তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৬
আঙ্কটাড উচ্চ পর্যায়ের সভায় তোফায়েল
বাংলাদেশ ভিশন-২০২১ বাসত্মবায়নের মাধ্যমে এসডিজি অর্জন করবে
নাইরোবি (কেনিয়া), ২২শে জুলাই:
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ ভিশন-২০২১ বাসত্মবায়নের মাধ্যমে এসডিজি অর্জন করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চলতি ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সফলভাবে বাসত্মবায়ন করলে এসডিজি অর্জনে ৮০ ভাগ এগিয়ে যাবে। তবে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর এসডিজি অর্জনে উন্নত দেশগুলোর আনত্মরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ড়্গেত্রে বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)-এর বিকল্প নেই। তাই বিশ্ববাণিজ্য সংস'ার বিভিন্ন সভায় গৃহীত সিদ্ধানত্মসমূহ সফলভাবে বাসত্মবায়িত হলে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য এসডিজি বাসত্মবায়ন সহজ হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী ২০ জুলাই নাইরোবিতে কেনিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ১৪তম আঙ্কটাড মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সের “হোয়াট উইল ইট টেক টু সাপোর্ট এলডিসি টু মিট এসডিজিস” শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ একই দিনে কেনিয়ার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আদান মোহাম্মদ (অফধহ গড়যধসসধফ) এর সঙ্গে একানত্ম বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আসবে তৈরিপোশাক থেকে। বাংলাদেশ সরকার প্রচলিত রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি আইসিটি, ঔষধ, ফার্নিচার, শিপ বিল্ডিং, কৃষিপণ্যসহ অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির ওপর বিশেষ গুরম্নত্ব দিয়ে এ সেক্টরগুলোকে নগদ আর্থিক অনুদানসহ বিশেষ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার কাজ শুরম্ন করেছে। বিনিয়োগকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানকে এ সকল জোন বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ এখানে বিনিয়োগ শুরম্ন করেছে। সরকার ১০০ ভাগ বিনিয়োগে সুযোগ দিচ্ছে এবং কোনো বিনিয়োগকারী মূলধন প্রত্যাহার করতে চাইলে তা শতভাগ প্রত্যাহারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
কেনিয়ার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে সনেত্মাষ প্রকাশ করেন। তিনি কেনিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে শীঘ্রই বাংলাদেশ সফর করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
#
বকসী/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৫
জনপ্রশাসন পদক প্রদান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৭ই শ্রাবণ (২২শে জুলাই) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জনপ্রশাসন পদক প্রদান উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পাবলিক সার্ভেন্টদের উদ্ভাবনীমূলক কাজের স্বীকৃতি প্রদান এবং মেধাবী তরম্নণদের পেশা হিসেবে পাবলিক সার্ভিসকে বেছে নিতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন পদক-২০১৬ প্রদান করছে জেনে আমি আনন্দিত। এই উদ্যোগ জনপ্রশাসনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত সিভিল সার্ভেন্টগণ আইন ও বিধিবিধান প্রণয়নে সরকারকে সার্বিক সহায়তা প্রদান এবং পরিকল্পনা প্রণয়ন ও উন্নয়ন কর্মকা- বাসত্মবায়নসহ সরকারি সেবাসমূহ জনগণের দ্বারপ্রানেত্ম পৌঁছে দিতে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাঁদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, নৈতিকতা ও কুশলী কর্মকা-ের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয় এবং একইসাথে সুশাসনও প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিনির্ভর এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে হলে পাবলিক সার্ভেন্টদের পেশাগত দক্ষতা বিশ্বমানের হতে হবে। পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি প্রযুক্তিজ্ঞান, নিষ্ঠা, নৈতিকতা ও দেশপ্রেম খুবই জরম্নরি বলে আমি মনে করি।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কার্যকর ও জনসম্পৃক্ত প্রশাসন, সুসংগঠিত ও মানসম্পন্ন সিভিল সার্ভিস এবং জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে সরকার নানামুখী সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বাসত্মবায়ন করছে। ই-গভর্নেন্স, দ্বিতীয় প্রজন্মের সিটিজেন চার্টার এবং দেশের প্রথম একক পাবলিক সার্ভিস আইন প্রণয়ন এই প্রয়াসেরই অংশ।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক সরকার গৃহীত নীতিমালার সুষ্ঠু বাসত্মবায়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত দক্ষ, গতিশীল ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন অত্যনত্ম জরম্নরি। ‘রূপকল্প ২০২১’এর আলোকে সর্বসত্মরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সার্বিকভাবে মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস'াপনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এসব কার্যক্রম জনমুখী প্রশাসন গড়ে তোলার পাশাপাশি জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জনপ্রশাসন পদক প্রবর্তনের ফলে জনপ্রশাসনে গতিশীলতা বৃদ্ধিসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সুস' প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি জনপ্রশাসন পদক-২০১৬ বিজয়ীদেরকে আনত্মরিক অভিনন্দন জানাই এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেশাগত সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিম/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা