তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৪
দেশের লাইব্রেরিসমূহ ই-লাইব্রেরিতে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সরকার মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে দেশের লাইব্রেরিসমূহকে ই-লাইব্রেরিতে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকার ব্যানবেইজ মিলনায়তনে বেসরকারি কলেজ লাইব্রেরিয়ানদের তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন।
ইউনেস্কোর অর্থায়নে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির পরিচালনায় দেশের বেসরকারি কলেজসমূহে লাইব্রেরিয়ানদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত করতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। পেপার বেইজড লাইব্রেরির স্থান দখল করে নিচ্ছে ডিজিটাল লাইব্রেরি। তিনি প্রযুক্তির এ উত্তরণের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য লাইব্রেরিয়ানদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিয়ানদের শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তাঁরা শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের লাইব্রেরিসমূহের ডিজিটালাইজেশনে অর্থবরাদ্দসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরিসমূহের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সম্পদশালী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশের কোন স্কুলে কম্পিউটার ছিলনা। তিনি বলেন, বর্তমানে কম্পিউটার ছাড়া কোন স্কুল নেই। সারাদেশে ১০ থেকে ১২ হাজার কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তোলা হয়েছে। এমনকি ৮ হাজার প্রাথমিক স্কুলও মাল্টিমিডিয়া স্কুলরুম গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারের এসব উদ্যোগ মানসম্পন্ন শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মঞ্জুর হোসেন, ব্যানবেইজ পরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ এবং বাংলাদেশ লাইব্রেরি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মুনসী।
#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/মিজান/আব্বাস/২০১৫/২০৪০ ঘণ্টা
Handout Number: 2222
4th batch of 159 Bangladeshi repatriated from Myanmar today
Dhaka, 10 August:
The 4th batch of 159 Bangladesh Nationals has been repatriated from Myanmar to Bangladesh by land today. The repatriation process took place via Ghundum border point in Naikhyongchari upazila of Bandarban district. The present group is from the victims of recent human trafficking by sea in the Indian Ocean region. They were earlier rescued in a group of 528 people from sea in Myanmar waters. With this batch, a total of 501 verified Bangladesh nationals have been repatriated from Myanmar since early June this year.
The entire repatriation process was overseen by the Ministry of Foreign Affairs by maintaining close coordination with the Ministry of Home Affairs, BGB, local police authority and local district administration.
#
Arafat/Afraz/Mizan/Zashim/Abbas/2015/2016 Hors
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২১
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ১ নভেম্বর শুরু
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
২০১৫ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আগামী ১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে।
আজ ঢাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত একসভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় চূড়ান্তকৃত সময়সূচি অনুযায়ী এবছরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ১ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৮ নভেম্বর শেষ হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস, রোকসানা মালেক, চৌধুরী মুফাদ আহমেদসহ বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি শীঘ্রই পত্রিকার মাধ্যমে জানানো হবে এবং শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে।
#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/মিজান/মোশাররফ/আব্বাস/২০১৫/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২৩
নবগঠিত আইসিটি অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত কাজে সমন্বয়, যে কোন সমস্যার দ্রুত সমাধানসহ তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে একটি স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়াস আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
নবগঠিত তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রথম মাসিক সমন্বয় সভা আজ সকালে আগারগাঁওয়ে আইসিটি অধিদপ্তরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জসীম উদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। অধিদপ্তরের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যাবলি নিয়ে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি অধিদপ্তরের পরিচালক মাহফুজুল হক।
সভায় ‘রূপকল্প-২০২১: ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর অগ্রযাত্রা আরও ত্বরান্বিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আইসিটি অধিদপ্তর গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইিসিটি উপদেষ্টা, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও আইসিটি সচিবের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় এবং ২ জন প্রোগ্রামারসহ ২০০ জন আইটি কর্মকর্তাকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের অনুমোদন দেয়ায় তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
সভায় মাঠ পর্যায়ে আইসিটির সম্প্রসারণে সক্রিয় ভূমিকা রেখে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
#
তুহিন/আফরাজ/মিজান/জসীম/আব্বাস/২০১৫/২০১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২২০
বাজার তদারকি
৪৫ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় ঢাকা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, সিলেট ও মৌলভীবাজারে আজ বাজার তদারকি করে। তদারকিকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঢাকা মহানগরীর মিরপুর এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের অপরাধে তামানাœ ফার্মেসিকে
১৫ হাজার টাকা ও মৌরি মেডিসিনকে ৫ হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে ঘরের ছোয়া রেস্তোরাঁকে ২০ হাজার টাকা, মুসলিম বিরিয়ানীকে ১৫ হাজার টাকা ও পূর্ণিমা রেস্তোরাঁ এন্ড কাবাবকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়, অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাদ্যপণ্য তৈরি, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা প্রভৃতি অপরাধে গোপালগঞ্জ সদরে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার টাকা, মাদারীপুর সদরে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার ৫শ’ টাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা, বরিশালের বাবুগঞ্জ ও মিরেরবাজার এলাকায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৫শ’ টাকা, ঝালকাঠি সদরে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার ৫শ’ টাকা, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা, দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা এবং সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২৬ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
#
আফরাজ/মিজান/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৯
গুলিবিদ্ধ শিশু ও তার মায়ের চিকিৎসায়
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য চিকিৎসকদের সম্মাননা প্রদান
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়া ও তার মায়ের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সম্মাননা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সম্মাননা দেয়া হয়। এ সময়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চিকিৎসকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, চিকিৎসকদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। ভালো কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে। তাহলে চিকিৎসকরা ভালো কাজ করতে উৎসাহ পাবেন। এভাবেই সমাজের বিকাশ সম্ভব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রী গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়া ও তার মায়ের চিকিৎসায় মাগুরা এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা শুনেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসি)-এর পরিচালক ব্রি. জে. মোঃ মিজানুর রহমান, নিউনেটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ
মোঃ আবিদ হোসেন মোল্লা, মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এফ বি এম আব্দুল লতিফ, মাগুরা সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ শফিউর রহমানসহ মোট ১৪ জনকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এ সময়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নুরুল হক, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশু ও তার মাকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে যান। এ সময় তিনি বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসার ঘোষণা দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের সঠিকভাবে চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন। ঐদিনই সাংবাদিকদের কাছে সুরাইয়া ও তার মাকে সুস্থ করে তোলায় চিকিৎসকদেরকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার সময় গর্ভবতী নাজমা খাতুন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঐদিন রাতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশুটির জন্ম হয়। গুরুতর আহত শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫ জুলাই ঢাকায় আনা হয়।
পরে মন্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ-এর পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিগণ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের সাথে এক মত বিনিমিয় সভায় মিলিত হন। সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সংসদ সদস্য ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মাহমুদ হাসান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম আব্দুল্লাহ ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্ নিউরোসায়েন্স-এর পরিচালক ডাঃ কাজী দীন মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিৎ/আফরাজ/মোশাররফ/জসীম/আব্বাস/২০১৫/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৮
ঢাকার শান্তিনগর থেকে কেরানিগঞ্জের ঝিলমিল প্রকল্প পর্যন্ত
ফ্লাইওভার নির্মাণের সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
ঢাকার শান্তিনগর থেকে কেরানিগঞ্জের ঝিলমিল প্রকল্প পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করা হয়েছে। চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি কোঅপারেশন (সিআরসিসি) লিমিটেড এ ফ্লাইওভার নির্মাণ করবে। এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও সিআরসিসি’র মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হবে। আগামীকাল রাজউক ভবনে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
আজ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করা হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আরিফ-উর-রহমান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান আব্দুচ সালাম, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) মো. হাফিজুর রহমান মুন্সি, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) মোঃ আনোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিপিপি প্রকল্পের আফসার উদ্দীন, সিআরসিসি’র সিনিয়র এডভাইজার ঈযধর ঢর, ভাইস প্রেসিডেন্ট ঐঁ ঋধহ এবং ম্যানেজার গধ ঢরধড়লরহমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাজউকের পক্ষে চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ও সিআরসিসি’র পক্ষে ভাইস প্রেসিডেন্ট হু ফান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবেন।
সভায় চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের বিষয়েও আলোচনা করা হয়। চউকের নিজস্ব অর্থায়নে এ ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সময় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী এ ফ্লাইওভারটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। তার আলোকে সম্প্রসারিত এ অংশ নির্মাণের কাজও সিআরসিসি করবে। আগামীকাল রাজউক কার্যালয়ে এ বিষয়েও চউক ও সিআরসিসি’র মধ্যে আরো একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। সম্প্রসারিত এ অংশ হবে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ।
#
আফরাজ/কিবরিয়া/মিজান/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৮১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৭
প্রধানমন্ত্রী ১২ আগস্ট ঢাকায় তথ্যভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
সরকার ও জনসাধারণের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ার লক্ষ্যে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে বর্তমান চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে ‘তথ্যভবন’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ আগস্ট বুধবার এ প্রকল্পের আওতায় তথ্যভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
ষাট কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩৮ কাঠা জমির উপর ১৬ তলা বিশিষ্ট তথ্যভবনটি নির্মিত হবে। এ ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের অফিসের স্থান সংকুলান হবে।
তথ্যভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
#
আফরাজ/মিজান/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৬
শিল্পমন্ত্রীর সাথে নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
জাপানের উচ্চ প্রযুক্তির শিল্পকারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পাজেরো স্পোর্টস্ ও মিটসুবিসি পিকআপ উৎপাদনে জাপানের সহায়তা চেয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, জাপানের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গাড়ি সংযোজন করলেও বর্তমান সরকার দেশেই গাড়ি উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে (গধংধঃড় ডধঃধহধনব) এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে আজ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব পরাগ, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবালসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী জাপানের উচ্চ প্রযুক্তির শিল্পকারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় সনি কর্পোরেশনের কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এটি বাংলাদেশে স্থানান্তরের সুযোগ রয়েছে। এ কারখানায় কর্মরত অধিকাংশ শ্রমিক বাংলাদেশি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এটি স্থানান্তর হলে সহজেই দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যাবে। তিনি ঘোড়াশাল ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউএফএফএল) ও পলাশ ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেডে জ্বালানি সাশ্রয়ী সার কারখানা প্রতিস্থাপনে জাপানের প্রযুক্তিগত সহায়তা কামনা করেন।
মন্ত্রী বলেন, এককভাবে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। জাপানের সহায়তায় ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো), দ্বিতীয় ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি-২), বিএসটিআই’র গবেষণাগার আধুনিকায়নসহ বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বাংলাদেশের এসএমই শিল্পখাতে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। সরকার ইতোমধ্যে জাপানের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রতি জাপান সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এ দেশে গুণগতমানের শিল্পায়নের ধারা বেগবান করতে জাপানি উদ্যোক্তারা শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি দ্বি-পাক্ষিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাফকো প্রকল্পকে সাফল্যের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে জ্বালানি সাশ্রয়ী সার কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি এসএমই শিল্পখাতের উন্নয়নে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
#
জলিল/অনসূয়া/শাহআলম/খাদীজা/শুকলা/লাভলী/২০১৫/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৫
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে
- স্পিকার
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও কমনওয়েল্থ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত জাতি গঠন, জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটেরিয়াম শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা শুধুমাত্র দারিদ্র্যমোচনই নয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তিনি বলেন, দরিদ্র মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানো ও তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা ভাবতেন বঙ্গবন্ধু। আমরা আজ দারিদ্র্য হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছি। শুধুমাত্র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছি তাই নয়, নারী ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুহার হ্রাস, শিক্ষা এ সকল ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন অনেক। এসব অর্জনকে ধরে রাখতে উন্নয়নকে টেকসই রূপ দিতে হবে।
তিনি বলেন, ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঙালি জাতির পথের দিশারি হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন সমগ্র জীবন। শোষনমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে, সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালীকে দিয়েছেন আত্ম-পরিচয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে এ আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্র্রজন্মের মাঝে। সকল মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ছিল তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি লাভের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে আজীবন কাজ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু।
সুপ্রিম কোর্ট আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এড. মোঃ নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এড. সাহারা খাতুন এমপি, এড. কামরুল ইসলাম এমপি, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সানজিদা খাতুন এমপি, এড. এম মাহবুব আলম এমপি বক্তৃতা করেন।
#
মঞ্জুর/অনসূয়া/শাহআলম/খাদীজা/শুকলা/লাভলী/২০১৫/১৫১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৪
কেনিয়ার উদ্দেশে স্পিকারের ঢাকা ত্যাগ
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ০৯-১৫ আগস্ট ২০১৫ কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিতব্য ঈড়সসড়হবিধষঃয চধৎষরধসবহঃধৎু অংংড়পরধঃরড়হ (অভৎরপধ জবমরড়হ) ঈড়হভবৎবহপব এ অংশগ্রহণের জন্য আজ কেনিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
তাকে বিদায় জানাতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আশরাফুল মকবুলসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
সফরশেষে ১৩ আগস্ট স্পিকারের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
#
মঞ্জুর/অনসূয়া/শাহআলম/খাদীজা/শুকলা/লাভলী/২০১৫/১৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২১৩
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান ধারণ করেই সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছেন
- এইচ টি ইমাম
নিউইয়র্ক, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়ে ছিলেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান ধারণ করেই সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
তিনি ৯ আগস্ট নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জাতির পিতা ১৯৪৮ সাল থেকে সব আন্দোলন-সংগ্রামে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দেন। গোটা জাতিকে ধাপে ধাপে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করেন। এভাবে ১৯৬৬, ’৬৮, ’৬৯-এর পথ বেয়ে সত্তরের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করে।
এইচ টি ইমাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর পরই দেশের প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ শুরু করে। তখনকার বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের বিষয়ে তিনি নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
এইচ টি ইমাম তাঁর লেখা দুটি বই - বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ এবং বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১-১৯৭৫ এর বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন। তখনকার প্রশাসনিক কর্মকা- পরিচালনার বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। যা ইপিআরের ট্রান্সমিটার, টেলিগ্রাম ও টেলিপ্রিন্টারের মাধ্যমে প্রচারিত হয়।
এইচ টি ইমাম বলেন, জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারীর মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। জাতির পিতাকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠিত হয়। স্বাধীনতার এই ঘোষণাপত্র ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে কার্যকর দেখানো হয়। এই সরকারই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন।
এইচ টি ইমাম জাতির পিতার নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থা সচল করার ক্ষেত্রে সরকারের কর্মকা-ের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন।
#
অনসূয়া/শাহআলম/খাদীজা/শুকলা/লাভলী/২০১৫/১১২০ ঘণ্টা