তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৮৮
নারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার
ঢাকা, ২৫ কার্তিক (৯ নভেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শুধু নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা নয়, বরং সুন্দর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে সমাজে ইতিবাচক রূপান্তর ও পরিবর্তন আনতে হবে। এর মাধ্যমে সূচিত হবে এক নব অধ্যায়ের। এ সময় তিনি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
স্পিকার গতকাল যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সে ‘এন্ডিং ভায়োলেন্স এগেইনস্ট ওমেন এন্ড গার্ল’ শীর্ষক সেশনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি নারীদের ভোটাধিকারের গৌরবময় শতবর্ষ উদযাপন এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় যারা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদের ত্যাগ ও অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে চলছে- সাথে সাথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতেও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময়ে তিনি তৃণমূলের নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের কর্মপন্থা নির্ধারণের ওপর জোর তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে ‘ওমেন এমপি’স অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ৮৬টি দেশের ১২০ জন নারী সংসদ সদস্য অংশ নেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের গণসংযোগ অধিশাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
#
তারিক/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৮৭
২১ নভেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী
ঢাকা, ২৫ কার্তিক (৯ নভেম্বর) :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ১০ নভেম্বর শনিবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। প্রেক্ষিতে, আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪০ হিজরি, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ২১ নভেম্বর ২০১৮ খ্রি. বুধবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে।
আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররমস্থ সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনিছুর রহমান।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ফজলে রাব্বী, ঢাকা জেলার এডিসি (সাধারণ) মোঃ শহিদুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহ মোঃ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সরকারি মাদ্রাসা-ই- আলিয়ার অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর রহমান, ওয়াক্ফ প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
শায়লা/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯২০ ঘণ্টা
Handout Number : 3086
Bangladesh- China 11th FOC held in Beijing
Dhaka, November 9 ( Received from Beijing):
China will continue supporting Bangladesh's various economic development and infrastructure projects, told Foreign Minister of China Wang Yi to Bangladesh's Foreign Secretary Shahidul Haque at a meeting in Beijing today. Shahidul Haque is leading a 10 member Bangladesh delegation to the 11th Bangladesh- China Foreign Office Consultation (FOC) at Beijing between 8-9 November 2018.
The 11th Bangladesh-China FOC was held in Beijing on the 8th of November. The Chinese side was led by Vice Minister of Foreign Affairs of China Kong Xuanyou. Bangladesh Ambassador to China Fazlul Karim and senior representatives from different ministries and department of the Government of China and Bangladesh, including the Home Ministry, Ministries of Agriculture, Railways, Commerce, Industry, Economic Relations Division (ERD), Power Division and the ICT Division participated at the consultation.
The FOC reviewed various global, regional and sub-regional issues of mutual interests. Issues of bilateral cooperation were also discussed at length. It took stock of the implementation status of decisions taken in the past at different levels of the two governments. A host of new and emerging issues also came up for discussion. The FOC specially focussed on progress of materialising the agreements reached during the visit of Chinese President Xi Jinping to Bangladesh in October 2016 and during the visit of Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina to China in June 2014. The FOC outlined the future course of action to carry forward the ongoing works to translate into action the commitments reached at the leaders’ level.
The Vice Minister of China stated that Bangladesh is an important country for China's Belt and Road Initiative. Foreign Secretary underscored Bangladesh's support for the regional initiatives on connectivity, energy cooperation and economic integration under SAARC, BIMSTEC, BBIN, BCIM amongst other formations. Foreign Secretary Shahidul Haque noted that Bangladesh is engaged with all major economic powers of the world for realising its legitimate development aspirations, and connectivity across all major fields of economic partnerships. He briefed the Chinese side about the Vision 2021 and the Vision 2041 outlined by the Prime Minister Sheikh Hasina and sought continued Chinese support for the realisation of the Vision.
Consensus was reached at the FOC to expedite the approval procedure for Chinese loans for speedy implementation of infrastructure projects in Bangladesh. Enhancing trade and investment promotion measures, technical cooperation in agriculture, attracting investments for the Hi-tech parks in Bangladesh, production capacity cooperation, cooperation in blue economy, power and energy cooperation, cooperation on climate change issues, and visa facilitation measures, amongst others, came up during the consultation.
Foreign Secretary Shahidul Haque requested Vice Minister Kong for ‘positive actions’ to respond to Bangladesh’s concerns over the trade imbalance. Foreign Secretary requested the Chinese side to substantially increase import of Bangladeshi products, including jute and jute goods, pharmaceuticals, fruits and vegetables, and other non-traditional items for bridging the trade gap. Foreign Secretary Haque also stressed on the need for enhanced Chinese investment in the Special Economic Zones (SEZ) and in the Hi-tech parks. The Chinese Vice Minister assured that necessary steps would be instituted to support Bangladesh's trade interests. Decision was taken at the FOC to hold the first-ever consular consultation between the two countries in Dhaka at an early date.
The Chinese Vice Minister reiterated his country’s commitment to play a positive and constructive role in resolving the Rohingya crisis and appreciated the staunch political will of Bangladesh to resolve the crisis peacefully. Foreign Secretary Shahidul Haque noted that the crisis originated as a conflict between the Myanmar Government and its own people and stressed that Myanmar should start taking back its people without further delay as per the agreement reached during the recently concluded Joint Working Group (JWG) meeting. In this context, he requested the Chinese side to do its utmost to encourage Myanmar to create a conducive environment for the speedier return of the displaced Rohingyas to their homeland in Rakhine.
Foreign Secretary Shahidul Haque, along with his delegation, visited the headquarters of the Asian Infrastructure Investment Bank (AIIB) at Xicheng district, and met D.J. Pandian, Vice-President and Chief Investment Officer of AIIB. High-level officials of the investment and other wings of the bank were present at the meeting.
#
Tohidul/Mahmud/Parvez/Salimuzzaman/2018/18.00 Hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর :৩০৮৫
সচিব পর্যায়ে নিয়োগ ও বদলি
ঢাকা, ২৫ কার্তিক (৯ নভেম্বর) :
সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ও দপ্তরে সিনিয়র সচিব, সচিব ও ভারপ্রাপ্ত সচিব পদে নিয়োগ ও বদলি প্রদান করেছে। ৮ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) জি এম সালেহ উদ্দিনকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) আব্দুর রউফ তালুকদারকে অর্থ বিভাগের সচিব করা হয়েছে। এর আগে একই দিন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন ও অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে সচিব পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। একই দিন অপর এক প্রজ্ঞাপনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মিজানুর রহমানকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব করা হয়েছে। এছাড়া একাধিক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আব্দুর রব হাওলাদারকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সচিব) ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সিরাজুল হক খানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সরদার আবুল কালামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (গ্রেড-১) করা হয়েছে। উপসচিব মোঃ তমিজুল ইসলাম খান এ সকল প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
অপর এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুয়াজ্জেম হোসাইনকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর মহাপরিচালক, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রুহুল আমিনকে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)-এর চেয়ারম্যান, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহাকে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট)-এর মহাপরিচালক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংযুক্ত বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দ আব্দুল মমিনকে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার করা হয়েছে। অপর এক প্রজ্ঞাপনে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জ্যোতির্ময় দত্তকে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত সচিব পদমর্যাদায়) এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) কাজী রওশন আক্তারকে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (ভারপ্রাপ্ত সচিব পদমর্যাদায়) করা হয়েছে। উপসচিব মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ এ সকল প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
#
মাসুম/মাহমুদ/পারভেজ/আব্বাস/২০১৮/১৭১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৩০৮৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ নভেম্বর শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ই নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিন যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন তাঁর বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ শ্লোগান লিখে ১৯৮৭ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। মিছিলটি যখন জিরো পয়েন্টে পৌঁছে, তখন স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিতে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা হয়ে যায়। এছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহিদ হন। তাঁদের এ মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন-সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ আরো নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পায় জনগণ।
আমি নূর হোসেনসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
তথ্যবিবরণী নম্বর :৩০৮৩
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১০ নভেম্বর শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ১০ নভেম্বর এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সাহসী সৈনিক নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ এই শ্লোগান শরীরে ধারণ করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেদিন প্রতিবাদের পুরোভাগে থাকা শহিদ নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। আমি শহিদ নূর হোসেন দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি নূর হোসেনসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদকে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর আমরা কাক্সিক্ষত বিজয় অর্জন করি। স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা শুরু তখন থেকেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে আবারো গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ হয়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসনের। অনেক আন্দোলন সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতীক্ষার মাধ্যমে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এ আন্দোলনে শহিদ নূর হোসেনসহ আরো অনেকে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছেন। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আমি নূর হোসেনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।