Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তথ্য বিবরণী 09/01/2015

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৭১

দুই দিনে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায়
 দুই হাজার সাত শতাধিক যানবাহন চলাচল করেছে

ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :    

    বিজিবি এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বিত প্রহরায় ৮ জানুয়ারি থেকে
৯ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২ হাজার ৭ শতাধিক যাত্রীবাহী বাস, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও অন্যান্য যানবাহন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে চলাচল করেছে। এরমধ্যে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ১১২টি, চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ১ হাজার ৪৬টি, যশোর/সাতক্ষীরা-আরিচা-ঢাকা রুটে ১ হাজার ৪০৬টি, রাজশাহী-বগুড়া-যমুনা ব্রিজ-ঢাকা রুটে ১১৮টি এবং রংপুর-বগুড়া-যমুনা ব্রিজ-ঢাকা রুটে ৭০টি বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য যানবাহন বিভিন্ন গন্তব্যে নিরাপদে চলাচল করেছে।

    এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তাবেষ্টিত যানবাহনের বহরের সাথে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো অন্যান্য যানবাহন বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেছে।

#
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৭২

২০ মণ জাটকা আটক করেছে  কোস্টগার্ড

নারায়ণগঞ্জ, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :    

    আজ নারায়ণগঞ্জের বাংলাদেশ কোস্টগার্ড স্টেশন পাগলা’র একটি অপারেশনদল বুড়িগঙ্গা নদীতে নিয়মিত টহলদানকালে ‘এম ভি কিং সম্রাট’ যাত্রীবাহী লঞ্চ হতে মালিকবিহীন অবস্থায় ৮০০ কেজি (২০ মণ) জাটকা আটক করে। আটককৃত জাটকার মূল্য প্রায় দুই লাখ চল্লি¬শ হাজার টাকা।

    আটককৃত জাটকা নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

#
মোহসিন/মিজান/নবী/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/২০৫০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৭০
   
চলতি বছরের জুনের পরেই বিটিভি খুলনা কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হবে
                                                                 -- তথ্যমন্ত্রী

খুলনা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

    তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, চলতি বছরের জুনের পরেই বাংলাদেশ  টেলিভিশন খুলনা কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হবে। আগামী বছরের মধ্যেই কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারের কাজ শুরু করবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি জেলায় তথ্যভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। তথ্যভবনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল বিভাগের দপ্তর, মিডিয়া সেন্টার, হলরুম, আইসিটি কেন্দ্র ও মিডিয়া কর্নারসহ অন্যান্য অবকাঠামো থাকবে।

    তথ্যমন্ত্রী আজ খুলনায় সার্কিট হাউজে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন খুলনা  কেন্দ্র চালুর অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেন।

    মতবিনিময়কালে খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ বশির উদ্দিন, পিআইডি’র সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জিনাত আরা আহমেদ, বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক ম. জাভেদ ইকবাল, খুলনা বিটিভির উপকেন্দ্র প্রধান ও রক্ষণ প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন, খুলনা বেতারের উপবার্তা নিয়ন্ত্রক মোঃ নূরুল ইসলাম এবং জেলা তথ্য অফিসের সহকারী তথ্য অফিসার শেখ শাহনওয়াজ করিম উপস্থিত ছিলেন।
    
#

জিনাত/মিজান/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮৩০ ঘণ্টা   
 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৬৯
   
 নির্ভয়ে গাড়ি চালানোর আহ্বান নৌমন্ত্রীর

ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

    নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান নির্ভয়ে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ  থেকে সবধরনের সহযোগিতা  দেয়া হবে।

    মন্ত্রী আজ রাজধানীর গাবতলীতে পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময়সভায় একথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, ২০ দলীয়  জোটের আন্দোলন জনগণের জন্য নয়। তারা আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করছে। সভ্য জগতে যারা এ ধরনের অপকর্ম করে তাদের  কোনো মানবিকতা নেই। তারা মানবজাতির শত্রু। তিনি বলেন, বিএনপি  নেত্রী আন্দোলনের নামে  যে ৭ দফা দিয়েছেন তা জনগণের দাবি নয়, পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদেরও কোনো দাবি নয়।

    শাজাহান খান ২০ দলীয়  জোটের  নেতাদের প্রতি আন্দোলনের নামে ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পরিবহণ  সেক্টরে মালিক-শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তারাই গাড়ি ভাঙচুর ও ধ্বংস করছে।
    
    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স¦রাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মোঃ মশিউর রহমান রাঙ্গা, সংসদ সদস্য আসলামুল হক, পরিবহণ মালিক সমিতির আহ্বায়ক খন্দকার এনায়েতউল্লাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক  ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বক্তৃতা করেন।

