তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭৯
ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
---নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):
ভোমরা স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম ম্যানুয়াল পদ্ধতি হতে ডিজিটালে রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘ডিজিটালাইজেশন অভ্ দ্য বর্ডার প্রসিডিউরস এট ভোমরা ল্যান্ডপোর্ট’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ট্রেড ফেসিলিটেশন (জিএটিএফ) এর অর্থায়নে এবং সুইস ফাউন্ডেশন ফর টেকনিক্যাল কোঅপারেশন (সুইসকন্টাক্ট) এর সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরের সকল সেবা স্মার্ট গভর্ন্যান্স এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। দেশের সকল নাগরিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বন্দরে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, সুইস ফাউন্ডেশন ফর টেকনিক্যাল কোঅপারেশন (সুইসকন্টাক্ট) এর পরিচালক Stephanie dreifuss, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ট্রেড ফেসিলিটেশন (জিএটিএফ) এর পরিচালক Phlippe isler, সুইসকন্টাক্ট এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান এবং প্রকল্প পরিচালক ডি এম আতিকুর রহমান।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোমরা স্থলবন্দরের এই ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, সমৃদ্ধিশালী এবং উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, স্থলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সাথে প্রযুক্তিনির্ভর বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপিত হলো।
অনুষ্ঠানে স্থলবন্দরের ফ্যাসিলিটি চার্জসহ অন্যান্য চার্জ ‘একপে’ এর মাধ্যমে গ্রহণ করার লক্ষ্যে এটুআই প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সকল চার্জ ‘বিকাশ’ এর কিউআর কোড এর মাধ্যমেও গ্রহণ করার লক্ষ্যে ‘বিকাশ’ ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে পৃথক আরো একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণকারী ও পর্যটকদের উন্নত সেবা প্রদান এবং ভ্রমণ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে একটি ‘হেল্প ডেস্ক’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ‘টুয়েলভ ইভেন্টস এমজিএ’ এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিপত্রগুলোতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর, এটুআই প্রোগ্রাম এর পক্ষে প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ‘বিকাশ’ লিমিটেডের এডভাইজার মোঃ আব্দুল আজিজ খান এবং ‘টুয়েলভ ইভেন্টস এমজিএ’ এর পক্ষে ম্যানেজিং পার্টনার উইং কমান্ডার এ টি এম নজরুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২১৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৮০
কক্সবাজারের ব্লু-ইকোনমি হাব হওয়ার বৈশিষ্ট্য আছে
--- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):
কক্সবাজারের ব্লু-ইকোনমি (সমুদ্র সম্পদনির্ভর অর্থনীতি) হাব হওয়ার বৈশিষ্ট্য আছে বলে মত প্রকাশ করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
আজ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত চিংড়ি মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই মতামত ব্যক্ত করেন। এই সময় ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ভূমিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে সি-ফুড কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা সম্ভব হলে হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, চিংড়ি এবং অন্যান্য সি-ফুড রপ্তানি আরো গতি লাভ করবে। এছাড়া, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, টেকনাফসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় চলমান মেগাপ্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন শেষ হলে তা কেবল কক্সবাজার নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সুনীল অর্থনীতিতে কক্সবাজারের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই সরকার সেখানে ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছে। তিনি যোগ করেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই সরকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে; এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা আছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্লু-ইকোনমি তথা সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে ‘সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমন্বয় কমিটি’ গঠন করেছে। ইতোমধ্যে সরকার ব্লু-ইকোনমি বাস্তবায়নে বিবিধ পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরীসহ ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও চিংড়ি চাষে সংশ্লিষ্ট অংশীজন।
#
নাহিয়ান/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭৮
শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষণ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক এবং উৎপাদনশীলতা
বৃদ্ধির জন্য শ্রম আইন যুগোপযোগী করা প্রয়োজন
--- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
খুলনা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, (সংশোধিত -২০১৮) সংশোধন বিষয়ে জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ খুলনা মহানগরীর রূপসা এলাকায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, (সংশোধিত - ২০১৮) সংশোধন বিষয়ে দুইদিন ব্যাপী জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষণ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক নিশ্চিতকরণ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইনকে যুগোপযোগী করার প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, যত অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব সরকার, মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিদ্যমান শ্রম আইনকে যুগোপযোগী করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী বলেন, যে কোনো আইন মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণেই তা যুগোপযোগী করার প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, শ্রম আইন সংশোধনকল্পে গঠিত ওয়ার্কিং কমিটিগুলো ভালোভাবে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় ধারাউপধারা যুগোপযোগী করে এটি ল- রিভিউ কমিটির মাধ্যমে খুব সহসায় টিসিসিতে নেয়া হবে বলে সচিব জানান।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোছাঃ হাজেরা খাতুনের সভাপতিত্বে এবং বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় যুগ্মসচিব মোঃ .হুমায়ুন কবিরসহ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, শ্রমিক প্রতিনিধি, মালিক প্রতিনিধি, শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
#
আকতারুল/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর: ১৯৭৭
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্রিটেনের সহযোগিতা চায়
-- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্রিটেনের সহযোগিতা চায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার তার সীমিত সম্পদ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার প্রণীত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) মোতাবেক ১১৩টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাস্তবায়ন এবং অর্জন করা বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন। তাই যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশ থেকে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করেছে বাংলাদেশে।
আজ বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন ও সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ টিমের টিম লিডার ইলেক্স হারভেসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মোট বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাসের দশমিক ৪৮ শতাংশের কম নির্গমন করলেও বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন, মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম এবং লস এন্ড ড্যামেজের জন্য তহবিল ব্যবস্থার বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্রিটেনের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গৃহীত কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। বাংলাদেশের এনডিসি এবং ন্যাপ এর প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, সদ্যপ্রণীত মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ বিশ্বে জলবায়ু কর্মকাণ্ডে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি এসময় বাংলাদেশের ইকোসিস্টেম বেইজড এডাপটেশনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জলবায়ু কর্মকাণ্ডে ব্রিটেনের চলমান সহযোগিতা গতিতে অব্যাহত থাকবে।
#
দীপংকর/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৮৩৪ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭৬
জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা-এ তিনটি বিষয়ে কোনো আপস নেই
--- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা- বাংলাদেশ নামক স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এ তিনটি বিষয় সুপ্রতিষ্ঠিত ও সর্বজনবিদিত। পৃথিবীর কোনো দেশেই এসব বিষয়ে কোনো বিরোধ ও মতভেদ নেই। তাই এসব বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং এ বিষয়ে কোনো আপস নেই।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাদুঘর আয়োজিত ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম হিসাবে "বিশ শতকের প্রেক্ষাপটে একাত্তরের গণহত্যা ও বিচার আন্দোলন" শীর্ষক সেমিনার ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না। মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে যে পরিমাণ গণহত্যা হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে তা বিরল। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার বিভিন্ন ঘটনা প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণহত্যার সঠিক ইতিহাস মানুষের সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবীরের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য তিনি তাঁদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ’৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর। আলোচক হিসাবে সেমিনারে আলোচনা করেন ১৯৭১:গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট এর সভাপতি বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর সচিব (যুগ্মসচিব) গাজী মোঃ ওয়ালি-উল-হক।
#
ফয়সল/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭৫
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সাথে ইউজিসি’র চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, উচ্চশিক্ষা শেষে যাতে কর্মসংস্থান হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
আজ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ এর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যগণ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে ইউজিসি চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে এবং আগামীতে যাতে গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয় সে ব্যাপারে নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় যেন গবেষণা কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেয় তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি ।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করারও কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়মিত সমাবর্তন সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ইউজিসি’র চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ায় প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৯৭৪
ভিসিভি ভ্যাকসিন এর ৩য় ও ৪র্থ ডোজ প্রদান শুরু হবে এ সপ্তাহেই
--স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কোভ্যাকস ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে ৩০ লাখ ডোজ ভিসিভি (ভ্যারিয়েন্ট কন্টেইনিং ভ্যাকসিন) হাতে পাওয়া গেছে। এই ভ্যাকসিন ৩য় ও ৪র্থ ডোজ হিসেবে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য এ সপ্তাহ থেকেই দেশের সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র থেকে দেয়া শুরু হবে।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফাইজার-ভিসিভি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চলমান কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও সফলভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। গোটা বিশ্বে যত ভ্যাকসিন পেয়েছে তার ১১ ভাগ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পেয়েছে। সেই ভ্যাকসিন থেকে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৮ দশমিক ৫১ ভাগ মানুষকে ১ম ডোজ, ৮২ দশমিক ১৮ ভাগ মানুষকে ২য় ডোজ, ৩৯ দশমিক ৬২ ভাগ মানুষকে ৩য় ডোজ এবং ১ দশমিক ৮৫ ভাগ মানুষকে ৪র্থ ডোজ টিকা ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই ভিসিভি ভ্যাকসিন ব্যবহারে কোনো পাশ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এটির ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থার ইতিবাচক মতামত রয়েছে।
উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩য় ডোজ পাবে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তি, ৪র্থ ডোজ পাবে ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী বা দীর্ঘ মেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এবং সম্মুখসারির যোদ্ধাগণ। ৩য় ডোজ দেয়া হবে ২য় ডোজ টিকা প্রাপ্তির ৪ মাস পর, ৪র্থ ডোজ পাবেন ৩য় ডোজ প্রাপ্তির ৪ মাস পর।
ডেঙ্গু রোগ প্রসঙ্গে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী জানান, দেশে গত বছরের তুলনায় ৫ গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য সকলের বাসা বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচার পালন করতে হবে।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক খানসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
