Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১০ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৪৬০৮

 

সংস্কৃতিতে আরো বেশি প্রচেষ্টা, সময়, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করতে হবে

                                                     --তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):

 

            আগামী দিনে সংস্কৃতিতে আরো বেশি প্রচেষ্টা, সময়, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

            আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের ২য় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব আয়োজন করেছে।

            এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত পনেরো বছরে অর্থনৈতিক দিক থেকে ও অবকাঠামো উন্নয়নের জায়গায় আমরা অনেক অর্জন করেছি, সামনে আরো এগিয়ে যেতে হবে। তবে আগামী দিনগুলোতে সংস্কৃতির জন্য আরো বিনিয়োগ দরকার। শুধু অর্থের বিনিয়োগ নয়, আমাদের আরো বেশি প্রচেষ্টা, সময়, শ্রম ও মেধা এখানে বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ সংস্কৃতিতে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে একটি উদারনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশের একটা মূল্যবোধের জায়গা তৈরি হবে। তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, আমাদের দারিদ্র্যতা কমছে, দেশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা সবকিছুতে উন্নততর জীবনের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু একইসাথে মূল্যবোধের উন্নয়নের জন্য, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সংস্কৃতিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। রবীন্দ্রসংগীত এবং আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির যতো আয়োজন গোটা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে  হবে। সেজন্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করতে চায়। কারণ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জন্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের, সাংস্কৃতিক আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে রবীন্দ্র সংগীত, আমাদের রাজনীতি, বাংলাদেশ, বাংলাদেশের জন্ম, বাংলাদেশের বিকাশ হাত ধরাধরি করে হেঁটেছে অতীতে ও বর্তমানে, ভবিষ্যতেও হাঁটবে। তিনি বলেন, বাঙালিরা একটা স্বাধীন সত্তার কথা চিন্তা করলো এবং সবার প্রথমে ফুঁসে উঠলো। যখন আমাদের ভাষার ওপর আঘাত হানা হলো এবং বলা হলো রবীন্দ্রসংগীত গাইতে দেবে না, তখন সবার প্রথম বাঙালিরা ফুঁসে উঠেছিল পাকিস্তানিদের বিপক্ষে এবং তখন ধীরে ধীরে বাঙালিরা চিন্তা করলো একটা নিজস্ব স্বাধীন আবাসভূমি দরকার যেখানে আমরা রবীন্দ্র সংগীত গাইবো, নজরুল গীতি গাইবো, আমাদের মতো করে আমাদের সংস্কৃতির চর্চা করবো। সেই বাস্তবতা থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়া, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ। কাজেই রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্র সংগীত এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ব একেবারে নিবিড়ভাবে একই অঙ্কুরে গাঁথা। যে কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথের একটি গানকেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত করেছেন।

            তিনি আরো যোগ করেন, রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে যে উৎসব, রবীন্দ্রসংগীতকে ঘিরে যে আয়োজন সেটি শুধু শিল্প ও সংস্কৃতির অংশ নয়, এটি একটি আন্দোলন, একটি মুভমেন্ট। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক মুভমেন্টকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং সব ধরণের উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদের বিপক্ষে উদারনৈতিক চিন্তা আরো বিস্তৃত করার জন্য রবীন্দ্র সংগীত, রবীন্দ্র সংগীতকে ঘিরে এই আন্দোলন আরো সামনে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন।

            অনুষ্ঠানে বরেণ্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ানকে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা সম্মাননা-১৪৩১ প্রদান করা হয়।

            বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. মকবুল হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং সংস্থার সভাপতি সাজেদ আকবর অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

#

ইফতেখার/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৪৬০৭

আমাদের মূল চালিকাশক্তি অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক পয়লা বৈশাখ

                                                               -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের জাতির মূল চালিকাশক্তি আর পয়লা বৈশাখ উৎসব অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক।

আজ রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বৈশাখী উৎসব ১৪৩১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে তৎকালীন পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হওয়া পয়লা বৈশাখের উৎসব আজ আমাদের অসাম্প্রদায়িকতার মূর্ত প্রতীক।’

ড. হাছান বলেন, 'স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, আর দ্বিতীয় পরিচয় আমরা কে কোন ধর্মের। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্র- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সে কারণেই আজ বাংলাদেশে ঈদ, পূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা সব উৎসবে সকল ধর্মের মানুষ একাত্ম হয়ে যায়।'

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন -এ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান এ মনোনয়নকে স্বাগত জানান। নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্নোত্তর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই। 

মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুলিশ দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কীভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।

সব দেশেরই উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা, আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আলম, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনের (ফোসা) সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ফোসা'র শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।

#

আকরাম/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০০৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪৬০৬

 

আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

                                               -- অর্থ প্রতিমন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):

 

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখান না, তিনি অসম্ভব স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন। কর্ণফূলীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল, ঢাকা মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সব যেন আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন।

 

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান আজ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মাহাতা পাটনীকোঠা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধব্বিধস্ত দেশ পুনর্গঠনে সর্বাত্মক পরিকল্পনা  গ্রহণ ও উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সকল বাধা অগ্রাহ্য করে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণে কঠিন সংগ্রাম করেন। এদেশের মানুষের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য, প্রজন্মকে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য তিনি নিরলয়া কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ প্রতিটি ক্ষেত্রকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে মানবকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে ৯০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ, বিনামূল্যে বই বিতরণ, কারিগরি শিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি এসবই শেখ হাসিনা এটা সম্ভব করেছেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সংক্রান্ত যে দাবি-দাওয়া আজকে এসেছে, তা পূরণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

 

মাহাতা পাটনীকোঠা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ ইদ্রিছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দীন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মোহাম্মদ শহীদুল হক রাসেল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন মাহমুদ, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ডিএমডি স্বপন দাশ গুপ্ত, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশোলী স্বপন দাশ, ডা. দেবাশীষ দত্ত ও আবু তাহের মাহমুদ বক্তৃতা করেন। 

 

পরে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে বনবীথি সেনগুপ্তা-এঁর ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

 

#

 

আলমগীর/সায়েম/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৪৬০৫

সাত মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু পথনির্দেশ দিয়েছিলেন

                                               -গণপূর্তমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ৭ মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু আমাদের পথ নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে পথ ছিল মুক্তির পথ, স্বাধীনতার পথ, শোষণ বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের পথ, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথ।

আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনি প্রচারের জন্য যখন আমাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন আমরা যারা ছাত্রলীগ করেছি আমাদেরকে বলা হয়েছে আমরা যেন ছয় দফার পক্ষে কথা বলি, আমরা যেন ১১ দফার পক্ষে কথা বলি। সেই সাথে এ কথাও বলা হয়েছে যে ছয় দফা এবং ১১ দফা বাস্তবায়নের সম্ভবনা খুবই কম। ছয় দফা ও ১১ দফা বাস্তবায়ন না হলে কি করতে হবে আমাদের তাও বলতে বলা হয়েছে। আমরা সেটা বলেছিলাম। আমরা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলাম স্বাধীনতা ও মুক্তির পথে, একটি স্বতন্ত্র অস্তিত্বের পথে। সেটা আমরা করেছিলাম ৭ মার্চের আগেই, কারণ সাত মার্চের অনেক আগেই বঙ্গবন্ধু আমাদের পথনির্দেশ দিয়েছিলেন। আমাদের পথ ছিল অসাম্প্রদায়িকতার পথ, আমাদের পথ ছিল গণতন্ত্রের পথ, স্বাধীনতার পথ, আমাদের পথ ছিল শোষণ মুক্তির পথ, আমাদের পথ ছিল সকল মানুষের জন্য তার অধিকার সুসংহত করার পথ, যে পথে আমরা এখনো চলছি, ছাত্রলীগ তার জন্মলগ্ন থেকে কোনো প্রকার বিচ্যুতি ছাড়া এই পথে আছে এবং এই পথে আমরা দৃঢ়ভাবে ছিলাম বলেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যখন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব ছিল না বললেই চলে, তখনও আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পতাকাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলাম।

এসময় মন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তার ভিশণ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ ও একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যে লড়াই, তাতে ছাত্রলীগ সদা সতর্কভাবে সর্বদা তার পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগকে চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত ও ছিনতাইকারীমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিশেষ কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বাড়ি চৌধুরী মন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাকিব আল হাসান, উপ- প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, উপ- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বী উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজাউল/সায়েম/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৬৪০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৪৬০৪

ইউরোপ বাংলাদেশের পরিক্ষীত বন্ধু ও উন্নয়নের অংশীদার

                                              -সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):

            সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ইউরোপ বাংলাদেশের পরিক্ষীত বন্ধু ও উন্নয়নের অংশীদার।  গত বছর বাংলাদেশ-ইইউ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ৫০ বছর পেরিয়েছে। এ সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নয়ন সহযোগী থেকে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে পরিণত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন বাংলাদেশের বিশ্বব্যাপী পণ্য রপ্তানির প্রায় অর্ধেক গন্তব্য এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) স্কিম বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

            মন্ত্রী গতকাল রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘ইউরোপ ডে’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

  মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয় ও উন্নত দেশ হওয়ার পথের অগ্রযাত্রায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের জ্ঞান, দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। সরকার ইতিমধ্যেই নবায়নযোগ্য শক্তি সেক্টরে গ্লোবাল গেটওয়ে প্ল্যাটফর্মের অধীনে অংশীদারিত্ব শুরু করেছে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে এ অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণের অপেক্ষায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে অভিবাসন সহজতর করার জন্য 'দক্ষতা ও জ্ঞান’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান।

            দীপু মনি আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জিডিপি নিয়ে এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।

            মন্ত্রী বলেন, অগ্রযাত্রায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব সময় বাংলাদেশের পাশে ছিল। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলা , শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশ, রপ্তানি সম্প্রসারণ, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও শ্রম অধিকারের উন্নতি, অভিবাসন, মেধা ভাগাভাগি প্রভৃতি বিষয়ে দুইদেশ একসাথে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসিায়িক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 #

জাকির/কামরুজ্জামান/রবি/সাজ্জাদ/মানসুরা/২০২৪/১০১০ ঘন্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৪৬০৩

পোস্ট, টেলিকম এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে জাপানি

বিনিয়োগকারীদের প্রতি জুনাইদ আহমেদ পলকের আহ্বান

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):

          ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী দেশ। হাইওয়ে কমিনিকেশন, মেট্রোরেল, থার্ড টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ইত্যাদিসহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে জাপান সফলতার সাথে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘমেয়াদী ভিশন নিয়ে পোস্ট, টেলিকম এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আইটি ও আইটিইএস সেক্টরে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে ‘বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট-২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের লঞ্চপ্যাডের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য নতুন রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। স্মার্ট সিটিজেন হলো স্মার্ট বাংলাদেশের ৪ টি স্তম্ভের মধ্যে প্রথম ও প্রধান স্তম্ভ, যার অর্থ স্মার্ট সিটিজেন হবে সৃজনশীল, উদ্ভাবনী এবং সমস্যা সমাধানকারী। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশী তরুণ মেধাবী প্রকৌশলীরা জাপানে ইএমআই ল্যাবের মতো IOT এবং রোবোটিক্স ভিত্তিক  সমাধান নিয়ে কাজ করছেন। COVID-19-এর সময় বাংলাদেশ কৃষি কর্মশক্তির ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছিল। তাই বাংলাদেশের অবশ্যই IOT, AI এবং রোবোটিক্সের মতো সীমান্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ক্ষেত্রের যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রযুক্তি, বিশেষ করে আইসিটি একটি আন্তঃসীমান্ত সমস্যা, এর কোনো ভূমি সীমানা নেই। বাংলাদেশের প্রায় ৭ লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া , সিঙ্গাপুর এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের বহুজাতিক কোম্পানির সাথে আউটসোর্সিং করছে। উদ্যোক্তা এবং ফ্রিল্যান্সাররা শুধুমাত্র নিজেদের জন্য অর্থ উপার্জন করে না, জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের গতিশীল দিক-নির্দেশনায় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শ্রমভিত্তিক থেকে প্রযুক্তিভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে এবং এখন দেশ জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, বাংলাদেশ স্টার্টআপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ ও বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।

 #

নাজির/কামরুজ্জামান/রবি/সাজ্জাদ/মানসুরা/২০২৪/১১৪০ ঘন্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৪৬০২

প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের মৃত্যুতে আইনমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে):

বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

মন্ত্রী গতকাল এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 #

রেজাউল/কামরুজ্জামান/জুলফিকার/রবি/সাজ্জাদ/মানসুরা/২০২৪/১১৩০ ঘন্টা

2024-05-10-15-53-ba7ce40a65789715a2e89d67aacc154c.docx