Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd জুন ২০১৭

তথ্যবিবরণী 22 June 2017

তথ্যবিবরণী                                             নম্বর: ১৭০৫

জাতিসংঘ তথ্যসমাজ বিশ্বসম্মেলন পুরস্কার ২০১৭ পেলো বিএনএনআরসি

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

    তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) বা তথ্য সমাজ বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলন পুরস্কার-২০১৭’ অর্জন করেছে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)।

    আজ ঢাকায় তথ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ এ পুরস্কার অর্জনের জন্য বিএনএনআরসি’র চেয়ারপার্সন রেজাউল করিম চৌধুরী এবং প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমানকে অভিনন্দন জানান। তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবুল কালাম আজাদ এবং বিএনএনআরসি’র সক্ষমতা বৃদ্ধি সমন্বয়ক তামান্না রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    গত ১৩ জুন জেনেভায় আয়োজিত ডব্লিউএসআইএস ফোরামে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর সেক্রেটারি জেনারেল হাউলিং ঝাউ-এর কাছ থেকে বিএনএনআরসির চেয়ারপার্সন রেজাউল করিম চৌধুরী এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

    এ বছর ‘কমিউনিটি ব্রডকাস্টিং লাইব্রেরি ফর একসেস টু ইনফরমেশ এন্ড নলেজ ইন বাংলাদেশ’ এবং ‘ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ  থ্রু কমিউনিটি রেডিও ইন রুরাল বাংলাদেশ’ এ দু’টি মৌলিক উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এ  সম্মাননা পেল বিএনএনআরসি।  

    তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের বড় স্বীকৃতি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘কমিউনিটি ব্রডকাস্টিং লাইব্রেরি স্থাপনের ফলে  রেডিও স্টেশনে কর্মরত গ্রামীণ সম্প্রচারকারী, স্থানীয় আগ্রহী পাঠক ও  গবেষকেরা নিয়মিত পড়াশোনা এবং রেফারেন্সের জন্য লাইব্রেরি ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে কমিউনিটি রেডিও’র মাধ্যমে ইংরেজি শেখার মাধ্যমে গ্রামের  দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক যুব সম্প্রদায়  যারা আলাদাভাবে ইংরেজি শেখার সুযোগ পায়নি তার এখন  বেতারের মাধ্যমে ইংরেজি শিখছেন। এ দু’টি কাজই প্রান্তিক জনগণকে উন্নয়নের ধারায় আনতে চমৎকার ভূমিকা রাখবে।’  

