Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ২২ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর:  ৪৬৪৩

পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি জায়গাকে কাজে লাগানো হবে

                                -- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী

খাগড়াছড়ি, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর):

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী পাহাড়ি অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি জায়গাকে কাজে লাগানো হবে। পাহাড়ে ফলের বাগান করে পার্বত্য জনগণ স্বাবলম্বী হতে পারবে। কফি চাষ, কাজু বাদাম চাষ, তুলা চাষ পার্বত্য অঞ্চলের জন্য সম্ভাবনাময় কৃষি পণ্য হিসেবে পরিগণিত হতে চলেছে।

আজ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলার পাতছড়া ইউনিয়নের থলিবাড়ী এলাকায় কফি ও কাজু বাদাম বাগান পরিদর্শন ও গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত অডিটোরিয়াম ভবন উদ্বোধন শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) নিখিল কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ নুরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) ইফতেখার আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী রেবেকা আহসান, গুইমারা ইউএনও মুতাসেম বিল্লাহ, রামগড় ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আন্তরিকতার সাথে কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্যবাসীদের ভালোবাসেন বলেই খাগড়াছড়ি জেলাতে ৭ নভেম্বর ৪২টি সেতু ও সড়কের উদ্বোধন করেছেন।   তিনি আস্থার সাথে বলেন, পার্বত্য তিন জেলা ফলনের দিক থেকে বাংলাদেশ একদিন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠবে। পার্বত্য ভূমির ফসলে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ হবে একদিন। জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ লাভ করবে। মন্ত্রী পাহাড়ি অঞ্চলে ফল বাগান বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। শুধু তাই নয়, দুই পাহাড়ের মাঝে বাধ দিয়ে পানি সংরক্ষণ করে মাছ চাষের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগের কথা জানান পার্বত্য মন্ত্রী। তিনি বলেন, সমাজের সব ভালো কাজগুলো পরিকল্পিতভাবে করলে বাংলাদেশও উন্নয়নের দিকে এগুবে।

মন্ত্রী বলেন, পুরুষের পাশাপাশি পাহাড়ি নারীরাও স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ছাত্রছাত্রীদের বিনামূলে বই বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা অব্যাহত রেখেছেন। এর আগে কোনো সরকারই দেশের নাগরিকদের এতো সুযোগ সুবিধা ও আর্থিক সুবিধা প্রদান করেনি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য তিন জেলার ২৬টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে নাগরিকদের উন্নয়ন সেবা পৌঁছে দিয়েছে। তিনি ভিজিএফ অনুদান গ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ভিজিএফ-এর চাল বাইরে কম টাকায় বিক্রি না করে নিজের পরিবারের জন্য তা সংরক্ষণ করুন।

মন্ত্রী বলেন, আগে পার্বত্য এলাকায় কোনো মেডিকেল কলেজ ছিল না, বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পার্বত্য জেলাগুলোতে থানা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি সকলকে সাশ্রয়ী ও সঞ্চয়ী হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। এর পর মন্ত্রী গুইমারা বড় পিলাক বাজার সংলগ্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, খাগড়াছড়ির সহায়তায় ৯০টি পরিবারের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহের উদ্বোধন করেন। এছাড়া মন্ত্রী গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপকারভোগীদের মাঝে ৪০টি সেলাই মেশিন, ৪০টি ছাগল, ৪০টি কৃষি উপকরণ স্প্রে মেশিন বিতরণ করেন।

এর আগে মন্ত্রী খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার মহামুনি বৌদ্ধ বিহার অনাথ আশ্রম নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন এবং রামগড় উপজেলার মহামুনী বৌদ্ধ বিহার ছাত্রাবাসের উদ্বোধন করেন। এছাড়া একই দিনে মন্ত্রী রামগড় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

#

রেজুয়ান/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১৩০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর: ৪৬৪২

 

দেশের ৬০ শতাংশ ভৌগোলিক এলাকার প্রায় ১০ কোটি মানুষ দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে

                                                                                                  -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

            আজ রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত শেরাটন ঢাকা হোটেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

            তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।        

            মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, সবার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য “ডিজিটাল বাংলাদেশ” এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভের মধ্যে কানেক্টিং সিটিজেন স্তম্ভটির উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইনফো-সরকার ফেজ-৩ প্রকল্পটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

