিক জিও ব্যাগ মজুদ রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে প্রকৌশলীগণ আঞ্চলিক তথ্যকেন্দ্র খোলাসহ জীবন-সম্পদ রক্ষায় সতর্কভাবে কাজ করছে।"
#
আসিফ/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২৮
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ চলমান
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া গরিব, অসহায়, দুস্থ, দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৪৬ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১০৩,৮৭৫টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৫,১৯,৩৭৫ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার পুরোটাই এ পর্যন্ত ১,৮৩,০৩১টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬৫ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭,৬২৫টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে ৬১ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ চট্টগ্রাম জেলায় বরাদ্দকৃত ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১৬৭টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২,৬০৫টি পরিবার।
কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২ কোটি ১৩ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা ৪৩,৩৫৭ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ১,৭৪,৭২৭ টি প্রান্তিক পরিবার ও ৮,০৬,৫৭৪ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ পেয়েছে আরো ১,৩৬৮টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১,৫২২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৭ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১,৩১৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর(ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩১,৫০০ পরিবার ও ১,২১,৯০৫ জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৩১,৫০২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।
খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৩৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২২,৯০০টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ০৫ হাজার ৭৩০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই ৩৩,২৬৭ টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৫৯৮টি পরিবার।
বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ১৭,৪১৪টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার পুরোটাই এ যাবৎ ৫৯,০৮২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক গৃহীত মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩২,৪৯৭টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৭৫,০৫৯ টি দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩,৭৫,২৯৫ জন প্রান্তিক মানুষ। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ০৯ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ০৫ লক্ষ টাকা বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ লক্ষ্মীপুর জেলায় ১৩ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।
নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৫ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫১,৫০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার পুরোটাই অদ্যাবধি ১,৬৭,৭৫৩টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৫৮৯টি পরিবার। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৬৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ২৩,৮০০ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার পুরোটাই ৩৬,৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ টাকার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬০০টি পরিবার।
কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৩০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ কোটি ৪৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা ১,০৬,৯৯০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার পুরোটাই ১,৯১,১৪০টি প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৪২ লক্ষ টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ৬,১৮০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৭ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩২৮ টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৪ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় শুকনো খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ১০০০ প্যাকেটের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫৪ প্যাকেট ১৫৪ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৮২০টি পরিবার।
চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ৫ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৬০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ৫২,০৫০টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১,০১,২২৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৫টি পরিবার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি ৮৩ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা ৫৮,৭৪৬টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লক্ষ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১,৩৫,৮২২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৩০টি পরিবার। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৫৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৬ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১৭০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।
#
ফয়সল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪২৭
খুলনা বিভাগে করোনাকালীন সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত রোগ কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে চলমান বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আজ গরিব, অসহায়, কর্মহীন এবং দুস্থ মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলায় কর্মহীন, অসহায় ও দুস্থ ৬ শত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। আজ (সোমবার) সকালে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।