তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৭০
সারাদেশের নদী রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ অগ্রহায়ণ (২৫ নভেম্বর) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শুধু ঢাকার চারপাশের নদী নয়, সারাদেশের নদী রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নদীগুলো একদিনে দখল হয়নি; এটি দীর্ঘদিনের জট। দ্রুত কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। সেগুলো উদ্ধারে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ নদী নিয়ে চিন্তা করছে-এটাই সাফল্য। নদী রক্ষায় সবাইকে সম্পৃক্ত করছি-সেটি সফলতা। বাংলাদেশকে রক্ষা করতে নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। নদী ব্যবস্থাপনায় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের নদীর নাব্যতা ও পলি ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন, ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহসীনুল করিম লেবুর সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর সিনিয়র এডভাইজার ড. মমিনুল হক সরকার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অখিল কুমার বিশ্বাস, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার সাদাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘নদীগুলোর নাব্যতা কমে গেছে; নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’ বঙ্গবন্ধু নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সেসময় ৭টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত নদী খননের জন্য কোন ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ বছরে ৩৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন। এর সুফল আমরা পাচ্ছি।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; নদীগুলো দখল হয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ভিশনারি নেতৃত্ব ও কীর্তি যাতে না থাকে সেজন্য নদীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৬৯
অতীতের বীরত্বগাথা স্মরণ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়
মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ অগ্রহায়ণ (২৫ নভেম্বর) :
‘রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে অতীতের বীরত্বগাথা স্মরণ করতে হয়, বীরদের সম্মান জানাতে হয়’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানী শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ আয়োজিত স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন ধারণকৃত দুর্লভচিত্রের তিনদিনব্যাপী প্রদর্শনী ‘বাঙালির বীরত্বের চিত্রগাঁথা’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
প্রদর্শনী এবং এ উপলক্ষ্যে অ্যালবাম প্রকাশের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের আলোকচিত্র খুব বেশি নেই এবং যদি সংরক্ষণ করা না হয় তাহলে সেগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। এগুলোকে সন্নিবেশিত করে একটি অ্যালবাম বের করে এটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বাঙালির ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে ড. হাছান বলেন, পাঁচ হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। এর আগে বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। ১৭৮৬ সালে ফকির মজনু শাহ বিদ্রোহ করে, ১৮৩১ সালে তিতুমীর বাঁশের কেল্লা তৈরি করে, ১৯৩০ সালে সূর্যসেন চট্টগ্রাম কারাগার লুন্ঠন করে, ১৯৪৪ সালে নেতাজী সুভাষ বসু ‘তোমরা রক্ত দাও, আমি স্বাধীনতা দেবো’ বলে স্বাধীনতার স্বপ্ন এঁকেছিলেন, স্বাধীনতা আসেনি। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে এমনভাবে উদ্দীপ্ত করেছিলেন যে, দেশের তরে নিজপ্রাণ সঁপে দিয়ে বাঙালিরা যুদ্ধে গিয়েছিল, হাজারে নয়, লাখে লাখে মানুষ যুদ্ধে গিয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসময় বলেন, ‘শৈশবে আমি মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকা দেখেছি। দেখেছি আমার বসতবাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে, আমার গাঁওয়ের অনেককে হত্যা করা হয়েছে। আমার কচি রক্তে আগুন ধরেছে, আমারও মনে হয়েছে আমি মুক্তিযুদ্ধে চলে যাই। কিন্তু বয়স আমার প্রতিবন্ধক ছিল। আমি মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারিনি। কিন্তু আমাদের পূর্বসরি মুক্তিযোদ্ধারা, সাধারণ জনগণ এবং আমাদের সশস্ত্রবাহিনী নিজের জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে যুদ্ধ করেছে। একটি প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণের জনযুদ্ধে আমাদের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা আমাদের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছে, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলাদেশ রচিত হয়েছে।’
চলমান পাতা - ২
আমাদের এই বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার লক্ষ্যে রচিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের অভ্যুদয়ের পরপরই অনুধাবন করেছিলেন যে পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে বাঙালিদের মুক্তি নিহিত নয়। সে কারণে ১৯৪৮ সালে ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের প্রথম স্বাধীনতা দিবসের আগে ১২ আগস্ট তিনি বিবৃতি দিয়েছিলেন ১৪ আগস্ট আনন্দ উল্লাসের দিন নয়, বরং উৎপীড়নের নিগড় থেকে মুক্তি পাবার শপথ পাওয়ার দিন, কারণ যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা বাঙালির সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে, বাঙালির ভাষা কেড়ে নিতে চায়, সেই রাষ্ট্র বাঙালির জন্য নয়। এটি তৎকালীন ইত্তেফাক পত্রিকাসহ অনেক পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে আমরা গর্বিত জাতি। আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যে রাষ্ট্রে থাকবে মানবিকতা, সাম্য, অপরের প্রতি মমত্ববোধ, ২০৪১ সাল নাগাদ যে রাষ্ট্র জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, শিক্ষায় একইসাথে মানবিকতায় উন্নত হবে যেন আমাদের কাছ থেকে পৃথিবী পথ দেখে।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ, পিএসও লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রকাশিত ‘বাঙালির বীরত্বের চিত্রগাঁথা’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন এবং এ উপলক্ষ্যে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র অবলোকন করেন ও চিত্রপ্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
নোনাজলের কাব্য চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে তথ্যমন্ত্রী
এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীতে এসকেএস টাওয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্সে বাংলাদেশ-ফ্রান্স যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত নোনাজলের কাব্য চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো’তে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
এসময় মন্ত্রী দেশের লোকজ সংস্কৃতি ও ভাবধারা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এর পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে সূত্রপাত ঘটা চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। সিনেমাটির অভিনয় শিল্পী তিতাস জিয়া, ফজলুর রহমান বাবু, তাসনুভা তামান্না, শতাব্দী ওয়াদুদ, অশোক ব্যাপারীসহ সকল কলাকুশলীকে অভিনন্দন জানান।
#
আকরাম/পাশা/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৫৬৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১০ অগ্রহায়ণ (২৫ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ হাজার ৮৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯৭০ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৯ হাজার 5৫৩ জন।
#
কবীর/পাশা/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৭৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৬৭
নির্যাতন ও সহিংসতা নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে
-ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
ঢাকা, ১০ অগ্রাহায়ণ (২৫ নভেম্বর ) :
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে নারীর অধিকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ। যা নারীকে, তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা নারীদের শিক্ষাসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল ধরণের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপ অন উইমেন এডভ্যান্সমেন্ট এন্ড জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি এর যৌথ আয়োজনে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের সাথে বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গনমাধ্যমকে একসাথে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে, আমরা নারী ও শিশুর প্রতি সকল ধরণের নির্যাতন ও সহিংসতামুক্ত দেশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করতে পারব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এলক্ষ্যে সরকার পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছে। সংশোধিত শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনের কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডিএনএ প্রোফাইলিং ও স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আন্ত:মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটিগুলো পূণর্গঠন ও সক্রিয় করা হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা প্রদান করেন ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথারিন ডি স্টিভেন্স, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অভ্ ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকশন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টোরাল প্রোগ্রামের পরিচালক এ কে এম শামিম আক্তার।
#
আলমগীর/পরীক্ষিৎ/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২১/১৫৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৫৬৬
আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে
- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ অগ্রহায়ণ (২৫ নভেম্বর):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত প্রচার মাধ্যম হিসেবে পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশন সাংবাদিকতায় অভাবনীয় পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফেইসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কনটেন্টসমূহ প্রকাশ করার সূযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল যুগের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ আয়োজিত ‘মিডিয়া কনভার্জেন্স’ শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাইজেশন পুরো সভ্যতা থেকে কাগজের এনালগ অস্তিত্ব বিদায় নেবে। স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার জানতেই হবে। এ জন্য ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। বেঁচে থাকার জন্য ডিজিটার যন্ত্র ব্যবহার জানতেই হবে। পাঠ্যপুস্তকের অর্জিত জ্ঞান লাভের পাশাপাশি প্রকাশ দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার।
ডিজিটাল যুগে বসবাস করার জন্য বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। এরই ধারাবাহিকতায় অতীতের তিনটি শিল্পবিপ্লব মিস করায় শতশত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় বাংলাদেশ উপনীত হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সেমিনারে সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী এম আনিছুল ইসলাম এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারপারসন ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম সেমিনারে বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/পরীক্ষিৎ/রেজ্জাকুল/কুতুব/২০২১/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৫৬৫
২০২০ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২৯ ডিসেম্বর
ঢাকা, ১০ অগ্রহায়ণ (২৫ নভেম্বর):
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২০ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত ও বিশেষ পরীক্ষা সারাদেশে একযোগে ২৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে।
পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য ও নির্দেশনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.nu.ac.bd-এ পাওয়া যাবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আজ এ তথ্য জানায়।
#
আতাউর/পরীক্ষিৎ/জসীম/রেজ্জাকুল/কুতুব/২০২১/১৪৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৫৬৩
জাতিসংঘে এলডিসি উত্তরণের রেজুলেশন
‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বড় মাইলফলক’
-অর্থমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ অগ্রহায়ণ (২৫ নভেম্বর):
স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের রেজুলেশন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬ তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় গতকাল এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল এক বিবৃতিতে এই ঐতিহাসিক অর্জনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার এক মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে এই অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের যে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন যাত্রা-- এটি তারই একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই সাফল্যের অংশীদার এ দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইতোপূর্বে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)-এর ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ বা গ্রাজুয়েশনের মানদণ্ড পূরণের মাধ্যমে উত্তরণের সুপারিশ লাভ করেছিল।
সিডিপি একই সঙ্গে বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরব্যাপী প্রস্তুতির সময় প্রদানের সুপারিশ করেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ইতোমধ্যে সিডিপি এর সুপারিশ অনুমোদন করেছে। আশা করা হচ্ছে পাঁচ বছর প্রস্তুতিকাল শেষে বাংলাদেশের উত্তরণ ২০২৬ সালে কার্যকর হবে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত উত্তরণের তিনটি মানদণ্ড পূরণের মাধ্যমে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের এই অর্জন বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এবং আরো অধিকতর উন্নয়নের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।
#
তৌহিদুল/পরীক্ষিৎ/জসীম/রেজ্জাকুল/কুতুব/২০২১/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৫৬৪
এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের রেজুলেশন জাতিসংঘে গৃহীত
নিউইয়র্ক, ২৫ নভেম্বর :
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশের উত্তরণের ঐতিহাসিক রেজুলেশন গৃহীত হলো গতকাল। রেজুলেশনটি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে পরবর্তী ধাপে উত্তরণের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করল।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এটি একটি যুগান্তকারী অর্জন যা এমন এক সময়ে অর্জিত হল যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে।
রেজুলেশনটি গৃহীত হবার পর বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য প্রদানকালে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। ‘রেজুলেশনটি গ্রহণের ক্ষেত্রে ঐক্যমতে পৌঁছাতে সহায়তার জন্য সকল সদস্য দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরিত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। কোভিড-১৯ অতিমারির ভয়াবহতম সময়েও সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিনি বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার ফলে আজ রূপকল্প-২০২১ পূর্ণতা পেল’।
স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে উত্তরিত (স্নাতক) হওয়া কেবল সুনির্দিষ্ট একটি দেশেরই সাফল্য নয়, এটি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বের শক্তির প্রমাণও, একথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘উত্তরণ কোনোভাবেই শাস্তি হতে পারেনা, এটি হতে পারে পুরস্কার’। এ প্রসঙ্গে তিনি এলডিসি ক্যাটেগরি থেকে উত্তরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রণোদনাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সহায়তা কাঠামো নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। উত্তরণ চ্যালেঞ্জের প্রতিটি দিক বিশেষ করে উত্তরণ পরবর্তী আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থা, বাধাহীন উত্তরণ ও এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন ইত্যাদি চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার উপযোগী স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরিরও আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
কাতারের দোহায় অনুষ্ঠেয় আসন্ন ৫ম জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের সম্মেলন এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, পরবর্তী দশকে এলডিসি’র দেশগুলোর জন্য একটি রুপান্তরধর্মী কর্মসূচি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সম্মেলনটি উন্নয়ন সহযোগীদেরকে চমৎকার একটি সুযোগ এনে দিবে। দোহা প্রোগ্রাম অভ অ্যাকশন (DPOA) স্বল্পোন্নত দেশসমূহের উত্তরণের বিষয়টিকে এর অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলির একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে যাতে আরও ১৫টি এলডিসিভুক্ত দেশকে উত্তরণের মানদন্ড পূরণে সক্ষম করে তোলা যায় খসড়া দোহা প্রোগ্রাম অভ অ্যাকশনে সে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রর্বাট রে এলডিসি-৫ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটিতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করছেন।
#
পরীক্ষিৎ/জসীম/আসমা/২০২১/১০০০ ঘণ্টা