#

জাহাঙ্গীর/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৯০০ ঘণ্টা   

 
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৬৮

বিচারপতিদের বাড়িতে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আইনমন্ত্রীর ক্ষোভ


ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :    

আইনের দৃষ্টিতে পলাতক আসামি তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রদানকারী হাইকোর্টের বিচারপতিদের বাসভবন এবং গ্রামের বাড়িতে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এ হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারপতিদের বাসায় এ ধরনের হামলা রাষ্ট্রের ওপর আঘাত যা কোনোভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়। এ ঘটনা বিএনপি এবং তারেক রহমানের সন্ত্রাসী কর্মকা-েরই প্রমাণ দেয়। এ ঘটনা বিচারবিভাগের আত্মবিশ্বাস বা মনোবল বিন্দুমাত্র টলাতে পারবে না বলে তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, দেশের প্রচলিত আইনমোতাবেক এ বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

#
শাহীন/মিজান/নবী/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৯২১ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৬৭
    
বঙ্গবন্ধুর স¦দেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী   

ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :    

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স¦দেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    “বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এদিন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
    জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা জনগণের এ রায়কে উপেক্ষা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। শুরু হয় প্রহসন। বাঙালির ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। বাঙালি জাতির চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা দেন ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’’। ২৫ শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। জাতির পিতা ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
    জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস এ নিভৃত কারাগারে তিনি অসহনীয় নির্যাতনের শিকার হন। প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে তিনি মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে। জাতির পিতা ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি বাংলার মাটিতে প্রত্যাবর্তন করে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। পাকিস্তানি সামরিক জান্তার নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন। বাঙালি জাতি ফিরে পায় জাতির পিতাকে। বাঙালির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে।
    স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের  দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বন্ধু দেশসমূহ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্য হয়। বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে অতি অল্পদিনের মধ্যেই বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান তৈরি হয়।
    ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেয়। বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখলকারীরা গণতন্ত্র হত্যা করে। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। রুদ্ধ করে দেয় প্রগতি ও উন্নয়নের ধারা।
    অনেক সংগ্রাম আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে দেশে আজ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় ১২০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ব্যবসাবাণিজ্য, আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে রোল মডেল। আমরা দেশকে কাক্সিক্ষত অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছি। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছি।
    আসুন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জাতির পিতার স্বপ্নের ‘‘সোনার বাংলা’’ প্রতিষ্ঠা করি। যেখানে ধনী-দরিদ্র ভেদাভেদ থাকবে না। সকলের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার থাকবে অবারিত।
    কোনো অপশক্তি যাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার এ ধারাকে ব্যাহত করতে না পারে, জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
                    জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
                        বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#
নুরএলাহি/মিজান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৮০০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৬৬
বঙ্গবন্ধুর স¦দেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী  
ঢাকা, ২৬ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :   
    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স¦দেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
    “১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। স্মরণীয় এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে স্মরণ করছি।
    সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির দূত, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, রাষ্ট্রনায়ক এবং বিশ্বের নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত জনগণের মুক্তির কণ্ঠস্বর ও অনুপ্রেরণার উৎস। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৬-এর ৬-দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচনসহ বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে এই মহান নেতা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানি জান্তারা তাঁকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ সাড়ে ন’মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিত্ব ও অনিশ্চিত জীবন পার করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারামুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের এদিনে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। জীবন-মৃত্যুর কঠিন চ্যালেঞ্জের ভয়ঙ্কর অধ্যায় পার হয়ে সারাজীবনের স্বপ্ন, সাধনা ও নেতৃত্বের ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মহান নেতার প্রত্যাবর্তন সকল স্তরের জনগণকে সীমাহীন আনন্দে উদ্বেলিত করে। বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ জনতা তাঁকে অভিবাদন জানাতে রাস্তায় নেমে পড়ে। সে ছিল এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বাংলার এই অবিসংবাদিত নেতা আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘‘আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে। আমার সোনার বাংলা আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। ... আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। একজন বাঙালিও প্রাণ থাকতে এই স্বাধীনতা নষ্ট হতে দেবে না।’’
    জাতির পিতার দেশের প্রতি যে গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ ছিল তা ইতিহাসে বিরল। নিজের জীবনের চেয়ে তিনি দেশকে ভালোবাসতেন। ১০ জানুয়ারির ভাষণে আমরা এর প্রতিধ্বনি পাই। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এখন যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে চায় তা হলে সে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য মুজিব সর্বপ্রথম তার প্রাণ দেবে’’। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা যতদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত থাকব, ততদিন আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট থাকবে। আমাদের মহান নেতা সেদিন সবাইকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। আমি আশা করি, দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে সফল হব ইনশাল্লাহ।
    আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুখীসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দলমতনির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মিজান/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা