Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৮ মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৩৫৫

রাষ্ট্রপতির সাথে সফররত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

বঙ্গভবন, ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ) :

            বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহী মালদ্বীপ। এক্ষেত্রে আকাশ এবং নৌপথে যোগাযোগ স্থাপনে দেশটির সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।

            আজ সফররত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান। সন্ধ্যা সাতটায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট সস্ত্রীক বঙ্গভবনে গেলে রাষ্ট্রপতি ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম তাদের অভ্যর্থনা জানান। পরে দুই রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠকে বসেন।

            সাক্ষাতের সময় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়কে খুবই গুরুত্ব দেয়। আকাশ ও নৌ পথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা পেলে বাণিজ্য-বিনিয়োগ আরো সম্প্রসারিত হবে। এ ব্যাপারে তাঁর সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি জানান।”

            রাষ্ট্রপতি এ সময় বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বাণিজ্য- বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে ঢাকা ও মালের মধ্যে সরাসরি নৌ যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের উভয়ের পর্যটন সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল।  এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে  দু’দেশের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি মালদ্বীপে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ায় সে দেশের সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ মালদ্বীপে বিভিন্ন পেশায় দক্ষ জনবল পাঠাতে প্রস্তুত আছে।

            রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আরো বেশি মালদ্বীপের শিক্ষার্থীর শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। বাংলাদেশ তাদের স্বাগত জানাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ওষুধ, তৈরি পোশাক, সিরামিকসহ বিভিন্ন বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদতন করে। মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। এতে উভয় দেশ লাভবান হবে। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের এই সফর দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন

            এদিকে মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমেদ এবং রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম কুশল বিনিময় করেন। এ সময় রাশিদা খানম নারীর উন্নয়নও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। ফাজনা আহমদে নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে  বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, তাঁর বাংলাদেশে তার এই সফর অত্যন্ত সুখকর।

            পরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এছাড়া বঙ্গভবনের দরবার হলে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশ নেন।

            নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, তিনবাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

ইমরানুল/রোকসানা/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৩৫৪

 

এডিপিসি ট্রাস্টি বোর্ডের দ্বিতীয় সভায় এর কৌশলপত্র ২০৩০ উপস্থাপন

 

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ) :

 

এডিপিসি (Asian Disaster Preparedness Center)  ট্রাস্টি বোর্ডের দ্বিতীয় বোর্ড অভ্‌ ট্রাস্টি’র সভা সম্প্রতি অনলাইনে বোর্ড অভ্‌ ট্রাস্টি’র চেয়ারম্যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২১ এর বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা ও বাজেট চূড়ান্ত করা হয় এবং এডিপিসি’র কৌশলপত্র ২০৩০ উপস্থাপন করা হয়। কৌশলপত্র ২০৩০ বাস্তবায়নে আগামী এক বছর নেতৃত্ব দিবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন।

 

দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় ও জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে সাতটি বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বিষয়সমূহ হচ্ছে স্থানীয়করণ, উদ্ভাবন, বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ, সহনশীলতা সৃষ্টি, মানবিক উন্নয়নের যোগসূত্র স্থাপন, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং ঝুঁকি হ্রাস ও সাড়াদানে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা। সে প্রেক্ষিতে ২০৩০ সালকে সামনে রেখে যেসব বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হবে তার অন্যতম হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত; নগরায়ন ও বিপদাপন্নতা; পরিবেশগত বিপর্যয়; বন্যা ও খরা; দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা; দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সহনশীলতার লক্ষ্যে পূর্বাভাসভিত্তিক অর্থায়ন, মহামারি প্রস্তুতি ও জরুরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সাইকো-সোশ্যাল সহযোগিতার অন্তর্ভুক্তি। 

 

এডিপিসি একাডেমি বিষয়ক সকল স্তরে বিশেষজ্ঞদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ কোর্স বাস্তবায়ন এবং ডিআরআর বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়ায়। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত আন্তর্জাতিক সংস্থা যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জনগণ ও বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের সহনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে। এটি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এডিপিসি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ এবং সম্প্রদায়কে তাদের ডিআরআর (Disaster risk reduction) ব্যবস্থা, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ও সক্ষমতা তৈরিতে বিভিন্ন দুর্যোগসমূহ যেমন বন্যা, ভূমিধস, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, খরা ইত্যাদি মোকাবিলায় প্রতিরোধী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সেবা দিয়ে থাকে। এছাড়া, ক্রস-সেক্টরাল প্রজেক্ট/প্রোগ্রামের ক্ষেত্র বিকাশ ও প্রয়োগে কাজ করে। 

 

এডিপিসি সদস্য দেশসমূহ হচ্ছেঃ বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে রিজিওনাল কনসাল্টেটিভ কমিটিতে রয়েছে আরো ১৬টি দেশঃ আফগানিস্তান, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জর্ডান, কাজাখস্তান, লাওস, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, পাকিস্তান, পাপুয়া-নিউ-গিনি, দক্ষিণ কোরিয়া, পূর্ব তিমুর এবং ভিয়েতনাম। ব্যাংককে এডিপিসি’র সদর দফতর এবং মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকায় আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। 

 

এশিয়ান দুর্যোগ প্রস্তুতি কেন্দ্র (এডিপিসি) একটি স্বায়ত্তশাসিত আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ২০১৮ সালে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম বোর্ড অভ্‌ ট্রাস্টির সভা ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৭ নভেম্বর ২০১৯ সালে। ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যবিধি (আরওপি) অনুযায়ী ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইসচেয়ার সাধারণত আগত চেয়ারম্যান হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়।

 

#

 

সেলিম/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২১/২১৫০ ঘণ্টা 

 

 

 

Handout                                                                                                         Number : 1352

 

Md. Fazlul Bari the next Ambassador

of Bangladesh to the Republic of Iraq

 

Dhaka, March 18 :

 

            The Government has decided to appoint Md. Fazlul Bari, PAA as the next Ambassador of Bangladesh to the Republic of Iraq. 

 

            Ambassador - designate Md. Fazlul Bari is a Secretary to the Government of Bangladesh and a member of Bangladesh Civil Service (BCS) Administration Cadre. 

 

            Mr. Bari obtained his Bachelor and Masters degree in Finance from the University of Dhaka. He also obtained Master of Arts degree in Government Financial Management from the University of Ulster, Belfast, UK.

 

#

  

Tohidul/Roksana/Nice/Rafiqul/Salim/2021/2125 Hrs.

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৩৫১

 

সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কাজ করাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন

                                                               -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ) :

 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় নেতৃত্ব, দূরদর্শীতা ও আত্মত্যাগ জানাতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, তাঁকে অধ্যয়ন করতে হবে। এই মহামানবের আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে সোনার বাংলা  প্রতিষ্ঠায় কাজ করাই হবে তাঁর প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের পুরোটা সময় দিয়ে গেছেন এই জাতির জন্য।

 

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদ্‌যাপন উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলমের সভাপতিত্বে  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দিন  অনুষ্ঠানে বক্তৃতা  করেন।

 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাঙালির জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ, প্রতিজ্ঞা এবং দিকনির্দেশনা তিনি তাঁর ছকের বাইরে হতে দেননি। মন্ত্রী আরো বলেন, শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর ত্যাগ ছিলো অতুলনীয়।

         

#

 

শেফায়েত/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৩৫৩

এক অন্যরকম বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ

                                                                   -- অর্থমন্ত্রী

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ) :

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে LDC Graduation: A Leap Towards the Father of the Nations Vision of ÔSonar BanglaÕ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার আজ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়েবিনারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিজ ফাতিমা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

          অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একজন মহান নেতা যিনি অদম্য সাহসিকতার সাথে সর্বদা বাংলাদেশের জনগণের জন্য সমতা, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন। দেশের প্রতি তাঁর অসীম ভালবাসা এবং নিরন্তর দেশপ্রেম দিয়ে তিনি সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছেন। সে অনুযায়ী তিনি কাজ শুরু করেন এবং সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত একটি দেশকে সাড়ে তিন বছর সময়ে এদেশের প্রত্যেক মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং জনসংখ্যাকে শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পরিকল্পনাসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে একটি শক্ত নীতিমালা, পরিকল্পনা, অবকাঠামো রেখে গেছেন। আজও এ দেশে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোনো কাজ করতে গেলে আমরা দেখতে পাই হয় প্রতিষ্ঠানটি জাতির পিতা নির্মাণ করে দিয়ে গেছেন, না হয় প্রতিষ্ঠানটির যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে তার শুরুটা জাতির পিতা করে দিয়ে গেছেন। তিনি অসংখ্য নীতি, পরিকল্পনা ও আইনের উদ্যোক্তা। তাঁর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে অবিরাম কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে। অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯-এর মধ্যেও আমাদের এ অর্জন, সক্ষমতা ও অগ্রগতি সম্পর্কে সারা বিশ্বের মানুষ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদগণ ভূয়সী প্রসংসা করেছেন। সকলে বলেছেন, এ এক অন্যরকম বাংলাদেশ, এ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

          প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর সুদক্ষ নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য পদ লাভের প্রক্রিয়া ও গুরুত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

