Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী ৬ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২১৬০

 

রাজশাহী বিভাগে করোনাকালিন সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

            রাজশাহী বিভাগে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

            নওগাঁ জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৮৭৯  পরিবারকে মানবিক  সহায়তা  প্রদান করা হয়েছে।

            এর মধ্যে ১৫ হাজার ২৫০ পরিবারের মাঝে ৩০৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। ৩৫ হাজার  পরিবারকে নগদ ২ কোটি ২১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭০১ পরিবারের মাঝে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ১০ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২৮ পরিবারের মাঝে ১৭ হাজার ৭৯৪ মেট্রিক টন চাল  বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, করোনায় গবাদি পশুকে বাঁচিয়ে রাখতে এ জেলায় ৭ লাখ টাকা গো-খাদ্য এবং ৪ লাখ টাকা শিশু খাদ্য হিসেবে  বিতরণ করা হচ্ছে ।

            রাজশাহী জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৩০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে ।  ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯০ পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে ।  ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৩০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে  ২৭ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।

            নাটোর জেলায় করোনার মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে  বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ১ লাখ ২৩ হাজার ৬০০ জনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এ জেলায় ৩৩৩ নম্বরে কল গ্রহণ করে ১৬ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।

            বগুড়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৪০ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯ কোটি  ৮৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫০ টাকার ২ লাখ ১৮ হাজার ৫২১ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো খাদ্য হিসেবে  ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা  অচিরেই বিতরণ হবে।

            পাবনা  জেলায় আজ জিআর (ক্যাশ) খাতে  ২৯ লাখ ৫ হাজার টাকা ৫ হাজার ৮১০ পরিবারের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে ১ কোটি  ৭ লাখ ৯২ হাজার ২৫০ টাকা ২৩ হাজার ৮৮৩ পরিবারের  মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

            জয়পুরহাট  জেলায় জিআর (ক্যাশ) খাতে  ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ১৫ হাজার ৯০০ পরিবারের  মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, যাতে উপকারভোগী ৬৩ হাজার ৬০০ জন।

            রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

#

মারুফ/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২১১২ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২১৫৯

 

প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন প্রকল্প দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটাতে পারে

                                                   -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

          প্রাণিসম্পদ খাতে সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

          আজ রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সভা কক্ষে অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

          মন্ত্রী বলেন, “প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বর্তমানের চেয়ে সমৃদ্ধ কাজ করতে পারলে আমরা এ উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবো। আর এর সুফল দেশের জনগণ পাবে।”

          মন্ত্রী বলেন, “পৃথিবী এখন বিশ্ব গ্রামে পরিণত হয়েছে। এসময় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আমাদের সাথে রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে এফএও’র বিশেষজ্ঞদের মতামত, পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও যোগ্যতা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রকল্পের শুরুতে আমদের যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল সেটা অর্জনে কোনভাবই ব্যর্থ হওয়া চলবে না। প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া মসৃণ, কার্যকর ও লক্ষ্য অর্জনে সহযোগী হতে হবে। আমাদের শিক্ষাগত ও কারিগরি সক্ষমতাসম্পন্ন এবং অভিজ্ঞ জনবল রয়েছে। প্রকল্পে কী লক্ষ্য ছিল, এ পর্যন্ত কী অর্জন হয়েছে আর কীভাবে লক্ষ্য পরিপূর্ণ করা সম্ভব হবে-এ তিনটি বিষয়ে সচেতন ও যত্নবান হলে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ সকরতে হবে। তাহলে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের যুগান্তকারী উন্নয়ন সম্ভব হবে।”

          প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন।

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ প্রাণিসসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, ডাঃ আইনুল হক ও ডাঃ হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, বাংলাদেশ প্রাণিসসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম, উপপ্রকল্প পরিচালবৃন্দ, এফএও’র অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

#

ইফতেখার/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২১১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২১৫৮

 

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাষ্ট্রীয় মদদে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করে

                                                           -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

          মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাষ্ট্রীয় মদদে স্বাধীনতার পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা,  প্রখ্যাত  শ্রমিক নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য  শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে  হত্যা করে। 

 

          শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদাতবার্ষিকী  উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামীকাল ৭  মে  শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৭তম শাহাদাতবার্ষিকী। ২০০৪ সালের ৭ মে   নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। 

 

          আ ক ম মোজাম্মেল হক  বলেন,  আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার বিচারের রায় এখনো কার্যকর হয়নি। তিনি অবিলম্বে  রায় কার্যকর করার দাবি জানান।

 

          তিনি বলেন, শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার  গাজীপুর সদর - টঙ্গী  আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু-দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্ লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর চেয়ারম্যান। শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন। 

 

          মন্ত্রী  প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার প্রতি গভীর  শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

          আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ  প্রধান অতিথি হিসিবে অংশ বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ, প্রবীণ সাংবাদিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া , বাসসের বাংলা বিভাগের প্রধান রুহুল গণি জ্যোতি , সাংবাদিক  খান  মোহাম্মদ সালেক, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের  সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম.এ বারীসহ  বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ।

 

          সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন  আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের  সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।

 

#

মারুফ/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২১৫৭

 

ডিজিটাল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল যুগের মহাসড়ক

                               -- মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল যুগের মহাসড়ক। তার মতে ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। এরই ধারাবাহিকতায় টেলিযোগাযোগখাত হচ্ছে ব্যক্তিগত থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনের মুখ্য বিষয়। তিনি গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নের টেলিযোগাযোগখাত সংশ্লিষ্টদের আরও যত্মশীল হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, উন্নত গ্রাহক সেবার বিষয়টি এখনো পর্যাপ্ত নয়। মোবাইল ফোন অপারেটর সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে আরও তৎপর হতে হবে।

          মন্ত্রী আজ জিএসএমএ এর বাংলাদেশ মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ট্যাক্স স্টাডি এর উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

          মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ জাতির একটি স্বপ্ন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রাথমিক কাজ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু করে ছিলেন। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ১২ বছরে বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি পৃথিবীতে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ এক গুরুত্বপূণ সময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে কম্পিউটার বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার এবং টেলকোসমূহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাণশক্তি। তিনি বলেন, আমরা এখন ডিজিটাল যুগে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের উন্নয়নের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। কোভিডকালে তা প্রমাণিত হয়েছে। প্রযুক্তির আধুনিক ভার্সন ফাইভজি ২০১৮ সালে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রবর্তক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফাইভজি হচ্ছে চতুর্থ শিল্প যুগের প্রযুক্তি। ২০২১ সালের মধ্যে ফাইভ জি সেবা চালু করার সকল প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।

          মন্ত্রী বলেন, আগামী দিন হচ্ছে ডাটার যুগ। ভয়েজ সার্ভিসের তুলনায় ডাটা সার্ভিসের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। তিনি ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ২০০৮ সালে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিলো ২৭ হাজার টাকা তা ২৮৫ টাকায় আমরা কমিয়ে এনেছি।

          জিএসএমএ টিমের জুলিয়ান গোরম্যানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো: সিরাজুল ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন,বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য প্রদ্যুত কুমার সরকার, জিএসএমএ টিম কর্মকর্তা জেনস বেকার এবং অ্যামটবের সেক্রেটারি জেনালেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফরহাদ বক্তৃতা করেন।

#

শেফায়েত/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০৪২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২১৫৬

 

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার  বিষয়ে অভিমত যথাশিগগির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে

                                                                                 -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :


          আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার  আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের অভিমত যথাশিগগির  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

          আজ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তাঁর গুলশান আবাসিক অফিসে  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, ফাইলটি বিকেলে তাঁর কাছে এসেছে।  সেটা পড়ে দেখে অভিমত দিবেন। আজকে তা দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে যথাশিগগিরই অভিমত  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

          মন্ত্রী বলেন,   এর আগে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায়। ৪০১ ধারা কাজ কিন্তু সম্পন্ন হয়ে গেছে। তারপর আবার এটাকে ওপেন করার সুযোগ আছে কি-না সেটা দেখা হবে। সেটা দেখে  অভিমত দেওয়া হবে।

#

রেজাউল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা



তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :  ২১৫৫

 

আম চাষিদের স্বল্প সুদে ঋণ ও বিনামূল্যে উন্নতজাতের চারা দেয়া হবে

                                                                      -- কৃষিমন্ত্রী

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

          আমচাষি ও উদ্যোক্তারদেরকে মাত্র ৪% সুদে বিশেষ ঋণ ও আম বাগান স্থাপনের জন্য বিনামূল্যে উন্নতজাতের চারা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সরকার আমের উৎপাদন বাড়াতে নিরলস কাজ করছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো উন্নতজাতের আম ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। ফলে আমের বাণিজ্যিক উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সরকার আমের রপ্তানি বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আম উৎপাদন এলাকায় ৪টি ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে আমের সংরক্ষণকাল বৃদ্ধি পাবে, রপ্তানি সহজতর হবে এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে

 

          মন্ত্রী আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে ‘আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের’ সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

 

          সভায় আমচাষি ও উদ্যোক্তারা আম চাষ ও রপ্তানির বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। আমের সংরক্ষণ সমস্যা, ভাল ফুড ব্যাগ ও সহজ শর্তে বিশেষ কৃষি ঋণের ব্যবস্থার জন্য দাবি জানান। তিনি বলেন, যেসব বাগানে আমের ফলন কম, সেসব পুরাতন বাগান কেটে  নতুন বাগান স্থাপন করতে চাইলে বিনামূল্যে উন্নতজাতের চারা দেয়া হবে।

 

          পরে মন্ত্রী কৃষকের মাঝে উচ্চফলনশীল বারি আম-৪ ও বারি আম-১১ (বারোমাসি) জাতের আমের চারা বিতরণ করেন।

 

          বারির মহাপরিচালক ড. মো:  নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে  স্থানীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, এডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, সাবেক ডিজি হামিদুর রহমান, ব্রির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পিএসও হরিদাস চন্ত্র মোহন্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

#

কামরুল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৫৪ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :  ২১৫৪

বরিশাল বিভাগে করোনাকালীন সরকারি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

            বরিশাল বিভাগের কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় গরিব, অসহায়, দুঃস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

            আজ বরিশাল জেলায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে ১ হাজার ৫০০ জন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া দরিদ্র, দুস্থ, ভাসমান এবং অসচ্ছল মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। উপহারসামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ, চিনি ও সেমাই বিতরণ করা হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার এর সভাপতিত্বে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক প্রধান অতিথি থেকে এসব উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন।

            পটুয়াখালী জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবেলা এ পর্যন্ত নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৩৩৩টি পরিবারের ১ লাখ ৬৬ হাজার জনের মাঝে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি পরিবারের ১২ লাখ ৬০ হাজার ৫৪৮ জনের মাঝে ১৪ কোটি ১৮ লাখ ১১ হাজার ৬৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ৩৫টি পরিবারের ১৭৫ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

            বরগুনা জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলা এ পর্যন্ত নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯১৬টি পরিবারের ১ লাখ ১১ হাজার ৬৬৪ জনের মাঝে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ১ লাখ ৩০ হাজার ১২২টি পরিবার বা ৫ লাখ ২০ হাজার ৪৮৮ জানের মাঝে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ৭টি পরিবার বা ২৮ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

            ঝালকাঠি জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবেলা এ পর্যন্ত নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ১০৪টি পরিবারের ২৩ হাজার ৯৯০ জনের মাঝে ২৩ লাখ ২ হাজার ৯০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ৫ হাজার ২৯১ টি পরিবারের ২৬ হাজার ৪১৮ জনের মাঝে ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ৪২টি পরিবারের ১৭৯ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

            পিরোজপুর জেলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২০০টি পরিবারের ১৬ হাজার ৮০০ জনের মাঝে ১৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা ত্রাণকার্য (নগদ অর্থ) বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ২ হজার ৪৩৮টি পরিবারের ৯ হাজার ৭৫২ জনের মাঝে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ২০ টি পরিবার বা ৮০ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

            জেলাসমূহের জেলা তথ্য এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৫২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :  ২১৫৩

রংপুর  বিভাগে কর্মহীন দরিদ্র ও অসহায় মানুষের  মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

            কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে আজ রংপুর  বিভাগের জেলাগুলোতে  করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অব্যাহত  রয়েছে।

            লালমনিরহাট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ এর আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আজ লালমনিরহাটের শেখ কামাল স্টেডিয়াম মাঠে ৩০০ জন অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, সেমাই এবং চিনি বিতরণ করা হয়েছে।

            পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ২৭৭৫টি পরিবারকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আটোয়ারী উপজেলায় ১১১০টি পরিবারকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলায়  ৬৬৭৯টি পরিবারকে নগদ ১ কোটি ৭৩ লাখ ১১ হাজার ৯৫০ টাকা  এবং আটোয়ারী উপজেলায় ২১৩৫টি পরিবারকে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

            গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন জেলার ২৩৭০টি গরিব-দুস্থ-অসহায় পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে  নগদ ৪৮৪ টাকা করে দিয়েছে। এ ছাড়া ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১২,৪৮২টি পরিবারকে নগদ ৪৫০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

            নীলফামারী জেলার সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলার ১১০৩টি পরিবারকে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট  উপজেলা প্রশাসন।

            কুড়িগ্রাম পৌরসভা, সদর উপজেলা, চিলমারী উপজেলা ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার প্রতিটিতে ১০২১টি পরিবারকে ৪৫০ টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার প্রদান করেছে।

            দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায়  প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে করোনায়  ক্ষতিগ্রস্ত ৭০০০ গরিব-দুস্থ-অসহায় মানুষকে মোট ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।

            ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে জাতীয় হেল্প লাইন ৩৩৩ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত নামের তালিকা হতে ৫০ টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে ত্রাণ সহায়তা  দিয়েছে।

#

রেজাউল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ২১৫২

চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ চলমান

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :

            চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পুরোদমে চলমান রয়েছে।

            চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৪,৪৯২ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৩,২২,৪৬০ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৬৫ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৫ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৫৩৯টি পরিবার।

            কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে অদ্যবধি ১ কোটি ৪৮ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৫০ টাকা ৩৩,০৭৯ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৯০ লক্ষ ০৭ হাজার ৮০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ১,৪৩,৬৬৩ টি প্রান্তিক পরিবার ও ৬,৬৪,৮৯৫ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১,০৮৯টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৮ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৮ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

            রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর(ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যবধি ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২৫,০০০ পরিবার ও ৮৬,৯১০ জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবৎ ২৪,৪০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ০৯ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।

            খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৮,২৮৮টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ৯৫ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭৭ লক্ষ ৪২ হাজার ৫৫০ টাকা ১৭,১৫১ টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৬টি পরিবার।

            বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ১৪,৫২০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার মধ্যে এ যাবৎ ৩১,৮০৯টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হে

2021-05-06-15-37-1e75744981af071b2e0ebefde78a1b63.docx