তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৩৮
সাম্প্রদায়িক অপশক্তি শক্তিশালী হচ্ছে, ঐক্যবদ্ধভাবে রুখতে হবে
-- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, গণমানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী চেতনা জাগাতে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের যে ভূমিকা ছিল, এখন তা নেই। সাংস্কৃতিক কর্মীরা এখন আর মানুষের মনে আগের মতো সেই আবেগ-আবেদন জাগাতে পারছেন না। অথচ অপরদিকে সাম্প্রদায়িক শক্তি নানাভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা যেসব অপপ্রচার চালাচ্ছে, তার উপযুক্ত জবাব দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো উদ্যোগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘অতীতের চেয়ে এখন সাম্প্রদায়িক শক্তি বেশি বিস্তৃত হয়েছে। নারীদের ওপর আক্রমণ ও ধর্মকে ব্যবহার করে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমাদের দুর্বলতার কারণেই তারা মাথাচাড়া দিচ্ছে।’
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নানাভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। গণতন্ত্রের কথা বলে এই অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হব । তিনি বলেন, কেবল সরকারই সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে—এই ধারণা পরিবর্তন করতে হবে। সরকার তার ভূমিকা রাখবে। তবে সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে নাগরিক সমাজ, সংস্কৃতিকর্মী সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস দমনে কাজ করতে হবে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি শহীদজায়া শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বিশিষ্ট নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রামেন্দু মজুমদার, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশ গ্ৰাম থিয়েটারের সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস বক্তৃতা করেন।
#
এনায়েত/পাশা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৩৭
পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়নোর তাগিদ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
আজ রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অভ্ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এবং এসিডিআই/ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোওপারেটিভ এসিস্ট্যান্স (ভোকা) এর যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ তাগাদা দেন।
মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন। একসাথে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর তিনি খামারিদের আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কীভাবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় আহ্বান জানান।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইউনাইটেড স্টেটস অভ্ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে সারাহ গিলেস্কি, এসিডিআই/ভোকা এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সিলভিয়া জে মেগ্রেট এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
নাজমুল/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৩৬
সোনালি আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই
-- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
খুলনা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আমরা পাটের গৌরবময় সোনালি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই। এজন্য পাটবীজের আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে ছয় হাজার মে.টন পাটবীজ প্রয়োজন অথচ উৎপাদন হয় মাত্র এক হাজার পাঁচশত মে. টন। বাকি সাড়ে চার হাজার মে. টন বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। কাজেই ব্যাপকভাবে পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ) দেশব্যাপী কৃষকদের পাটবীজ উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করছে। এ ধরনের কার্যক্রমে আমিও শামিল হবো।
মন্ত্রী আজ খুলনায় হোটেল সিটি-ইন-এ বিজেএ-এর সাথে কাঁচাপাট রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্প মেলায় অংশ নিতে আমাকে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে পাঠালেন। সেখানে আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০ টি স্টল ছিল। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদার কারণে ক্রেতারা সেখানে ক্রয় আাদেশ দিচ্ছে।
কাঁচাপাট রপ্তানি যেন বাধাগ্রস্ত করা না হয় ব্যবসায়ীদের এরকম আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের কথা বিবেচনা করে কাঁচাপাট রপ্তানি অব্যাহত রাখা হবে এবং তাদের সমস্যাসমূহ সমাধানে সাহায্য করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সোনালি আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে।
বিজেএর চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন।
#
মাহমুদুল/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৩৫
কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী, জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা হাজিরকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল।’
আজ চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে, বিএনপি গত বছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে হাজির করেছিল। সে বিএনপি কার্যালয়ে শুধু ইংরেজি বলছিল, পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গেল তখন দেখি গড়গড়িয়ে বাংলা বলে।
‘তার আগে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল' উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু তাই নয়, তারা সে সময় বলেছিল ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছিল। কিন্তু অমিত শাহ’র অফিস থেকে বলা হলো তিনি কাউকে ফোন করেননি, যে আওয়াজ প্রচার করা হয়েছিল সেটা অমিত শাহ’র নয়। এসব জালিয়াতিই তাদের কাজ।’
ড. হাছান বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে বিএনপি ও তাদের দোসরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেখি জিএম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়। নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন এম্বেসিতে ঘুরে বেড়াত আর দেন দরবার করত, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়। এসবে কোনো লাভ হয় নাই। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচন্ড ঠান্ডা না থাকত তাহলে আরো বেশি মানুষ ভোট দিত।’