          এছাড়া বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত করে চলেছেন। তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠার পথে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এছাড়াও ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ভিশন ২০৪১ এবং দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ প্রণয়ন করেছে। আশা করা যায়, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়াসহ আলোকচকবৃন্দ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।

#

তৌহিদুল/নাইচ/রেজুয়ান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১৪০ঘণ্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ১৩৫০

 

 দেশকে ম্লান করার হীন ষড়যন্ত্র-গণ্ডগোল কঠোর হস্তে দমন করা হবে

                                                           ---ড. হাছান মাহ্‌মুদ 

 

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ) :

 

দেশ ও দেশের অর্জনকে ম্লান করার হীন ষড়যন্ত্র ও যেকোনো গণ্ডগোল কঠোর হস্তে দমন করা হবে, বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ। 

 

আজ রাজধানীর নগর ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এর মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

 

মন্ত্রী বলেন, 'আজকে যখন বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে যখন আমরা জাতিসংঘের ফাইনাল রিকমেন্ডেশন পেলাম যে, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ, তখন দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।'

 

ড. হাছান বলেন, 'প্রথমে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে দেশে একটি গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলো আর তাদের বাতাস দিল বিএনপি-জামাত। আর আজ যখন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হচ্ছে, বিদেশি মেহমানরা দেশে আসা শুরু করেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার সময় হয়েছে, তখন আবার নতুন খেলা শুরু হয়েছে।' 'বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্জনকে এবং এদেশের উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিদেশি মেহমানদের সামনে দেশকে ম্লান করার ও দেশকে অস্থিতিশীল করার হীন উদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জের শালনায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে' বলেন তথ্যমন্ত্রী। 

 

সেইসাথে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, এই ধরনের ষড়যন্ত্র আগেও বহুবার হয়েছে, ঢাকা শহরে ষড়যন্ত্র করে কোরান শরিফে আগুন দেয়া হয়েছে, বায়তুল মোকাররমে আগুন দেয়া হয়েছে। সেই অপরাধীদের বিচার হয়েছে, বিচার চলছে। আজকেও যারা এধরনের গণ্ডগোল পাকাতে চাইবে, তাদেরকেও কঠোর হস্তে দমন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।'

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'ষড়যন্ত্র থেমে নেই এবং সেই কারণেই রাজশাহীতে মিনু আমাদের নেত্রীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কথা বলে, সেই কারণেই ডা: জাফরুল্লাহ বলে, দেশে যদি কোনো কিছু হয়, তখন অনেককে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই কথার উদ্দেশ্য কি- অর্থাৎ ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র চলছে।' 'আমাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে, নেতা-কর্মীদের বলি, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং সেইসাথে ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হবে' বলেন মন্ত্রী। 

 

হাছান মাহ্‌মুদ এ সময় পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সময় মেয়র ফজলে নূর তাপসের পিতা শেখ ফজলুল হক মণি এবং মাতা আরজু মনির মৃত্যুর কথা স্মরণ করলে সভায় ভাবাবেগজড়িত আবহ সৃষ্টি হয়।

 

চলমান পাতা-২

 

 

 

 

 

পাতা-২

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, '২০০১ সালের নির্বাচনের রাত থেকেই পাঁচ বছর বাংলাদেশের উপর কি নির্যাতন-নিপীড়ন চলেছে! বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক-ভোটার সবাইকে নির্যাতন করা হয়েছিল যেন আমরা ঘুরে দাঁড়াতে না পারি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে।' 

 

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, 'পঁচাত্তরের পরে বিভিন্ন চক্র এ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আজকে প্রমাণিত, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালি জাতির অন্তরের অন্তঃস্থলে বাস করে। যিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যিনি ইতিহাস রচনা করেছেন, তিনি চিরন্তন।'

 

আলোচনা সভায় বক্তব্য পর্বের পূর্বে ডিএসসিসির আওতাধীন হাসপাতাল ও মাতৃসদনে আজ জন্মগ্রহণকারী ২২ শিশুকে নাগরিক সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

 

#

 

আকরাম/রোকসানা/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ১৩৪৯

 

বেলারুশের শিল্প উপমন্ত্রীর সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক

তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে

ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ

 

 

 

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ) :

 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বেলারুশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল পারস্পরিক দেশ সফর করলে কোন কোন খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা যায়, তা নির্ধারণ করা সহজ হবে। এ জন্য উভয় দেশের প্রতিনিধি নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ এর সহযোগিতা নিয়ে বিনিয়োগে ও বাণিজ্যের খাতগুলো নির্ধারণ করা সম্ভব। মন্ত্রী বলেন, দু’দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে বড় ব্যবধান রয়েছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ বেলারুশে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৪৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক এবং চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা আছে, কিন্তু শুল্ক জটিলতার কারণে প্রত্যাশা মোতাবেক রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। বেলারুশ সরকার এ সকল পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক বাড়বে। 

 

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় সফররত রেলারুশের শিল্প বিষয়ক উপমন্ত্রী Dmitry Haritonchik এর নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ সকল ইকোনমিক জোনে পাওয়ার, আইসিটি, কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে বেলারুশ বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। বেলারুশ এ সকল সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া, বেলারুশ কৃষি ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

 

সফররত বেলারুশের শিল্প উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বেলারুশ কৃতজ্ঞ। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বেলারুশ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ বেলারুশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক অংশিদার। শুল্ক জটিলতা সমাধানে বেলারুশ সরকার কাজ করছে। বেলারুশ বাংলাদেশে পারমানবিক বিদ্যুৎ খাত, গ্রিন ট্রান্সপোর্ট সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। কৃষিভিত্তিক যন্ত্রপাতি উৎপাদন, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন এবং কৃষি মেকানিকাল খাতে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে চায় বেলারুশ।

 

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মোঃ হাফিজুর রহমান  উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

বকসী/রোকসানা/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০৩৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৩৪৮

 

গ্রিসে জাতির পিতার জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন

 

এথেন্স (গ্রিস) ১৮ মার্চ :

 

          বাংলাদেশ দূতাবাস, এথেন্স যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ পালন করেছে। জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে দূতাবাস বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং দূতাবাস চত্বর আলোকচিত্র, বর্ণাঢ্য ব্যানার, পোস্টার ও বেলুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়।

 

          ১৭ই মার্চ দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্‌যাপন শুরু হয়।  দিবসের কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও বাংলাদেশের শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও  মোনাজাত করা হয়।  এরপর রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্‌মদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দূতাবাস পরিবারের শিশু-কিশোরদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত এবং তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কেক কাটেন। এরপর, রাষ্ট্রপতি,  প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।  এছাড়া, জাতির পিতার কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

 

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহতী জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনাপর্বে  রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্‌মদ তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন।  তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত পদক্ষেপে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানো এবং জাতির পিতার আদর্শ তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার ওপরও রাষ্ট্রদূত গুরুত্বারোপ করেন।  বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গ্রিসে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের নিয়ে বৃহৎ পরিসরে দিবসটি আয়োজনে দূতাবাসের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকলেও কোভিড- ১৯ মহামারি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ায় এবং গ্রিক সরকারের আরোপিত হার্ড লকডাউন ব্যবস্থার কারণে শেষ পর্যন্ত দিবসের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে এবং দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে ঘরোয়াভাবে আয়োজন করা হয়।

 

#

 

রোকসানা/সাহেলা/রেজুয়ান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২১৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৩৪৭

 

বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ

            -- তথ্য প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ) :

 

          তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান বলেছেন,  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই প্রথম নির্যাতিত, শোষিত বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। তিনি আমাদের মহান মুক্তির দূত। চেতনার আলোক শিখা, প্রেরণার সুউচ্চ মিনার। তাই জাতি দ্বিধাহীনভাবে উচ্চারণ করছে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বেতার ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ রক্তস্নাত পলল ভূমিতে স্বাধীনতার জন্য অনেকেই সংগ্রাম করেছে। এখানে হাজং বিদ্রোহ হয়েছে, সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়েছে, তিতুমীর বাঁশের কেল্লা গড়েছে, ফকির মজনু শাহ সন্ন্যাস বিদ্রোহ করেছে। কিন্তু কেউ জাতিকে মুক্ত স্বদেশ উপহার দিতে পারেনি। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই প্রথম সূর্যসন্তান যিনি জাতিকে শুধু মুক্তির পথই দেখাননি, স্বাধীন স্বদেশ উপহার দিয়েছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। 

 

          বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) সালাহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. লিয়াকত আলী, উপমহাপরিচালক (বার্তা) এ এস এম জাহীদ প্রমুখ।

 

#

 

মাহবুবুর/রোকসানা/সাহেলা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৩৪৬

 

রেলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে

                                                                                     ---রেলপথ মন্ত্রী

 

 

 

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ) :

 

রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলকে এক সময় ধ্বংস করা হয়েছিল। বিধ্বস্ত রেল ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার জন্য বর্তমান সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে দিয়েছেন।  

 

আজ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদ্যাপন উপলক্ষে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, রেলওয়েতে এখন অনেক প্রকল্প চলমান আছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চলবে। এছাড়াও আগামী বছরের মধ্যেই খুলনা-মংলা রেললাইন চালু হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ সেত

2021-03-18-22-43-89d39aa4d21cde4e781746d1e3d531ff.docx