Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd নভেম্বর ২০১৮

তথ্যবিবরণী 2/11/2018

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ৩০৩৪
 
টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
 
টোকিও (জাপান), ২ নভেম্বর :
 
বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও আজ (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাপান ও বাংলাদেশের দু’জন গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ড. কাজী গিয়াস উদ্দিন -‘দ্যা অর্ডার অফ রাইজিং সান, গোল্ড, এন্ড সিল্ভার রেইস’ এবং মাতসুশিরো হরিগুচি -‘দ্যা অর্ডার অফ স্যাক্রেড ট্রেজার, গোল্ড রেইস উইথ নেক রিবন’ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় তাঁদের এই  সংবর্ধনা প্রদান করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।   
 
কাজী গিয়াস উদ্দিন জাপান ও বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে ফাইন আর্টসে স্নাতক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে টোকিও ইউনিভার্সিটি অভ্ আর্টস অ্যান্ড মিউজিক থেকে সম্মানসূচক  পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ফ্রিল্যান্সার শিল্পী হিসেবে জাপানে কাজ শুরু করলেও ক্রমেই তিনি জাপানে সুপরিচিত শিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর শিল্পকর্ম জাপান -বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান সাংস্কৃতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৪০ জন বিদেশির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এই সম্মাননা লাভ করেন। তিনি জাপানে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
 
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি মাতসুশিরো হরিগুচি পেশায় জাপানের একজন পেশাদার কূটনীতিক ছিলেন। তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কূটনীতিক হিসেবে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি একটি বইও লিখেছেন। বাংলাদেশের বন্ধু এই ব্যক্তি এখন দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জনসেবায় অসামান্য অবদান রাখায় তাঁকে  ‘দ্যা অর্ডার অফ স্যাক্রেড ট্রেজার, গোল্ড রেইস উইথ নেক রিবন’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। 
 
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে পদকপ্রাপ্ত গুণিজনদ্বয়কে শুভেচ্ছা জানান এবং দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত সংবর্ধনা গ্রহণ করায় তাঁদের ধন্যবাদ জানান। জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁদের এই সম্মান প্রাপ্তিতে বাংলাদেশও সমানভাবে গর্বিত। রাষ্ট্রদূত তাঁদের স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করেন।  
 
অনুষ্ঠানে গুণিজন ও তাঁদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাইকা,  সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন এলহাম নুসরাত নন্দিতা। আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।  
 
#
 
শিপলু/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ৩০৩৩
 
দেশের কল্যাণে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের সুযোগ দিন
  -- পরিকল্পনা মন্ত্রী
 
কুমিল্লা, ১৮ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
 
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের মূলমন্ত্র হচ্ছে অহিংসা আর বাংলাদেশ হচ্ছে অসম্প্রদায়িক দেশ, শান্তির দেশ। প্রতিটি ধর্ম-বর্ণের মানুষ এ দেশ স্বাধীন করেছে। লাখো শহিদের রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করবে। বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্যমুক্ত। এ লক্ষ্য নিয়েই বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, মানবতার মা শেখ হাসিনাকে আবারো দেশের কল্যাণে, উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার গঠনের সুযোগ দিন। 
 
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার আলীশ্বর শান্তিনিকেতন বৌদ্ধ বিহারে আজ কঠিন চীবর দানোৎসব ও সম্মেলন-২০১৮ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
 
শ্রী মহৎ ধর্ম রক্ষিত মহাথেরোর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) আবু তাহের, মেয়র আব্দুল মালেক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার, পৌরসভা মেয়র আব্দুল মালেক এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 
 
অনুষ্ঠান ঘিরে দিনব্যাপী বৌদ্ধ পূজা ও সংঘদান, ভিক্ষু সংঘের পি-দান, মঙ্গলাচরণ, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে কঠিন চীবর দানোৎসব ও বৌদ্ধ ধর্মীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানটি পালিত হয়েছে। সন্ধ্যায় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে বিশ্বশান্তি কামনায় ফানুস উড্ডয়ন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
 
#
 
তৌহিদুল/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ৩০৩২
 
জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান স্পিকারের
 
পীরগঞ্জ, ১৮ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
 
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, উন্নয়নের মূল¯্রােতে সকলকে যুক্ত করে দেশকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দুস্থ, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকার তাদের পাশে আছে। এ সময় তিনি জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
 
স্পিকার আজ তাঁর নির্বাচনী এলাকা পীরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ মানুষের মাঝে ঢেউটিন ও গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
          স্পিকার আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে দেশের আর্থসামাজিক ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেওয়া, ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াসহ নানা জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারের চলমান উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
 
#
 
তারিক/সেলিম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ৩০৩১
 
সংস্কৃতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে
          -- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী
 
মতলব উত্তর (চাঁদপুর), ১৮ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, সংস্কৃতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে। ৩০ লাখ মানুষ এ দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের রক্তের মূল্য দিতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করতে হবে।
 
