তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৪৬
ভিয়েতনামে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদ্যাপন
বিজয়ের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার
হ্যানয় (ভিয়েতনাম), ১৬ ডিসেম্বর:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে মহান বিজয় আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। এর চেতনা আমাদের সকল উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র। বিশ্ববাজারে পোশাক শিল্পে নেতৃত্ব প্রদান এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এই বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি বৈষম্যহীন উন্নত, সমৃদ্ধ ও আরো মর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের একযোগে কাজ করে যাওয়ার বিকল্প নেই।
আজ ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি মহান বিজয় দিবসের গৌরবময় অর্জনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে দেশ মাতৃকার উন্নয়নের জন্য প্রত্যেকের অবস্থান থেকে কাজ করার অনুরোধ করেন।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন শুরু হয়। খেলাধুলা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবস উদ্যাপনের চূড়ান্ত পর্বে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা এবং মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।
ব্যানার, ফেস্টুন, ফুল এবং রঙিন আলোকসজ্জায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ভিয়েতনামে বসবাসরত বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির প্রবাসী বাংলাদেশি, হ্যানয়ে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
শেষে খেলাধুলা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে উপদেষ্টা পুরস্কার বিতরণ করেন। উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ভিয়েতনামে সরকারি সফরে রয়েছেন।
#
বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয় /রানা/আব্বাস/২০২৪/২৩১১ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৪৫
ইস্তাম্বুলে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ইস্তাম্বুল (তুরস্ক), ১৬ ডিসেম্বর:
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ইস্তাম্বুল-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস ২০২৪’ পালিত হয়েছে। কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কমচারী এবং ইস্তাম্বুলে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল মোঃ ইউসুফ আলী সকলের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আধার পেরিয়ে’ প্রদর্শন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন।
ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল মোঃ ইউসুফ আলী শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে ও জাতির মুক্তির অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণে সকলকে আহ্বান জানান।
#
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুল/মেহেদী/রানা/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২১১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৪৪
রিয়াদে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত
রিয়াদ (সৌদিআরব), ১৬ ডিসেম্বর:
বিজয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ বিনির্মাণ ও দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিব উল্লাহ।
বিজয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের মধ্যে একতা বজায় রেখে বিদেশের মাটিতে দেশের জন্য সম্মান বৃদ্ধি ও বাংলাদেশকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাবার জন্য আহবান জানিয়েছেন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিব উল্লাহ। পাশাপাশি তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশ ও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করার অনুরোধ করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ত্রিশ লক্ষ শহিদ ও নির্যাতিত দুই লক্ষাধিক মা-বোনদের এবং জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ
ছাত্র-জনতাদের। চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিব উল্লাহ আরো বলেন, একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হলে নিজেদের মধ্যে একতার কোনো বিকল্প নাই। তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে একতা ছিলো বলেই ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি অস্ত্রে-শস্ত্রে সুসজ্জিত পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশ স্বাধীন করেছিল। একইভাবে, ছাত্র-জনতার একতা ২০২৪ এ আবার আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ আরেকবার আস্বাদন করিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই একতাই আমাদের দেশি-বিদেশি যে কোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। তিনি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের দেশের তরুণদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপস্থিত প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে সম্মানের সাথে টিকে থাকার জন্য প্রশিক্ষিত জনশক্তি সৌদি আরবের শ্রম বাজারে নিয়ে আসতে হবে। আগামী দিনে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সৌদি আরবে বসবাসরত নতুন প্রজন্মকে দেশ প্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানার অনুরোধ জানান।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিব উল্লাহ। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ ও রিয়াদস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিরাও উপস্থিত ছিলেন। এরপর দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয় এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
#
বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি, রিয়াদ/মেহেদী/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৯৩৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৪৩
ম্যানিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত
ম্যানিলা (ফিলিপাইন), ১৬ ডিসেম্বর:
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস- ২০২৪ উদ্যাপন করেছে ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। বিজয়ের ৫৩ বছর উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক মনোরম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ সকালে বাংলাদেশ ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। অতঃপর দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিন শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহিদকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। একইসাথে তিনি জুলাই-আগস্ট-২০২৪-এর বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনে নিহত সকল শহিদ, আন্দোলনে লড়াই করে আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে বাঙালি জাতি নিজেদের অধিকার অর্জনের জন্য শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আর ২০২৪ সালে ঠিক একইভাবে আমাদের নতুন প্রজন্ম সকল বৈষম্যকে চিরতরে বিলীন করার জন্য আরো একবার রাস্তায় নেমেছিল। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন ইতিবাচক কার্যক্রমের তিনি প্রশংসা করেন। এরপর ফিলিপিনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে একটি মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।
#
জুলকার নাঈম/মেহেদী/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৯৪৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৪২
মহান বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা
ঢাকা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর):
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ বিকেলে বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠদের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের অবদান জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রপতি বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী ।
রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
রাহাত/মেহেদী/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৪১
রাষ্ট্রপতির সাথে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা’র সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর):
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। আজ বঙ্গভবনে পৌঁছলে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, পূর্ব তিমুরের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই বাংলাদেশে প্রথম সফর। তিনি আশা করেন প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা'র সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি দু'দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর পূর্ব তিমুরকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম সারির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। রাষ্ট্রপতি দু'দেশের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, চিকিৎসা, অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জ¦ালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানবসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষার জন্য সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে দু’দেশকে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশে পূর্ব তিমুরের অনারারি কনস্যুলেট চালু করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং বাণিজ্য বিনিয়োগ-সহ বহুপাক্ষিক সহযোগিতা আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে অনেক দক্ষ চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ স্নাতক ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগিয়ে পূর্ব তিমুর তাদের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে তাঁর দেশ গুরুত্ব দেয়। তিনি আশা করেন বাংলাদেশ এবং পূর্ব তিমুর উন্নয়নের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহকে কাজে লাগাতে একসঙ্গে কাজ করবে।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রাষ্ট্রপতির সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