            ড. মোমেন বলেন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) উদ্যোক্তারা দুই ধরনের ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে, একটি হল পাবলিক সার্ভিস এবং অন্যটি হলো বেসরকারি সেবা। এ সকল সেবা প্রায় ২৬০০ ইউনিয়নের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রদান করা হয়। তিনি আরো বলেন, বিগত  ৪বছর ধরে এই প্রকল্প থেকে উদ্যোক্তাদের বিনামূল্যে ৫ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে, যার ফলে গত ১৩ বছর ধরে গ্রামীণ জনগণকে প্রায় ৮০ কোটি সরকারি পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। ইনফো-সরকার ফেজ-৩ নেটওয়ার্ক থেকে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস এবং অন্যান্য সরকারি অফিসসহ গ্রাম পর্যায়ে ১ লাখ ৯ হাজার ২৪৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের ৬০ শতাংশ ভৌগোলিক এলাকার প্রায় ১০ কোটি মানুষ উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় এসেছে।

            তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নির্বাচনে তার ভিশন ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি গ্রামবাসীদের সকল মৌলিক চাহিদা প্রদান করতে চান। তিনি আমার গ্রাম, আমার শহর নামে ভিশন ঘোষণা করেছিলেন।

            অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনফো-সরকার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (গ্রেড-১: অতিরিক্ত দায়িত্ব) বিকর্ণ কুমার ঘোষ। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য  বিসিসি নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।

            উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্পটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন মোতাবেক জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে গত ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ গেজেটে প্রকাশিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ২৬০০ ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটির উদ্বোধন করেন।

#

শহিদুল/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২০.৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :  ৪৬৪১

 

রাজনীতিতে ত্যাগী ও সাহসী মানুষদের মূল্যায়ন করতে হবে

                                 -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, রাজনীতিতে গুণী ও ত্যাগী ব্যক্তিদের মূল্যায়নের জায়গায় একটা অবক্ষয় এসেছে। কিন্তু সংকটের সময় ত্যাগী মানুষরা না থাকলে ভালো থাকা সম্ভব হতো না। রাজনীতির বর্ণাঢ্য মানুষ, ত্যাগী মানুষ, সাহসী মানুষরা দুঃসময়ে যে ভূমিকা রেখেছে সেটাকে শ্রদ্ধা জানাতে হলে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে।

 

আজ রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

এ সময় মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে আসা লোকরা যতক্ষণ সময় ভালো ততক্ষণ থাকবে, কিন্তু দুঃসময়ে থাকবে না। দুঃসময়ের তাগী ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করলে দল আরো শক্তিশালী হবে। তিনি আরো বলেন, বদিউজ্জামান বাদশার মতো ত্যাগী নেতারা রাজনীতিতে অনুপ্রেরণার উৎস। নিরন্তর শ্রদ্ধার জায়গায় আসীন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষির উন্নয়ন ও ত্রিশ লাখ শহিদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিপাহশালার হিসাবে কাজ করতে হবে।

 

কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

 

#

 

ইফতেখার/পাশা/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ৪৬৪০

 

তামাক-ইলেকট্রনিক সিগারেট-সীসায় আসক্তি রোধে গণমাধ্যমের

ভূমিকা রাখতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর আহ্বান

 

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

 

তামাক, তামাকজাত পণ্য, সিগারেট, ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সীসায় আসক্তি রোধে ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

আজ রাজধানীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে ‘উন্নয়ন সমন্বয়’ সংস্থা আয়োজিত তামাকজাত পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে গণমাধ্যমের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। সংস্থার চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

 

আজীবন অধূমপায়ী তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, সিগারেটের পাশাপাশি এখন উচ্চ মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন ক্যাফেতে সীসাবারে গিয়ে সীসা পান, ইলেক্ট্রনিক সিগারেট পান একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তরুণ ছেলে-মেয়েরা এগুলোতে প্রচণ্ডভাবে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এটা রোধ করতে গণমাধ্যম নানাভাবেই ভূমিকা রাখতে পারে।

 

মন্ত্রী বলেন, এখন ৩৬টির মতো টিভি চ্যানেল। তারা ভেপিং মেশিন, ইলেক্ট্রনিক সিগারেট ও সীসার ক্ষতিকর প্রভাবের ওপর নিয়মিত প্রতিবেদন করতে পারে। অন্য গণমাধ্যমও এটি করতে পারে। অপকারিতা ছাড়া এগুলোর কোনো উপকারিতা নাই। সুতরাং এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।

 

তামাকজাত পণ্য আমদানি ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ এবং বিশেষ করে অনলাইনে অর্ডার বন্ধ করতে এ সব বিষয়ে কর্মরত বেসরকারি সংস্থাগুলোকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দেন ড. হাছান। 

 

উন্নয়ন সমন্বয় সভাপতি ড. আতিউর রহমান বলেন, নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে ও জাতিকে সুস্থ রাখতে হলে তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। গণমাধ্যমকে এর সহযাত্রী হতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে আয়োজক সংস্থার গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নদভী মূল প্রবন্ধ ও জ্যেষ্ঠ প্রকল্প সমন্বয়ক শাহীন উল আলম স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

