তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৭৮
উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান করা হচ্ছে
--- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মে প্রবেশের হার আগের চেয়ে বেড়েছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিজনেস এন্ড ডিজ্যিাবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিবিডিএন) আয়োজিত প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকুরি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে তারা পরিবার বা সমাজের বোঝা হবে না, সম্মানজনক জীবন যাপন করতে পারবে। তাদের কর্মসংস্থানের কাজটি সরকারের পক্ষে একা করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বেসরকারি পর্যায়েও ভূমিকা রাখতে হবে। যেভাবে প্রাইভেট সেক্টর এগিয়ে আসছে এবং প্রতিবন্ধীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুয়োগ তৈরি করে দিচ্ছে তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে আমাদের একটু সংবেদনশীল, সহমর্মিতা ও সচেতনতা হওয়া দরকার।
মন্ত্রী আরো বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রাম আছে, যার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। নানা রকমের প্রচলিত ট্রেডের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের ট্রেনিং দেয়া যায় তারা সমাজের বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হবে। এ সময় তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা বিবেচনায় রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে মন্ত্রী চাকুরি মেলার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরিপ্রাপ্তদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।
#
জাকির/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৭৭
পরিবেশগত সহযোগিতা গড়তে সংযুক্ত আরব আমিরাতের
পরিবেশমন্ত্রীর সাথে পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরীর বৈঠক
দুবাই, (১৯ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সে দেশের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. আমনা বিনতে আবদুল্লাহ আল দাহাকের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এবং মন্ত্রী আল দাহাক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, বন সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে মূল্যবান মতামত এবং কৌশল বিনিময় করেন। উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব কমাতে এবং পরিবেশ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে টেকসই পদ্ধতি এবং নীতি প্রয়োগের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী প্যারিস চুক্তি এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তিতে উল্লিখিত পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সমর্থনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সামগ্রিক পরিবেশগত উদ্দেশ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি COP28 থেকে উদ্ভূত UAE ঐকমত্য, বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন বলে জানান।
মন্ত্রী আল দাহাক জলবায়ু পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্ব নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এবং বিশ্ব অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা করার সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি নবায়নযোগ্য শক্তি, সংরক্ষণ প্রয়াস এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপক কৌশলগুলোতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগ এবং বিনিয়োগ তুলে ধরেন। এ সময় উভয় মন্ত্রীই পরিবেশ রক্ষায় উভয় দেশের যৌথ দায়িত্বের কথা স্বীকার করেন এবং আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত কৌশল ও কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আলী আল সায়েঘের সাথে ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয় মন্ত্রীই বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন করে গুরুত্বারোপের মাধ্যমে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতে সম্মত হন।
#
দীপংকর/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২২৩৫ ঘণ্টা
Handout Number: 3076
Environment Minister Saber Chowdhury Meets
with UAE Counterpart to Forge Environmental Cooperation
Dubai, 19 February:
Today, the Environment, Forest and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury engaged in a bilateral meeting with the Minister of Climate Change and Environment of the United Arab Emirates Dr. Amna bint Abdullah Al Dahak.
The meeting, held in Dubai, marked a significant step towards fostering collaboration between the two nations in addressing pressing climate change, environmental and sustainability challenges.
During the discussions, Minister Chowdhury and Minister Al Dahak exchanged valuable insights and strategies aimed at tackling climate change, preserving forests, and safeguarding the environment for future generations. Both parties expressed a strong commitment to implementing sustainable practices and policies to mitigate the adverse effects of climate change and promote environmental conservation.
Minister Chowdhury emphasized Bangladesh's dedication to achieving its environmental goals outlined in various international agreements, including the Paris Agreement and the United Nations Sustainable Development Goals. He underscored the importance of international partnerships and cooperation in achieving collective environmental objectives. He said for the implementation of UAE Consensus originating from COP28, Bangladesh’s National Adaptation Plan and Mujib Climate Prosperity Plan requires international and bilateral cooperation and solidarity.
Minister Al Dahak commended Prime Minister Sheikh Hasina’s global leadership in climate change and reiterated UAE's commitment to collaborating with Bangladesh and global partners to address climate change challenges effectively.
