তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯
আমার সব সাফল্য প্রধানমন্ত্রীর, দুর্নীতির সাথে আপোশ নয়
--- তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম
ঢাকা, ২৪ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ‘আমার এযাবৎকালের সব সাফল্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের। এখনকার নতুন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও আমি সততা, নিষ্ঠা, মেধা ও দক্ষতার সাথে পালন করব। দুর্নীতির সাথে কখনো আপোশ করিনি, করব না।’
আজ তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করে তথ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ ও মন্ত্রণালয়ে পরিচিতি সভার পরপরই তথ্য অধিদফতরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসময় প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘তারানা হালিম আমার রাজনীতি, সংগ্রাম ও সংসদের পুরনো সাথী ও সহকর্মী। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও সংসদে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একসাথে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করব আমরা।’
তথ্যসচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহারসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারাও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে একজন কর্মী হিসেবে বর্ণনা করে তারানা হালিম বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমার পূর্বের দপ্তরের পূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আমার যা কিছু সাফল্য তা শেখ হাসিনার সাফল্য। আমি যেটুকু অতীতে করতে পেরেছি তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন। আমি একজন কর্মী, কাজ করে যাব। দেশ, দেশের মানুষ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করব। আপনারা সাথে থাকবেন।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কম কথা ও বেশি কাজে বিশাসী। কাজ শেষে শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে সকল কাজ বুঝিয়ে দেব, তারপর কথা বলব। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যখন যে দায়িত্বই দেবেন সততা, দক্ষতা ও মেধা দিয়ে সে কাজই সঠিকভাবে করব।’
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পূর্বতন মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে নতুন করে কোনো মন্তব্য করা শোভন হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমি আমার আগের কাজের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরছি, কিন্তু পূর্বতন মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে নতুন করে কোনো মন্তব্য করে শোভনতার মাত্রা আমি অতিক্রম করব না।’
পূর্বতন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কার্যাদি তুলে ধরে তারানা হালিম বলেন, গত আড়াই বছরে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৪ কোটি ৭১ লাখে, ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ৭২ লাখে, টেলিঘনত্ব ৮৬৬ ও ইন্টারনেট ঘনত্ব ৪৭৬২ এ উন্নীত হয়েছে।
এবছরের ২৭ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে বলে আশা করা যায়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের চুক্তি স্বাক্ষর থেকে শুরু করে স্যাটেলাইটের ১০০ নির্মাণ কাজ, স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য কোম্পানি গঠন, গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
চলমান পাতা -২
= ২ =
এছাড়া ২য় সাবমেরিন ক্যাবলে দেশের যুক্ত হওয়া, কুয়াকাটায় ২য় সাবমেরিন ক্যাবল এর ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন ও উদ্বোধন, রবি ও এয়ারটেলকে একীভূত করার মাধ্যমে বাজারে ভারসাম্য সৃষ্টি, আইক্যান (ওঈঅঅঘ) কর্তৃক ডট বাংলা ডোমেইন নেইম ২ বছর বিরতির পর পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করে বাংলাদেশের অনুকূলে বরাদ্দ, কলড্রপে (একের অধিক) অপারেটর কর্তৃক কল ফেরত নিশ্চিত করা হয়েছে, জানান তিনি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে দেশে তৈরি মোবাইল ফোন উৎপাদনের অনুকূলে কর কাঠামো তৈরি, দেশের প্রথম স্মার্ট ফোন তৈরির কারখানা স্থাপন ও উৎপাদন শুরু, মাত্র ৫ মাসে ১১ কোটি সিম এর বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন, সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক মনিটরিং প্লাটফর্ম স্থাপন, ডাক বিভাগের ২৩টি পয়েন্টে ই কমার্স চালু, ই-কমার্স জোরদার করার জন্য ১১৮টি যানবাহন যুক্ত করা, এজেন্ট ব্যাংকিং-এর পাইলট প্রজেক্ট চালু ও গণহত্যার ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে ডাকটিকিট এলবাম প্রকাশের কথাও তুলে ধরেন তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক বছরের মধ্যে ব্যাংকিং সেবার আওতার বাইরে থাকা ৩ কোটি মানুষকে ব্যাংকিং সেবায় আনার লক্ষ্যে প্রণীত ডাক টাকার সফটওয়ার ৩ মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে। ডাক বিভাগ এসোসিও (অঝঙঈওঙ), উইটসা (ডওঞঝঅ), ই-এশিয়া (ঊ-অঝওঅ) পুরস্কার পেয়েছে ও ইউনিভার্সাল পোাস্টাল ইউনিয়নের (টচট) সদস্য হয়েছে। টেলিকম নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে, টেলিটকের রি-ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে রিটেইলার শাখা ৩৬,০০০ থেকে ৫৬,০০০টিতে বৃদ্ধি ও টেলিটকের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সংখ্যা ৭৪ থেকে ৯৭ তে উন্নীত হয়েছে। টেলিটকের এমইপি (গঊচ) প্রকল্পের মাধ্যমে জুনের মধ্যে যুক্ত হবে ১,৭০০ টি বিটিএস (ইঞঝ) ও ১,৫০০টি নোড-বি (ঘঙউঊ-ই), ফলে টেলিটকের নেটওয়ার্ক আরো উন্নত হবে। ফোর-জি গাইডলাইন অনুমোদন হয়েছে।
লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে ছাড় করানো বিষয়ে অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, টেশিসের ২৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি, খুলনা কেবলের নেট সর্বোচ্চ মুনাফা, ডাক বিভাগ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক আয় (যা শেষ ৪ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ কোটি টাকা বেশি), মোবাইল নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নে স্পেকট্রাম অকশন টেক নিউট্র্যালিটি প্রদান ও ৬৪০০০ কিঃমিঃ অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপিত হয়েছে।
বার্ষিক প্রকল্প বাস্তবায়নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ পরপর দু’বার ১ম স্থানে ছিল উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, টেলিটকের বহু কাক্সিক্ষত ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড় পেয়েছে, এর ফলে সকল উপজেলা নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। শুরু হবে পরিবর্তনের পালা।
#
আকরাম/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৮
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী হিসেবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের দায়িত্ব গ্রহণ
ঢাকা, ২৪ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আজ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এর আগে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর তাঁর ওপর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অর্পিত হয়।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ, মাতা সাজেদা বেগম চৌধুরী। তাঁর দাদা খান সাহেব আব্দুল হালিম চৌধুরী এবং নানা ড. মোঃ সানাউল্লাহ, বার-এট্-ল, পিএইচডি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইসলামাবাদ কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসসি করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য কমনওয়েলথ বৃত্তি অর্জন করেন এবং ১৯৭২ সালে সেখান থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের (লন্ডন) লিংকনস্ ইন, থেকে র্বা-এ ডাক পান।
তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত হাটফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে একজন লেকচারার ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যে পূর্ব এংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সিনিয়র রিসার্চ এসোসিয়েট ছিলেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জনাব মাহমুদ ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন-২৮২ (চট্টগ্রাম-৫) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ সালের ১২ই জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
এছাড়াও তিনি ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ২০০৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জনাব মাহমুদ ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কেবিনেট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ এর মধ্যে জনাব মাহমুদ পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পূর্বে, তিনি ১৯৮৮ সালে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এই সময়কালে তিনি স্বল্পকালের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি ছিলেন।
জনাব আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। ফটোগ্রাফি, ক্রিকেট এবং ফ্লায়িং তাঁর শখ।
#
পাশা/সেলিম/ফারহানা/শেফায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৭
বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ২৪ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ দিতে টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পিকার সাবিনা আখতারকে (ঝধনরহধ অশযঃধৎ) আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
দশ দিনের শুভেচ্ছাসফরে বাংলাদেশে আসা টাওয়ার হ্যামলেটসের লন্ডন বারোর স্পিকার আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে মিলিত হলে মন্ত্রী তাকে এ আহ্বান জানান। সেন্টার ফর
নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশিস (এনআরবি) এর চেয়ারম্যান এম এস শেকিল চৌধুরী, সংস্থার সদস্য ফকর আলী ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, এদেশীয় ব্রিটিশ নাগরিকরা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে যে বিশাল অবদান রাখছেন তা সেদেশের সরকারের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে তাদের নজর দেয়া। শেখ হাসিনার সরকার দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করেছে, তার সুফল গ্রহণ করতে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের উৎসাহিত করা আবশ্যক।
স্পিকার সাবিনা আখতার তথ্যমন্ত্রীর সাথে একমত পোষণ করেন ও হাসানুল হক ইনুকে লন্ডন সফরের আমন্ত্রণ জানান।
#
আকরাম/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৪
বিশ্ব ইজতেমা ২০১৮ উপলক্ষে
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিকল্প রাস্তা ও পার্কিং নির্ধারণ
ঢাকা, ২৪ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
গাজীপুরের টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমা ২০১৮ আগামী ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি ও ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ভিভিআইপি, ভিআইপিসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাগণসহ দেশি-বিদেশি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইজতেমা সমাপ্ত হবে। ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণের জন্য ধর্মপ্রাণ হাজার হাজার মুসুল্লি পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবে বিধায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত, কালীগঞ্জ-টঙ্গী মহাসড়কের মাজুখান ব্রিজ থেকে স্টেশনরোড ওভার ব্রিজ পর্যন্ত এবং কামারপাড়া ব্রিজ থেকে মুন্নু টেক্সটাইল মিলগেট পর্যন্ত সড়কপথ বন্ধ করার প্রয়োজন হবে। এ লক্ষ্যে ১৩ জানুয়ারি ও ২০ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১০টা থেকে নি¤œবর্নিত প্রবেশপথসমূহে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
নিলতলী রেলক্রসিং, টঙ্গী, গাজীপুর; কামারপাড়া ব্রিজ, টঙ্গী, গাজীপুর; ভোগড়া বাইপাস, জয়দেবপুর, গাজীপুর; এছাড়া পন্টুন সেতু নির্মাণ ও মুসুল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে কামারপাড়া সেতু থেকে টঙ্গী সেতু পর্যন্ত তুরাগ নদীতে সকল প্রকার নৌযান চলাচল ও নোঙর করা ৯ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নৌযানসমূহ টঙ্গী সেতুর পূর্ব পার্শ্বে এবং কামারপাড়া সেতুর উত্তর পার্শ্বে নোঙর করতে পারবে।
ইজতেমা চলাকালীন জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে আগত মুসুল্লিদের বহনকারী যানবাহন পার্কিং এর জন্য টঙ্গীস্থ কাদেরীয়া টেক্সটাইল মিল কম্পাউন্ড, মেঘনা টেক্সটাইল মিলের পার্শ্বের রাস্তার উভয় পাশে, শফিউদ্দিন সরকার একাডেমী মাঠ প্রাঙ্গণ, শফিউদ্দিন সরকার একাডেমী মাঠের উত্তর পার্শ্বে টিআইসি মাঠ, জয়দেবপুর থানাধীন ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ, চান্দনা চৌরাস্তা হাইস্কুল মাঠ, জয়দেবপুর চৌরাস্তা ট্রাকস্ট্যান্ড এবং নরসিংদী কালীগঞ্জ হয়ে আগত মুসুল্লিগণের বহনকারী যানবাহন টঙ্গীস্থ কে-টু(নেভী) সিগারেট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন খোলা জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ইজতেমায় আগত মুসুল্লিগণের যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য ১১ জানুয়ারি বিকেল ৬ টা থেকে উল্লিখিত মহাসড়ক, সড়কগুলো পরিহার করে বৃহত্তর জেলাসমূহ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন জয়দেবপুর থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে টঙ্গী হয়ে ডিএমপি এলাকায় প্রবেশের পরিবর্তে জয়দেবপুর চৌরাস্তা, কোনাবাড়ী, চন্দ্রা ত্রিমোড়, বাইপাইল, নবীনগর, আমিনবাজার হয়ে চলাচল করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি এবং ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত বাস্তুহারা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত মহাসড়ক, স্টেশনরোড ওভারব্রিজ থেকে টঙ্গী রেলগেট ও মুন্নু টেক্সটাইল মিল থেকে কামারপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কে যানজট এড়ানোর জন্য মটরযান ব্যতীত রিকশা, ভ্যান ইত্যাদি চলাচল বন্ধ থাকবে।
#
রাহাত/সেলিম/ফারহানা/মোশারফ/রেজাউল/২০১৮/১৮৩৮ ঘণ্টা
প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী
মার্চে এলডিসি থেকে ডেভেলপিং কান্ট্রিতে উন্নীত হবে বাংলাদেশ
ঢাকা, ২৪ পৌষ (৭ জানুয়ারি) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চলতি ২০১৮ সালের মার্চ মাসে নি¤œ মধ্যমআয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ডেভেলপিং কান্ট্রিতে পরিণত হতে যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়, তা বাংলাদেশ প্রায় অর্জন করেছে। প্রথমত মাথাপিছু আয় ১২৪২ মার্কিন ডলার হতে হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয়ত মানবসম্পদের উন্নয়ন অর্থাৎ দেশের ৬৬ ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হয়েছে। তৃতীয়ত অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর না হওয়ার মাত্রা ৩০ ভাগ হতে হবে, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে তা ২৬ ভাগ অর্জন করেছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে সফররত ডব্লিউটিও-এর সাবেক মহাপরিচালক প্যাসকেল ল্যামির সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
বিশে^র ইকোনমিক ও সোস্যাল কাউন্সিল উল্লিখিত তিনটি বিষয় বিবেচনা করে কোন দেশকে নি¤œ মধ্যমআয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশে পরিণত হওয়ার ঘোষণা দেয়। আগামী মার্চ মাসে এ কাউন্সিলের মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশ হিসেবে ঘোষণার বিষয়টি আলোচিত হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় বিবেচ্য বিষয়টি সফলভাবে অর্জন করবে এবং কাউন্সিল বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘোষণা কার্যকর হতে প্রস্তুতির সময় থাকবে। আশা করা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে ২০২১ সালে বিশে^ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এভ্রিথিংস বাটআর্মস এর আওতায় জিএসপি সুবিধা প্রদান করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করা হবে। এজন্য মন্ত্রী ডব্লিউটিও-এর সাবেক মহাপরিচালক প্যাসকেল ল্যামির সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশ এ মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বেশি পণ্য রপ্তানি করছে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, ডব্লিউটিও সেলের ডিজি মুনীর চৌধুরী এবং অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি-২) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী বুয়েটের অডিটোরিয়ামে ইমদাদ-সিতারা খান ফাউন্ডেশন আয়োজিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃত্তি প্রদান করেন। গত ১৩ বছর ধরে প্রতি বছর এ ফাউন্ডেশন ৮৫ লাখ টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে আসছে। বুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন।
#
বকসী/সেলিম/ফারহানা/শেফায়ত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা