তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০৫
নাটক হচ্ছে বিশ্বাসের জায়গা
--- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, নাটকের সংলাপ মুখস্থ করলাম, রিহার্সাল করলাম এবং মঞ্চে প্রবেশ করলাম -এমনটি করলে সফল নাট্যকর্মী হওয়া যায় না। নাটক হচ্ছে বিশ্বাসের জায়গা। এটিকে জীবনবোধ থেকে প্রবলভাবে বিশ্বাস করতে হবে এবং অন্তরে ধারণ করতে হবে। তবেই কেবল একজন সফল নাট্যকর্মী হওয়া সম্ভব।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘বিশ্ব নাট্য দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের যৌথ আয়োজনে আলোচনা অনুষ্ঠান, বিশ্ব নাট্য দিবস আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বাণী পাঠ, সম্মাননা প্রদান এবং বিশ্ব নাট্য দিবস বক্তৃতা অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, আগে নাটকের ক্ষেত্রে তেমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি বিশেষ প্রয়োজনীয়। তবে ভালো নাট্যকর্মী হতে সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ হচ্ছে মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা। কেননা, প্রতিটি মানুষের অভিব্যক্তি ভিন্ন। এ অভিব্যক্তি ও চরিত্রগুলোকে যত বেশি চেনা, বোঝা ও পর্যবেক্ষণ করা যাবে, তত ভালো অভিনয় করা সহজ হবে।
#
ফয়সল/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২১৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০৪
কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
কলকাতা (ভারত), ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৮’ পালন করেছে। এ উপলক্ষে সকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। সন্ধ্যায় কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে এ উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তৌফিক হাসান বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ স¦ল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় পদার্পণ করেছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকসহ সামগ্রিক বিবেচনায় বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলাপন বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ পরস্পর বন্ধুপ্রতিম দেশ। বর্তমানে সড়ক ও রেলপথে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকার ফলে সম্পর্ক আরো মজবুত হয়েছে।
এর আগে সকালে পতাকা উত্তোলনের পর উপ-হাইকমিশনে উপস্থিত সকলে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। এ সময় উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কলকাতাস্থ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিমান এয়ার লাইন্সের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এরপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে মিয়া মোঃ মাইনুল কবির কাউন্সেলর (রাজনৈতিক), শেখ সফিউল ইমাম, কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া), মনসুর আহমেদ, কাউন্সেলর (কনস্যুলার) ও মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল, প্রথম সচিব (প্রেস)। পরে বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের চার শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে কলকাতার দু’টি দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়। এছাড়া কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় দিবসটি উপলক্ষে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।
#
মোফাকখারুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০৩০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০৩
পরিবেশবান্ধব উৎপাদনে বয়লার পরিচারকদের অবদান রাখার পরামর্শ দিলেন শিল্প সচিব
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
শিল্প নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন জোরদারে বয়লার পরিচারকদের ইতিবাচক অবদান রাখার পরামর্শ দিয়েছেন শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্। তিনি বলেন, শিল্প উৎপাদনের সাথে বয়লার জড়িত। বয়লার পরিচারকরা দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের সাথে বয়লার পরিচালনা করে শিল্প দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর অবদান রাখতে পারে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিল্প কারখানায় নিরাপদ বয়লারের ব্যবহার পাঁচ গুণ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
শিল্পসচিব আজ শিল্প কারখানায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় আয়োজিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম শ্রেণির বয়লার পরিচারকদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিল্পসচিব বলেন, শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়সহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল সংস্থার সেবাদান কার্যক্রম আধুনিক ও গতিশীল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে সেবাদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি সেবা সহজীকরণ এবং সেবাপ্রত্যাশীদের সন্তুষ্টির বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে মোট জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে জানান।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ বলেন, প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ লোক কর্মবাজারে আসছে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য নতুন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকার শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এখাতের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নে প্রশিক্ষিত বয়লারদের কার্যকর অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান বয়লার পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বয়লার পরিচারক পরীক্ষক পর্ষদের সদস্য ও বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ কে এম মঞ্জুর মোর্শেদ, পর্ষদের সদস্য সচিব মোঃ শরাফত আলী ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বয়লার পরিচারক মোঃ রায়হান কায়সার বক্তব্য রাখেন।
#
জলিল/মাহমুদ/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০২
উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নারী কর্মশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে
--- তারানা হালিম
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। এই বৃহৎ কর্মশক্তিকে কাজে লাগাতে না পারলে উন্নত দেশের সারিতে যাওয়ার যে স্বপ্ন সেটা অর্জন সম্ভব নয়। উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাই নারী কর্মশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
আজ ঢাকায় পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তারানা হালিম বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে রোলমডেল হিসেবে স্বীকৃত। নারীর ক্ষমতায়নের এসব সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ কর্তৃক ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অভ্ চেঞ্জ’ এওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নারী শিক্ষার বিস্তার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ নারীর নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষেত্রে অবাধ প্রবেশ ও নীতি নির্ধারণে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। সমাজে পিছিয়ে থাকা নারীরা আজ জাতীয় উন্নয়নের অংশীদার ।
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব মোঃ জিল্লার রহমান, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল করিম, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা রহমান, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু, এবং ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
#
এনায়েত/মাহমুদ/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০১
বর্তমান সরকার দেশে সর্বপ্রথম ইবতেদায়ি স্তরে শিক্ষাবৃত্তি প্রচলন করেছে
--- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
গংগাচড়া (রংপুর), ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে সর্বপ্রথম মাদ্রাসা শিক্ষাক্ষেত্রে ইবতেদায়ি স্তরে শিক্ষাবৃত্তি প্রচলন করেছে। তিনি আজ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় ইয়াউল এহ-ইয়া উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ বলেন, বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিক ও কর্মমুখী করতে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। মাদ্রাসা শিক্ষকদের স্পোকেন অ্যারাবিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল তৈরি করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় মাঠপর্যায়ে ১০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এসময় তিনি মাদ্রাসাটির সার্বিক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী গংগাচড়া থেকে সারাই বাজার ব্র্যাক অফিসের কাছ থেকে গংগাচড়া মহিপুর সড়কের এমপির বাড়ি পর্যন্ত আরএন্ডএইচ সড়ক উন্নয়ন কাজ ও গংগাচড়া-মহিপুর রাস্তায় ফুলমিয়ার দোকান থেকে এমপির বাড়ি ভায়া চাঁদমিস্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
#
আহসান/মাহমুদ/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০০০
অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার
--- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
কেশবপুর (যশোর), ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আজ যশোরের কেশবপুরের গৌরিঘোনা ইউনিয়নে উঠান বৈঠকে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেশবপুর কৃষি, মৎস্য, পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই উপজেলায় একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় জনগণের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মেয়েদের বাল্যবিবাহ না দিয়ে পড়ালেখা করিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উঠান বৈঠকে আগত মায়েদের প্রতি আহ্বান জানান।
কেশবপুর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি তপন কুমার ঘোষ, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল ও গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান উঠান বৈঠক বক্তৃতা করেন।
#
মাসুম/মাহমুদ/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৯৯
তথ্যমন্ত্রীর সাথে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির বৈঠক
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
চলচ্চিত্রশিল্পের বিকাশে নানা প্রস্তাবনা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সাথে বৈঠক করেছে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রদর্শক সমিতির সভাপতি মোঃ ইফতেখার উদ্দীন নওশাদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সাথে বৈঠকে মিলিত হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবুয়াল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সুলতান মাহমুদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সমিতির পক্ষ থেকে দেশের সিনেমা হলগুলোর অস্তিত্ব রক্ষায় দেশি সিনেমাগুলোকে উন্নততর কাহিনীভিত্তিক করে তোলা এবং চলচ্চিত্র আমদানিতে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করার আবেদন জানান। তথ্যমন্ত্রী চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশে সরকারের আন্তরিকতার কথা পুনর্ব্যক্ত করে উত্থাপিত আবেদন দ্রুত বিবেচনার আশ্বাস দেন। সেই সাথে তিনি হৃদয়গ্রাহী কাহিনীভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য মেধাবী, মননশীল সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র গবেষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, উপদেষ্টা মিঞা আলাউদ্দিন, সহসভাপতি মোঃ আমির হামজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন ও কার্যকরী সদস্য মোঃ আবুল হাফিজ ও আর এম ইউনুস রুবেল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৯৮
বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে বিদেশিদের প্রতি চিফ হুইপের আহ্বান
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
২৬ মার্চ জেনেভায় অনুষ্ঠেয় ১৩৮ তম আইপিইউ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ জেনেভাস্থ বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের আয়োজনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৭তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের স্থপতি এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা সংগ্রামে শহিদ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
চিফ হুইপ বাংলাদেশের সাফল্যের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৭ বছর উদযাপন করছে এক গৌরবোজ্জ¦ল সময়ের মধ্য দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ দেশ। এটি এখন একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বিনিয়োগের জন্য এখানে সহজলভ্য জনশক্তি এবং শিল্পায়নের জন্য সব ধরণের সুযোগসুবিধা রয়েছে। তাই বিদেশিদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা নিরাপদ এবং লাভজনক।
অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। আইপিইউ সম্মেলনে যোগদানকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সকল সদস্য এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান।
#
স¦পন/মাহমুদ/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৯৭
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সাথে আজ সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে ভারতের নয়াদিল্লীতে নিযুক্ত আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত অৎসবহ গধৎঃরৎড়ংুধহ সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময়সফর, আর্মেনিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, আর্মেনিয়ার সংস্কৃতি, বিশেষ করে চলচ্চিত্র অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আর্মেনিয়াকে অংশগ্রহণের অনুরোধ করার পাশাপাশি আর্মেনিয়ার একটি সাংস্কৃতিকদলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান যাতে দু’দেশের এখাতে সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়।
আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, পুরান ঢাকার আর্মেনিয়ান চার্চ একটি ঐতিহ্যবাহী চার্চ। তিনি এটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই আর্মেনিয়ান একটি সংগীত দল বাংলাদেশ সফর করবে। মন্ত্রী এ সময় আর্মেনিয়ান রাষ্ট্রদূতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন বৈঠকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/অনসূয়া/রিফাত/জসীম/শামীম/২০১৮/১৬১৩ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৯৬
