তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭
কবিতা মানুষকে উদ্বুদ্ধ ও উদ্দীপ্ত করার অন্যতম হাতিয়ার
---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, কবিতা আপামর জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ ও উদ্দীপ্ত করার অন্যতম হাতিয়ার। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কবিতা ও রণসংগীত মুক্তিযোদ্ধাসহ আপামর জনসাধারণকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। অসাধারণ বক্তৃতা মানুষকে উজ্জীবিত করতে পারে কিন্তু কবিতা তার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব ও কবিতাবাংলার যৌথ আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী (২৯ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ০২ জানুয়ারি ২০২৩) ‘আন্তর্জাতিক লেখক দিবস ও দরিয়ানগর আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব ২০২২-২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাপনী আয়োজন উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
কে এম খালিদ বলেন, গত বছর অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সারাদেশে সাহিত্যমেলা ও কবিতা উৎসব আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সে মোতাবেক আমরা ইতোমধ্যে দেশের ৪০টিরও অধিক জেলায় সাহিত্যমেলা আয়োজন সম্পন্ন করেছি। আগামী বইমেলার আগেই বাকি জেলাগুলোতে আমরা সাহিত্যমেলা আয়োজনের কাজ সম্পন্ন করতে পারবো বলে আশা রাখি। তিনি বলেন, সাহিত্যমেলা শেষে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে চার খণ্ডের প্রকাশনা করা হবে। আর এর মাধ্যমে সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে জাগরণ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ রবিউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কবি কামাল চৌধুরী।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া থেকে আগত লেখক রাজা রাজেশ্বরী স্নেহা রামান ও লিলি মূলত লুলিয়ানা, ভারতের থেকে আগত লেখক দোলা বাজপেয়ী ও ড. সুদীপ্ত চক্রবর্তী এবং নেপাল থেকে আগত লেখক বিধান আচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যে মাশরুর আরেফিন, শিশুসাহিত্যে দিলারা মেজবাহ ও আসলাম সানী, অনুবাদে রেজাউল করিম, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে শ্যামসুন্দর শিকদার, কবিতায় সোহাগ সিদ্দিকী ও মুজিবুল হক কবির, মননশীল প্রবন্ধে ড. নাজমুল হককে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব সাহিত্য সম্মাননা ২০২১ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, এ উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘মানবিক সৌন্দর্যের জন্য কবিতা’ ও স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শান্তির পৃথিবী চাই, শুদ্ধাচারী স্বদেশ চাই’। বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে বাংলাদেশের প্রথিতযশা কবি-সাহিত্যিকদের পাশাপাশি ভারত, নেপাল ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কবি-সাহিত্যিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
#
ফয়সল/এনায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২১৩১ ঘণ্টা
Handout Number : 26
Newly appointed Ambassador of Japan to
Bangladesh calls on State Minister for Foreign Affairs
Dhaka, 2 January :
Newly appointed Ambassador of Japan to Bangladesh Iwama Kiminori paid a courtesy call on State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam at the Ministry of Foreign Affairs in Dhaka today.
Welcoming the new Ambassador of Japan, State Minister said that Japan is Bangladesh's single largest bilateral development partner and an important country for trade and investment. During the meeting, the State Minister thanked the Government of Japan for providing technical and financial support for the implementation of the Metrorail project.
Highlighting Japan's cooperation in the socio-economic development of Bangladesh, the State Minister hoped that bilateral relations between the two countries would reach new heights during the tenure of the new Ambassador. Ambassador Iwama sought the cooperation of the State Minister for Foreign Affairs in fulfilling his duties.
During the meeting, both sides cordially exchanged views on various issues of mutual interest, including Japanese development assistance, human resources development, Rohingya repatriation, cooperation in different multilateral fora etc.
The State Minister appreciated Japan’s continued support for repatriation of Rohingyas and expressed hope that Japan would continue to extend its support towards the early repatriation of the Rohingyas for the sake of peace and stability in the region.
State Minister Shahriar Alam wished Ambassador Iwama successful tenure in Bangladesh and assured him of full cooperation in discharging his duties.
