তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৭৩
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের মতো এবারও ২৮ মে দেশব্যাপী ‘নিরাপদ মাতৃত্ব’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ প্রসব চাই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চল যাই’- যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। গর্ভবতী নারীদের দক্ষ সেবাদানকারীর নিকট প্রসূতি সেবা গ্রহণের উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রতিপাদ্যটি নির্ধারণ করা হয়েছে। যথাসময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে গর্ভবতী নারীর জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করে মা ও শিশুকে সুরক্ষিত করাই এ দিবসের অঙ্গীকার।
আমাদের সরকার গত প্রায় সাড়ে ৮ বছরে দেশের স্বাস্থ্যখাত বিশেষ করে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, হাসাপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, মাতৃমৃত্যু হ্রাসে জরুরি প্রসূতি সেবা প্রদান, মিডওয়াইফারি কোর্স চালু করা, দরিদ্র ও দুস্থ মায়েদের জন্য মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কীম চালু করা, কমিউনিটিভিত্তিক স্কিল্ডবার্থ এটেনডেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি ও টিকাদান কর্মসূচি সাফল্যজনকভাবে বাস্তবায়নের ফলে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। আমাদের এ সাফল্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড ও সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি।
সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শিশু ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি-৪) নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই অর্জিত হয়েছে এবং মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ক সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি-৫) অর্জনে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। দেশের মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখ জীবিত জন্মে ৭০ এর নিচে নামিয়ে এনে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাও (এসডিজি) অর্জিত হবে বলে আমি আশা করি।
স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে দক্ষ সেবাদানকারীর মাধ্যমে নিরাপদ মাতৃত্ব সেবা গ্রহণের জন্য সকল নারীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ ২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/সেলিম/সঞ্জীব/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৯৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৭২
৫০০ শয্যা সংযোজন হবে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে
-- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :
আগামী বছরের জুনের মধ্যে আরো ৫০০ শয্যা সংযোজন করে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এখন থেকে অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের মতো হৃদরোগ হাসপাতালেও বিনামূল্যের শয্যায় ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য সব ধরনের রক্ত পরীক্ষা বিনামূল্যে করার নির্দেশও দিলেন তিনি।
মন্ত্রী আজ রাজধানীতে জাতীয় হৃদরোগ ইনসিটিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
তিনি বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের পাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তাঁদের সাথে কথা বলে সেবা ব্যবস্থার খবর নেন।
পরে তিনি ঊর্ধ্বতন চিকিৎসকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসসয় তিনি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সম্প্রসারণ কাজের অগ্রগতি জানতে চান। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে তিনি এসময় বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলো দেশের গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। সাধারণ মানুষের সেবা নিয়ে কোন গাফিলতি সরকার মেনে নিবে না।
পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতি আজ বিশ্বব্যাপী আলোচনার বিষয়। গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনে জড়ো হওয়া ১৯৪ দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের আলোচনায় বাংলাদেশের অর্জন প্রসঙ্গটি বারবার এসেছিল। বাংলাদেশের এই অর্জনকে এগিয়ে নিতে হলে চিকিৎসকদেরকেই অগ্রণি ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সীমিত সম্পদের এই দেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবাকে কাক্সিক্ষত মানে নিয়ে যেতে সরকারের সব উদ্যোগ সফল হবে যদি চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় জনবল পর্যাপ্ত থাকে। দেশে নার্স সংকট অনেক কমে গেলেও, রোগীর চাপের তুলনায় ডাক্তার অপ্রতুলতা আজো দূর করা সম্ভব হয়নি। সরকারের দূরদর্শী কৌশলের কারণে বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তার অনুপস্থিতি নেই বললেই চলে। গ্রামের মানুষ আজ চিকিৎসাবঞ্চিত থাকছে না। জেলা, বড় বড় শহর ও রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে শয্যার তুলনায় কয়েকগুণ রোগী ভর্তি থাকে, তবুও মানুষ সরকারি হাসপাতাল থেকে খালি হাতে ফেরত যায় না। আমাদের ডাক্তার আর নার্সরা আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদান করছেন বলেই মানুষ তাঁদের ওপর আস্থা রেখে হাসপাতালে আসছে।
তিনি বলেন, যদি কোন হাসপাতালের সেবা সম্পর্কে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তা দ্রুত প্রতিকারের উদ্যোগ নেয়া হয় এবং সাথে সাথে অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার।
মন্ত্রী পরে হাসপাতালের সিসিইউ, ক্যাথল্যাব, জরুরি বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাধীন শয্যার অতিরিক্ত ভর্তি হওয়া রোগীদের সাথেও কথা বলে সেখানকার সার্বিক ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিত/সেলিম/সঞ্জীব/মোশারফ/রেজাউল/২০১৭/২০০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৭১
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ২০১৭ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“‘নিরাপদ প্রসব চাই স¦াস্থ্য কেন্দ্রে চল যাই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ২০১৭’ উদ্যাপন হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
একটি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির অন্যতম সূচক প্রসবজনিত মাতৃমৃত্যু হার। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রসবজনিত কারণে প্রতি এক লাখে ১৭৬ জন মায়ের মৃত্যু হয়। যদিও মাতৃত্বজনিত কারণে একটি মৃত্যুও কাম্য নয়। ‘মা ও নবজাতকের মৃত্যু এবং অসুস্থতা রোধ’ বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম। নিরাপদ প্রসব মা ও নবজাতকের সুস্থতা নিশ্চিতকরণসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভবিষ্যতের জন্য একটি স¦াস্থ্যবান, আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠনে সহায়তা করে।
নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার তৃণমূল পর্যায় হতে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বিশেষ করে সকল সরকারি স¦াস্থ্য কেন্দ্র হতে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য গুণগত মানসম্পন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য স¦াস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সংযুক্তিসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নিরাপদ প্রসবের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের বিকল্প নেই। আমি আশা করি, প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলার জন্য প্রসবকালীন সময়ে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত স¦াস্থ্যকর্মী ও পরিবারের সদস্যবৃন্দ প্রসব পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারি স¦াস্থ্যকেন্দ্রে দক্ষ সেবাদানকারীর মাধ্যমে প্রসবের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্জনসমূহ বজায় রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ২০১৭’ উদ্যাপন ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ২০১৭’ পালন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
জয়নাল/সেলিম/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৭০
২০১৭ সালের মধ্যে ঈশ^রদী ও আটঘরিয়ার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে
---ভূমিমন্ত্রী
ঈশ^রদী (পাবনা), ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের সকল নাগরিকের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণাকে সামনে রেখে চলতি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ঈশ^রদী ও আটঘরিয়ার প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।
গতকাল রাতে ঈশ^রদী জয়নগরে খায়রুল ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন মাঠে মেসার্স খায়রুল ফিলিং স্টেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে শিল্প, কৃষি, কলকারখানা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘরে বিদ্যুৎ অত্যন্ত জরুরি। ঈশ^রদী ও আটঘরিয়ায় স্থাপিত শিল্প কলকারখানা, ইপিজেড, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিটি স্থানে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক। সঠিক কাজে পরিমিত বিদ্যুৎ ব্যবহার আমাদের দেশকে উন্নত করবে। মন্ত্রী বলেন, ঈশ^রদীতে আনবিক শক্তি কমিশন, পাবনা থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ট্রেন লাইন সংযোগ স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। পাবনা তথা উত্তরবঙ্গে শিল্প স্থাপন ও ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো, রাস্তাঘাট সংস্কার, পাকা রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধা করে দেওয়াও সরকারের অঙ্গীকার। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এদেশের প্রতিটি গৃহহীনকে বসতভিটা তৈরি করে দিচ্ছে। ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যাক্তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আইনের শাসনকে সবসময় প্রাধান্য দিয়ে এসেছে।
এর আগে মন্ত্রী পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার আটঘরিয়া পৌরসভা, মাজপাড়া, চাঁদভা, দেবোত্তর, একদন্ত ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে ১০৮ কিলোমিটার ৪৯৮টি স্পটে নতুন বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগের উদ্বোধন করেন। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পল্লী বিদ্যুতের এ সংযোগ ৫১৯৪জন গ্রাহকের মাঝে সংযোগ প্রদান করা হয়।
#
রেজুয়ান/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৮১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৬৯
মূর্তি সরিয়ে ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মের সম্মান করা হয়েছে
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এই মূর্তিটা কিন্তু থেমিসের আসল মূর্তির রূপ না। সেই ক্ষেত্রে যেটা আসল মূর্তিই ছিল না বলে আমার কাছে মনে হয় এবং এই মূর্তিটা সরিয়ে বরং ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মের সম্মান করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই মূর্তিটা যদি উপস্থাপন করতাম তাহলে এটা আসল যে থেমিস সেটাকে বিকৃত করা হতো।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও তামাক বিরোধী মিডিয়া জোট (আত্মা) আয়োজিত বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ও তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাবিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিকৃত করা থেকে সরে আসতে চাই এবং অতীতে যেসব বিকৃত করা হয়েছে সেগুলোকে আমরা সব সময় নিন্দা করি। এসময় মূর্তি সরানোতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, তামাক ও ধূমপান জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। ধূমপান কেবল ধূমপায়ীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীকেও সমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। কারণ উন্নয়ন এবং সুস্বাস্থ্যের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই আমাদের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কনভেনশন ঋঈঞঈ-এর বাস্তবায়ন।
তিনি বলেন, সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর। এরই অংশ হিসেবেই ২০১৩ সালে ধূমপান এবং তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধনী পাস করা হয়েছে এবং ২০১৫ সালে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা পাস করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ওই বিধি অনুসরণ করে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ছবিসংবলিত সতর্কবার্তা সংযোজন করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকা-কে উৎসাহ দিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে তামাকের ওপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি’ এবং ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি’ নামক দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করছে।
শুধু আইন ও নীতিমালা করে তামাক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। তাই তামাক ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও এর অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন, জনহিতৈষী সংস্থা ও দেশের নাগরিক সংগঠনকে আরো কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে এবং এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন আরো বেগবান করতে হবে।
সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের ও আত্মার কনভেনার মর্তুজা হায়দার লিটনসহ অন্যরা বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল করিম/সেলিম/সঞ্জবি/রেজাউল/২০১৭/১৮১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৬৮
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে
---নৌপরিবহণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :
নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালে দেশে এসে বাংলার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এবং তাঁর দ্বারাই বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে এবং তাঁর নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না, তিনি দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ডিআরইউ ভবনের স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোজাফফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মেজবাহউদ্দিন শফি, এম আব্দুল্লাহ বাবু, হাজী শরীফ আহমেদ, খন্দকার ইব্রাহিম এবং খন্দকার আলমগীর হোসেন।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৩৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৬৭
পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি জানাচ্ছি আমার আন্তরিক মোবারকবাদ।
আত্মসংযম, অনুকম্পা ও ক্ষমা লাভের মাস রমজান। এ মাসে ত্যাগ স¦ীকারের শিক্ষার মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর নৈকট্যলাভের সুযোগ হয়।
পবিত্র রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃঙ্খলতা ও সংঘাত পরিহার করে ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই।
আসুন, আমরা সকল প্রকার অকল্যাণ বর্জন করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পরস্পরকে সহযোগিতা করি। জীবনের সর্বস্তরে ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করি।
মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরুল/সেলিম/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৫১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৬৬
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘সংযম ও সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। মাহে রমজান উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ক্ষমালাভের মাস মাহে রমজান। অশেষ রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের এ মাস মহান আল্লাহর নৈকট্য, শান্তি এবং তাকওয়া অর্জনের অপূর্ব সুযোগ এনে দেয়। যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ এ মাসটি পালন করে থাকে। সিয়াম ধনী-গরিব সকলের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে। রমজানের পবিত্রতায় সমাজ থেকে সকল অন্ধকার ও কুসংস্কার দূর হোক-এ কামনা করি।
আমি আশা করি সবাই রমজানের পবিত্রতা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে এর সঠিক প্রতিফলন ঘটাবেন এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে অবদান রাখবেন। রমজানের মহান শিক্ষা সমাজের সকল স্তরে ও সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক-এই প্রার্থনা করি। পরম করুণাময় মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭০৭ ঘণ্টা