তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৯
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৮ আশি^ন (১৩ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর এ নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ১ হাজার ৭ শত ৭ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩ শত ১০ জন নারী মিলে ৩ হাজার ১৭ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৬ শত ৮৭ জন পুরুষ ও ৫ শত ৬৩ জন নারী মিলে ১ হাজার ২ শত ৫০ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৬ শত ৭৫ জন পুরুষ ও ৭ শত ১৩ জন নারী মিলে ১ হাজার ৩ শত ৮৮ জন, থাইংখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ২৪ জন পুরুষ ও ৬ শত ১৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৭ শত ৪৩ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ৪ শত ৩২ জন পুরুষ ও ৫ শত ৬০ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯ শত ৯২ জন, লেদা ক্যাম্পে ৮ শত ৬৮ জন পুরুষ ও ৮ শত ৮৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৭ শত ৫৭ জন এবং পুরোদিনে ৬টি কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ১ শত ৪৭ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮ শত ৩৪ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
#
সাইফুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৮
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
উখিয়া (কক্সবাজার), ২৮ আশি^ন (১৩ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ৬৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ১০২ ট্রাকের মাধ্যমে ২৫৩ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৩১ হাজার ৮ শত ৫৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৫ হাজার ৭ শত ৮০ প্যাকেট শিশু খাদ্য, ৪ শত ৯০ প্যাকেট রান্না করা খাবার, ১৫ প্যাকেট ঔষধ, ৫ হাজার ১ শত ৫০ পিস পোশাক, ২ হাজার ৪ শত ৫০ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী, ৯ শত ৬ পিস স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরির উপকরণ, ২ শত ৭৫ পিস নির্মাণসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (১২ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত কক্সবাজার ৪টি খাদ্য গুদামে প্রাপ্তি ও প্রদানের পর ৯৩০ মেট্রিক টন চাল, ৮২ মেট্রিক টন ডাল, ৯৯ হাজার ৮ শত ২৮ লিটার তেল, ৬৭ মেট্রিক টন লবণ, ৮৯ মেট্রিক টন চিনি, ১০ হাজার কিলোগ্রাম আটা, ৮২ হাজার ২ শত ৭০ কিলোগ্রাম গুঁড়ো দুধ, ২৫ কিলোগ্রাম মুড়ি, ১৪ হাজার ৯ শত পিস ও ৪৮৯ বান্ডেল কম্বল, ৫১১টি তাঁবু ও ত্রিপল মজুত রয়েছে।
#
সাইফুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৭
উন্নত শহরতলী গড়ে তোলা হবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা), ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, উন্নত নাগরিক সুবিধা সমৃদ্ধ শহরতলী গড়ে তোলা হবে। সমন্বিত উন্নয়নের জন্য কেরানীগঞ্জকে কেন্দ্র করে মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে। ঢাকার আশপাশের অন্যান্য উপজেলা বা বিভাগীয় শহরগুলোতে একইভাবে সমন্বিত উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকা শহরের ওপর চাপ থাকবে না।
প্রতিমন্ত্রী আজ কেরানীগঞ্জে ঢাকা পল্লী বিদু্যুৎ সমিতি-৪ এর উদ্যোগে আয়োজিত ঝিলমিল-১ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্জ্য থেকে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তা আগামী ৩০ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এ প্রকল্পের সাফল্যের আলোকে অন্যান্য উপজেলায়ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎ ও অর্থ উভয়ই সাশ্রয় করবে। বিল ও সংযোগে অনলাইন পদ্ধতির প্রসারে আমাদের শ্রমঘণ্টার সাশ্রয় হবে।
প্রতিমন্ত্রী এসময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর বহুতলবিশিষ্ট অফিস ও আবাসিক ভবন, ঝিলমিল-২ উপকেন্দ্র এবং কোনাখোলা, চরগলগলিয়া ও ওয়াসপুর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রতিটি উপকেন্দ্র স্থাপন বাবদ ব্যয় হবে ১১ দশমিক ৫০ কোটি টাকা।
#
আসলাম/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৬
মানুষকে ঘরছাড়া করে স্থিতিশীল বিশ্ব গড়া সম্ভব নয়
---দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, লাখ লাখ মানুষকে ঘরছাড়া করে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বিশ্ব গড়া সম্ভব নয়। মানুষের নাগরিকত্ব ও বাসস্থান কোন দেশ অস্বীকার করতে পারে না। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকারকে স্বীকার করে নিতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৭ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এজাজুল বার চৌধুরী, সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রামের পরিচালক আহমেদুল কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য “দুর্যোগ সহনীয় আবাস গড়ি, নিরাপদে বাস করি”। দিবসটিকে কেন্দ্র করে জাতীয় পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পোস্টার স্থাপন, লিফলেট বিতরণ, টেলিভিশনে আলোচনা, রাস্তা সজ্জা, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ইত্যাদি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্কের টার্গেট অনুযায়ী এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে ঘরহীন মানুষের সংখ্যা দৃশ্যমান হারে কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, কোন কোন দেশের স্বেচ্ছাচারিতা ও বর্বরতার কারণে ঘরহীন মানুষের সংখ্যা হ্রাসের পরিবর্তে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের বরখেলাপ। রোহিঙ্গা ইস্যুকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, লাখ লাখ মানুষকে ঘরহীন করার হীনকর্মের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রোহিঙ্গা দমনের বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে জাতিগত দমন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মিয়ানমারকে এর দায় নিতে হবে।
#
ওমর ফারুক/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৯১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৫
বন্যার স্থায়ী সমাধানে নদী খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
-- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
কেশবপুর (যশোর), ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) :
কেশবপুরে বন্যার স্থায়ী সমাধানে স্থানীয়দের আরো সচেতন হতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে যেখানে সেখানে মাছের ঘের নির্মাণ এবং বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহে বাধা দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আজ যশোরের কেশবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের আবু শারাফ সাদেক অডিটোরিয়ামে বন্যাদুর্গতদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যার স্থায়ী সমাধানে নদীতে খনন কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যাদুর্গতরা যাতে তাদের স্বাভাবিক জীবনে দ্রুত ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য সবধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী কেশবপুর উপজেলা পরিষদ কর্মকর্তাদের সাথে কেশবপুরের উন্নয়ন কার্যক্রমের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
#
মাসুম/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৪
মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়াতে হবে
-- বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ সমস্যাটি সমাধানের জন্য কূটনৈতিকভাবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু অপরদিকে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন, হত্যা, ঘর-বাড়ি জ¦ালিয়ে দেওয়া অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমার সরকার। ফলে এখনো হাজার হাজার রোহিঙ্গা জীবন রক্ষার জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। শোনা যাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলে শিল্পপার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী “শোকেস কোরিয়া-২০১৭” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, কোরিয়ার সকল কোম্পানি বাংলাদেশেই তাদের পণ্য তৈরি করতে পারে। এখানে পণ্য প্রস্তুত করে রপ্তানি করলেও কোরিয়া লাভবান হবে। কোরিয়ার প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠান ইপিজেড-এর ব্যবসা পরিচালনা করছে। সেখানে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে প্রায় ১২৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে রপ্তানি করেছে প্রায় ২৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। কোরিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধি করে এ বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনা সম্ভব।
কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর প্রেসিডেন্ট ও মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অন সিঅং-ডু (অযহ ঝবড়হম-ফড়ড়), এলজি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এডওয়ার্ড কিম (ঊফধিৎফ করস), কোরিয়া ইপিজেড-এর প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর সাদাত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দিন খান।
মেলা ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিনামূল্যে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। কোরিয়ার ৩৬টি কোম্পানি তাদের পণ্য নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করছে। এলজি, স্যামসাংসহ বিভিন্ন কোম্পনির ইলেক্ট্রনিক, মেশিনারিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে।
#
বকসী/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৩
কারিগরি শিক্ষার ওপর উন্নয়ন ও অগ্রগতি নির্ভর করছে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এর ওপরই বাংলাদেশের অগ্রগতি নির্ভরশীল। দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সারা পৃথিবীতেই এদেশের তরুণদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ‘স্টাইপেন্ড কমপ্লায়েন্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা হওয়া উচিৎ দক্ষতানির্ভর। কারণ দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে উচ্চশিক্ষার সনদ নিয়েও বেকারত্বের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। দক্ষতাবিহীন শিক্ষা ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের জন্য বোঝাস্বরূপ। বর্তমান সরকার তাই কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, কারিগরি শিক্ষার বিস্তারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারিগরি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির টাকা বিতরণে অগ্রণী ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। এ টাকা নির্ধারিত সময়ে ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আরো উন্নতমানের পদ্ধতি ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্ম্দ শামস-উল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস্ অফিসার ড. মোঃ মোখলেছুর রহমান এবং স্টেপ-এর প্রকল্প পরিচালক এ বি এম আজাদ বক্তৃতা করেন।
কর্মশালায় অগ্রণী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার পাঁচ শতাধিক শাখা ম্যানেজার ও কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আফরাজ/মাহমুদ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৬৭২
বিশ্ব মান দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ অক্টোবর বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় মান সংস্থা বিএসটিআই-এর উদ্যোগে ১৪ই অক্টোবর ২০১৭ ‘বিশ্ব মান দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
আন্তর্জাতিক মান সংস্থা-ওঝঙ (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঙৎমধহরুধঃরড়হ ভড়ৎ ঝঃধহফধৎফরুধঃরড়হ), ওঊঈ (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঊষবপঃৎড়ঃবপযহরপধষ ঈড়সসরংংরড়হ) ওঞট (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঞবষবপড়সসঁহরপধঃরড়হ টহরড়হ) কর্তৃক নির্ধারিত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ঝঃধহফধৎফং গধশবং ঈরঃরবং ঝসধৎঃবৎ’ অর্থাৎ ‘নান্দনিক নগরায়ণে মান’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কোন পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশীয় পদ্ধতি ও উৎপাদিত পণ্যের আন্তর্জাতিক মান অক্ষুণœ রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করতেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে তৎকালীন মান সংস্থা বিডিএসআই (ইউঝও) ওঝঙ এর সদস্যপদ লাভ করে।
নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আন্তর্জাতিক ‘মান’ এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নান্দনিক নগরায়ণের পূর্বশর্ত হলো দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য থেকে শুরু করে সকল ব্যবহার্য ভোগ্যপণ্য, বাসস্থান, সেবাকার্যক্রম, তথ্য ও যোগাযোগ অর্থাৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমের যথাযথ মান নিশ্চিত করা এবং মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা।
বিশ্বায়নের যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা উৎপাদনের বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে উৎপাদিত পণ্য ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বাজারে আস্থার প্রতীক হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। মানসম্পন্ন পণ্য কিংবা সেবা প্রচারের শীর্ষে পৌঁছে যায়। ফলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিষ্ঠা করে নেয় একচ্ছত্র চাহিদা। এ জন্য পণ্য বা সেবার বাজার সম্প্রসারণে মানের গুরুত্ব সর্বাধিক।
আমি আশা করি, দেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে মানসম্পন্ন সেবা সকলের নিকট পৌঁছে দিতে বিএসটিআই, পণ্য ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলে যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।
আমি ৪৮তম ‘বিশ্ব মান দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭১
বিশ্ব মান দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৪ অক্টোবর বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)’র উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব মান দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আন্তর্জাতিক মানসংস্থা International Organization for Standardization (ISO), International Electrotechnical Commission (IEC) ও International Telecommunication Union (ITU) কর্তৃক এবারের বিশ্ব মান দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে Standards Makes Cities Smarter যার ভাবার্থ ‘নান্দনিক নগরায়ণে মান’। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য সুপরিকল্পিত নগরায়ণের বিকল্প নেই। সুপরিকল্পিত নগরায়ণের প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো নগরায়ণের প্রতিটি ক্ষেত্রে মান অনুসরণ করা। সকলের জন্য নিরাপদ ও টেকসই বিশ্ব গড়তে ‘মান’ এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানই বিশ্বকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ পৃথিবীকে বিশ্বস্ততার বন্ধনে আবদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
আর্থ-সামাজিক নানা কারণে মানুষ আজ শহরমুখী হচ্ছে। ফলে নগরায়ণ এবং শিল্পায়ন সম্প্রসারিত হচ্ছে। সুন্দর নগরায়ণের জন্য প্রয়োজন যুৎসই পরিকল্পনার পাশাপাশি নাগরিক সুবিধা ও নির্মাণ মান নিশ্চিত করা। একটি সুপরিকল্পিত নগর গড়তে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রয়াসই এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এ বছরের মান দিবস উদযাপন সে লক্ষ্য পূরণে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
‘রূপকল্প’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পণ্য ও সেবার গুণগতমান নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে ‘আন্তর্জাতিক মান’ অনুসরণ অপরিহার্য। জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই-কে পণ্যের মান প্রণয়ন ও উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে কাক্সিক্ষত সেবা পৌঁছে দিতে আরও দক্ষ, জবাবদিহি ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিএসটিআই জনগণের আস্থা পূরণের পাশাপাশি মানসম্পন্ন সেবা সকলের কাছে পৌঁছে দেবে-এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
আমি বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭০০ ঘণ্টা