The meeting concluded with a mutual agreement to enhance cooperation through knowledge sharing, technical assistance, and joint initiatives. Both ministers affirmed their countries' shared responsibility in safeguarding the planet and pledged to work closely together to advance environmental sustainability at regional and global levels.
Earlier today Environment Minister Saber Hossain Chowdhury held a productive bilateral meeting with State Minister for Foreign Affairs Ahmed Ali Al Sayegh at the Ministry of Foreign Affairs in Abu Dhabi, United Arab Emirates.
Both agreed to strengthen partnership amongst the two brotherly nations with renewed focus on trade and investment.
#
Dipankar/Rafiqul/Joynul/2024/2200 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৭৫
বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে এসিল্যান্ডদের ভূমি অফিস পরিচালনা করতে হবে
--- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি):
বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে ভূমি অফিসে ভূমিসেবা প্রদানে নিয়োজিত বিভিন্ন পর্যায়ের গণকর্মচারীদের পরিচালনা করার জন্য এসিল্যান্ডদের অনুশাসন দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
ভূমিমন্ত্রী আজ তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনের কেন্দ্রীয় সেমিনার হলে ভূমি সংস্কার বোর্ড আয়োজিত ‘দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল এর সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান।
মন্ত্রী কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী এডিসি রেভিনিউ ও এসিল্যান্ডদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের আওতায় যারা কাজ করে নাগরিকদের ভূমি সেবা দিচ্ছেন, যেমন কানুনগো, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার, তাদের কাজে আপনাদের নেতৃত্বের প্রতিফলন হয়। কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ডের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কালেক্টরেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)গণ অংশগ্রহণ করেন।
ভূমি প্রশাসনে নেতৃত্ব দেওয়ায় এগিয়ে থাকতে হলে ভূমি বিষয়ক আইন-কানুন ও বিধিবিধানসহ সংশ্লিষ্ট জ্ঞান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আয়ত্তে থাকতে হবে। এসময় ভূমি বিষয়ক আইন-কানুন ও বিধিবিধান নিয়মিত চর্চা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন ভূমিমন্ত্রী। একইসাথে তিনি সেবা প্রদানের মানসিকতা নিয়ে কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বান জানান।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রী আরো বলেন, স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে গতি আনতে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এই পরিকল্পনার আওতায় বেশকিছু জেলায় অবস্থিত ভূমি অফিসসমূহকে নিবিড় তত্ত্বাবধানে আনা হচ্ছে।
ভূমি সচিব জানান, ভূমি প্রশাসনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা না পেলে সামগ্রিকভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। কেননা প্রতিটি সেক্টরই ভূমির সাথে সম্পৃক্ত। এই সময় সচিব জানান, ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান ও ম্যাপ সেবা নিতে বর্তমানে আলাদাভাবে সিস্টেমে প্রবেশ করতে হয়; ভূমিসেবা গ্রহীতাদের সুবিধার্থে একবার লগইন করেই যেন প্রতিটিতে এই সেবা গ্রহণ করা যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
#
নাহিয়ান/ফয়সল/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৭৪
দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে
জনপ্রতিনিধিদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে
--আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন, (১৯ই ফেব্রুয়ারি) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে সকলের সহায়ক ভূমিকা অপরিহার্য। এতে করে আমরা আত্মনির্ভরশীল বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো।
তিনি আজ বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভায় পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক কল্যাণে সমন্বিত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সারাদেশে গণমুখী ও বাসযোগ্য টেকসই গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তথাকথিত আন্দোলনের নামে দেশকে পিছনের দিকে ঠেলে দিতে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি এসব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
#
আহসান/ফয়সল/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/২০১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৭৩
ইউনেস্কোর প্রতিনিধির সঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তাঁর দপ্তরে ইউনেস্কো বাংলাদেশ এর প্রধান ড. সুজান ভাইজ সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এআই লিটারেসি, সাইবার সুরক্ষা ও প্রয়োজনীয় আইন এবং নীতিমালা নিয়ে আইসিটি বিভাগ ও ইউনেস্কো কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, ডিজিটাল লিটারেসি-এর মাধ্যমে সহনশীল এবং প্রগতিশীল প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইউনেস্কোর সাথে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট’ এর আওতায় এটুআই প্রকল্প ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, আগামী দিনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং ব্যবসায়ীদের আরো বেশি সচেতন করে গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিক এবং প্রশাসনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদেরকেও এআই সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তোলা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এআই নীতিমালা প্রণয়ন ও আইন করা হবে। এ নিয়ে ইউনেস্কো বাংলাদেশকে সহযোগিতার পথরেখা তৈরি করছে। তিনি বলেন, ইউনেস্কোর সঙ্গে ১৮-২৫ বছরের শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে ‘এটুআই হিউম্যান ডেভলপমেন্ট মিডিয়া উইং’। এছাড়াও সারা দেশে স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসমূহে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এআই বিষয়ে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সচেতন করা হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে আইসিটি বিভাগ এবং ইউনেস্কো একসাথে কাজ করবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় যে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরকে স্মার্ট দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সরকারের সেবাগুলো পেপারলেস এবং তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
ইউনেস্কো বাংলাদেশ এর প্রধান ড. সুজান ভাইজ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতার বেশ কয়েকটি ভালো জায়গা খুঁজে পেয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম এআই। এ সময় স্মার্ট সিটি, স্মার্ট সিটিজেন ও স্মার্ট লিডার গড়তে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান ইউনেস্কো বাংলাদেশ প্রধান।
#
নাজির/ফয়সল/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৭২
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠান ২৫ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি):
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৪’ উদ্যাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। এ অনুষ্ঠানে সারা দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার জনপ্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
#
হাবিবুর/ফয়সল/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৭১
টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি):
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :
মূলবার্তা :
‘আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক ২০২৪ প্রদান করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।’
#
আইরীন/ফয়সল/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৭০
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে
--দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন, (১৯ই ফেব্রুয়ারি) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান বলেছেন, গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আমাদের কক্সবাজার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সালে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার তাদের উদারভাবে গ্রহণ করে আশ্রয় দিয়েছে। তবুও এই উদারতা আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি বড় আকারের বোঝা হিসেবে পরিণত হতে বেশি সময় নেয়নি। বছরে আমাদের এই খাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। এছাড়াও শরণার্থীদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিদেশি সাহায্য কমে আসার কারণে খরচের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি শরণার্থীদের আগমনের কারণে স্থানীয় চাকরির বাজারেও প্রভাব পড়েছে, শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমের মূল্য কমেছে। ফলে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন ধরনের সমাধানে না আসা পর্যন্ত এই সমস্যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে রেখেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার গুলশানে এজ গ্যালারিতে ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি (আইআরসি) আয়োজিত ‘থ্রু দ্য লেন্স অফ হোপ: রোহিঙ্গা ক্রাইসিস আনফোল্ডেড’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হল নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, আইআরসির এমন একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করছি, যার মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা সংস্থা, ইউএসএইড এবং বিশ্বনেতারা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট হতে পারবেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, ইউএসএইড-এর মিশন ডিরেক্টর রিড জে একিলম্যান, ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি এমএস সুম্বুল রিজভি, ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা রহমানসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা, মিশন, জাতিসংঘ এবং এনজিও প্রতিনিধি এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
#
সেলিম/ফয়সল/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬৯
এন্টিমাইক্রোবিয়াল এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন, (১৯ই ফেব্রুয়ারি) :
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) একটি জরুরি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আবদুর রহমান বলেছেন, রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুসমূহ এন্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধসমূহের প্রতি তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি করে চলেছে। ফলে বিশ্বজুড়ে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসাবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহ এ সমস্যায় সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রাণিস্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে এন্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার করা হয় তা যেন যথাযথ হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
