তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৬৪
মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য স্যানিটেশন
ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপন কাজ চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ৪ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে সরকারি উদ্যোগে নেয়া স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নলকূপ বসানো ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নলকূপ ও স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে।
এ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২ হাজার ১ শত ৯০টি নলকূপ এবং ৪ হাজার ১০টি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসব কেন্দ্রে ৩ হাজার নলকূপ ও ৫ হাজার স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ করা হবে।
চৌদ্দটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তিন হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৭টি ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ক্যারিয়ারের মাধ্যমে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পানি বিতরণ ব্যবস্থা সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে রাস্তার পাশে ১ হাজার লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ১১টি ওয়াটার রিজার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। ওয়াটার ক্যারিয়ারের মাধ্যমে রিজার্ভারসমূহে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজারে ১০ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ভা-ারে আরো ১২ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোধে ইতোমধ্যে ৫১ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লিচিং পাউডার ছিটানো অব্যাহত আছে। এগারটি আশ্রয়কেন্দ্রে মহিলাদের জন্য ৪ ইউনিট বিশিষ্ট প্রতি কেন্দ্রে ১০টি করে ১১০টি বা ৪৪০ ইউনিট গোসলখানা নির্মাণ কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ১৫০ ইউনিট গোসলখানা নির্মাণ করা হয়েছে।
#
সাইফুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৬৩
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ৪ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৮ শত ৫০ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩ শত ৩৪ জন নারী মিলে ২ হাজার ১ শত ৮৪ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৭ শত জন পুরুষ ও ১ হাজার জন নারী মিলে ১ হাজার ৭ শত জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৫ শত ৭২ জন পুরুষ ও ৭ শত ৮৫ জন নারী মিলে ১ হাজার ৩ শত ৫৭ জন, থাইংখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ৫ শত ৭০ জন পুরুষ ও ৭ শত ৭২ জন নারী মিলে ২ হাজার ৩ শত ৪২ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ৫৫ জন পুরুষ ও ৮ শত ৯৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯ শত ৫৪ জন, লেদা ক্যাম্পে ৭ শত ৯৪ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৬ শত ৬১ জন নারী মিলে ২ হাজার ৪ শত ৫৫ জন এবং পুরোদিনে ৬টি কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ৯ শত ৯২ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ২ লাখ ২৪ হাজার ১ শত ৫০ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
#
সাইফুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৬২
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
উখিয়া (কক্সবাজার), ৪ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ৪৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৫৯ ট্রাকের মাধ্যমে ১৪৫ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২৮ হাজার ৯ শত ৮৭ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২২ হাজার ১ শত ৫৬ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ১ হাজার ২ শত ৫০ প্যাকেট রান্না করা খাবার, ১ হাজার ৫ শত পিস পোশাক, ১ হাজার ২ শত ৬০ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী, ৫ শত পিস স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরির সমগ্রী, ৫ শত পিস নির্মাণসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
#
সাইফুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৬১
বাহামায় কমনওয়েলথ মহাসচিবের সাথে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
ঢাকা, ৪ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বাহামার রাজধানী নাসাউ-এ অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের আইনমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি গতকাল কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড এর সাথে বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী কমনওয়েলথের সকল মূল্যবোধ ও কার্যক্রমের প্রতি বাংলদেশের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করার কারণে কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলদেশের যে প্রশংসা করেছেন-সে জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় আইনমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান তুলে ধরেন।
বৈঠকে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সফলতা-বিশেষ করে নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ সমাজ গঠনে সফলতা অর্জন করায় প্রশংসা করেন। এছাড়া কমনওয়েলথে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি। এ সময় মহাসচিব ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের সরকার প্রধানদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদান ও তাঁর মুখ্য ভূমিকা পালনের আশা ব্যক্ত করেন।
১৬ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বাহামার রাজধানী নাসাউ-এ অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের আইনমন্ত্রীদের সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশ নেন। এবারের সম্মেলনের মূল বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে : ঝঃৎবহমঃযবহরহম ঃযব জঁষব ড়ভ খধি ঃযৎড়ঁময ঞবপযহড়ষড়মু.
সাম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলাদেশে বিচার বিভাগে ই-জুডিসিয়ারি বিষয়ক কার্যক্রমসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। সম্মেলনে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে বিচার বিভাগের মানোন্নয়নের পাশাপাশি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঈঁষঃঁৎব ড়ভ ওসঢ়ঁহরঃু বা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকা- ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকা- মামলার বিচার করেছে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করছে।
#
রেজাউল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৬০
ঢাকা শহরকে নান্দনিক নগরীতে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ চলছে
--- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
ঢাকা শহরকে একটি নান্দনিক নগরীতে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠা প্লাস্টিক, মুদ্রণ, কেমিক্যাল ও হালকা প্রকৌশল শিল্প কারখানাগুলোকে ঢাকার বাইরে পরিকল্পিত শিল্পনগরীতে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিসিকের আওতায় খাতভিত্তিক পৃথক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলেই হাজারিবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তর সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
৪৮তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে ‘নান্দনিক নগরায়নে মান’ (ঝঃধহফধৎফং গধশব ঈরঃরবং ঝসধৎঃবৎ) শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আজ এ কথা জানান। রাজধানীর বিএসটিআই মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসটিআই’র মহাপরিচালক মোঃ সাইফুল হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) ও বিএসটিআই’র পরিচালক (মান) আ ন ম আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, নান্দনিক নগর নির্মাণের সাথে নির্মাণসামগ্রীর গুণগতমান জড়িত। নির্মাণ কাজে মানসম্মত সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা বিএসটআিই’র দায়িত্ব। এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সাথে নির্মাণসামগ্রীর গুণগতমান পরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের অসাধুতার আশ্রয় নিয়ে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রীর অনুকূলে মানসনদ দিলে তা ক্রেতাদের জন্য ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন।
মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, নান্দনিক বা স্মার্টনগর গড়ে তোলার জন্য নগরবাসীর চিন্তায় পরিবর্তন আনা জরুরি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে স্মার্ট নগরী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোবাইল কন্ট্রোল সড়ক বাতি চালু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার এলইডি স্ট্রিট লাইট স্থাপনের পাশাপাশি ৯০ শতাংশ সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। নগরবাসীর শরীরচর্চা ও বিনোদনের জন্য আগামী বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিকমানের ১২টি খেলার মাঠ ও ১৯টি পার্ক নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হবে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ওয়াসার দায়িত্ব হলেও নাগরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন একাজে সহায়তা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
#
জলিল/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৫৯
গৃহায়ন অর্থায়ন মেলা ২০১৭ শুরু
গ্রামে একাধিক তলার ভবন নির্মাণ করে কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে
--- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
ঢাকা, ৪ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
আজ থেকে হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী ‘গৃহায়ন অর্থায়ন মেলা ২০১৭’। বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) এ মেলার আয়োজন করেছে। জাতীয় গৃহায়ন নীতি ২০১৬, রূপকল্প ২০২১ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টকে সমন্বিত করে বর্তমান সরকারের সবার জন্য আবাসন ঘোষণাকে সফল করতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্টল স্থাপন করেছে।
এ উপলক্ষে আজ হোটেল সোনারগাঁওয়ের ব্যালকনি হলে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আবাসন চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ চাহিদা পূরণে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমি নষ্ট করে বাড়িঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। কৃষিজমি সুরক্ষা করা না গেলে দেশ খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়বে। তাই শুধু শহরের নয়, গোটা দেশের একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর এ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে। পারিবারিকভাবে সম্পদ ও জমিজমা অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন হলেও কৃষিজমি রক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে। অংশীদারদের বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে পৈতৃক ভিটায় চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তলাসম্পন্ন বাড়ি নির্মাণ করতে হবে। এ বিষয়ে ঋণ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনকে তাদের কর্মপরিধি বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে হলে ব্যাংকঋণের সুবিধা বাড়াতে হবে এবং সহজ শর্তে এক অংকের ডিজিটের সরল সুদ নির্ধারণ করতে হবে। দেশের শতকরা ৭২ ভাগ লোক গ্রামে বসবাস করে এবং দেশের মোট গৃহের ৮১ভাগ গ্রামে অবস্থিত। এই ৮১ভাগ গৃহের মধ্যে ৮০ ভাগই নি¤œমানের কাঠামো। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যত্রতত্র বাড়িঘর নির্মাণ করায় প্রতিদিন প্রায় ২৩৫ হেক্টর কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। এভাবে বছরে প্রায় একশতাংশ কৃষিজমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিএইচবিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ ইউনুসুর রহমান, বিএইচবিএফসি’র চেয়ারম্যান শেখ আমিনউদ্দিন আহমেদ, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোঃ আবু সাদেক, রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলআমিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ও বিএইচবিএফসি’র মহাব্যবস্থাপক জাহিদুল হক।
পরে মন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়ি নির্মাণে কী ধরনের সুবিধা দিচ্ছে তার খোঁজ-খবর নেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় ৫০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে।
#
কিবরিয়া/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৫৮
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী উদ্যাপন শনিবার
ঢাকা, ৪ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী (২৫ বছরপূর্তি) উপলক্ষে আগামী ২১ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টায় নিউ বেইলি রোডস্থ সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হবে। এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্য এবং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন।
শোভাযাত্রাটি বেইলি রোড, হেয়ার রোড ও শহিদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী রোড হয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হবে।
উল্লেখ্য, উন্নত শিক্ষার পরিবেশ ও কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল বিবেচনায় সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ এ বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে সারাদেশের মধ্যে ‘সেরা মহিলা কলেজ’ নির্বাচিত হয়েছে।
#
কানিজ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৫৭
উত্তরা-টঙ্গী উড়ালসেতু ও টঙ্গী সেতু নির্মাণে চুক্তি স¦াক্ষর
ঢাকা, ৪ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে গৃহীত বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের আওতায় উত্তরা হাউজবিল্ডিং থেকে টঙ্গী চেরাগ আলী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসেতু এবং দশ লেনবিশিষ্ট টঙ্গী সেতু নির্মাণকাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
এ লক্ষ্যে আজ সেতু ভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি’র উপস্থিতিতে সেতু বিভাগের সাথে চীনের নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স¦াক্ষর হয়। চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ এবং জিয়াংসু প্রোভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ঝাং শিয়াও য়্যু (তযধহম ঢরধড় ণঁ) নিজ নিজ পক্ষে স¦াক্ষর করেন।
এসময় মন্ত্রী জানান, চুক্তি অনুযায়ী সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড ফ্লাইওভার এবং টঙ্গী সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় নয়শত পঁয়ত্রিশ কোটি টাকা। উড়ালসেতুটির সাড়ে তিন কিলোমিটার হবে ছয়লেনের এবং এক কিলোমিটার হবে দুইলেনের। আগামী ত্রিশ মাসের মধ্যে ফ্লাইওভার ও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে মন্ত্রী এসময় আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম, বিআরটি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সানাউল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
নাছের/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৫৬
সাতটি প্রতিষ্ঠান ১১টি কন্টেইনার জাহাজ সংগ্রহ ও নির্মাণ করেছে
ঢাকা, ৪ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
দেশের অভ্যন্তরে এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে কন্টেইনার পরিবহনের জন্য সরকারি-বেসরকারি সাতটি প্রতিষ্ঠান ১১টি কন্টেইনার জাহাজ নির্মাণ ও আমদানি করেছে। ১৩টি কন্টেইনার জাহাজ নির্মাণাধীন রয়েছে।
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কন্টেইনার জাহাজ নির্মাণ ও আমদানি সংক্রান্ত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী জ্ঞান রঞ্জন শীল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় দেশের অভ্যন্তরে এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে কন্টেইনার পরিবহনের জন্য সরকারি-বেসরকারি ৪১টি প্রতিষ্ঠানকে কন্টেইনার জাহাজ নির্মাণ ও আমদানির অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তিনটি, করিম গ্রুপ দু’টি ও ক্রিস্টাল লজিস্টিকস একটি জাহাজ সংগ্রহ এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী দু’টি, নিপা পরিবহন, আরিয়ান ট্রেডার্স লিমিটেড ও এম এস টি মেরিন সার্ভিসেস লিমিটেড একটি করে জাহাজ নির্মাণ করেছে।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৫৫
২০-২২ অক্টোবর কাঞ্চন সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে
ঢাকা, ৪ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) :
ঢাকা বাইপাস সড়কের কাঞ্চন সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল আগামীকাল ২০ অক্টোবর ২০১৭ রাত বারোটা থেকে ২২ অক্টোবর ২০১৭ রাত বারোটা পর্যন্ত জরুরি সংস্কার কাজের কারণে বন্ধ থাকবে।
এসময় ঢাকা বাইপাস দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনসমূহকে ভুলতা-পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-কালীগঞ্জ-মীরের বাজার রুট দিয়ে চলাচলের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া হালকা যানবাহনসমূহ কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়ক হয়ে রূপগঞ্জ ফেরিঘাট-ভুলতা রুট ব্যবহার করতে পারবে।
কাঞ্চন সেতু দিয়ে চলাচলকারীদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
#
নাছের/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৭৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭৫৪