Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪৩৯০

 

খেলাধুলার মাধ্যমে বেড়ে উঠা ব্যক্তিরা দ্রুত সময়োচিত নেতৃত্ব দিতে সক্ষম

                                                                 -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ, (২৬ এপ্রিল):

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, খেলাধুলার মাধ্যমে বেড়ে উঠা ব্যক্তিরা দ্রুত সময়োচিত নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। খেলাধুলার মাধ্যমে অর্জিত পরিকল্পনার দক্ষতা, সহযোগিতার দক্ষতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তাদেরকে ব্যক্তিজীবনে অসাধারণ করে গড়ে তোলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আগামী প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও খেলাধুলার মাধ্যমে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনে ‘৬ষ্ঠ হামিদুর রহমান জাতীয় ইয়ুথ শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্যুটিং-এর সম্ভাবনা উজ্জ্বল। শ্যুটারদের নিয়মিত পরিচর্যা ও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দিতে পারলে আন্তর্জাতিক পর্যায় আমাদের অবস্থান আরো ভালো হবে। এ ধরনের প্রতিযোগিতা তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতা বৃদ্ধিতে কার্যকর অবদান রাখে। তাই খেলাধুলার প্রতিযোগিতা বেশি বেশি হওয়া উচিত।

 

২৬-২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ‘৬ষ্ঠ হামিদুর রহমান জাতীয় ইয়ুথ শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’-এ সারা দেশ থেকে ২৬টি ক্লাব, পুরুষ শ্যুটার ৭০ জন, মহিলা শ্যুটার ৫৫ জন, টিম ম্যানেজার ও ক্লাব কর্মকর্তা ২৩ জন অংশগ্রহণ করছে।

 

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের সভাপতি লে. জে. আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান (অবসরপ্রাপ্ত) ও বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ বক্তব্য রাখেন।

 

#

 

আসলাম/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২২৩৫ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪৩৮৯

 

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের

                                          -- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ, (২৬ এপ্রিল):

 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

 

ঢাকা থিয়েটারের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ হাইকমিশন, বাংলাদেশ এর ডেপুটি হাইকমিশনার এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, গ্রে আই থিয়েটারের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর Jenny Sealey।

 

মন্ত্রী বলেন, যারা প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানুষদের মতো যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশি। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্যহীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈরি করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তিনি বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

 

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমাদের সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণভাবে সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতোই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতো তাদের জন্যও অপরিহার্য।

 

পরে মন্ত্রী আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

 

#

জাকির/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২২১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর: ৪৩৮৮

 

মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই

                       -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল):

 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, পৃথিবীর কোন দেশ শিক্ষা ছাড়া উন্নতি করতে পারেনি। উচ্চ শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতাই একটি জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়। যেকোনো দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বনানীতে শেরাটন হোটেলে ‘স্টাডি ইন মালয়েশিয়া-এডুকেশন ফেয়ার, বাংলাদেশ’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক সময়ের দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, লোড শেডিং এর বাংলাদেশ আজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করায় দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন অর্জনে দক্ষ ও স্মার্ট মানবসম্পদ অপরিহার্য। সে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষাই আমাদেরকে অগ্রসর করবে।

 

উল্লেখ্য, এই শিক্ষা মেলায় মালয়েশিয়ার খ্যাতিমান এগারটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি হসপিটাল গ্রুপের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছে। এই শিক্ষা মেলার ফলে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার শিক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বিনিময় ও সহযোগিতার সেতুবন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

 

#

 

হেমায়েত/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৩৮৭

মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান

 

মিয়ানমার, ২৬ এপ্রিল :

          রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বহুমাত্রিক সংস্কৃতি, সমৃদ্ধ সাহিত্য এবং গর্ব করার মতো ইতিহাস রয়েছে, যা দুই বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে ও সম্মিলিত সমৃদ্ধির লক্ষ্যে মিয়ানমারের নতুন প্রজন্মকে জানানো দরকার।

          রাষ্ট্রদূত আজ মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নে পি’ত-তে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগারে বই অনুদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একথা বলেন। এসময় মিয়ানয়ানমারের ধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপমন্ত্রী Daw Nu Mya Zan-ও উপস্থিত ছিলেন।

          বই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ইতিহাস, ভাষা, শিল্প, সংস্কৃতি, সাহিত্যকর্ম, উৎসব, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটন, গ্রামীণ উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রকাশিত শতাধিক বই লাইব্রেরিতে প্রদান করা হয়। বইগুলো প্রদর্শনের জন্য দুটি বড় বুক শেলফও লাইব্রেরিতে দান করা হয়েছে যার নাম হবে ‘‘Know Bangladesh’ কর্নার। অনুদানের প্রতীক হিসেবে রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের "Unfinished Memoirs" এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার “The Quest for Vision 2021” হস্তান্তর করেন। এটি ছিল বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক নে পি ত’তে অবস্থিত মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে প্রথম বই অনুদান।

          রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, যার রয়েছে হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস ও সংস্কৃতি। ড. হোসেন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করা আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ তুলে ধরেন। তিনি ‘সংস্কৃতি- বিনিময়’ কে দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে উল্লেখ করেন।

          অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে সংস্কৃতিবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অনুবিভাগের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ইয়াঙ্গুনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাস শীঘ্র মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারের ইয়াঙ্গুন শাখায়ও কিছু বই প্রদান করবে। 

#

মনোয়ার/সায়েম/সঞ্জীব/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৭৩৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ৪৩৮৬

হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক

থাইল্যান্ডের সাথে ৫ দলিল স্বাক্ষর

ব্যাংকক (থাইল্যান্ড), ২৬ এপ্রিল:

ব্যাংকক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের (Srettha Thavisin) আন্তরিকতাপূর্ণ একান্ত বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষর হয়েছে।

আজ থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ এ তথ্য জানান।

দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।

দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা (Parnpree Bahiddha-Nukara) প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সবিস্তারে অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করেছেন। 

থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরো জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভুত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।

এ দিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গার্ড অভ অনারে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।

#

আকরাম/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৩৮৫

ভবনের নকশা অনুমোদনে এসটিপি স্থাপনের শর্ত আরোপ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ১৩ বৈশাখ, (২৬ এপ্রিল):

          ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে এসটিপি (সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপনের শর্ত আরোপ করতে বলেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

          আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর সংস্থা প্রধানদের উদ্দেশ্যে ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে এসটিপি স্থাপনের শর্ত দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে এসটিপি স্থাপনের শর্ত দেওয়ার জন্য তিনি পৌর মেয়রের প্রতি আহ্বান জানান।

          মন্ত্রী বলেন, ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বের এক থেকে তিন নম্বরে থাকে। এ অবস্থায় আমরা কেউই শান্তিতে থাকতে পারবো না। ঢাকাসহ সারাদেশকে বাসযোগ্য রাখতে হলে দূষণ রোধ করতে হবে, শহরকে বর্জ্যমুক্ত রাখতে হবে। জলাশয়গুলোর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আমাদের এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

          মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আবাসন মানুষের খুবই কাঙ্ক্ষিত বিষয়, এটি মানুষের মৌলিক অধিকার। সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিত করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ যারা আছেন তাদেরকেও নিজস্ব আবাসনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করতে তিনি আশ্রায়ণ প্রকল্প গড়ে তুলেছেন। তাদেরকে বিনামূল্য ঘরবাড়ি করে দিচ্ছেন।

          মন্ত্রী আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর দূষণের শহর হয়ে গিয়েছে। এটি সুস্থভাবে বসবাসের অনুপযোগী শহরে পরিণত হয়েছে। আমি নির্বাচনের সময় শহরটিকে তিতাসের পূর্ব পাড়ে সম্প্রসারিত করার যে অঙ্গীকার  করেছিলাম সেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। কুরুলিয়া খালের দক্ষিণ তীরে এপার্টমেন্ট প্রজেক্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, খুব শিগগিরই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব।

          মন্ত্রী বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, এলজিআরডির মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাশ দিয়ে মেড্ডা থেকে শিমরাইল কান্দির কুরুলিয়া ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে, শিগগিরই এটি পাশ হবে। চলতি বছরের মধ্যে শহরে শিশু পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

          জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির প্রমুখ।

          এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

          সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসি হাউজিং সোসাইটির প্লট গ্রহীতাদের মাঝে মন্ত্রী প্লটের দলিল হস্তান্তর করেন।

#

রেজাউল/সায়েম/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৭১০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৩৮৪

 

পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে

                                                                  -পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

রাঙ্গামাটি, ১৩ বৈশাখ, (২৬ এপ্রিল):

          পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সংস্কৃতির মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

          আজ রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার সাপছড়ি এলাকার ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ৭ম মহাসম্মেলন ও ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

          তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় সবদিকেই অনেক দূর এগিয়েছে। আধুনিক সমাজেও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় তাদের কৃষ্টি, কালচার এবং ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এটি প্রশংসার দাবিদার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত আসন হতে রাঙ্গামাটির তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায়ের জ্বরতী তঞ্চঙ্গাকে সংসদ সদস্য হিসেবে পার্বত্যবাসীকে উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নবনিযুক্ত সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

          অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজিব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।

          সম্মেলনের ১ম পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মফিজুল হক প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার সদস্য সচিব উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা।

#

 

রেজুয়ান/সায়েম/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৬৫৫ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৩৮৩

জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে

                                                                - পরিবেশমন্ত্রী

 

বার্লিন (জার্মানি), ২৬ এপ্রিল:

