তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৬২
দেশে টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করবে আইসিটি বিভাগ ও আইইবি
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, দেশে একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য যৌথভাবে কাজ করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশ (আইইবি)।
প্রতিমন্ত্রী আজ ‘সেন্টার অভ্ এক্সিলেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলিউশন’ এবং ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’তে যৌথভাবে রিসার্চ ও ইনোভেশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইইবি এবং আইসিটি বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সমঝোতা স্মারকে আইইবি’র পক্ষে স্বাক্ষর করেন আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ এবং আইসিটি বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন যুগ্ম সচিব মোঃ আক্তারুজ্জামান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় প্রযুক্তির উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (SHIFT) নামে একটি বিশেষায়িত টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের মাধ্যমে এটি পরিচালিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বিশ্বমানের লোকাল এন্টাপ্রেনিউর, গবেষক ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তৈরির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো কার্যক্রমও বাংলাদেশেই সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পলক বলেন, ‘সেন্টার অভ্ এক্সিলেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলিউশন’ এবং ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’তে কোর্স কারিকুলাম যুগোপযোগী করা এবং প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনায় আইইবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি আরো বলেন, আইইবির সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে গবেষণা এবং পেশাগত দক্ষতার উৎকর্ষ সাধনে সারা বিশ্বে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের সংযুক্ত করে ন্যাশনাল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হবে। এ ইকোসিস্টেম আগামী দিনে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর, সিআরআই এর কোঅর্ডিনেটর প্রকৌশলী তন্ময় আহমেদ।
#
শহিদুল/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২০/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৬১
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পাশে দাঁড়াতে কমনওয়েলথভুক্ত
দেশগুলোর প্রতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বব্যাপী নারীরা চাকুরি হারিয়েছে, আয় কমে গেছে এবং একই সাথে বৈষম্য, শোষণ ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এই করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ, কর্মজীবী নারী, নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহায়তা এবং নারীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহকে একসাথে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট লন্ডনের আয়োজনে “ভার্চুয়াল মিটিং অভ্ কমনওয়েলথ মিনিস্টারস ফর উইমেন’স অ্যাফেয়ার্স এন্ড জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট অভ্ কোভিড-১৯” শীর্ষক কমনওয়েলথভুক্ত দেশের উইমেন’স অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রীদের সাথে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন কমনওয়েলথ উইমেন’স অ্যাফেয়ার্স চেয়ারম্যান ও কেনিয়ার পাবলিক সার্ভিস, ইয়ুথ ও জেন্ডার বিষয়ক মন্ত্রী প্রফেসর মার্গারেট কবিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটেলি ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে দ্রুত বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের নারী-সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকার এক লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, নগদ অর্থ বিতরণ, গৃহ নির্মাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা প্যাকেজ প্রদান করা হয়েছে যার বেশিরভাগের উপকারভোগী নারী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের ডাক্তার, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ৮০ ভাগ নারী যারা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। করোনার কারণে যেসব প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছে তাদের পরিবারের নারী ও শিশু খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও আম্পান ও বন্যার কারণে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু আছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় করোনা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে নারীদের আর্থিক, টেকনিক্যাল ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। এছাড়া সরকার ২০ লাখ নারীকে ভিজিডি, মাতৃত্বকালীন ও কর্মজীবী ল্যাক্টেটিং মা ভাতা প্রদান করছে।
ভার্চুয়াল সভায় কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নারীদের নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ এবং জেন্ডার ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সবাইকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে।
#
আলমগীর/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২০/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৬০
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে দেশের জনসম্পদ ব্যবহারে নীতিমালা অপরিহার্য
-- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব তথা প্রযুক্তিগত এই বিপ্লবে বাংলাদেশের বিশাল জনসম্পদ যাতে কাজে লাগানো যায় সে চেষ্টা করতে হবে। ড্রাইভার বিহীন গাড়ি কিংবা শ্রমিক ছাড়া পোশাক কারখানা উন্নত বিশ্বের জন্য আনন্দের কিন্তু আমাদের জন্য সেটা অমানবিক, অস্বাভাবিক ও অপ্রয়োজনীয়। কাজেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ে অন্যদের অনুসরণ না করে বাংলাদেশের নিজস্ব পেক্ষাপটের আলোকে এই বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন করা অপরিহার্য।