#

আকরাম/আলী/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৫০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                             নম্বর: ১৭০৪
হৃদয়গ্রাহীভাবে তুলে ধরুণ শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ ঃ গণমাধ্যমকে তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
    প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগকে হৃদয়গ্রাহী করে জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসনুল হক ইনু।
    তিনি আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগের প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। তথ্য সচিব মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বিষয়ক সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ হচ্ছে পরিবেশবান্ধব, বৈষম্যহীন, দারিদ্র্যমুক্ত ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মূলমন্ত্র। আর তা বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণকে জানতে হবে, উদ্যোগগুলো কি কি এবং কিভাবে তা তাদের জীবনে উন্নয়ন বয়ে আনবে। হৃদয়গ্রাহীভাবে উদ্যোগগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সকল গণমাধ্যমকে তাদের উদ্ভাবনী মেধা প্রয়োগ করতে হবে ।
    পঁচাত্তরের পর দেশকে লাগামহীন মুক্তবাজার অর্থনীতির কাছে ইজারা দেয়া হয়েছিল’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের ভার নিয়ে চার মূলনীতিতে ফিরে গেছেন এবং বিদেশী দাতাগোষ্ঠীর পরামর্শের গন্ডী থেকে বেরিয়ে এসে জাতির নিজস্ব পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। ফলে দেশ এখন নিজস্ব সমৃদ্ধির পথে দ্রুত ধাবমান।   
    বাজেট ও পঞ্চবার্ষিকীসহ নানামেয়াদী পরিকল্পনার থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ দেশের সমাজ ও অর্থনীতিতে দিকবদলের সূচনাকারী; এবং এ দশ উদ্যোগের বাস্তবায়ন বাজেটসহ অন্যান্য পরিকল্পনাকে সফল করার পথে সহায়ক ভূমিকা রেখে চলছে, বলেন মন্ত্রী।
    উল্লেখ্য শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রমসমূহ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, আশ্রয়ণ প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা।
    এসময় ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রচারে গুরুত্ব দেবার জন্য দেশের গণমাধ্যমের প্রশংসা করে এসডিজি সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের ১৭টি টেকসই উন্নয়ন  লক্ষ্যে বর্ণিত ১৬৯টি বিষয় অর্জনের জন্য দেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ বাস্তবায়ন দেশকে টেকসই উন্নয়নের পথেই ধাবিত করছে। সরকার রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ এর পরও ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি এবং ২১০০ সালের জন্য ব-দ্বীপ পরিকল্পনা করছে বলেও সভায় জানান তিনি।
    তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ অনুষ্ঠানটি পরিচালনাকালে তথ্য মন্ত্রণালয়কে জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগ প্রচারে আন্তরিকভাবে কাজ অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের ১৪টি সংস্থা ও অধিদপ্তরের প্রতি নির্দেশনা দেন।
    বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস্ এম হারুন-অর-রশীদ জানান, গত এক বছরে     প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগের ওপর নির্মিত ৩০টি অনুষ্ঠান বিটিভিতে ৫০০ বার, বিটিভি ওয়ার্ল্ডে ৫৭৪ বার এবং চট্টগ্রাম টিভিতে ৭০০ বার প্রচারিত হয় এবং এবিষয়ে আফসানা মিমিকে ‘রূপকথা নয়’ শীর্ষক একটি টেলিফিল্ম নির্মাণেরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।  
    তিনি আরো জানান, বিটিভি’র সাথে চ্যানেল আই, একাত্তর টিভি, এটিএন বাংলা, সময় টিভি এবং ডিবিসি নিউজের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর তারা জুনের প্রথম দিন থেকে প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগের ওপর অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
    তথ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/আলী/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৪৫ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                             নম্বর: ১৭০৩

গুণগতমানের শিক্ষার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষক প্রয়োজন
                -- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :

    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সার্বিকভাবে আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছি। এখন সকল ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত চেষ্টার ফলেই আমরা অগ্রসর হতে পেরেছি। শিক্ষানীতি অনুসরণ করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

    তিনি আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা- কর্মচারী সমবায় সমিতি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গুণগতমানের শিক্ষার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষক প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছনে পড়ে আছি। অনেক শিক্ষক নৈতিকভাবে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ভাল মানুষ তৈরি করতে চাই।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা- কর্মচারী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হায়দার আলী মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অভ্ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর উদ্দিন সিদ্দিক, আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেল এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা- কর্মচারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন বক্তৃতা করেন ।

#

আফরাজ/আলী/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০২৫ ঘন্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৭০২

জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) : 
জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা কাউন্সিল (এনটিইসি)-এর ১৪তম সভা আজ ঢাকায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা কাউন্সিল আইন, ২০১৭ এর পরিমার্জিত খসড়া নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়,  শিক্ষক শিক্ষা কাউন্সিল আইন, ২০১৭ (পরিমার্জিত খসড়া) এর ওপর মতামত প্রদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৮টি প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করা হয়। এসব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের মতামতের আলোকে খসড়া পরিমার্জন করা হয়েছে। 
এছাড়া সভায় ১৩তম সভার গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় এনটিইসি পুনর্গঠন নিয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 
সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এনটিইসি গঠনের আসল উদ্দেশ্য ছিল ভাল শিক্ষক তৈরি করা এবং যারা ভবিষ্যতে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেবেন তাদেরকে যথাযথভাবে প্রস্তুত ও মোটিভেট করা। দেশের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন এবং কার্যকর মান নিশ্চিত করার জন্য এ কাউন্সিল গঠন করা হয়। 
তিনি আগামী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে খসড়ার উপর মতামত প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পেশা হিসেবে শিক্ষক তৈরি করার বিষয়টি যাতে আইনে থাকে এ বিষয়ে জোর দেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য প্রফেসর হারুন-উর-রসিদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর  ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কাউন্সিলের সদস্যগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
#