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু অভিযোজন কর্মকাণ্ডে সহায়তা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান, ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান, ন্যাশনালি ডিটারমিন্ড কন্ট্রিবিউশান পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজন। মন্ত্রী আগামী কপ-২৯ এ জলবায়ু অর্থায়ন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মতামত স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন।

          আজ জার্মানির বার্লিন শহরে অনুষ্ঠানরত পিটার্সবার্গ ক্লাইমেট ডায়লগে বক্তব্য প্রদানকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন আলোচনায় পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। ইতঃপূর্বে যে সকল অঙ্গীকার করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সকল কার্যক্রমে বিজ্ঞানকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বৈশ্বিক তাপমাত্রার লক্ষমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সকল দেশকে বিশেষ করে উন্নত দেশসমূহ এবং যাদের সামর্থ্য আছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

          পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী পিটার্সবার্গ জলবায়ু সংলাপের সাইড লাইনে কপ-২৮ এবং কপ-২৯ এর প্রেসিডেন্ট; সৌদি আরবের প্রধান জলবায়ু নেগোসিয়েটর খালিদ এম. আলমেহেদ, স্টেট সেক্রেটারি এবং জার্মান ফেডারেল পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক জলবায়ু কর্মের বিশেষ দূত জেনিফার লি মর্গান, জার্মান ফেডারেল চ্যান্সেলারির স্টেট সেক্রেটারি ড. জর্গ কুকিস, মিসর, ডেনমার্কের প্রতিনিধিসহ বিশিষ্টজনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। তিনি কপ-২৯-এ প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার জন্য আজারবাইজানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধান নেগোসিয়েটর ইয়ালচিন রাফিয়েভের কাছ থেকে একটি আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন।

          সাবের চৌধুরীর বক্তব্য পিটার্সবার্গ ক্লাইমেট ডায়লগে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৪০টি দেশের মন্তিগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং অনেকে মতামতকে সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে ৪০ টি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শ্লোজ এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/সায়েম/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৮২৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর : ৪৩৮২

 

বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন

                                                                                        ---প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী

 

যুক্তরাজ্য, ২৬ এপ্রিল:

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী যুক্তরাজ্যের হসপিটালিটি এবং ক্যাটারিং খাতে কাজ করতে চাওয়া বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ কর্মীদের জন্য ভিসার শর্ত সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।

 

তিনি গতকাল যুক্তরাজ্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) বাংলাদেশ বিষয়ক হাই-প্রোফাইল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এপিপিজি অন বাংলাদেশ চেয়ার রুশনারা আলী এমপিÕর সভাপতিত্বে এ সংলাপে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, বব ব্ল্যাকম্যান, এমপি এবং এপিপিজির ভাইস-চেয়ার লর্ড করণ বিলিমোরিয়া বক্তব্য রাখেন। 

 

প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের চলমান মঙ্গল এবং কল্যাণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের প্রগতিশীল পররাষ্ট্রনীতির ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী এই ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরো বিস্তৃত ও গভীর করার এখনও অনেক ক্ষেত্র অন্বেষণের সুযোগ রয়েছে।

 

তিনি উল্লেখ করেছেন যে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর ও শহরের বাংলাদেশি রেস্তোরাঁগুলো সুদক্ষ কর্মীদের অভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। একারণে যুক্তরাজ্য ন্যূনতম বার্ষিক বেতন ৩৮০০ পাউন্ডে উন্নীত করেছে, যা অনেক রেস্তোরাঁর মালিকদের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য। প্রতিমন্ত্রী, হসপিটালিটি সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক বেতনের শর্ত শিথিল করতে যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানান। 

 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ দক্ষ নির্মাণশ্রমিক এবং খামারশ্রমিক দিতে পারে যারা যুক্তরাজ্যে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবে। প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকার একযোগে বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিকদের জন্য রেস্তোরাঁ কর্মী, চিকিৎসক ও নার্সসহ আরো কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে । 

 

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জানান, যুক্তরাজ্যে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আরো কাজের সুযোগ দেয়ার জন্য কাজ করছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক কেয়ারগিভার যুক্তরাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। উপরন্তু, বাংলাদেশ থেকে মৌসুমী খামার শ্রমিকদের নিয়োগও শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের উচ্চপদস্থ সংসদীয় কর্মকর্তা এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। 

 

প্রতিমন্ত্রী এর আগে ব্রিটিশ বাংলাদেশি চেম্বার অভ্ কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। একই দিনে মন্ত্রী শফিকুর পূর্ব লন্ডনে ইউকে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক সভায়ও যোগ দেন।

 

                                                     #

সৈকত/সায়েম/আব্বাস/২০২৪/১৮৩৩ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৩৮১

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে

                                                                       -অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ বৈশাখ, (২৬ এপ্রিল):

          অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতিটি সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং  অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্র<

2024-04-26-16-50-ad077417d434ec30ddc027dad1eac84d.docx