#
Mohsin/Enayet/Sanjib/Abbas/2023/2116 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৫
রাষ্ট্রপতির সাথে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব তাঁর দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগ পাওয়ায় কবির বিন আনোয়ারকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর সাফল্য কামনা করেন ।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/লিখন/২০২৩/২০২০ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪
বিজিবি’র শীতকালীন প্রশিক্ষণ পরিদর্শন এবং
শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন বিজিবি মহাপরিচালক
ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলাস্থ কালিকচ্ছ এলাকায় বিজিবি সদস্যদের শীতকালীন প্রশিক্ষণ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন অস্ত্রের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান ঘুরে দেখেন এবং সৈনিকদের পেশাদারিত্ব এবং প্রশিক্ষণের মান দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যের সাথে কথা বলেন এবং প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
শীতকালীন প্রশিক্ষণ পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি’র জনকল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শীতার্ত অসহায় ও দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। এ সময় বিজিবি’র সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডারসহ বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কর্তৃক চলতি শীত মৌসুমে দেশব্যাপী শীতার্ত অসহায় ও দুস্থদের মাঝে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরাইল রিজিয়ন ইতোমধ্যে অসহায় ও দুস্থ ৪ হাজার ৬৩৮ জনকে বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র বিতরণ এবং ৬,৭৪৯ জনকে (পুরুষ, নারী ও শিশু) বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ করেছে।
#
শরিফুল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৩
দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে কয়েক কোটি লোক
--সমাজকল্যাণমন্ত্রী
ঢাকা ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি):
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকার কাজ করছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে কয়েক কোটি লোক।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তর মিলনায়তনে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩ ও মানবকল্যাণ পদক বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে ‘মাদার অভ্ হিউম্যানিটি’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। মানবতার কল্যাণে তাঁর এ পদক্ষেপ বিশ্বে বিরল। সে ঘটনার প্রেক্ষাপটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় মানবকল্যাণ পদক প্রদানের কাজ শুরু করে। জনকল্যাণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবতার সেবায় কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ ক্যাটেগরিতে প্রতিবছর মানবকল্যাণ পদক প্রদান করা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নে স্মার্ট প্রযুক্তির সূচনা হয়েছে। এক কোটিরও অধিক ভাতাভোগী এবং পাঁচ কোটিরও অধিক উপকারভোগী সরাসরি এ মন্ত্রণালয়ের সেবার আওতাভুক্ত। অদূর ভবিষ্যতে এ বিশাল সংখ্যক মানুষ দারিদ্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকল মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে । সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে সর্বপ্রথম সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ চালু করেছিলেন। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি টালমাটাল। এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জন্য সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ সহায়ক হবে।
পরে মন্ত্রী মানবকল্যাণ পদক ২০২০ ও ২০২১ প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে পদক, স্মারক, সনদপত্র ও অর্থ তুলে দেন।
#
শামিম/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৬৫৮ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৬৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৩ জন।
#
কবীর/পাশা/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৬৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১
সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায়
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :
‘বিদেশিদের পদলেহন এবং দেশবিরোধী সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি ও তার মিত্ররাই বেকায়দায় পড়ে গেছে’মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ ।
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইউনুস রুবেল, শরফুদ্দীন এলাহী, সহিদুর রহমান, তাপস দাশ গুপ্ত, ঈশা খান, সম্রাট শাহ ও ফারুক আহমেদ সভায় যোগ দেন। অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র, সোশ্যাল ও নিউ মিডিয়া) ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্র হচ্ছে বিরোধী দল বিএনপির সাংঘর্ষিক রাজনীতি, তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা, বিদেশিদের পদলেহন এবং বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। কিন্তু সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকায়দায় পড়ে গেছে। এর কারণ, তারা ভেবেছিল ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করে তারা একটি বিশৃঙ্খলা করতে পারবে। সেটি তারা পারেনি এবং বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি এবং সামর্থ্য কতটুকু।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এ বছরও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। তবে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে আমরা তাদের সর্বোচ্চ অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা দেখেছি এবং সেগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। সুতরাং তারা কি করতে চায়, কি করতে পারে সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে। সেটি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা দু’টোই আমাদের আছে। সুতরাং সেটি আমাদের জন্য কঠিন কোনো কাজ নয়।’