আর বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে মানুষের ওপর হামলা, ট্রেনের মধ্যে শিশুসন্তানসহ পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে হত্যা না করত তাহলে ভোটের হার ৬০ শতাংশের বেশি হতো, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, গত দু’তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিওবা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোনো হুমকি ছিল না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন যদি চমৎকার না হত তাহলে পৃথিবীর ৮০টা দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এসব কারণে বিএনপির মাথা খারাপ। সম্ভবত সেজন্য বিএনপি নেতা ড. মঈন খান ইদানিং জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন। বয়সে সিনিয়র বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, তিনি রাজনীতির বাইরে এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করা শুরু করেছেন।’
ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্য সচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাবার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল, যাতে দেশে খাদ্য সংকট তৈরি হয়।’
হাছান মাহ্মুদ আরো বলেন, ‘খাদ্য সংকট তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আবদুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল। সেটির পুরস্কার স্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। ৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিল খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করে দেব। ওনারই সন্তান জনাব মঈন খান।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনাই, এই দেশে আর কোনো বিকল্প নেই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের এবং সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে। ২০১৮ সালে আমাদের স্লোগান ছিল- আমার গ্রাম আমার শহর। আজকে গ্রামগুলো শহরের মতো হয়ে গেছে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নেন্স এবং স্মার্ট পিপল। এই চারটি অনুসঙ্গকে আমরা সাথে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। ইনশাল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই অভিযাত্রায়ও বিজয়ী হব। কিন্তু আমাদের অভিযাত্রাকে আটকে দিতে চায় বিএনপি এবং তাদের দোসররা। সেই কারণেই নানা ষড়যন্ত্র।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, শফিক আদনান প্রমুখ।
চট্টগ্রামে এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ
এ দিন অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ চট্টগ্রাম নগরীর কদম মোবারক এতিমখানায় যান। সেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন প্রমুখ।
#
আকরাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৩৪
পাটকলগুলো নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করছে সরকার
---বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
খুলনা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের জন্য সবকিছু করে যাচ্ছেন। এ অঞ্চলের জুট মিলগুলো বন্ধ হলেও প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। অত্র এলাকায় শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে। এতে শ্রমিকদের সুদিন ফিরে আসবে। তিনি বলেন, সোনালি আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই। এজন্য যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে। বেসরকারি খাতে লিজ দেয়া পাটকলগুলো আশানুরূপ ফলাফল দিতে পারেনি। ফলে সরকার নতুন করে চিন্তা ভাবনা করছে৷
মন্ত্রী আজ খুলনায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জুট মিলগুলো এবং খুলনা টেক্সটাইলস মিল পরিদর্শন শেষে খালিশপুর জুট মিলস প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমর্কীদের ব্রিফিংকালে একথা বলেন। এর আগে তিনি বিজেএমসি-র নিয়ন্ত্রণাধীন দৌলতপুর জুট মিলস লিমিটেড, প্লাটিনাম জুবলি জুট মিলস লিমিটেড, ক্রিসেন্ট জুট মিলস লিমিটেড এবং বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা টেক্সটাইল মিলস পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবার শপথ গ্রহণের পর ৫টি বক্তব্যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য পোশাক শিল্পের ন্যায় পাট ও চামড়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি পাট উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম হবার। খুলনার পাটকলগুলো দারুণ লোকেশনে অবস্থিত। এখানে অর্থনৈতিক জোন করার দাবি এসেছে। আমরা চিন্তা করছি ভালো কিছু করার। সকলের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।
পরিদর্শনকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল জিয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ছাঁটাইকৃত কর্মচারী যারা পাওনা মজুরি পায়নি তাদের প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আর সামান্য যারা বাকি আছে তাদের জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
#
মাহমুদুল/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৮৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৩৩
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ সময় ৩১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৭০৭ জন।
#
দাউদ/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৬৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৩২
অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে বরিশালে
-----পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
বরিশাল, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):
বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ হলে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের মাধ্যমে বিশ্বে আলাদাভাবে পরিচিতি পেয়েছে। তেমনিভাবে এবারে বরিশাল পরিচিতি পেয়েছে সারা দেশে। সে মর্যাদা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
আজ বরিশাল স্টেডিয়ামের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, জাতীয় পর্যায়ে বরিশালের খেলোয়াড়রা যেনো বেশি সংখ্যক খেলতে পারে স্থানীয় সংগঠকদের সে চেষ্টা করতে হবে। ২১০০ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে খেলাধুলার মাধ্যমেই তরুণ সমাজকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে হবে। স্টেডিয়ামের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়। আন্তর্জাতিক মানের মাঠ তৈরির লক্ষ্যে ঘাস লাগানো হয়েছে। মাঠের সঠিক পরিচর্যা করাসহ মাঠ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের নানা নির্দেশনা দেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বরিশাল স্টেডিয়ামকে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামে পরিণত করার কার্যক্রম চলছে। এই কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন এবং আধুনিক মানের ক্রিকেট পিচ নির্মাণের লক্ষ্যে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ চলমান রয়েছে। পিচ নির্মাণসহ আধুনিকায়ন কাজ শেষ হলে বরিশাল স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার উপযোগী হবে।
পরিদর্শনকালে বরিশাল বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান খসরু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস, বিসিবি’র কাউন্সিলর প্রদীপ কুমার গাঙ্গুলী, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শিবু লাল খাসকেল উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৩১
সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যতীত অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয়
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যতীত অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন যথাযথ ও টেকসই নগরায়ণ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। অপরিকল্পিত নগরায়ণ যেমন দীর্ঘমেয়াদে কোন সুবিধা বয়ে আনে না, তেমনি পরিবেশের ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নগর গবেষণা কেন্দ্রের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘নগরায়নে বাংলাদেশ ও নগর পরিবেশ’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমার গ্রাম, আমার শহর উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগে গ্রাম ও সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষেদের জন্য যেমন অবকাঠামোগত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে, তেমনি গ্রামের স্বকীয়তা ও পরিবেশগত ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে সেদিকেও গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরনের জন্য গ্রামের মানুষের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিতে বহুমুখী প্রয়াস ও সম্মিলিত উদ্যোগ চলমান রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের বাস্তবায়ন ছাড়াও সাবওয়ে ও ঢাকা শহরের চারপাশে রিং রোড করার জন্যও পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, কোভিড পরিস্থিতি, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, ফিলিস্তান সংকট পুরো বিশ্বকেই একটা সংকটজনক পরিস্থিতিকে ঠেলে দিয়েছে। স্রোতের প্রতিকূলতায়ও বাংলাদেশের যে অগ্রগতি সেটা অব্যাহত রাখতে সকল পেশাজীবী, শ্রমজীবী, ছাত্র, সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস একান্তই অপরিহার্য।
নগর গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বিআইপি সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের স্থপতি ইকবাল হাবিবসহ প্রমুখ।
#
পবন/কামরুজ্জামান/জুলফিকার/রবি/সাজ্জাদ/মানসুরা/২০২৪/১৪৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭৩০
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক
-ধর্মমন্ত্রী
বরিশাল, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এটি ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।
মন্ত্রী আজ বরিশালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে পুরোহিত ও সেবাইতদের বিভাগীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পীঠস্থান। বিভিন্ন ধর্ম-গ্রোত্রের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করছে। উৎসব-পার্বনে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনার অন্যতম হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই অম্লান চেতনাকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে হাটি-হাটি, পা-পা করে সরকার আজ সম্মানজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না; বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে।
পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাই পারেন আপনার কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি তাদেরকে আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আমাদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধি ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল প্রভৃতি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য যেন কোনভাবেই বিনষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে- রুপকল্প-২০৪১। এছাড়া, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দায়বদ্ধতা রয়েছে। সরকার সবাইকে সমান তালে এগিয়ে নিতে চায়। এছাড়া, সরকার সকল ধর্মের মানুষকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। আগামীদিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে আরো বেশি কাজ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
স্থানীয় সরকারের পরিচালক খোন্দকার আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রেজওয়ান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোঃ ইউনুস এবং হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার দাস ও দোলা গুহসহ অন্যান্য ট্রাস্টি বক্তব্য প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পের অধীনে পুরোহিত ও সেবাইতদের নেতৃত্বদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সংহত করতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পুরোহিত ও সেবাইতকে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
#
সিদ্দীক/কামরুজ্জামান/জুলফিকার/রবি/সাজ্জাদ/শামীম/২০২৪/১২৪৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭২৯
প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এক ছাতার নিচে বসবাস করুক
-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
খাগড়াছড়ি, ৪ জ্যৈষ্ঠ (১৮ মে):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে একটি স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি চান বাংলাদেশের সকল জাতি, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় এক ছাতার নিচে বসবাস করুক।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী বলিখেলা উদ্বো