#
রাহাত/মেহেদী/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৪০
যথাযোগ্য মর্যাদায় ইতালিতে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত
রোম (ইতালি), ১৬ ডিসেম্বর:
বাংলাদেশ দূতাবাস রোমে, যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস- ২০২৪ উদ্যাপন করা হয়েছে। আজ সকালে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসটি উদ্যাপনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইতালিতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক, ব্যবসায়িক ও প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম বিশিষ্ট ইতালিয়ান নাগরিকদের অংশগ্রহণে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহত শহিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ইতালিতে বসবাসরত শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের গৃহীত সংস্কার পদক্ষেপকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন, উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও জোরদার ভূমিকা রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা পর্ব শেষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল কর্মকাণ্ডকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান উল্লেখ করে, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আরও বেশি করে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখতে তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
#
ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস/মেহেদী/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৮৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৩৯
ইসলামাবাদে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত
ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ১৬ ডিসেম্বর:
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। এ উপলক্ষ্যে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এবং তাদের পরিবারবর্গ, এ অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করেন। দূতাবাস প্রাঙ্গণ বিজয় দিবসের ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।
হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন খান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনাপর্ব শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। পরে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনাপর্বে অন্যান্যের মধ্যে উপহাইকমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম খাঁন তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
এছাড়া, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে শিশু-কিশোরসহ সকলের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
#
তৈয়ব/ফাতেমা/রবি/আলী/মানসুরা/২০২৪/১৫৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৩৮
বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বিজয় দিবস উদ্যাপিত
ঢাকা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর):
মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আজ আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক তানিয়া খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বাধীনতা অর্জন করতে হলে অনেক কষ্ট করতে হয় এবং এ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে গেলে চলার পথে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। শিশুদের জন্য সুন্দর পরিবেশ এবং একটি বাসযোগ্য দেশ দিয়ে যেতে পারি এই হোক আজ আমাদের অঙ্গীকার।
শিশুরা এদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ উল্লেখ করে সিনিয়র সচিব আরো বলেন, শিশুদের উন্নয়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ডে-কেয়ার ব্যবস্থা গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে শিশুরা সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক তানিয়া খান, দুজন শিশু শিল্পী সারা তারিক ও কাওসার বিন মামুন বক্তৃতা করেন।
সিনিয়র সচিব শিশু একাডেমির শিশু শিল্পীদের পরিবেশিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। পরে তিনি দিবসটি উপলক্ষ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
রফিকুল/ফাতেমা/রবি/আলী/মানসুরা/২০২৪/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৩৭
মহান বিজয় দিবস-২০২৪
রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর) :
মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) আজ রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহিদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে পুলিশের একটি চৌকস দল সালাম প্রদান করে। তখন বিউগল বেজে উঠে।
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ও র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/ফাতেমা/রবি/আলী/শফিক/২০২৪/১৩১০ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৩৬
টোকিওতে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত
টোকিও (জাপান), ১৬ ডিসেম্বর :
জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদ্যাপন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। পতাকা উত্তোলন করেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ দাউদ আলী। পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ এবং সম্ভ্রম হারানো সকল বীর মা-বোন এবং জাপানসহ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতাকারী সকল বন্ধুরাষ্ট্র ও বিদেশি বন্ধুদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি জাপান প্রবাসীসহ সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া, রাষ্ট্রদূত একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে মহান বিজয় দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাপান রেডক্রস সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রক্তদান কর্মসূচিতে জাপানের প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
#
হাসান/ফাতেমা/রবি/আলী/শফিক/২০২৪/১১৫৮ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৩৫
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত
কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া) ১৬ ডিসেম্বর:
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদ্যাপন করা হয়েছে। আজ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই-আগস্ট-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর, বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। এছাড়া, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ওপর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আধার পেরিয়ে’ প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার তাঁর বক্তৃতায় শুরুতে '৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং '২৪ এর জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বীর যোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ও আদর্শের পরিপূর্ণ রূপ দিতেই '২৪ এর জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থান। '৭১ ও '২৪ এর শহিদ ও যোদ্ধাদের আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
হাইকমিশনার শামীম আহসান বলেন, নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ খাতে পরিবর্তনমূলক সংস্কার আনার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হাইকমিশনার প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠালে দেশ ও জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি আরো বলেন, প্রবাসীবান্ধব এ সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রবাসীদের কাঙ্ক্ষিতসেবা যেমন পাসপোর্ট-ভিসা, কনস্যুলার সেবা, কর্মসংস্থানসহ কল্যাণমূলক সকল প্রকার সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
হাইকমিশন মালয়েশিয়া/ফাতেমা/রবি/আলী/শফিক/২০২৪/১১৫৮ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৩৪
উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির পর্যালোচনা সভা
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহ লে অফ ঘোষণা
-ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ঢাকা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর):
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা গতকাল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অবঃ), বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, অর্থ উপদেষ্টা
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, অ্যাটর্নি জেনারেল, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানগণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, বাণিজ্য সচিব, অর্থ সচিব, বেক্সিমকো লি: এর রিসিভার, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।