আফরাজুর/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৭১০ঘণ্টা    

তথ্যবিবরণী                                                   নম্বর: ১৭০১
রাজধানীর জোয়ারসাহারা, বাড্ডাসহ অন্যান্য মৌজার অচলাবস্থা নিরসনে ভূমি মন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) : 
    ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রাজধানীর জোয়ার সাহারা, বাড্ডাসহ অন্যান্য মৌজার ভূমির জটিলতা সংক্রান্ত অচলাবস্থা নিরসনে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফ করেন। প্রেসব্রিফিংএ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনভোগান্তি লাঘবে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এর আগের নানা সরকার এসেছে কিন্তু এ বিষয়ে কাগজে কলমে সুনির্দিষ্ট কোনো সুরাহা করে যায়নি। এর ফলে মানুষ জমির নামজারি, জমি কেনা বেচা করতে পারছে না। রাজধানীর জোয়ারসাহারা, বাড্ডাসহ অন্যান্য মৌজার দীর্ঘ ৫৬ বছরের অধিগ্রহণভুক্ত এলাকার অচলাবস্থা নিরসন চান। প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থে আইনসঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 
    আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৃহত্তর ঢাকার বাড্ডা, জোয়ারসাহারা, ভাটারা, ভোলা ও সুতিভোলা মৌজার হুকুমদখলকৃত জমি হতে ১ হাজার ৩৮৫ দশমিক ২৫ একর জমি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ঢাকা জেলার এই সম্পত্তি অবমুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
    ভূমিমন্ত্রী বলেন, উল্লিখিত জায়গা প্রত্যর্পণের কাজ শুরু হয়েছে আরও এক বছর আগে। প্রকৃত মালিকদের কাছে জমি প্রত্যর্পণ হবে। এর ফলে তারা সহজ ও সাবলিলভাবে নামজারি, জমা-খারিজ, জমি বেচা কেনা করতে পারবে। এমন কিছু করা যাবে না, যার সুযোগে অন্য স্বার্থান্বেসী মহল অবৈধ কিছু করার সুযোগ নেয়।  
    উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি বিগত ২১ অক্টোবর ১৯৬১ সালে বৃহত্তর ঢাকায় আবাসনের জন্য ভোলা, মহাখালী, করাইল, লালা সরাইল, উলুন, ভাটারা, বাড্ডা, সামাইর, জোয়ার সাহারা ও সূতিভোলা মৌজায় ২ হাজার ৭৬০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব সভায় অনুমোদন করে। এর মধ্যে ১ হাজার ৫১৮ দশমিক ২৮ একর জমির মধ্যে স্থানীয় লোকজন ঘরবাড়ি সৃজন করে ঘনবসতি এলাকা হিসেবে বসবাস করে আসছে। এই সমস্যার সমাধানকল্পে ১৩৮ নং এল.এ. কেসের অধিগৃহীত ১ হাজার ৫১৮ দশমিক ২৮ একর জমি হতে ১ হাজার ৩৮৫ দশমিক ২৮ একর জমি পুরাতন মালিকদের কাছে প্রত্যর্পণ করার সিদ্ধান্ত হয়। ৭ জানুয়ারি ১৯৯৩ সালে ৯৬১ দশমিক ২৪ একর জমি অবমুক্তির জন্য পত্রিকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি এতকাল ধরে গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ হয়নি। গেজেট নোটিফিকেশন হলে এলাকাবাসীর সকল সমস্যার নিরসন হবে। 
#
রেজুয়ান/অনসূয়া/গিয়াস/শহিদ/আসমা/২০১৭/১৫০০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                             নম্বর : ১৭০০  