আজ ঢাকার গুলশানে বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থা (WOAH) এর কারিগরি সহায়তায় ‘এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার ও করণীয়’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ সালাউদ্দিন, বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. নাহোকো ইডা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ট্যারেন্স টিনো ফুসায়ার বক্তব্য প্রদান করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এন্টিমাইক্রোবিয়াল মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের জন্য একটি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। এন্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহারে প্রাণিস্বাস্থ্যের ওপর যেমন প্রভাব রয়েছে তেমনি পরিবেশের ওপরও প্রভাব রয়েছে। তবে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে এন্টিমাইক্রোবিয়ালস এর ব্যবহারের পরিমাণ জানা এবং এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি।
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)-কে জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটা সময় জীবন বাঁচানোর তাগিদে আমরা এন্টিবায়োটিক পাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলাম, কিন্তু বর্তমানে এর যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে এটি ভয়ানক রূপে ধরা দিয়েছে। তিনি এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এর অশুভ প্রভাব যেন গবাদিপশু, মাছ, মাংসে না পড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রাণিচিকিৎসায় রেজিস্ট্যার্ড ভেটেরিনারিয়ানের প্রেসক্রিপশন এবং পরামর্শ ছাড়া এন্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার করা উচিত নয় উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মানব ও প্রাণিস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)-এর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের কৃষকদের সচেতন করা দরকার। তিনি এন্টিমাইক্রোবিয়ালের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল খামার পর্যায়ে কার্যকর নিয়ন্ত্রকের কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিজ আমিষ যেমন মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি এবং দুধ উৎপাদনে বর্তমানে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও অচিরেই তা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
তিনি জানান, বাংলাদেশ একটি জাতীয় এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) সার্ভিলেন্স কর্মপরিকল্পনা ২০২০-২৫ প্রণয়ন করেছে এবং একইসাথে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক জাতীয় কর্মকৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৭ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
#
নাজকমুল/ফয়সল/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/১৮৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬৮
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন, (১৯ই ফেব্রুয়ারি) :
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)-এর সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূত IWAMA Kiminori আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ‘হস্তশিল্প’-কে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেন, সরকার ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য বাড়াতে কাজ করছে। তিনি এ কর্মসূচি সফল করতে জাপানের অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত এ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়ে ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে জানান, জাপান বাংলাদেশকে সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জাপান অংশীদার হয়ে কাজ করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত এ সময় আগামী বছর জাপানে অনুষ্ঠিতব্য ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫’- এ বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
#
আসিফ/ফয়সল/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬৭
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এর প্রতিবেদনে ভুল তথ্য আছে, বাস্তবতার প্রতিফলন নেই
--তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন, (১৯ই ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২৩ সালের মে মাসে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে ভুল তথ্য আছে এবং সেখানে বাস্তবতার প্রতিফলন নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এর প্রতিবেদন ও র্যাংকিং নিয়ে প্রেস ব্রিফ্রিংকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস্ (আরএসএফ)-এর ওয়েবসাইটে যে প্রতিবেদন ও র্যাংকিং প্রকাশ হয়েছে, তা নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে হতাশা আছে। ওয়েবসাইটে ভুল, অর্ধসত্য ও অপর্যাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ১৬৩তম দেখানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশ, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার জন্য বর্তমান সরকারের অব্যাহত উদ্যোগকে অস্বীকার করা হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার অবাধ স্বাধীনতার প্রকৃত চিত্রের বিপরীতে আরএসএফ-এর মূল্যায়ন অগ্রহণযোগ্য, পক্ষপাতদুষ্ট এবং সত্যের বিচ্যুতি বলে সরকার মনে করে।
অধ্যাপক আরাফাত বলেন, আরএসএফ-এর ওয়েবসাইটে ছয়জন সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম রতন, আহমেদ খান বাবু, গোলাম মোস্তফা রফিক, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান এবং এস এম ইউসুফ আলী সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে যে তারা আটক হয়ে জেলে আছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী তাদের নিয়ে আরএসএফ-এর এ দাবি অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন।
ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আরএসএফ-এর প্রতিবেদনে প্রচুর ভুল, অর্ধসত্য, অসত্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে র্যাংকিং করা হয়েছে। এ ধরনের সূচক বা র্যাংকিংকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অনেকেই আমাদের সাথে কথা বলার সময় বলতে চান যে আমাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। এ র্যাংকিং পুনর্মূল্যায়নের জন্য আরএসএফকে দাপ্তরিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আরএসএফ-এর বাংলাদেশ অধ্যায়ে বর্ণিত তথ্য অসম্প