 

#

 

আকরাম/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৮৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :৪৬৩৯

 

আমদানিকৃত কোনো পণ্য মেলায় প্রদর্শন কিংবা বিক্রয় করা যাবে না

   -- শিল্প প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর):

 

       শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ম জাতীয় এসএমই পণ্য                                  মেলা-২০২২ অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্যোক্তাদের জন্য ৩২৫টি প্রতিষ্ঠানের ৩৫০টি স্টলের ব্যবস্থা থাকবে, মেলায় বিদেশি বা আমদানিকৃত কোনো পণ্য  প্রদর্শন কিংবা বিক্রয় করা যাবে না।

      আজ রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে ১০ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২২ উপলক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

      প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ অনুযায়ী কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি যন্ত্রপাতি, আইসিটি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল, পাট ও পাটজাত, প্লাস্টিক, হস্ত ও কারু শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত এসএমই প্রতিষ্ঠানসমূহকে মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।

      প্রতিমন্ত্রী বলেন, শতভাগ দেশীয় পণ্যের এই মেলায় দেশীয় উৎপাদনকারী অথবা সেবামূলক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারাই মেলায় পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪০ শতাংশ পুরুষ উদ্যোক্তা। মেলায় অংশ নিচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইন খাতের সবচেয়ে বেশি ১৩০টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ৪৫টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৬টি, পাটজাত পণ্যের ৩৫টি, আইসিটি পণ্য-সেবার ৮টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের ৬টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাতের ৩টি, প্লাস্টিক পণ্যের ৫টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে।

              উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, গত ৯টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১ হাজার ৮ শত ৮৬জন উদ্যোক্তা প্রায় ৩৩ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় এবং প্রায় ৫৪ কোটি টাকার অর্ডার গ্রহণ করে। সার্বিক বিবেচনায় উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং ঋণ প্রদান সহজীকরণ করতে হবে।

           সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

#

     

আবুল/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/লিখন/২০২২/১৬৪১ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :  ৪৬৩৮

 

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই নয়াপল্টনে সমাবেশ চায় বিএনপি

                                         -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তারা ময়দান ছেড়ে নয়াপল্টনের রাস্তায় সমাবেশ চায়।’

আজ রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় এনজিও’র তামাকবিরোধী মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। উন্নয়ন সমন্বয় চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

‘আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি তাদের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ মাঠে নয়, নয়াপল্টনের রাস্তায় করতে চায়’ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরে এবং আশপাশে এতো মাঠ থাকতে উনারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, উদ্দেশ্য কী! নয়াপল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে, জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে। এই উদ্দেশ্যে তারা নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনে ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়! এর পেছনে হীন উদ্দেশ্য আছে।’

মির্জা ফখরুলের মন্তব্য ‘কোনো বাধাই বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে ঠেকাতে পারবে না’ এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, আমরা তো কাউকে কোনো বাধা দিতে চাইনি এবং বাধা দিলে তারা সমাবেশ করতে পারতো না। বরং বাধা তারা আমাদের দিয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে সারা দেশব্যাপী বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হত্যা করেছে। অথচ তাদের মিটিংয়ে কি আজ পর্যন্ত একটি পটকা ফুটেছে! একটা মিটিং পণ্ড করতে দু’টি পটকাই যথেষ্ট। যে দিন সভা হয় তার দু’তিনদিন আগে তিন-চারটা পটকা ফুটলেই তো মিটিং পণ্ড। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছি যাতে তারা ভালোভাবে সমাবেশ করতে পারে এবং তারা ভালোভাবে সমাবেশ করছে।’

জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘এদেশে জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি। বেগম জিয়া জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং বিএনপির জোটের মধ্যেই জঙ্গিগোষ্ঠি আছে। আজকে জঙ্গিদের আস্ফালনের সাথে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য একসূত্রে গাঁথা। তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায় কারণ তারা চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।’

‘কিন্তু বিশ্বে যখন যুদ্ধ চলছে, বিশ্ব অর্থনীতি যখন টলায়মান তন্মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, গয়েশ্বর বাবু তারা যাই বলুক না কেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলে গেছেন- বাংলাদেশ এই সংকটের মধ্যেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি অন্য দেশের জন্য উদাহরণ’ জানান হাছান। তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব তো শিক্ষিত মানুষ। আমি আশা করবো, তিনি একটু পড়াশোনা করবেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপট দেখবেন আর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সম্পর্কে কী বলছেন সেটাও শুনবেন।’

 

#

আকরাম/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/১৮৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ৪৬৩৭

 

ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করা হবে

                                                                              --বাণিজ্যমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

 

          বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিতে এখন থেকেই সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, গতবছর  আমরা ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।  বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমরা সবাই কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ চলছে। মন্ত্রী বলেন, চলমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় করণীয় ঠিক করতে আমরা দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করবো। প্রয়োজনে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে মতবিনিময় করবো। দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত রাখতে হবে।

 

          আজ ঢাকায় পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৮-২০১৯’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

          বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। ট্রফিপ্রা

 

প্তদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রিফাত গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ এবং পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অমৃত মাকিন ইসলাম।

 

          উল্লেখ্য, এবার ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯টি স্বর্ণ, ২৪টি রৌপ্য, ১৮টি ব্রোঞ্জ ট্রফি এবং সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ) প্রদান করা হয়।

 

#

বকসী/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :৪৬৩৬

 

ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষ‌্যে স্মারক ডাকটিকিট

অবমুক্ত করলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর):

 

কাতারে শুরু হয়েছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় উৎসব ২২তম ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। ফুটবল বিশ্বকাপের এই রোমাঞ্চকর মুহুর্ত স্মরণীয় করে রাখতে ডাক অধিদপ্তর দশ টাকা মূল‌্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ত্রিশ টাকা মূল‌্যমানের একটি স‌্যুভেনির শিট ও দশ টাকা মূল‌্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছে। একই সাথে পাঁচ টাকা মূল‌্যমানের একটি ডেটাকার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়েছে।

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স‌্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডেটা কার্ড ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হারুন উর রশীদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 এ সময় মন্ত্রী ফুটবলকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা আখ‌্যায়িত করে বলেন, প্রথমদিকে শুধু শখের বশেই এই খেলাটি খেলা হতো, যা আন্তর্জাতিক রূপ ধারণ করে ১৮৭২ সালে। গ্লাসগোতে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। একটা সময় ফুটবলের গণ্ডি ছিল শুধুই অলিম্পিক। ১৯০৮ সালে লন্ডনে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফুটবল প্রতিযোগিতা আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। কাতারই মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম কোনো দেশ যারা ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করছে । মন্ত্রী  এসময়  ২২তম ফিফা বিশ্বকাপের সফলতা কামনা করেন।

#

 শেফায়েত/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/লিখন/২০২২/১৬৪১ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৬৩৫

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৫৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।    

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৩১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮ জন।

 

 

কবীর/পাশা/রাহাত/রেজাউল/২০২২/১৬৪৫  ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৪৬৩৪

নদীগুলোকে দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে

-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

রাজশাহী, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর ):

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। নদী-নালা, খাল-বিল রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অগ্রগামী মানুষ আর কেউ নেই। নদীগুলোকে রক্ষা করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কাজ করছে। আমরা চাই নদী রক্ষায় বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে আসুক, সচেতন হোক। নদীগুলোকে দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত’ আত্রাই, ইছামতি, বড়াল, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর সমীক্ষা ’শীর্ষক প্রকল্পের রাজশাহী বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-নদীগুলোকে রক্ষা করতে না পারলে দেশকে বাঁচানো যাবেনা। নদীগুলো আমাদের শরীরের শিরার ন‍্যায় কাজ করছে। নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে ।’ তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন-জলাভূমিতে বাঁধ দিয়ে কিছু করা যাবেনা। ফসলি জমি নষ্ট করা যাবেনা। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি সিলেটসহ দেশের অনেক অঞ্চলে  বন‍্যা ও দুর্যোগ বেড়ে গেছে। আকস্মিক বন‍্যায় যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ‍্যে সার্ভে করা হচ্ছে। সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। নদী, খাল,বিল ও জলাশয় রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী 'বদ্বীপ' পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। নদী রক্ষায় জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা  কমিটি কাজ করছে। দখল ও দূষণমুক্ত করার জন‍্য প্রকল্প নেয়া হয়েছে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন থেকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের সাথে কানেক্টিভিটি বাড়াতে আমরা কাজ করছি। কাস্টমসের সাথে আলোচনা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ি- ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত নৌ প্রটোকল রুটটি চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ‘৪৮টি নদী সমীক্ষা প্রকল্প’ ও রাজশাহী বিভাগীয় নদী রক্ষা কমিটি এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় সমীক্ষাকৃত আত্রাই, ইছামতি, বড়াল, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর দখল, দূষণ, ভাঙন ও নাব্যতাসহ সমীক্ষায় প্রাপ্ত অন্যান্য তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয়।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার

2022-11-22-15-53-99ef49e6387c919b50307ffdf3c68197.docx