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিএনপি দুটি হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি হচ্ছে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরা। সেই গোঁ ধরে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে তাদের সংসদ সদস্যদের বাধ্য করে পদত্যাগ করানো, এটাতেও তাদের ক্ষতি হয়েছে। এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো সেই প্রশ্নই এখন বিএনপির অভ্যন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ সাহেবরা সেই হঠকারী সিদ্ধান্তের জবাব দিতে পারেন না তো, সে জন্য কর্মীদের কাছে উঁচু গলায় কথা বলে কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চান, অন্য কোনো কিছু নয়।’
চলমান পাতা - ২
--- ২ ---
সংশ্লিষ্টদের আবেদন পেলে বছরে ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি
এর আগে সিনেমা হল মালিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবার আবেদন পেলে বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শন সম্ভব। তিনি বলেন, ‘যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং প্রযোজক সমিতি -এই চারটা সমিতি লিখিত আবেদন দেয় তাহলে আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নেবো। সবাই লিখিত দিতে হবে কারণ অতীতে দেখা গেছে বেশির ভাগ সমিতি চাচ্ছে কিন্তু শিল্পী সমিতি চায় না।’
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল, সেই চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম বড় পদক্ষেপ হচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য ৫০ এর অধিক দরখাস্ত পড়েছে। আমরা আশা করছি সেগুলো তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হবে এবং আরো দরখাস্তকারী উৎসাহী আছেন।’
মানুষের রুচির পরিবর্তনের কারণে শুধু দেশে নয়, সিনেমার শহর মুম্বাইতেও সিঙ্গেল স্পেস অনেকগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে, কলকাতাতেও তাই, কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশে ব্যাংকের যে পুনঃঅর্থায়নযোগ্য ঋণ তহবিল, মার্কেটের মধ্যে সিনেপ্লেক্স করলে তার জন্যও প্রযোজ্য। আলাদাভাবে শুধু সিনেপ্লেক্স করার বাধ্যবাধকতা নেই। মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে ৫ শতাংশ সুদে আর মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে এই ঋণ পাবেন এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ যেখানে সাধারণ ঋণের সুদ ৯ শতাংশ।’
বিএনপির ভুল ইসলামী আন্দোলন করেনি
এ দিন সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের জাতীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ ।
এ সময় বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিলেও তারা পল্টনের রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের জন্য গোঁ ধরে থেকে শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগে গেছে। ইসলামী আন্দোলনও বায়তুল মুকাররমের সামনে সমাবেশ করতে চাইতে পারতো। নামাজের সুবিধা হতো কিন্তু রাস্তা বন্ধ হয়ে জনগণের ভোগান্তি হতো। তারা সেটা করেননি, বিএনপির মতো ভুল করেননি। এজন্য তাদের ধন্যবাদ।’
সম্মেলনের সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মুহতারাম আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ দেশে ইসলামের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপগুলোকে যুগান্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেন।
#
আকরাম/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০
পুলিশ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৩ জানুয়ারি ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে পুলিশ সদস্যগণ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ‘থ্রি-নট-থ্রি’ রাইফেল হাতে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাক হানাদার বাহিনী সারদা পুলিশ একাডেমিতে নিরস্ত্র পুলিশ সদস্যদের নির্বিচারে হত্যা করে। যে সকল পুলিশ সদস্য মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন, আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করি। ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পূর্বে ঘাতকদের দোতলায় উঠতে বাঁধাদানকারী পুলিশ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিল। শুধু তাই নয় বাঙালি জাতির সেই দুর্বিসহ রাতে মিন্টু রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সেজো বোনের বাড়িতে ঘাতকেরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর রমনা থানার পুলিশ সদস্যগণ সেই বাড়িতে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় অনেকেরই প্রাণ রক্ষা হয়েছিল। পুলিশ বাহিনীর সেই গর্বিত সদস্যগণের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি জনবান্ধব, আধুনিক, পেশাদার ও চৌকশ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। তিনি শূন্য হাতে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার নিয়েও পুলিশের বেতন ২৫ টাকা করে বৃদ্ধি করেছিলেন। পরিপূর্ণভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত ৮২টি থানা পুনপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বিভিন্ন স্থাপনা পুননির্মাণ করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম নারী পুলিশ নিয়োগ দিয়েছিলেন। জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বৈরশাসকেরা পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার এই বাহিনীর আধুনিকায়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আমরাই প্রথম একজন নারী পুলিশ অফিসারকে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছিলাম। সে সময় আমরা পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি করি, ঝুঁকি ভাতা চালু করি, দ্বিগুন রেশন প্রদান করি এবং প্রয়োজনীয় যানবাহন সংগ্রহ করি। আমরা ৫ কোটি টাকা সিড মানি দিয়ে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করি। নতুন নতুন থানা, তদন্ত কেন্দ্ৰ, হাইওয়ে ফাঁড়ি, পুলিশ ক্যাম্প এবং ফাঁড়ি স্থাপন করি এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করি। ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠা করে এর কার্যক্রম শুরু করি। কমিউনিটি পুলিশ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করি।
চলমান পাতা/২
-২-
আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে গত ১৪ বছরে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নতুন পদ সৃজন করে জনবল নিয়োগ করেছি। তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, এন্টি টেরোরিজম ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটসহ বেশ কয়েকটি রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন ইউনিট, সাইবার পুলিশ সেন্টার, ব্যাটালিয়ন, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, থানা, তদন্ত কেন্দ্র, ফাঁড়ি এবং জাতীয় জরুরি সেবায় ৯৯৯ ইউনিট গঠন করেছি। আমরা আইজিপি’র র্যাংক ব্যাজ পুনপ্রবর্তন করেছি। আমরা নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক চালু করেছি; বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে পুলিশ সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যগণ নিজেদের জীবন বিপন্ন করে জনসেবার ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ভূমিকা রেখেছেন। তাঁরা জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযানে সফলতা অর্জন করেছেন। তাঁরা অব্যাহতভাবে মাদক নির্মূল, সাইবার ক্রাইম, গুজব, মানি লন্ডারিং, মানব পাচার রোধসহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন। পুলিশ, প্রশাসন ও অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে পেরেছি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের পুলিশ সদস্যগণ ভূয়সী সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশের কল্যাণে যা যা প্রয়োজন সবকিছুই করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশ সেবা বিস্তৃতকরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আমি আশা করি, বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দায়িত্বপালন করবেন। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা সততা, নিষ্ঠা ও মানবিকতার সঙ্গে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রত্যাশিত ‘জনগণের পুলিশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করবেন।
আমি ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক ।”
#
সরওয়ার/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/মাহমুদা/আসমা/২০২৩/১০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯
পুলিশ সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৩ জানুয়ারি ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান ও প্রাক্তন সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ। আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী আহ্বানে তাৎক্ষণিক সাড়া দিয়ে তৎকালীন পুলিশের সদস্যরা ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদার সদস্যগণ শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি-এ মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদার ভূমিকা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। কোভিড-১৯ মহামারিকালে পুলিশের কার্যক্রম দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। করোনাকালে জীবন উৎসর্গ করেছেন অকুতোভয় অনেক পুলিশ সদস্য। আমি দেশ ও জনগণের কল্যাণে জীবন উৎসর্গকারী সেই সকল পুলিশ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
বর্তমান পরিবর্তনশীল বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ও ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়ছে। অপরাধের ধরন ও কৌশলে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা পরিবর্তন। অপরাধীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নানা ধরনের সাইবার অপরাধ সংঘটিত করছে, যা মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আমি আশা করি, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ আরো বেশি উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করবে। সরকার বাংলাদেশ পুলিশের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। ফলে বাংলাদেশ পুলিশ আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠছে বলে আমি মনে করি।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ অধিকতর পেশাদারিত্বের সাথে দেশ ও জনগণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবে - এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
আমি পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/অনসূয়া/শাম্মী/মাহমুদা/আসমা/২০২৩/১০২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মৃত্যুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
#
বিবেকানন্দ//অনসূয়া/শাম্মী/আসমা/২০২৩/১০০০ ঘণ্টা