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক ডিসিসিআই আয়োজিত ওয়েবিনার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট (জনমিতি) তুলে ধরে বলেন, বিশ্বে অতীতে শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বকারী দেশসমূহের বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট নেই। উন্নত দেশগুলোতে বর্তমানে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বিশাল সংকট বিরাজ করছে। এজন্য তারা মানুষহীন শিল্প বিপ্লব চায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের শতকরা ৬৫ ভাগ জনগোষ্ঠীর বয়স ৩৫ বছরের নীচে। এই বিশাল জনসম্পদকে উন্নয়নের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজে লাগানোই হবে আমাদের বড় সুযোগ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে দেশের তরুণরা সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে তারা সহজেই প্রযুক্তিকে আয়ত্ত্ব করতে পারে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আমাদের ছেলেরা দক্ষতা এবং অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ শরিক হতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে দেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে। করোনাকালে বাংলাদেশ শিল্প, বাণিজ্য ও টেলিমেডিসিন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সেবা দিয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা উন্নত বিশ্ব থেকে পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। মন্ত্রী প্রযু্ক্তির লেটেস্ট ভার্সন ফাইভ জি প্রবর্তণে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে ফাইভ-জি সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। যেখানে ইন্ডাস্ট্রি করতে চান প্রযুক্তি পাবেন বলে এ সময় শিল্প উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মবিনের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম,শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, এসএমই ফাউন্ডেশনের গবেষক সিরাজুল হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, অধ্যাপক ড. রাশেদুর রহমান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ফাত্তাহ, ডিসিসিআই এর সাবেক নেতা আতিক রাব্বানি, পাঠাও এর সিইও ফাহিম আহমেদ বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৮৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৯
ইমিগ্রেশন কাউন্টারে তথ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, প্রবাসী কর্মীরা দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি আরো বলেন, বিদেশ ফেরত কর্মীদের আর্থ-সামাজিকভাবে পুনর্বাসন ও পুনঃএকত্রীকরণের ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। তাই বিদেশ প্রত্যাগত কর্মী বা রিটার্নিদের সরকারের বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে তাদের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের একটি সমন্বিত ডাটাবেজ প্রণয়নের লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে জুম অনলাইনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ জন্য দ্রততম সময়ে ইমিগ্রেশন বিভাগের সিস্টেমে তথ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ)-কে আহ্বায়ক করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ আজহারুল হক, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধূরী, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) মীর শহিদুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
#
রাশেদুজ্জামান/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৮
বান্দরবানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং
বান্দরবান, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং আজ বান্দরবানের বালাঘাট ইউনিয়ন পরিষদে তিন পার্বত্য জেলায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে বরাদ্দ তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে নিদিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বান্দরবান জেলা সদরের বালাঘাট-তারাছা ইউপি সড়ক, শিশু পরিবার সড়ক, বীর বাহাদুর নগর সড়ক, ছাইংগ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মন্ত্রী। এছাড়া বিক্রিছড়া সড়কে একটি পিসি গার্ডার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বান্দরবান পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ, সরকারি কর্মকর্তা-সহ স্থানীয় এলাকাবাসী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। #
নাছির/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৭
গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করায় এ বছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, গত বছরের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এবছরের শুরু থেকেই মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সিটি কর্পোরেশনকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এডিস মশা এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় এখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ হতে অনলাইনে আয়োজিত ঢাকা মহানগরী-সহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ৬ষ্ঠ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দুই থেকে তিনগুণ বেশি হবে বলে আইইডিসিআর পূর্বাভাস দিলেও তেমনটি হয়নি জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে মুক্ত রাখতে দুই সিটি কর্পোরেশন-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং মানুষকে সচেতনতার লক্ষ্যে টেলিভিশন বিজ্ঞাপন-টিভিসি তৈরি করে প্রচার করায় ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, দেশের সকল হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর যে সকল মেডিকেল বর্জ্য তৈরি হয় সেগুলো যত্রতত্র না ফেলে ইনসিনারেশন প্ল্যান্টের মাধ্যমে বার্ণ করতে হবে। যে সকল হাসপাতাল-ক্লিনিক এই পদক্ষেপ নেবে না তাদের তালিকা তৈরি করে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। এ সময় এডিস মশা নির্মূলে বিভিন্ন জলাশয়ে থাকা কচুরিপানা অপসারণ করার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার আশ্বাস প্রদান করেন মন্ত্রী।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক-সহ (এসডিজি বিষয়ক) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।
#
হায়দার/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৬
গণমাধ্যমে ১৫ ও ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জিয়া-তারেকের সংশ্লিষ্টতা প্রকাশে বিএনপি’র গাত্রদাহ
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জিয়া, তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতা ও বেগম খালেদা জিয়ার প্রশ্রয় দেয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় বিএনপি’র গাত্রদাহ শুরু হয়েছে’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এ সময় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর মন্তব্য ‘জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে’ -এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক জিয়ার শাস্তি হয়েছে, দুর্নীতি মামলায় তারেক জিয়ার শাস্তি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে সাজাভোগ করছে। প্রধানমন্ত্রী নজিরবিহীনভাবে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মহানুভবতা দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাবলে প্রশাসনিক আদেশে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে তিনি ছয়মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছেন। বাংলাদেশে এরকম আগে ঘটেনি।’
সুতরাং সরকার বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যে মহানুভবতা দেখিয়েছে তা যেমন তুলনাহীন আর বিএনপি যেভাবে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে মানুষের প্রতি হিংসতা দেখিয়েছে, সেটিও তুলনাহীন, মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহ্মুদ।