ঢাকায় মোবাইল অ্যাপস নির্ভর যাত্রী পরিবহণ সেবা সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলছে
                                                                                - সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) : 
ঢাকা মহানগরীতে উবার (টইঊজ)সহ অন্যান্য মোবাইল অ্যাপ নির্ভর যাত্রী পরিবহণ সেবা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলছে। নীতিমালা চূড়ান্ত করতে জনগণের পাশাপাশি শীঘ্রই অংশীজনদেরও মতামত নেয়া হবে।
আজ মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে উবার ইস্ট রিজিওন’র পাবলিক পলিসি বিষয়ক প্রধান ঈযধহফ ঞঁষধষ গধুঁসফধৎ-এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী একথা বলেন।   
তিনি বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর সেবা থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন থাকতে পারি না। তবে এ সকল সেবা দেশের প্রচলিত আইন ও কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। 
তিনি আরো বলেন, উন্নত বিশ্ব বা বিশ্বের জনবহুল নগরীর মতো ঢাকা মহানগরীতে মোবাইল অ্যাপস্রে মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সেবা পরিচালনায় যাত্রীস্বার্থের পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
এসময় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক ও বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
নাছের/অনসূয়া/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৪৫৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                   নম্বর : ১৬৯৯  

মেসার্স বেঙ্গল হেলী সার্ভিস লিঃ এর লাইসেন্স তিন মাসের জন্য স্থগিত
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) : 

রিক্রুটি এজেন্সি মেসার্স বেঙ্গল হেলী সার্ভিস লিঃ (আর এল-৯৫৪) এর বিরুদ্ধে কাতারগামী কর্মীর ভিসা জালিয়াতির বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ এর ১২(১)(গ) ধারা অনুযায়ী উক্ত এজেন্সির লাইসেন্স তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০ জুন ২০১৭ এ সংক্রান্ত স্থগিতাদেশ জারি করে। 
#
নাহার/অনসূয়া/শহিদ/আসমা/২০১৭/১৪৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                             নম্বর : ১৬৯৮  

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) : 
জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৭তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ইকবালুর রহিম, মো. আফছারুল আমীন, স্বপন ভট্টাচার্য এবং কামরুল লায়লা জলি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। 
কমিটিকে জানানো হয় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে যুদ্ধাহত, শহিদ, মৃত যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মানিভাতা, চিকিৎসা সুবিধা ও ভাতা, উৎসব বোনাস, কৃত্রিম অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, হুইল চেয়ার, বার্ষিক ক্রীড়া ও বনভোজন, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ও রেশনিং সুবিধা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছাত্র বৃত্তি, শিক্ষা ভাতা ও কন্যাদের বিবাহ ভাতা প্রদান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পিএইচডি প্রোগ্রামের বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।
বৈঠকে দিনাজপুরে ২৭জন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন না এ বিষয়ে আইনগত কোনো জটিলতা না থাকলে তাদের ভাতা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ থাকা মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যপস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#

এমাদুল/অনসূয়া/গিয়াস/শহিদ/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৪২০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                              নম্বর : ১৬৯৭  

রোববার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা 
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) : 

১৪৩৮ হিজরি সনের পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আগামী ২৫ জুন রোববার সন্ধ্যা ৭.১৫ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম এর সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা অন্য কোনো উপায়ে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। 
টেলিফোন নম্বর: ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭     ও ৯৫৫৮৩৩৭।        
ফ্যাক্স নম্বর: ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১।
#
শারমীন/অনসূয়া/গিয়াস/সুবর্ণা/আসমা/২০১৭/১৩৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                   নম্বর : ১৬৯৬  