#
মাইদুল/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৬৫১ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর: ১৯৭৩
তৃণমূল জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে
--আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
বরিশাল, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে):
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তৃণমূল জনগণের আশা- আকাঙ্ক্ষা তথা সকল প্রত্যাশা পূরণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাসী।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভা চত্বরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জনস্বার্থকে সর্বাগ্রে স্থান দিতে হবে। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, স্বাধীনতার সংগ্রাম, ঐতিহ্য, উন্নয়ন ও চলমান অগ্রযাত্রাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে হলে দলীয় নেতা-কর্মীদের সকল প্রকার লোভ-লালসা ত্যাগ করে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অর্থনীতিকে বিকশিত ও গ্রামীণ জনগণের উন্নয়ন ভাবনাকে আবর্তিত করে বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বরিশালের প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, বনায়ন, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোখাতে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যাতে তৃণমূলের মানুষ উপভোগ করতে পারে সেজন্য স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অধিকতর সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বরিশালবাসীর ভাগ্যোন্নয়নে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে জেলার সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
#
আহসান/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৭০৪ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭২
মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির জন্যই বড় চাপ তৈরি করেছে। কারণ এই ভিসা নীতির কারণে এখন আর নির্বাচন প্রতিহত করবো, সেটি বলার সুযোগ বিএনপির নেই। তিনি বলেন, ‘মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তারা বলেছে যে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই, একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক সেটিই তারা চায়। অর্থাৎ বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তাদের সমর্থন পায়নি, বিশ্বব্যাপী কারো সমর্থন পায়নি। সুতরাং বিএনপির অন্তত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি নিয়ে কথা বলার আর সুযোগ নেই । ফলে এই ভিসা নীতি তাদের ওপর বিরাট চাপ তৈরি করেছে।’
আজ সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করার সময় যে প্রেস ব্রিফিং করা হয় সেখানে তারা বলেছেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছেন সেটির জন্য সহায়ক হিসেবে তারা এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে।’
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘ভিসা নীতিতে যেটা বলেছে, এটি সরকারি দল, বিরোধী দল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেয় তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। নির্বাচন বর্জন করার অর্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। আর নির্বাচন প্রতিহত করার অর্থ সংঘাত তৈরি করা। এগুলো তো আর বিএনপি করতে পারবে না। সব মিলিয়ে এটি বিএনপির ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘নির্বাচনকালে বা নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই তো বিএনপি নানা ধরনের কর্মসূচি দেয় এবং তাদের উদ্দেশ্যেও সেটি করা। আমি মনে করি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে এটার প্রেক্ষিতে তাদের সেগুলো করার সুযোগটা অনেক কমে গেছে। তাদেরকে নির্বাচনে আসতে হবে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মার্কিন এই ভিসা নীতি শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, অনেক দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তারা বলেছে যে, এটি প্রায় সবদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোনোটা ঘোষণা করা হয়েছে, কোনোটা ঘোষণা করা হয়নি।’
আজ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত বিএনপির নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বিএনপির এই কর্মসূচি গতানুগতিক। তারা কিছুক্ষণ হাঁটে, কিছুক্ষণ বসে, তারপর আবার কিছুক্ষণ ভাঙচুর করে, কিছুক্ষণ গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়। এখন হয়তো তারা বসার কর্মসূচি না দিয়ে হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর কর্মসূচি দেবে।’
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সদ্য সমাপ্ত এশিয়া মিডিয়া সামিটে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জানান, ‘এশিয়া এবং ওশানিয়া অঞ্চলের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও’র কর্ণধারেরা সময়োপযোগী এ সম্মেলন যোগ দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে আমার উপস্থাপিত বিষয়গুলোই সম্মেলনের মূল ঘোষণাপত্রে এসেছে।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমার উপস্থাপনায় মূলত আমি বলেছি যে, গত ১০-১৫ বছরে পৃথিবীতে সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্ফোরণের কারণে আমাদের জীবনটা পরিবর্তন হয়ে গেছে, যোগাযোগের অবারিত সুযোগের পাশাপাশি অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেভাবে ফেইক নিউজ তৈরি ও পরিবেশন করা হয়, সে কারণে রাষ্ট্রে ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয় এবং সাধারণ মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়ার সংবাদ আর মূলধারার মিডিয়ার সংবাদের পার্থক্য বুঝতে পারে না। সে কারণে নানা সংকট, গুজব তৈরি হয়, সাম্প্রদায়িক সংঘাত তৈরি করার চেষ্টা হয়। এ বিষয়গুলোর দিকে তীক্ষ্ণ নজর দেওয়া এবং বৈশ্বিকভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সবাই একযোগে কাজ করার বিষয়টি ‘বালি ঘোষণা’য় এসেছে।’
#
আকরাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৭১
মুক্তা সুলতানাকে চাকরি দিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে) :
কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামের মুক্তা সুলতানা রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে সে গত ২৩ মে ফেইসবুক লাইভে এসে ২৭ বছরের অর্জিত সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। বিষয়টি বায়ান্ন টেলিভিশনের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দৃষ্টিগোচর হয়। প্রতিমন্ত্রী মুক্তা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাঁর দপ্তরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।
তার সাথে আলোচনার পর প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অভ্ সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট এন্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।
&n