এক-এগারোর সরকার খালেদা জিয়াকে মাইনাসের চেষ্টা করেছিল-বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপি সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারণেই এক-এগারোর সরকার সৃষ্টি হয়েছিল। আপনারা জানেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বিএনপি কীভাবে দেশ পরিচালনা করেছে। সেসময় দেশ দুর্নীতিতে পরপর ৫বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের সৃষ্টি হয়েছে, দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে ৫০০ জায়গায় বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করা হয়েছে। অর্থাৎ দুর্নীতি ও চরম অপশাসনের কারণেই এক-এগারোর সরকার সৃষ্টি হয়েছিল।’
সেই সরকারের মূল উদ্দেশ্য যদি খালেদা জিয়াকে মাইনাস করা হতো, তাহলে সেই সরকার প্রথমে এসে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার কথা ছিল, সেটি কিন্তু তারা করেনি বরং এক-এগারোর সরকারের সময় ঘটা অন্যায়ের প্রতিবাদকারী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য ছিল মূলত জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মাইনাস করা। পরে দেশের মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই মাঠে নেমেছিল, বিএনপির কর্মীরা নয়।’
মির্জা ফখরুলের অপর বক্তব্য ‘রাজপথে নামতে পারলে গণতন্ত্র বিরোধীদের সরাতে পারবো’ -এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম কথা, বিএনপি রাজপথে নামতে তো বাধা নেই। এটি গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে যে কেউ রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করতে পারে, মিছিল-মিটিং করতে পারে। প্রেসক্লাবের সামনে আপনারা প্রতিদিন দেখছেন, সেখানে মিছিল-মিটিং-মানববন্ধন হয়, অবস্থান ধর্মঘট হয়, দেশের অন্য জায়গাও হয়। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি যেখানেই মিটিং করছে, সেখানেই নিজেরা মারামারি করছে। রিজভী সাহেব ক’দিন আগে উত্তরবঙ্গে মিটিং করতে গেছেন, সেখানে নিজেরা মারামারি করে মিটিং বন্ধ করে দিয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে ক’দিন আগে বলেছেন, এখন প্রয়োজন হচ্ছে বিএনপি’র ভেতরে ঐক্য। তার বক্তব্য অনুযায়ী অনুরোধ জানাবো বিএনপি ভিতরের ঐক্যটা একটু প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আর তাদের বিভিন্ন আলটিমেটাম আমরা গত সাড়ে ১১ বছর থেকে শুনে আসছি। এখন জনগণ অনেক সময় প্রশ্ন করে তাদের এই আলটিমেটাম কোনো বছরের জন্য। তাদের এ বক্তব্যগুলো আসলে হাস্যকর।’
#
আকরাম/ফারহানা/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৮৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৫
জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার
-- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকার দেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে মানুষের জীবনমানের অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। দেশকে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে দেশের জনগণের জীবনমানের আরো উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ভার্চুয়াল কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের মাঝে আর্থিক অনুদান এবং দুস্থ ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি পুনর্বাসন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের জন্য অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মাঝে সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতের নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা আরো বৃদ্ধি করা হবে। দেশের একটি মানুষও যেন গৃহহীন না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
#
শিবলী/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৪
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ইকোনমিক জোনে জাপানের বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, জাপানের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার। জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তৈরিপোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে আরো বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি (Ito Naoki) এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। এখানে বিনিয়োগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জাপানের তৈরি গাড়ির বড় বাজার। বাংলাদেশে জাপান গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করলে তা লাভজনক হবে। এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে জানান, জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে, এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও জাপান বাংলাদেশকে দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে। এজন্য এফটিএ অথবা পিটিএ করা যেতে পারে। জাপানের ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করার পরামর্শ দেন তিনি। জাপানে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে বলেও তিনি বন্তব্য করেন।
এ সময় বাণিজ্যসচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মোঃ ওবায়দুল আজম উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫৩
সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে কোভিড-১৯
পরিস্থিতিতেও খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রয়েছে
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সরকার দ্রুততার সাথে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কৃষকদেরকে বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করছে। ফলে এই পরিস্থিতিতেও খাদ্য উৎপাদনের ধারা বজায় আছে। আশা করা যায়, করোনার প্রভাবে দেশে খাদ্য নিয়ে কোন সংকট হবে না।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও’র) ৩৫তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এ সময় কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান, খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ আব্দুর রৌফ ও এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ ও জুনোটিক (প্রাণিবাহিত) রোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘এক স্বাস্থ্য অ্যাপ্রোচ’ নিতে হবে যেখানে মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ ও পরিবেশের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ককে বিবোচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে।
এবারের ৩৫তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক কনফারেন্সের আয়োজক ভুটান। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ভিভিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ১-৪ সেপ্টেম্বর সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ কনফারেন্স। কনফারেন্সের চেয়ারপার্সন ভুটানের কৃষি ও বনমন্ত্রী লিওনপো ইয়েশি পেনজর, এফএও’র মহাসচিব ডংইয়ু কিউ, সদস্যদেশসমূহের কৃষিমন্ত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন। এশিয়া -প্যাসিফিক অঞ্চরের ৪৬টি দেশ এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করছে।
#
কামরুল/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/১৮১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৫২
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্