বর্তমান সরকার শিশুবান্ধব সরকার
                - ডেপুটি স্পিকার
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :
সমাজে অভিভাবকহীন অসহায় শিশু যাদের দেখভাল করার মত কেউ নেই কিংবা অভিভাবক থাকলেও সন্তানের লালন পালনে অসমর্থ এমন শিশুদের জন্য সরকারিভাবে শিশুপল্লি গড়ে তোলার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এস ও এস শিশু পল্লির কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য সমাজের বিত্তবান শ্রেণিকেও আহ্বান তিনি।
বুধবার রাজধানীর শ্যমলীতে এস ও এস শিশুপল্লিতে আন্তর্জাতিক শিশুপল্লি দিবস উদ্যাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান ডেপুটি স্পিকার। 
ডেপুটি স্পিকার বলেন, সরকারি সহযোগিতায় এতিমখানা, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মত আরো অনেক মহৎ উদ্যোগ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই নেয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালে এস ও এস শিশু পল্লির প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর হারম্যান মেইনার কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুপল্লি প্রতিষ্ঠার জন্য শ্যামলীতে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। বর্তমানে ঢাকাসহ রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, সিলেট ও বাগেরহাটে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার শিশুবান্ধব সরকার। শিশুদের কল্যাণে তিনি অনেক কাজ করছেন।
#
স্বপন/অনসূয়া/গিয়াস/শহিদ/আসমা/২০১৭/১৩৪০ ঘণ্টা 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৬৯৫
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) :     
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উপলক্ষে সংগঠনের অগণিত নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভান্যুধায়ীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এদিনে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ সকল নেতৃবৃন্দকে। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীকে। আমি স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাসহ স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে শহিদ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের- যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ গণমানুষের এক বিশাল সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
বাঙালি জাতির মুক্তি ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুুর রহমান সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখ-ে যা কিছু বিশাল অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের আত্মপরিচয়ের সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৫২’র ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২’র আইয়ুবের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪’র দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
আওয়ামী লীগ দেশের মাটি ও মানুষের দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই অর্জন করেছে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক এবং মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্বদানের সুমহান গৌরব। ১৯৭০’র নির্বাচনে বাঙালি জাতি আওয়ামী লীগের পক্ষে নিরঙ্কুশ রায় দেয়। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১’র ৭ই মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে ইতিহাসের নির্মমতম গণহত্যা। গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে এই সরকার শপথ গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত সফল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল-স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।
সদ্য স্বাধীন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন জাতির পিতা তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরের সংগ্রামে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তখনই ঘাতকেরা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৩রা নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও অবৈধ সেনাশাসকদের নির্যাতন আর নিপীড়নের মাধ্যমে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয় জনগণের সংগঠন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। কিন্তু কোনো অপচেষ্টা কখনই সফল হয়নি। আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী, সমর্থকেরা জীবন দিয়ে সকল প্রতিকূলতা, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে টিকিয়ে রেখেছে, শক্তিশালী করেছে।

গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। খাদ্য ঘাটতির দেশ বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ সরকারই খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করে। আওয়ামী লীগ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারও মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি। আওয়ামী লীগের এই পাঁচ বছরের শাসনামল জাতীয় ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল সময় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অপশাসন, দমন পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে। 
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার গত সাড়ে আট বছরে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, কূটনৈতিক সাফল্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রতিটি খাতে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭.২৪ শতাংশে। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। মানুষের আয় ও ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬০২ মার্কিন ডলার। রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ৫ কোটি মানুষ নি¤œ আয়ের স্তর থেকে মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। সাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ৫৫ লাখ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরণের ভাতা পাচ্ছেন। দেশের ৮০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায়। দরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে ৩০ ধরণের ওষুধ পাচ্ছেন। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭১ বছর ৭ মাস। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। সারাদেশে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার, পাতাল সড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রেল, নৌ ও যোগাযোগসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। 
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করেছি। ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য পরিচালনা করছি। বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। আমরা ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমারও শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আজ আত্মপ্রত্যয়ী, বিশ্বে উন্নয়ন বিস্ময়। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ যখন উন্নয়নের সোপানে এগিয়ে যাচ্ছে তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। কোনো অশুভ শক্তিকে এই দেশে বিস্তার লাভ করতে দেওয়া হবে না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান বাংলাদেশে হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি, এ দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ অতীতের মতো সকল অপশক্তিকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত করবে।
বাঙালি জাতির প্রতিটি মহৎ, শুভ ও কল্যাণকর অর্জনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ্, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/গিয়াস/শহিদ/সুবর্ণা/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১০৪২ ঘণ্টা 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৬৯৪
আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৮ আষাঢ় (২২ জুন) : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
“তেইশে জুন আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে আমি প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

Todays handout (3).docx