মন্ত্রী গতকাল মতলব উত্তর উপজেলায় নবনির্মিত শিল্পকলা একাডেমি ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ মঞ্জুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় বক্তব্য রাখেন।
 
মন্ত্রী বলেন, আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে তরুণ সমাজকে বাঁচাতে সরকার প্রত্যেক উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণ করছে। এতে তরুণ প্রজন্মসহ সকলেই সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চা করার সুযোগ পাবে। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। তিনি আরো বলেন, মানুষ উন্নয়নের রাজনীতি পছন্দ করে। জনবিচ্ছিন্ন নেতারা কোনো দিন মানুষের কল্যাণে পাশে দাঁড়াতে পারেনি, তাদের দিয়ে দেশের মানুষের কোনো উপকারও হয় না। তাই জনবিচ্ছিন্ন নেতারা কোনো জোট করলে সেটা ভোটের রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। জোট মহাজোট করে রাজনীতিতে জট তৈরি না করতে তিনি আহ্বান জানান।
 
#
 
দেওয়ান/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩০৩০
 
ধর্মের প্রতি পূর্ণাঙ্গ আস্থা ও বিশ^াস আওয়ামী লীগের সবসময় ছিল ও আছে
---ভূমিমন্ত্রী 
 
 
 
ঈশ^রদী (পাবনা), ১৮ কার্তিক (২ নভেম্বর) : 
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, ধর্মের প্রতি পূর্ণাঙ্গ আস্থা ও বিশ^াস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবসময় ছিল এবং আছে। 
আজ ঈশ^রদীর ফরাজী পাড়াস্থ সাঁড়া গোপালপুর হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কওমী মাদ্রাসার ছাদ ঢালাইয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষ ইসলামের বাণী নিয়ে সুদূর ইরাক থেকে এদেশে এসেছিলেন। জাতির পিতা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টঙ্গীতে বিশ^ ইজতেমার জন্য জায়গা নির্ধারণ এবং কাকরাইল মসজিদ স্থাপন করে ভ্রাতৃপ্রতিম বিশ^ মুসলিম উম্মাহর যোগাযোগের সেতুবন্ধন রচনা করেছিলেন। অথচ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি অপপ্রচার রটিয়েছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদেশ হিন্দুর দেশ হয়ে যাবে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ। এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণের কথা তিনি সবসময় ভাবেন। তিনি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন, ফজরের নামাজ আদায় করেন এবং কোরআন তিলাওয়াতের পর রাষ্ট্রীয় কাজে মনোনিবেশ করেন। 
মন্ত্রী আরও বলেন, ইতিপূর্বে এদেশের আলেমদের শিক্ষার মান নির্ধারণ থেকে অনেক দূরে রাখা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা আলেম ওলামাদের প্রতি আন্তরিক হওয়ায় তিনি গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ইসলামী আরবি বিশ^বিদ্যালয়কে। 
#
 
রেজুয়ান/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭৪৪ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর :৩০২৯  
 
জেলহত্যা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
 
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মানবতা ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে ৩রা নভেম্বর একটি কলঙ্কিত দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকা- পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা হত্যাকা- ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকা-ের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
পঁচাত্তরের সেই ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতদাতারা পরবর্তী ২১ বছর ধরে দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। শাসকগোষ্ঠী কখনও সামরিক লেবাসে, কখনও গণতন্ত্রের মুখোশ পরে, অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা ধরে রাখে। আত্মস্বীকৃত খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার বদলে পুরস্কৃত করে। হত্যাকারীদের তাদের বিদেশে চাকরি দিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। খুনিদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনে। আমরা জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারও সম্পন্ন হয়েছে। জনগণকে দেওয়া ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা করছি, বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে।
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সবসময়ই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তারা দেশের গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে পরাজিত করতে বার বার হামলা চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। সম্প্রতি আদালত কর্তৃক ভয়াবহ ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়েছে। আমরা দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র-বিরোধী যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমি বিশ্বাস করি, দেশবাসী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারা সমুন্নত রাখবেন। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হব।
আমি জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।   
 
                                                                                                  জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
          বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
 
#
ইমরুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৩০২৮

জেলহত্যা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৮ কার্তিক (২ নভেম্বর) :  

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          "আজ ৩রা নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন। আমি আজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁদের স্মরণ করছি।

          আমাদের স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দু’দশকের অধিককাল ধরে জাতিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর আহ্বানে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় তাঁর অবর্তমানে ১৯৭১ সালে জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠন, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। জাতি তাঁদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

          স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর আদর্শ চির জাগরূক থাকবে। বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন - এটাই হোক জেল হত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

          আমি জাতীয় চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

          খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"

#

হাসান/মাহমুদ/মোশারফ/আববাস/২০১৮/১৭০১ ঘণ্টা  

Todays handout (4).docx