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্্যাপিত
ইসলামাবাদ, ২৭ মার্চ ২০১৮ :
যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ২৬ মার্চ স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্্যাপন করা হয়েছে।
ইসলামাবাদের মেয়র, পাঞ্জাব প্রদেশের খনিজসম্পদ মন্ত্রী, সিনেট ও জাতীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
হাইকমিশনার তারিক আহসান শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথাও তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত সাম্য, মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়পরায়ণতার মতো মুক্তি সংগ্রামের আদর্শসমূহ বাংলাদেশকে স্বাধীন জাতি হিসেবে সামনের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে নির্দেশনা দিচ্ছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্জনের কথা তুলে ধরে তারিক আহসান বলেন, দেশের সাফল্য গাথা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্্যাপনকে সত্যিকারের অর্থবহ করে তুলেছে।
অনুষ্ঠান শেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজানিয়ে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
#
ইকবাল/অনসূয়া/রিফাত/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৬০৪ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৯৫
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন
নিউইয়র্ক, ২৭ মার্চ ২০১৮:
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৮ উদযাপিত হয়েছে। সকালে জাতীয় পতাকার আনুষ্ঠানিক উত্তোলন এবং দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
বিকেলে মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিদেশি অতিথিদের জন্য অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সেফ দ্য ক্যাবিনেট রাষ্ট্রদূত ফ্রান্টিসেক রুজিক্কা, জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অভ্ ফিল্ড সাপোর্ট এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, ব্রাজিল, কানাডা, সৌদিআরব, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, ফিলিপাইন, বেলজিয়াম, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কিউবাসহ প্রায় শতাধিক দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি/উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিক এবং জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিক্রমা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণের অন্তরালে রয়েছে সঙ্কট মোকাবিলা করে উন্নয়নের অদম্য স্পৃহা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর উপাখ্যান। আর এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নদর্শী নেতৃত্বের কারণে’। তিনি বাংলাদেশের এই সাফল্যের জন্য জাতিসংঘসহ সকল উন্নয়ন অংশীদারদের ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া ব্রুনাইস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, ইতালির মিলানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, মায়ানমারের ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মুম্বাইস্ত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে বিস্তারিত কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।
#
অনসূয়া/শহিদ/জসীম/শামীম/২০১৮/১৫৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৯৪
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানাই।
খেলাধুলা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পাশাপাশি শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান, কর্তব্যপরায়ণতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়। মাদকাসক্তিসহ অন্যান্য নেতিবাচক প্রভাব থেকে তরুণ সমাজকে মুক্ত রাখে। ফলে শিশু-কিশোরদের মাঝে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে।
সুস্থ ও সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতে আমরা সবসময়ই খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমরা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত স্টেডিয়াম নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। শিক্ষা ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার সরঞ্জাম সরবরাহ করছি। আমরা খেলাধুলার প্রসারে আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করেছি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। উৎসবমুখর এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ফুটবল অঙ্গনে জাগরণ তৈরি হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আমাদের মেয়েরা এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবলে আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা ফুটবল দল সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে ভারতের বিপক্ষে বিজয়ী হয়েছে।
জাতির পিতা পাকিস্তানি শাসনামলের ২৩ বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় জেল খেটেছেন। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতন এবং বঞ্চনা সহ্য করে জাতিকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমাদের দিয়ে গেছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার ভালবাসা ও আত্মত্যাগ সম্পর্কে তরুণ প্রজন্ম জানতে পারবে। তাঁদের জীবনাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কোমলমতি শিশুরা নিজেদের আত্মপ্রত্যয়ী করে গড়ে তুলবে, তৈরি হবে জয়-পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, উদারতা ও নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জিত হবে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
আমি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শহিদ/জসীম/শামীম/২০১৮/১৪১৯ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯৯৩
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৩ চৈত্র (২৭ মার্চ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর চিন্তা চেতনায় উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। টুর্নামেন্ট ও স্মরণিকার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশ শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে। আর শিশুর সুস্থ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে খেলাধুলা। এছাড়া খেলাধুলা শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও দায়িত্ববোধ তৈরি করে। এই উপলব্ধি থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১০ সাল থেকে স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ এবং ২০১১ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রেরণাদাত্রী সহধর্মিণীর নামে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ প্রবর্তন করেছে। এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আরো অবহিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে। আমি এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সকল ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদ